147 নেতাজী ভাল অনুসারী ভাল নেতা খারাপ অনুসারী খারাপ
147 নেতাজী ভাল অনুসারী ভাল নেতা খারাপ অনুসারী খারাপ
* সবাই বেহেশতে যাওয়ার আশা রাখে। বেহেশতে যেমন দামী। সেখানে যাবে দামী মানুষগুলো। নবীর আদর্শ মেনে সোনার মানুষ হয়েছিল সে যুগের মানুষগুলো। যার ফলে জাহিলিয়াতের মুলোৎপাটন গঠেছিল
* নিশ্চিত ভাবে সৃষ্টির সেরা মানুষ কে? আল্লাহ নিজেই পরিচয় দিচ্ছেন। ৯৮: আল-বাইয়েনাহ ৭
اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ١ۙ اُولٰٓئِكَ هُمْ خَیْرُ الْبَرِیَّةِؕ
* আমরা কি মানুষ না জানোয়ার কুরআন থেকে জেনে নেই। মানুষ রুপি জানুয়ারদের পরিচয় আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন।সুরা-আরাফ-179
وَ لَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِیْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ ﳲ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا یَفْقَهُوْنَ بِهَا٘-وَ لَهُمْ اَعْیُنٌ لَّا یُبْصِرُوْنَ بِهَا٘-وَ لَهُمْ اٰذَانٌ لَّا یَسْمَعُوْنَ بِهَاؕ-أُولَٰئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّؕ-أُولَٰئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ
* আমাদের জীবন চলার সাথী হবে যারা সত্যের উপর অটল যাদের স্বভাব জানুয়ারের চরিত্র নয়, তাওবাহ্ -১১৯
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
* সৎ সঙ্গে সর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ
* নেতা ভাল অনুসারী ভাল, নেতা খারাপ অনুসারী খারাপ
* মা ভালো যার যি ভাল তার, বাপ ভাল যার পুত ভালো তার,গাই ভালো যার বাছুর ভালো তার
* আযান হলে অনেক নেতা তার অনুসারীদের নিয়ে নেশায় মত্ব থাকে
* আর নামাযি নেতা তার অনুসারীদেরকে নিয়ে নামায আদায় করে
* মুসলমানদের নেতা তিনি হবেন যার মধ্যে ইসলাম থাকবে নামাজ থাকবে কুরআন থাকবে হাদীস থাকবে
* হযরত ওমর রা: কেমন নেতা ছিলেন। যার সামনে মদ দুধ হয়ে গেল,অর্ধ পৃথিবীর মুসলিমদের শাসক হযরত উমর (রাঃ) এর শাসনামলেরই একটি ঘটনা
এক লোক মদের বোতল হাতে মদীনার কোন এক পথ দিয়ে যাচ্ছিল
* নেতা ছিলেন হযরত ওমর রা: যারে দেখলে শয়তান ভয় পায়।
যিনি ছিলেন আলেম,মারেফতের উচ্ছ পর্যায়ের একজন। যিনি হযরত আলী রা: এর স্বপনের খবর রাখেন
* মানুষ সবাই সোনার মানুষ সবাই নয়। যত ভালো মানুষ হোক। ইসলাম না থাকলে সে ভালো মানুষ নয়। কোরআন এর ভাষায় সে মানুষ নামের জানুয়ার
* সোনার মানুষ বেহেশতে যাবে জানুয়ার নয়। সুতরাং মানুষ হওয়া-ই চরম পাওয়া,, পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল রহঃ বলেন 'পশুর পেটে জন্ম নিলেই পশু হওয়া যায়।কিন্তু মানুষের পেটে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায়না,যদি না তার মাঝে মানুষের যাবতীয় গুণ না থাকে।
* ত্রিশ বছরের এক লোক।মন্দ স্বভাবের কারণে সবাই বলে ''অমুকের ছেলেটা মানুষ হলো না গো! অথচ,তার হাত পা চোখ মুখ সবই তো মানুষের মত।তবুও মানুষ নয় কেন! কারণ তার বাহিরটা যদিও মানুষের মত,কিন্তু ভেতরটা নয়।
* মানুষ হবার গুন সমূহ কী?
