136 বদ নজরে যা হয়
136 বদ নজরে যা হয়
* বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য কপালে টিপ নয়, রাসূল সা দোয়া শিখিয়ে গেছেন,আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার মাধ্যমে প্রত্যেক শায়ত্বনের (শয়তানের) অনিষ্ট হতে, প্রত্যেক ধ্বংসকারী হিংস্র জন্তু জানোয়ারের ধ্বংস হতে, প্রত্যেক কুদৃষ্টিসম্পন্ন চোখ হতে তোমাদেরকে আল্লাহর আশ্রয়ে সোপর্দ করছি। তিনি আরো বলতেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এ কালিমার দ্বারা তাঁর সন্তান ইসমা‘ঈল ও ইসহককে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করতেন,বুখারী- ৩৩৭১
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ : وَيَقُولُ: إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهِمَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاق
* বদ নজর লাগলে করনীয়, জা‘ফর ইব্নু আবী তালিব (রা)-এর দুইটি ছেলেকে রাসূল সা:-এর কাছে নিয়ে আসা হল। অতঃপর রাসূল সা:- তাদের আয়া (মহিলা খাদেম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, এই ছেলেরা এত জীর্ণশীর্ণ (দুর্বল) কেন ? মুয়াত্তা ইমাম মালিক-১৬৯০
* যার চোখ ভাল না,সে যদি দেখে বলে সুন্দরী যায়রে, আপনার অবস্থা ঐ লোকের মতো হতে পারে,আবূ উমামা ইবনু সহল ইব্নু হুনাইফ (র) থেকে বর্ণিতঃ (জুহফার নিকটবর্তী) খাব্বার নামক স্থানে আমার পিতা আবূ সহল (ইব্নু হানীফ) গোসল করার মনস্থ করে জুব্বা খুলে ফেললেন। আমির ইব্নু রবীয়া দেখতেছিলেন। আমার পিতা সহল সুন্দর ও সুদর্শন লোক ছিলেন। আমির বললেন, আজকের মতো আর কোনদিন আমি এত সুন্দর মানুষ দেখিনি, মুয়াত্তা ইমাম মালিক-১৬৮৮ সহিহ
* বেপর্দা নারীর প্রতি বদ নজর লাগার সম্ভাবনা বেশি স্বামী -তুমি কি বোরকা ছাড়া আগামী শুক্রবার তোমার চাচাতো বোনের বিবাহের অনুষ্ঠানে যেতে চাচ্ছো?স্ত্রী : হ্যাঁ! কেনো নয়? বিশেষ একটা দিন!স্বামী - নাহ, তুমি বোরকা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারো না। স্ত্রী : দেখো! আমি বাহিরে বোরকা পরিধান করেই বের হয়ে থাকি এ জন্য সবর্দা আমাকে
বোরকা পরে বের হতে হবে? আর তুমিতো আমার সাথেই যাচ্ছো
_______________
164 বদ নজর
* বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য কপালে টিপ নয়, রাসূল সা দোয়া শিখিয়ে গেছেন,বুখারী- ৩৩৭১
ﺃُﻋﻴـﺬُﻛُﻤـﺎ ﺑِﻜَﻠِـﻤﺎﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘّـﺎﻣَّﺔ، ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْـﻄﺎﻥٍ ﻭَﻫـﺎﻣَّﺔ، ﻭَﻣِﻦْ ﻛُـﻞِّ ﻋَـﻴْﻦٍ ﻻﻣَّـﺔ
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হাসান (রাঃ) ও হুসাইন (রাঃ) এর জন্য এই বলে আশ্রয় নিতেন - “আমি তোমাদের দুজনকে আল্লাহর নিকট পূর্ণ গুণাবলীর বাক্য দ্বারা সকল শয়তান বিষধর জন্তু ও ক্ষতির চক্ষু (বদনজর) থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।বুখারী- ৩৩৭১
* বেপর্দা নারীর প্রতি বদ নজর লাগার সম্ভাবনা বেশি
স্বামী -: তুমি কি বোরকা ছাড়া আগামী
শুক্রবার তোমার চাচাতো বোনের
বিবাহের অনুষ্ঠানে যেতে চাচ্ছো??
