৯৫ শবে বরাত
* হযরত আয়শা রা: রাসূল সা: কে জান্নাতুল বাকিতে পান।কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৮৯
* #আল্লাহতায়ালা প্রথম আকাশে এসে বান্দাদেরকে ডাকতে থাকেন
* #আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন। সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৯০
* রাসুল সা: মসজিদে বসা তিনি বলেন,এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন তিনি বেহেশতের অধিবাসী।
* এই দুনিয়া নেক আমলের মূল্য আমাদের কাছে নাই যার জন্য দুনিয়াকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু একদিন নেক আমলের মূল্য যে কতো তা বুঝে আসবে
* #এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে। টাকা
* #পবিত্র শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত নামায বনী ইসরাইলদের একজন বুযুর্গ ব্যক্তির চারশ বছরের ইবাদতের চেয়েও অধিক মূল্যবান
* প্রকৃত তাওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবে। তাহরীম:8
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًاؕ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُۙ
* তার চেয়ে দয়াবান আর পৃথিবীতে কেউ নেই
* #হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়
________________________________________________________
* পবিত্র শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত নামায বনী ইসরাইলদের একজন বুযুর্গ ব্যক্তির চারশ বছরের ইবাদতের চেয়েও অধিক মূল্যবান
* পবিত্র শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত নামায বনী ইসরাইলদের একজন বুযুর্গ ব্যক্তির চারশ বছরের ইবাদতের চেয়েও অধিক মূল্যবান
বনী ইসরাইলদের একজন বুযুর্গ ব্যক্তির চারশ বছরের ইবাদতের চেয়েও অধিক মূল্যবান"" নুরে মুজাসসাম
হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, একদিন হযরত ঈসা আলাইহিসসালাম তিনি পাহাড়ের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন হঠাৎ করে তিনি পাহাড়ের উপর একটি সাদা পাথর দেখতে পেলেন। তখন হযরত
ঈসা আঃ তিনি ওই পাথরের চারপাশ ঘুরে আশ্চর্যান্বিত হলেন। উনার আশ্চর্যবোধ হওয়া দেখে আল্লাহপাক ওহী নাযিল করে বললেন, " হে আমার নবী হযরত ঈসা আঃ আপনি সাদা পাথর দেখে আশ্চর্য হয়েছেন, এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু আপনি দেখতে চান? হযরত ঈসা আঃ তিনি
জি বলতেই পাথর ফেটে গেল। পাথরের
মধ্যে একজন বুযুর্গ ব্যাক্তি সবুজ রঙের লাঠি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন এবং উনার সামনে একটি আংগুর গাছ আছে। অতপর সেই বুযুর্গ ব্যাক্তি বললেন, এটা আমার প্রতিদিনের খাবার। তখন হযরত ঈসা আঃ সেই বুযুর্গ ব্যাক্তিকে লক্ষ্য করে বললেন আপনি কতদিন পর্যন্ত এই পাথরের ভিতর আল্লাহপাক উনার ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত আছেন? তিনি বললেন আমি চারশ বছর ধরে এই পাথরের ভিতর ইবাদত বন্দেগি করছি। তখন হযরত ঈসা আঃ তিনি আরো আশ্চর্য হয়ে বললেন হে বারে ইলাহী আমার ধারনা, হয়তো আপনি এই বুযুর্গ ব্যাক্তির চেয়ে আর কোনো উত্তম মাখলুক সৃস্টি করেননি তখন আল্লাহপাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক সা: উনার উম্মতগন উনারা যদি শাবানের ১৫ তারিখ রাতে ২ রাকাত নামায আদায় করে তবে তা ওই বুযুর্গ ব্যাক্তির চারশ বছরের ইবাদত হতেও উত্তম হবে।(সুবহানাল্লাহ)। অতপর হযরত ঈসা আঃ তিনি একথা শুনে বললেন হায় আমি যদি হুযুর পাক সা: উনার উম্মত হতে পারতাম। তখন মহান
আল্লাহপাক তিনি হযরত ঈসা আঃ উনার ফরিয়াদখানা
সরাসরি কবুল করলেন। (নুজহাতুল মাজালিশ প্রথম খন্ড)
____________________________
* আমরা দেহের খাবার গ্রহণ করি রুহকে খাবার কম দেই। গুনাহ রুহের ক্ষয় হয়। ফজর থেকে জুহর থেকে এশার নামাজ ক্ষয় পূরণ হয়ে যায়
* বন্ধু থেকে উপহার তথা ক্ষমা পাওয়ার রজনী। মোমেনের বন্ধ আল্লাহ
* সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করবো,সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৮৮
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ ﷺ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا . فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ أَلاَ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ أَلاَ مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلاَ مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلاَ كَذَا أَلاَ كَذَا حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
مبتلي:নিপীড়িত
* যারা ক্ষমার অযোগ্য আল্লাহ মধ্যে শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৯০
إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
* রাসুল সা: মসজিদে বসা তিনি বলেন। এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন তিনি বেহেশতের অধিবাসী
* দ্বিতীয়ত ইবাদত করে কাটানোর রাত তথা পুন্যর রজনী
* হযরত আয়শা রা: রাসূল সা: কে জান্নাতুল বাকিতে পান,সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৮৯
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ النَّبِيَّ ـ ﷺ ـ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَخَرَجْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ رَافِعٌ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ " . قَالَتْ قَدْ قُلْتُ وَمَا بِي ذَلِكَ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ . فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعَرِ غَنَمِ كَلْبٍ
حيف:অবিচার
* পবিত্র শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত নামায বনী ইসরাইলদের একজন বুযুর্গ ব্যক্তির চারশ বছরের ইবাদতের চেয়েও অধিক মূল্যবান
* আল্লাহর কাছে রিপোর্ট পেশ করার মাস
* অনেক কোম্পানী আছে দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক বাৎসরিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। মানুষের আমলনামা দৈনিক সাপ্তাহিক সোমবার বৃহস্পতিবার বাৎসরিক শবে বরাতের রাতে পেশ করা হয়
__________________
৯৫/ 31 শবে বরাতের রাতে
* প্রকৃত তাওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবে। তাহরীম:8
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًاؕ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُۙ
* প্রথমত ক্ষমার রজনী আমাদের আমাদের গুনার চেয়ে নেকের পাওয়ার একেবারে কম। মালেক ইবনে দিনার রহ:
* সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করবো
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ،
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا . فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ أَلاَ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ أَلاَ مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلاَ مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلاَ كَذَا أَلاَ كَذَا حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ " .
مبتلي:নিপীড়িত
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে সালাত পড় এবং এর দিনে সওম রাখ। কেননা এ দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করবো। কে আছো রিযিকপ্রার্থী আমি তাকে রিযিক দান করবো। কে আছো রোগমুক্তি প্রার্থনাকারী, আমি তাকে নিরাময় দান করবো। কে আছ এই প্রার্থনাকারী। ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত (তিনি এভাবে আহবান করেন
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৮
হাদিসের মান: জাল হাদিস
* যারা ক্ষমার অযোগ্য। আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৯০
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ "
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