জামালুল কুলুব নামক একটি বিখ্যাত কিতাব আছে।সেই কিতাবটি মোঘল আমলে লেখা। সেই কিতাবে একটি চমতকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন লেখক। দিল্লী শাহি জামে মসজিদের ইমাম প্রতিদিন আসরের নামাজ পড়ে,এক পান দোকানে গিয়ে পান খেতেন।একদিন দোকানী দোয়া চাইলে হুজুর দোয়া করলেন 'আল্লাহ ইস কো ইনসান বানা দো।
____________________________
130 নেতা ভাল অনুসারী ভাল, নেতা খারাপ অনুসারী খারাপ
* নেতা ছিলেন হযরত ওমর রা: যারে দেখলে শয়তান ভয় পায়।
যিনি ছিলেন আলেম,মারেফতের উচ্ছ পর্যায়ের একজন। যিনি হযরত আলী রা: এর স্বপনের খবর রাখেন
তখন অমর (রা:) খেলাফত আমল,,!!
একদিন হযরত আলী (রা:) ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখলেন সে রাসুল (সা:) এর পিছে কাতার বন্দি হয়ে নামায পড়লেন !!
নামায শেষে এক বুড়ি প্রবেশ করলো আর রাসুল (সা:) কে বলল এটা আমার গাছের নতুন খেজুর আপনি খান এবং সাহাবীদের মধ্যে ভাগ করে দেন !!
রাসুল (সা:) পাত্রটি হাতে নিয়ে আলীকে একটি খেজুর দিলেন আর আলী তা চিবুতে লাগলেন,,এমন সময় ফজরের আযান হলো !
আলী ওজু করে নামাজে গেলেন ইমামতি করলেন হযরত ওমর (রা:) নামায shese দেখলেন এক বুড়ি এসে বলল এটা আমার গাছের নতুন খেজুর,,আমিরুল মোমেনীন আপনি খান এবং সাহাবীদের মধ্যে ভাগ করে দিন !!
ওমর (রা:) পাত্র হাতে নিয়ে আলী (রা:) কে একটি খেজুর দিলেন আলী (রা:) বললেন ওমর (রা:) পাত্রে তো খেজুর আরো আছে সবাইকে ৪/৫ টা করে দিলে ও আরো বাকী থাকবে,,একটা দিলে কেন ?
ওমর (রা:) বললেন আলী বিগত রজনীতে রাসুল (সা:) তোমাকে যদি একাধিক খেজুর দিতেন আমি ওমর ও তোমাকে একাধিক খেজুর দিয়ে দিতাম !
আলী (রা:) অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো অমর তুমি ও কি স্বপ্নে দেখেছো নাকি গায়েব থেকে জেনেছো!
ওমর (রা:) বললেন আলী আমি স্বপ্নে ও দেখিনি গায়েব থেকে শুনিনি!
যারা আল্লাহর জন্য হয়ে যায় আল্লাহর সাহায্যেই তারা দেখতে পায়।
* সোনার মানুষ সবাই নয়। যত ভালো মানুষ হোক। ইসলাম না থাকলে সে ভালো মানুষ নয় সে মানুষ নামের জানুয়ারি
* সোনার মানুষ বেহেশতে যাবে জানুয়ার নয়। সুতরাং মানুষ হওয়া-ই চরম পাওয়া,, পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল রহঃ বলেন 'পশুর পেটে জন্ম নিলেই দের হওয়া যায়।কিন্তু মানুষের পেটে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায়না,যদি না তার মাঝে মানুষের যাবতীয় গুণ না থাকে।
* ত্রিশ বছরের এক লোক।মন্দ স্বভাবের কারণে সবাই বলে ''অমুকের ছেলেটা মানুষ হলো না গো! অথচ,তার হাত পা চোখ মুখ সবই তো মানুষের মত।তবুও মানুষ নয় কেন! কারণ তার বাহিরটা যদিও মানুষের মত,কিন্তু ভেতরটা নয়।
* মানুষ হবার গুন সমূহ কী?