স্ত্রী :- হ্যাঁ!! কেনো নয়?? বিশেষ একটা দিন!
স্বামী -: নাহ, তুমি বোরকা ছাড়া ঘর থেকে বের
হতে পারো না।
স্ত্রী :- দেখো!! আমি বাহিরে বোরকা
পরিধান করেই বের হয়ে থাকি এ জন্য সবর্দা আমাকে
বোরকা পরে বের হতে হবে?? আর তুমিতো
আমার সাথেই যাচ্ছো!! তুমি কি আমাকে সন্দেহ
করো?
স্বামী -: সন্দেহ করবো কেনো? আচ্ছা এখন
আমি বাজারে যাচ্ছি।
স্ত্রী :- বাজারে কেনো??
স্বামী -: একটা জিনিস আনতে...
(স্বামী বাজারে গিয়ে একটা বল কিনে আনলেন,
যে বলটা দেখলে মনে হবেই এটা স্বর্ণের তৈরি
বল, অতঃপর স্বামী বলটি নিয়ে বাসায় গেলেন)
স্ত্রী :- এটা কি স্বর্ণের??
স্বামী -: হ্যাঁ এটা অনেক মূল্যবান, এটা
ড্রইং রুমে ঝুলিয়ে রাখতে পারো।
স্ত্রী :- তুমি কি বোকা?? কেউ যদি এটা
দেখে ফেলে এবং চুরি করে নিয়ে যায়??
স্বামী -: দুটো দিন ঝুলিয়ে রাখো, এরপরে না হয়
আলমারিতে রেখ দিও।
স্ত্রী :- তোমার মাথায় কি গোবর??
যখন কেউ যেনে যাবে আমাদের কাছে
স্বর্ণের বল আছে, তখন সে নিশ্চয়
অন্যকে বলে দিবে, এরপর তারা সকলে
মিলে ডাকাতি করতে আসতে পারে!
স্বামী -: (মুচকি হেসে বলল) তুমিতো
ভীষণ চালাক তুমি স্বর্ণের বল
আলমারিতে সুরক্ষিত করতে চাও অথচ বোরকার ভিতর
নিজেকে সুরক্ষিত করতে চাওনা ! তুমি কি জানো তুমি
আমার কাছে পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী?? সুতরাং
তোমাকেও আমি সুরক্ষিত করে রাখতে চাই, একটা
দিন যদি তুমি বোরকা ছাড়া বের হও প্রথম দিন তোমার
উপর দুষ্টু লোকদের বদ নজর পরবে, তারা তোমার
সৌন্দর্যময়
দেহের প্রতি লোভী হয়ে উঠবে, আর
একদিন সুযোগ বুঝে আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদের
উপর আক্রমন করে বসবে,
তখন কি হবে ভাবতে পারছো??
স্ত্রী :- সত্যিই কি আমি তোমার
কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ?