তাহকীক আলবানী : হাসান।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৯০
* রাসুল সা: মসজিদে বসা তিনি বলেন,এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন তিনি বেহেশতের অধিবাসী।আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা. সেই সাহাবীর অনুগামী হলেন। মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১৯১৮; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/৭৪; আততারগীব ওয়াত তারহীব ৫/১৭৮-
আবু উসামা হাসান
হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন, আমরা রাসূল সা: এর দরবারে (মসজিদে নববীতে) উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের নিকট এখন একজন জান্নাতী মানুষ আগমন করবে। (বর্ণনাকারী বলেন) অতপর একজন সাহাবী আগমন করলেন। তাঁর দাড়ি থেকে সদ্যকৃত অযুর পানির ফোটা ঝরে পড়ছিল। তিনি তার বাম হাতে জুতা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন।
তার পরদিনও নবী করীম সা: আমাদেরকে অনুরূপ কথা বললেন এবং প্রথমদিনের মতো সেই সাহাবী আগমন করলেন।
যখন তৃতীয় দিন হল, নবী করীম সা: সেই কথা আবার বললেন এবং যথারীতি সেই সাহাবী পূর্বের অবস্থায় আগমন করলেন। নবী করীম সা: যখন আলোচনা শেষ করে উঠে দাঁড়ালেন তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা. সেই সাহাবীর অনুগামী হলেন। তিনি তাকে বললেন, আমি আমার পিতার সাথে ঝগড়া করে শপথ করেছি, তিনদিন পর্যন্ত তার ঘরে যাব না। এই তিনদিন আমাকে যদি আপনার ঘরে থাকার সুযোগ করে দিতেন, তবে আমি সেখানে থাকতাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ,
থাকতে পার
বর্ণনাকারী হযরত আনাস রা. বলেন, হযরত আবদুল্লাহ রা. বলতেন, তিনি তার সাথে সেখানে সেই তিন রাত অতিবাহিত করলেন। তিনি তাঁকে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেও দেখলেন না। তবে তিনি যখন ঘুমাতেন, বিছানায় পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন তখন আল্লাহর যিকির করতেন। হযরত আবদুল্লাহ রা. বলেন, তার মুখ থেকে কিন্তু ভালো কথা ছাড়া কোনো মন্দ কথা শুনিনি। যখন তিনদিন অতিবাহিত হয়ে গেল এবং তার আমলকে সাধারণ ও মামুলি মনে করতে লাগলাম, তখন তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! আমি রাসূল সা: কে আপনার সম্পর্কে তিনবার একথা বলতে শুনেছি যে, এখনই তোমাদের নিকট একজন জান্নাতী মানুষ আগমন করবে। উক্ত তিনবারই আপনি আগমন করেছেন। তাই আমি ইচ্ছা করেছিলাম আপনি কী আমল করেন তা দেখতে আপনার নিকট থাকব। যাতে আমিও তা করতে পারি। আপনাকে তো বেশি আমল করতে দেখিনি। তাহলে কোন গুণ আপনাকে এই মহান মর্যাদায় উপনীত করেছে, যা রাসূল সা: বলেছেন?
তিনি বললেন, তুমি যা দেখেছ, ঐ অতটুকুই। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, যখন আমি ফিরে আসছিলাম তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। তারপর বললেন, আমার আমল বলতে ঐ অতটুকুই, যা তুমি দেখেছ। তবে আমি আমার অন্তরে কোনো মুসলমানের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করি না এবং আল্লাহ তাআলা কাউকে কোনো নেয়ামত দান করলে সেজন্য তার প্রতি হিংসা রাখি না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, এ গুণই আপনাকে এত বড় মর্যাদায় উপনীত করেছে। আর সেটাই আমরা করতে পারি না।
* দ্বিতীয়ত ইবাদত করে কাটানোর রাত তথা পুন্যর রজনী
* হযরত আয়শা রা: রাসূল সা: কে জান্নাতুল বাকিতে পান,সুনানে ইবনে মাজাহ,১৩৮৯
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَخَرَجْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ رَافِعٌ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ " . قَالَتْ قَدْ قُلْتُ وَمَا بِي ذَلِكَ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ . فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعَرِ غَنَمِ كَلْبٍ " .