জামালুল কুলুব নামক একটি বিখ্যাত কিতাব আছে।সেই কিতাবটি মোঘল আমলে লেখা। সেই কিতাবে একটি চমতকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন লেখক।
দিল্লী শাহি জামে মসজিদের ইমাম প্রতিদিন আসরের নামাজ পড়ে,এক পান দোকানে গিয়ে পান খেতেন।একদিন দোকানী দোয়া চাইলে হুজুর দোয়া করলেন 'আল্লাহ ইস কো ইনসান বানা দো।
'আল্লাহ! লোকটাকে তুমি মানুষ বানিয়ে দাও,,
কোন কৃষক যদি তার ফসলের জন্য দোয়া চায়,আর দোয়াকারী যদি বলে 'অাল্লাহ তাকে মানুষ বানাও,,তবে ব্যাপারটা কেমন হবে?
কোন দোকানদার যদি দোয়া চায়, আর হুজুর যদি দোকানীর ব্যবসা কিংবা তার পরিবারের জন্য দোয়া না করে,বরং তাকে মানুষ বানানোর দোয়া করে,তবে তো ব্যাপারটা হাস্যকর।
প্রতিদিন দোকানী দোয়া চায়,আর হুজুর পান চিবুতে চিবুতে,মুচকি হেসে,অদ্ভুত ঢংয়ে মানুষ বানাবার দোয়া করেই যান!
আদবের সহিত একদিন দোকানী জানতে চাইলো এই দোয়ার রহস্য কী?
হুজুর, উনার মাথার পাগড়ী খুলে দোকানীর মাথায় পড়িয়ে বললেন 'চোখ বন্ধ করে বলো তো কী দেখতে পাও!
দোকানি চোখ বন্ধ করে চিতকার দিয়ে উঠে।কসম সেই সত্ত্বার,যার হাতে আমার প্রাণ! আমি এখন সমগ্র দুনিয়া দেখতে পাচ্ছি।পৃথিবী ভর্তি পশু আর পশু।বহু দূরে দূরে একজন দুজন মানুষ।কারো অর্ধেক শরীর মানুষের, বাকিটা পশু।কারো একটুখানী পশুর মত,বাকিটা মানুষের মত।
হুজুর! এখন বুঝতে পারলাম,এই অগণিত পশুর মাঝে আমিও একটা পশু মাত্র।
প্রতিটা মানুষের দুটো রুপ।একটি বাহ্যিক আরেকটি অাভ্যন্তরিক।বাহ্যিক তথা প্রকাশ্য রুপটি তো সবারই মানুষ।কিন্ত ভেতরের রুপটি মানুষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া অসাধ্য।
ত্রিশ বছরের এক লোক।মন্দ স্বভাবের কারণে সবাই বলে ''অমুকের ছেলেটা মানুষ হলো না গো!
অথচ,তার হাত পা চোখ মুখ সবই তো মানুষের মত।তবুও মানুষ নয় কেন! কারণ তার বাহিরটা যদিও মানুষের মত,কিন্তু ভেতরটা নয়।
মানুষ মাটি হতে সৃষ্ট।মাটির ধর্ম হলো সহনশীলতা। যেদিন মাটির সেই গুণটি, সহনশীলতা, ধৈর্য অর্জন করা যায়,সেদিন আপনিই মানুষ হবার বাকী গুণ গুলো চলে আসে।
মানুষ যখন রেগে যায়,তখন কেউ কুকুরের মত গর্জে উঠে।কেউ শুকরের মত গজগজিয়ে উঠে।রেগে গেলে যিনি যেই পশুর মত আচরণ করেন।তার ভেতরের রুপটা ঠিক সেই পশুর মত।
* হযরত ওমর রা কেমন নেতা ছিলেন।যার সামনে মদ দুধ হয়ে গেল,অর্ধ পৃথিবীর মুসলিমদের শাসক হযরত উমর (রাঃ) এর একটি কাহিনী
হযরত উমর (রাঃ) এর শাসনামলেরই একটি ঘটনা
এক লোক মদের বোতল হাতে মদীনার কোন এক পথ দিয়ে যাচ্ছিল।হঠাৎ লক্ষ্য করল সামনের দিক থেকে হযরত উমর(রাঃ) তার দিকেই আসতেছেন।তাই দেখে তার ভয়ে শরীরব্যাপী কম্পন শুরু হয়ে গেল।সে ভাবতে লাগলো আমিরুল মুমিনিন হযরত উমর (রাঃ) যদি আমার হাতে মদের বোতল দেখেন তাহলে উপায় নেই জীবনে আমাকে মেরেই ফেলবেন।লোকটি ভয়ের সাথে বোতলটি পিছনের দিকে লুকিয়ে ফেললেন। আর মনে মনে আল্লাহর কাছে বলতে লাগলেন হে আল্লাহ এখন তুমি ছারা আমার আর কোনো উপায় নেই হে আল্লাহ তুমি আমার ইজ্জত রক্ষা করো। আল্লাহ আমি বড় পাপি তাতে সন্দেহ নেই। ঠিক তুমিই আমার আল্লাহ তুমিই আমার খালেক তুমিই সবচেয়ে দয়াময় তুমমিই আমাকে সৃষ্টি করছো তাতেও কোন সন্দেহ নেই।
ওগো দয়াময় আল্লাহ তুমি এই মদকে খাটি দুধে পরিনত করে দাও। আর কোন দিন আমি মদ পান করবোনা।
হযরত উমর(রাঃ)কে দেখে মনে মনে কাতর সুরে আল্লাহর কাছে লোকটি এই দোয়া করছিল।এরই মধ্যে হযরত উমর(রাঃ) এসে হজির। গম্ভীর কন্ঠে বললেন কি লুকিয়েছো পিছনে বের করো।লোকটি ভয়ে বললেন।হজুর বোতলে দুধ। উমর(রাঃ) বললেন দেখাও। হাতে নিয়ে খুলে দেখে বোতলে সত্যি সত্যি দুধ রাখা আছে।
লোকটির খাটি তওবার উছিলায় আল্লাহ মদকে দুধে পরিনত করে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সকল কে অনেক অনেক দয়া করেন ভালোবাসেন। আল্লাহ তার রহমাতের চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছেন আমাদের সবাইকে। তাইতো আল্লহ বলেছেন। হে আমার বান্দা বান্দি গন। তোমরা যারা নিজদের প্রতি অবিচার করেছ।তারা আল্লহর রহমাত থেকে নিরাশ হইয়োনা।নিশ্চয়ই তিনি সকল গুনা মাফ করে দিবেন।আল্লাহ আমাদের সকলকে তার কাছে খাটি তওবা করার এবং গুনার কাজ থেকে ফিরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
___________________________
* নেতার আনুগত্য করতে হলে যার মধ্যে ইসলাম আছে তার আনুগত্য করতে হবে, নেতার কত তোষামোদ, মুখের দিকে তাকাইয়া কথা কয়না,সেদিন নেতার সাথে অনুসারীরা ঝগরা করবে ৷
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللَّهِ أَكْبَرُ مِن مَّقْتِكُمْ أَنفُسَكُمْ إِذْ تُدْعَوْنَ إِلَى الْإِيمَانِ فَتَكْفُرُونَ
(আল মু'মিন - ১০)
যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
قَالُوا رَبَّنَا أَمَتَّنَا اثْنَتَيْنِ وَأَحْيَيْتَنَا اثْنَتَيْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوبِنَا فَهَلْ إِلَىٰ خُرُوجٍ مِّن سَبِيلٍ
(আল মু'মিন - ১১)
তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি?