حيف:অবিচার
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি বলেন, হে আয়িশা! তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়িশা (রাঃ) বলেন, তা নয়, বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন স্ত্রীর কাছে গেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৯
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
* আল্লাহর কাছে রিপোর্ট পেশ করার মাস
* অনেক কোম্পানী আছে দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক বাৎসরিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। মানুষের আমলনামা দৈনিক সাপ্তাহিক সোমবার বৃহস্পতিবার বাৎসরিক শবে বরাতের রাতে পেশ করা হয়
__________________
__________________
* যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না,যুমার:53
قُلْ يٰعِبَادِىَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلٰىٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
* ওয়াহশি রা: ইসলাম গ্রহন প্রসংগে
* যারা তাওবা করবে, ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে মারইয়াম:60
إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صٰلِحًا فَأُولٰٓئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْـًٔا
* আল্লাহ১৪৪ কেবলমাত্র শিরকের গোনাহ মাফ করেন না। এছাড়া আর যাবতীয় গোনাহ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন,আন-নিসা:116
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِيدًا
* হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়
* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।
* নিরানব্বই লোককে হত্যা করেছে, আলিমকে হত্যা করে একশ’ সম্পূর্ণ করল,সহিহ মুসলিম ৬৯০১
রাসূল সা: এর এক উম্মতের নিরানব্বইটি ‘আমলনামার খাতা খুলে ধরবেন,জামে' আত-তিরমিজি ২৬৩৯
* নামায তর্ককারী ব্যভিচার থেকে অধম যেনা করে মুসা নবীর কাছে আসে
__________
* ওয়াহশি রা: ইসলাম গ্রহন প্রসংগে,আমি যদি তৌবা করার সময় না পাই
19:মারইয়াম:60
إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صٰلِحًا فَأُولٰٓئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْـًٔا
তবে যারা তাওবা করবে, ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের সামান্যতম অধিকারও ক্ষুণ্ন হবে না।
* তিনি যদি ক্ষমা না করেন
4:আন-নিসা:116
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِيدًا
আল্লাহ১৪৪ কেবলমাত্র শিরকের গোনাহ মাফ করেন না। এছাড়া আর যাবতীয় গোনাহ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করে, সে গোমরাহীর মধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
* যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।39:আয-যুমার:53
قُلْ يٰعِبَادِىَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلٰىٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
(হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা৭০ যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।৭১
পবিত্র শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত
নামায বনী
* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।
বনী ইসরাইলে এক যুবক ছিল বড্ড বদমাশ, শারাবী ও জুয়াড়ী। শহরের লোকেরা তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দিল।
উক্ত ব্যক্তিকে লোকেরা শহর থেকে বের করে দেবার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের বাইরে গিয়ে নিজের আস্তানা গেড়ে বসল। সেখানে কোন সাথী সঙ্গী ছিলনা, খাদ্য-পানীয় ছিলনা। আস্তে আস্তে সব শেষ হয়ে গেল। তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিতে লাগল। সে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করল, ডানে দেখল, বামে দেখল, কিন্তু কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর সে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলতে লাগলঃ হে আল্লাহ্! আমি যদি জানতাম যে, আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে আর ক্ষমা করে দিলে তোমার রাজত্ব হ্রাস পাবে তাহলে, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাইতাম না। যদি আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি না ঘটে, তাহলে আমাকে আযাব না দিয়ে মাফ করে দাও। হে আল্লাহ্! কেউ আমার সাথি হয়নি, সকলেই আমাকে পরিত্যাগ করেছে। হে আল্লাহ্! মৃত্যুর মুখে আমি তওবা করছি, গোনাহ করতে করতে সারাটা জীবন কেটে গেছে। হে আল্লাহ্! সকলে তো আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, তুমি আমাকে পরিত্যাগ কর না, একথা বলতেই তার প্রাণপাখি উড়ে গেল।
আল্লাহ্ তাআলা হযরত মুসা (আঃ) কে বললেনঃ অমুক জঙ্গলে আমার এক বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছে। তুমি গিয়ে তাকে গোসল করাও, কাফন পড়াও ও জানাযা পড়াও।আর সারা শহরে ঘোষনা করে দাও যে, যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়। মুসা (আঃ) ঘোষনা করে দিলেন।
ঘোষনা শুনে শহরের লোকজন সব ছুটল জঙ্গলের দিকে। সেখানে গিয়ে তো সকলে বিস্ময়ে হতবাক। সেই শরাবী, জুয়াড়ী, ডাকাত, বদমাশ মরে পড়ে আছে।
লোকেরা মুসা (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলঃ হে মূসা (আঃ), ঘটনা কী? এই লোককে তো আমরা শহর থেকে বের করে দিয়েছিলাম অথচ আল্লাহ্ তাআ’লা তাকে বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন!
হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট আরয করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! তোমার বান্দারা তো বলছে, এই ব্যক্তি তোমার দুশমন আর তুমি তাকে নিজের বন্ধু বলছ!!