ذَٰلِكُم بِأَنَّهُ إِذَا دُعِيَ اللَّهُ وَحْدَهُ كَفَرْتُمْ ۖ وَإِن يُشْرَكْ بِهِ تُؤْمِنُوا ۚ فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْكَبِيرِ
(আল মু'মিন - ১২)
তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে। এখন আদেশ তাই, যা আল্লাহ করবেন, যিনি সর্বোচ্চ, মহান।
*চোরকে কুতুবে পরিণত করা:()
--------কারামাতে গাউছে পাক:
পবিত্র বাগদাদ নগরীতে এক প্রসিন্ধ চোর ছিল। কোনদিন সে ধরা পড়েনি। সে বহু আমির ওমরাহের বাসায় চুরি করেছে। কিন্তু কেউ ধরতে পারেনি। সে একদিন গভীর রাতে গাউসে পাকের ঘরে ঢুকলো তখন গাউসে পাক ঘরের এক পার্শ্বে ইবাদত ও মুরাকাবায় মশগুল ছিলেন। চোর ঘরে তন্ন তন্ন করে তালাশ করলো কিন্তু কিছুই পেলনা। অবশেষে নিরাশ হয়ে ঘর হতে চলে যেতে চাইলো। কিন্তু চোখে দেখতে পাচ্ছে না। হতাশ হয়ে ঘরের এক কোণে চুপ করে বসে রইলো। আশা ভোরের আলোতে চলে যেতে সক্ষম হবে। সে ঘরে বসে কোন রকমে রাত পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় হযরত খিজির (আ.)ঘরে প্রবেশ করে হযরত বড়পীরকে বললেন ---আজ ইরানের নেহাওন্দ শহরের কুতুব ইনতিকাল করেছেন। আজ রাতের মধ্যে একজন কুতুব নিয়োগ করে ঐ শহরে পাঠিয়ে দিন। হযরত বড়পীর খাদেমকে ডেকে বললেন, আমার ঘরের কোনে একজন লোক চুপ করে বসে আছে তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। খাদেম লোকটিকে ধরে নিয়ে আসলো। চোর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো। চোর অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলো,হুজুর আমি কোন দিন ধরা পড়িনি আজ আপনার কাছে ধরা পড়লাম। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন। আর কেন দিন চুরি করবো না।
দয়ার সাগর গাউছুল আযম বললেন--তুমি আমার ঘরে বড় আশা করে ঢুকেছো। তোমাকে খালী হাতে বিদায় দিতে আমার লজ্জা লাগছে। কাউকে খালী হাতে বিদায় দেয়া আমার স্বাভাব নয়। এসো! কাছে এসো। আজ তোমাকে এমন দৌলত দেবো, যা তোমাকে দুনিয়া ও আখিরাতের বাদশাহ্ বানিয়ে দেবে। অতঃপর গাউছুল আযম চোরকে তওবা করায়ে এমন জামালী ফয়েজের দৃষ্টি দিলেন যে, এক মুহুর্তে সে যাবতীয় মারেফাত তত্ত্ব ও গুপ্ত রহস্যের অধিকারী হয়ে কুতুবে পরিণত হয়ে ইরানের নেহাওন্দ শহরে চলে গেলো।।
________________________________________
* আমাদের উঠা বসা হবে যার চরিত্র ভাল,
المرع مع من احبة
* অনেক নেতা তার অনুসারীদের নিয়ে নেশায় মত্ব থাকে
* নামাযি নেতা তার অনুসারীদেরকে নিয়ে নামায আদায় করে
* নেতা ভাল অনুসারী ভাল, মা ভাল যার যি
* নেতা হবে সে, যার মধ্যে ইসলাম আছে, কত তোষামোদ, মুখের দিকে তাকাইয়া কথা কয়না,সেদিন নেতার সাথে অনুসারীরা ঝগরা করবে ৷
وَبَرَزُوا لِلَّهِ جَمِيعًا فَقَالَ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنتُم مُّغْنُونَ عَنَّا مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِن شَيْءٍ ۚ قَالُوا لَوْ هَدَانَا اللَّهُ لَهَدَيْنَاكُمْ ۖ سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَجَزِعْنَا أَمْ صَبَرْنَا مَا لَنَا مِن مَّحِيصٍ