আল্লাহ্ তাআ’লা বললেনঃ তাদের কথাও ঠিক, আমার কথাও ঠিক। সে আমার দুশমনই ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে দেখল যে, সে একা, তার ডানে বামে কেউ নেই, সবাই পরিত্যাগ করেছে। আর সেই অবস্থায় যখন সে আমাকে স্মরণ করল, আমাকে ডাকল, তখন আমি তাকে তার গোনাহের কারনে নিঃস্ব, একাকী অবস্থায় তাকে পাকড়াও করতে লজ্জ্বাবোধ করলাম। সে সময় যদি সে আমার নিকট সারা দুনিয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করত, তাও আমি গ্রহণ করতাম।
* হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়
* হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়
এক প্রতিবেশী। নাম শামাউন। অগ্নির উপাসক। দীর্ঘায়ু লোক। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। আক্রান্ত হলেন এক কঠিন অসুখে। জীবনের আশা অতি ক্ষীণ, ক্ষীণতম। তাঁর আসন্ন মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। হযরত হাসান (র)-এর কানেও এল কথাটা। তিনি প্রতিবেশীর অন্তিম শয্যার পাশে গিয়ে বসলেন। দেখলেন, শামাউনের সারা শরীরে কালো কালো দাগ। তিনি বললেন, আগুন আর ধোয়া নিয়েই তো কাল কাটালে, এখন একবার আল্লাহকে মেনে নাও। ইসলাম কবুল কর। হয়তো আল্লাহর রহমত নেমে আসবে তোমার ওপর। শামাউনের চোখে তাচ্ছিল্যের আভাস। বললেন, দু'টি কারনে তোমাদের ধর্মের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা আছে। প্রথম কারনটি হল- ইসলাম ধর্মালম্বীরা দিনরাত দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। আর দ্বিতীয় কারন- তারা মুখে মৃত্যুর কথা বলে বটে তবে এমন সব কাজ কারবার করে, যা মৃত্যু-ভীতদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কেননা, ঐ সকল কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।
হযরত হাসান (র) বললেন, শুভাকাঙ্খীর মতই কথা বলেছ তুমি। কিন্তু, তুমি কি করলে? আজীবন আল্লাহকে ভুলে আগুনের উপাসনা করে কি তাঁর বিরাগভাজন হলে না? শোন, আমি কোনদিন আগুনের উপাসনা করিনি। কিন্তু আমি যার ইবাদত-বন্দেগী অর্চনা করি, তাঁর দয়ায় আগুন আমার বশীভূত। সে আমার কোন ক্ষতি করবে না।
শামাউন বললেন, হ্যা, আগুন আমার কোন ক্ষতি করবে না আমার তা বিশ্বাস হয় না, হাসান (র) বললেন কিছু আগুন আনাও পরীক্ষা করে দেখি।
আগুন আনা হল। হযরত হাসান (র) শামাউনকে আগুনের ওপর হাত রাখতে বললেন। কিন্তু তার সাহস হল না। তখন হযরত হাসান (র) নিজের একখানা হাত আগুনের ওপর চাপিয়ে দিলেন। আল্লাহর রহমতে তা পুড়ল না। একগুচ্ছ লোমও না।
দৃশ্য দেখে শামাউন অবাক। তার মনে এল গভীর অনুশোচনা। তিনি বললেন, ভাই হাসান! সত্তর-আশি বছর ধরে চরম অন্যায় করে এসেছি। এখন কি তার প্রায়শ্চিত্তের অবকাশ আছে? থাকলে মুক্তির উপায় বলে দাও।
হযরত বললেন নিশ্চয় উপায় আছে। তুমি ইসলামে দীক্ষা নাও। তারপর পবিত্র হৃদয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। তিনি তোমাকে মুক্তি দেবেন।
শামাউন বললেন, মৃত্যুর পর শাস্তির পরিবর্তে আল্লাহ আমাকে মুক্তি দেবেন, এই মর্মে যদি তুমি আমাকে একখানি পত্র লিখে দাও, তাহলে আমি মুসলমান হতে পারি।
হযরত হাসান তাঁর কথামত একখানি কাগজে লেখে শামাউনের হাতে দিলেন। শামাউন আবার কাগজখানিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের সই নিয়ে তা আবার হযরত হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, মৃত্যুর পর দাফন করার সময় পত্রখানা আমার সঙ্গে দিও। আর তুমি নিজের হাতে আমাকে গোসল করিয়ে কবরে শুইয়ে দিও। অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। আর অনতিকাল পরেই মারা গেলেন।
তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সব কাজ শেষ হল। শামাউনের দাফন কর্ম সম্পন্ন করে হাসান (র) নিজের কথাই ভাবতে লাগলেন। তিনি পূর্বে থেকেই নিজেকে পাপী বলে মনে করতেন। এখন তিনি ভাবতে শুরু করলেন, অন্যের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহর অধিকারে হস্তক্ষেপ করলাম।
এখন আমার মত পাপীর মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয় কে। সারা রাত তিনি আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে রইলেন। সে এক অবিরাম, অন্তহীন প্রার্থনা। শেষ রাতে স্বপ্ন দেখলেন, শামাউন মাথায় ঝকঝকে মুকুট, সুন্দর পোশাক পরে জান্নাতের উদ্যানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি খবর শামাউন ভাই? তোমার অবস্থা কি?
শামাউনের প্রফুল্ল জবাব: যেভাবে আমাকে দেখতে পাচ্ছ, আমি সে রকমই আছি। আল্লাহর রহমতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। আল্লাহর দীদারও লাভ করেছি। তোমার পত্রখানায় খুব কাজ দিয়েছে হাসান ভাই। নাও-বলে পত্রখানা তিনি হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিলেন।
ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন, সত্যিই শামাউনকে দেয়া পত্রখানা তাঁর হাতের মুঠোয়। যেন স্বপ্ন নয়, এই মাত্র শামাউন স্বশরীরে এসে পত্রখানা তাঁকে দিয়ে গেল। তখন তিনি তাঁর প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, প্রভু গো! আপনার কাজের গূঢ় রহস্য উদঘাটন করার সাধ্য আমার নেই। সারা জীবন যে আগুন নিয়ে পড়ে থাকল, তাকে মাত্র একবার কলেমা পড়ার কারনে আপনি মুক্তি দিলেন, শুধু তাই না- তাকে দেখাও দিলেন। তাহলে আজীবন যারা ঈমান মেনে রয়েছে, তাদের যে আপনি মুক্তি দেবেন- তাতে কোন সন্দেহ নেই। শামাউনের জান্নাতবাস তাঁর চেতনায় নবদিগন্তের দুয়ার খুলে দিল।
* হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়
এক প্রতিবেশী। নাম শামাউন। অগ্নির উপাসক। দীর্ঘায়ু লোক। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। আক্রান্ত হলেন এক কঠিন অসুখে। জীবনের আশা অতি ক্ষীণ, ক্ষীণতম। তাঁর আসন্ন মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। হযরত হাসান (র:)- এর কানেও এল কথাটা। তিনি প্রতিবেশীর অন্তিম শয্যার পাশে গিয়ে বসলেন। দেখলেন, শামাউনের সারা শরীরে কালো কালো দাগ। তিনি বললেন, আগুন আর ধোয়া নিয়েই তো কাল কাটালে, এখন একবার আল্লাহকে মেনে নাও। ইসলাম কবুল কর। হয়তো আল্লাহর রহমত নেমে আসবে তোমার ওপর। শামাউনের চোখে তাচ্ছিল্যের আভাস। বললেন, দু'টি কারনে তোমাদের ধর্মের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা আছে। প্রথম কারনটি হল- ইসলাম ধর্মালম্বীরা দিনরাত দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। আর দ্বিতীয় কারন- তারা মুখে মৃত্যুর কথা বলে বটে তবে এমন সব কাজ কারবার করে, যা মৃত্যু-ভীতদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কেননা, ঐ সকল কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।
"" যাদের হৃদয় আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছে কোন কিছু চায়না""
হযরত হাসান (র) বললেন, শুভাকাঙ্খীর মতই কথা বলেছ তুমি। কিন্তু, তুমি কি করলে? আজীবন আল্লাহকে ভুলে আগুনের উপাসনা করে কি তাঁর বিরাগভাজন হলে না? শোন, আমি কোনদিন আগুনের উপাসনা করিনি। কিন্তু আমি যার ইবাদত-বন্দেগী অর্চনা করি, তাঁর দয়ায় আগুন আমার বশীভূত। সে আমার কোন ক্ষতি করবে না।
শামাউন বললেন, হ্যা, আগুন আমার কোন ক্ষতি করবে না আমার তা বিশ্বাস হয় না, হাসান (র) বললেন কিছু আগুন আনাও পরীক্ষা করে দেখি।
আগুন আনা হল। হযরত হাসান (র) শামাউনকে আগুনের ওপর হাত রাখতে বললেন। কিন্তু তার সাহস হল না। তখন হযরত হাসান (র) নিজের একখানা হাত আগুনের ওপর চাপিয়ে দিলেন। আল্লাহর রহমতে তা পুড়ল না। একগুচ্ছ লোমও না।