(ইব্রাহীম - ২১)
সবাই আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হবে এবং দুর্বলেরা বড়দেরকে বলবেঃ আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম-অতএব, তোমরা আল্লাহর আযাব থেকে আমাদেরকে কিছুমাত্র রক্ষা করবে কি? তারা বলবেঃ যদি আল্লাহ আমাদেরকে সৎপথ দেখাতেন, তবে আমরা অবশ্যই তোমাদের কে সৎপথ দেখাতাম। এখন তো আমাদের ধৈর্য্যচ্যুত হই কিংবা সবর করি-সবই আমাদের জন্যে সমান আমাদের রেহাই নেই।
وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الْأَمْرُ إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدتُّكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ ۖ وَمَا كَانَ لِيَ عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ إِلَّا أَن دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي ۖ فَلَا تَلُومُونِي وَلُومُوا أَنفُسَكُم ۖ مَّا أَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَمَا أَنتُم بِمُصْرِخِيَّ ۖ إِنِّي كَفَرْتُ بِمَا أَشْرَكْتُمُونِ مِن قَبْلُ ۗ إِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
(ইব্রাহীম - ২২)
যখন সব কাজের ফায়সলা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবেঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে সত্য ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং আমি তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছি, অতঃপর তা ভঙ্গ করেছি। তোমাদের উপর তো আমার কোন ক্ষমতা ছিল না, কিন্তু এতটুকু যে, আমি তোমাদেরকে ডেকেছি, অতঃপর তোমরা আমার কথা মেনে নিয়েছ। অতএব তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করো না এবং নিজেদেরকেই ভৎর্সনা কর। আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্যকারী নই। এবং তোমরাও আমার উদ্ধারে সাহায্যকারী নও। ইতোপূর্বে তোমরা আমাকে যে আল্লাহর শরীক করেছিলে, আমি তা অস্বীকার করি। নিশ্চয় যারা জালেম তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللَّهِ أَكْبَرُ مِن مَّقْتِكُمْ أَنفُسَكُم
যখন আলেমরা ডাকত এসো আল্লাহর পথে, তখন ফেরাউন হুমকি দেয়
قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَـٰهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
(আশ শুআরা - ২৯)
ْ إِذْ تُدْعَوْنَ إِلَى الْإِيمَانِ فَتَكْفُرُونَ
(আল মু'মিন - ১০)
قَالُوا رَبَّنَا أَمَتَّنَا اثْنَتَيْنِ وَأَحْيَيْتَنَا اثْنَتَيْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوبِنَا فَهَلْ إِلَىٰ خُرُوجٍ مِّن سَبِيلٍ
(আল মু'মিন - ১১)
ذَٰلِكُم بِأَنَّهُ إِذَا دُعِيَ اللَّهُ وَحْدَهُ كَفَرْتُمْ ۖ وَإِن يُشْرَكْ بِهِ تُؤْمِنُوا ۚ فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْكَبِيرِ
(আল মু'মিন - ১২)
* ওমর (রা:) মত নেতা যতক্ষন পর্লামেন্টে না যাবে ইসলামী সমাজ ব্যবস্হা কায়েম হবেনা ৷
* যারে দেখলে শয়তান ভয় পায়
যিনি ছিলেন আলেম,মারেফতের উচ্ছ পর্যায়ের আলী স্বপনের খবর রাখেনr;।
No comments