দৃশ্য দেখে শামাউন অবাক। তার মনে এল গভীর অনুশোচনা। তিনি বললেন, ভাই হাসান! সত্তর-আশি বছর ধরে চরম অন্যায় করে এসেছি। এখন কি তার প্রায়শ্চিত্তের অবকাশ আছে? থাকলে মুক্তির উপায় বলে দাও
হযরত বললেন নিশ্চয় উপায় আছে। তুমি ইসলামে দীক্ষা নাও। তারপর পবিত্র হৃদয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। তিনি তোমাকে মুক্তি দেবেন।
শামাউন বললেন, মৃত্যুর পর শাস্তির পরিবর্তে আল্লাহ আমাকে মুক্তি দেবেন, এই মর্মে যদি তুমি আমাকে একখানি পত্র লিখে দাও, তাহলে আমি মুসলমান হতে পারি।
হযরত হাসান তাঁর কথামত একখানি কাগজে লেখে শামাউনের হাতে দিলেন। শামাউন আবার কাগজখানিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের সই নিয়ে তা আবার হযরত হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, মৃত্যুর পর দাফন করার সময় পত্রখানা আমার সঙ্গে দিও। আর তুমি নিজের হাতে আমাকে গোসল করিয়ে কবরে শুইয়ে দিও। অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। আর অনতিকাল পরেই মারা গেলেন।
তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সব কাজ শেষ হল। শামাউনের দাফন কর্ম সম্পন্ন করে হাসান (র) নিজের কথাই ভাবতে লাগলেন। তিনি পূর্বে থেকেই নিজেকে পাপী বলে মনে করতেন। এখন তিনি ভাবতে শুরু করলেন, অন্যের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহর অধিকারে হস্তক্ষেপ করলাম।
এখন আমার মত পাপীর মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয় কে। সারা রাত তিনি আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে রইলেন। সে এক অবিরাম, অন্তহীন প্রার্থনা। শেষ রাতে স্বপ্ন দেখলেন, শামাউন মাথায় ঝকঝকে মুকুট, সুন্দর পোশাক পরে জান্নাতের উদ্যানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি খবর শামাউন ভাই? তোমার অবস্থা কি?
শামাউনের প্রফুল্ল জবাব: যেভাবে আমাকে দেখতে পাচ্ছ, আমি সে রকমই আছি। আল্লাহর রহমতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। আল্লাহর দীদারও লাভ করেছি। তোমার পত্রখানায় খুব কাজ দিয়েছে হাসান ভাই। নাও-বলে পত্রখানা তিনি হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিলেন।
ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন, সত্যিই শামাউনকে দেয়া পত্রখানা তাঁর হাতের মুঠোয়। যেন স্বপ্ন নয়, এই মাত্র শামাউন স্বশরীরে এসে পত্রখানা তাঁকে দিয়ে গেল। তখন তিনি তাঁর প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, প্রভু গো! আপনার কাজের গূঢ় রহস্য উদঘাটন করার সাধ্য আমার নেই। সারা জীবন যে আগুন নিয়ে পড়ে থাকল, তাকে মাত্র একবার কলেমা পড়ার কারনে আপনি মুক্তি দিলেন, শুধু তাই না- তাকে দেখাও দিলেন। তাহলে আজীবন যারা ঈমান মেনে রয়েছে, তাদের যে আপনি মুক্তি দেবেন- তাতে কোন সন্দেহ নেই। শামাউনের জান্নাতবাস তাঁর চেতনায় নবদিগন্তের দুয়ার খুলে দিল।
No comments