স্বামী -: অবশ্যই..!! কেনো নয়? হাদীসে
আছে উত্তম স্ত্রী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
স্ত্রী :- আজ থেকে আল্লাহর পর্দার বিধান সঠিক
রুপে পালন করবই
করবো ইনশাআল্লাহ, আমি আমার ভুল বুঝতে
পেরেছি।
স্বামী : আলহামদুলিল্লাহ.. আল্লাহ তোমার ভালো
নিয়ত কবুল করুন।
এভাবে সকল মুসলিম মহিলাদেরকে আল্লাহ চলার
তৌফিক দান করুন।
আমীন।
* হুমাইদ ইবনু কাইস মক্কী (র) থেকে বর্ণিতঃ:জা‘ফর ইব্নু আবী তালিব (রা)-এর দুইটি ছেলেকে রাসূল সা:-এর কাছে নিয়ে আসা হল। অতঃপর রাসূল সা:- তাদের আয়া (মহিলা খাদেম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, এই ছেলেরা এত জীর্ণশীর্ণ (দুর্বল) কেন ? আয়া উত্তর দিল, ইয়া রসূলাল্লাহ! তাদের উপর খুব তাড়াতাড়ি (খুব সহজেই) বদ নজর লেগে যায়। আর তাদেরকে কোন রকম ঝাড়ফুঁক করাইনি। কারণ হয়ত বা আপনি উহা পছন্দ করেন না। অতঃপর রাসূল সা:- বললেন, এদের জন্য ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা কর। কেননা যদি কোন বস্তু তকদীরের (কপালের লেখার) অগ্রে কোন কর্ম সম্পন্ন করতে পারত, তবে উহা বদনজর। [১] (সহীহ, তিরমিযী ২০৫৯, ইবনু মাজাহ ৩৫১০, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন [সিলসিলা সহীহা ১২৫২] এবং ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
ফুটনোটঃ
[১] তকদীরে যা লেখা আছে তাই হয়। বদ নজরও তাকদীরের অন্তর্ভূক্ত। তাবীয-দু‘আ ও ঝাড়ফুঁক ইত্যাদিতে যদি শরীআত-বিরুদ্ধ কোন শব্দ বা বাক্য না থাকে, তবে ঐসব তাবীয-দু‘আ ঝড়ফুঁক করানোতে ক্ষতির কিছু নেই।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৬৯০
হাদিসের মান: নির্ণীত নয়
* যার চোখ ভাল না,সে যদি দেখে বলে সুন্দরী যায়রে, আপনার অবস্থা ঐ লোকের মতো হতে পারে,--
আবূ উমামা ইবনু সহল ইব্নু হুনাইফ (র) থেকে বর্ণিতঃ (জুহফার নিকটবর্তী) খাব্বার নামক স্থানে আমার পিতা আবূ সহল (ইব্নু হানীফ) গোসল করার মনস্থ করে জুব্বা খুলে ফেললেন। আমির ইব্নু রবীয়া দেখতেছিলেন। আমার পিতা সহল সুন্দর ও সুদর্শন লোক ছিলেন। আমির বললেন, আজকের মতো আর কোনদিন আমি এত সুন্দর মানুষ দেখিনি, এমন কি এত সুন্দর দেহবিশিষ্ট কোন যুবতীও দেখিনি। (আমিরের এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই) তৎক্ষণাৎ সহলের গায়ে জ্বর এল এবং জ্বরের বেগ ভীষণ হল। অতঃপর এক ব্যক্তি এসে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বলল, সহলের জ্বর এসেছে এবং সে আপনার সাথে যেতে পারবে না। তখন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহলের কাছে এলেন, সহল আমিরের সেই কথা নকল করে শোনালেন। এটা শুনে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন মুসলমান নিজের ভাইকে কেন হত্যা করে ? অতঃপর আমিরকে বললেন, তুমি (বারাকাল্লাহ) বললে না কেন? বদ নজর (কুদৃষ্টি) সত্য। সহলের জন্য ওযূ কর, তাকেও ওযুর পানি দাও। আমির সহলের জন্য ওযূ করলেন এবং ওযুর পানি তাকে দিলেন। অতঃপর সহল ভাল হয়ে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে গেলেন, আর তাঁর কোন অসুবিধা তখন ছিল না। (বুখারী ৫৭৪০, মুসলিম ২১৮৭)
মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৬৮৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আর কপালে টিপ নয়, আল্লাহর নবী হযরত হাসান হোসাইন এর জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, ঠিক সেভাবেই হবে,বুখারী ৩৩৭১, মিশকাতুল মাসাবিহ,১৫৩৫ সহিহ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ: أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ : وَيَقُولُ: إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهِمَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ .
رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَفِي أَكْثَرِ نُسَخِ الْمَصَابِيْحِ: بِهِمَا عَلى لَفْظِ التَّثْنِيَةِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-কে এ ভাষায় দু‘আ করে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার মাধ্যমে প্রত্যেক শায়ত্বনের (শয়তানের) অনিষ্ট হতে, প্রত্যেক ধ্বংসকারী হিংস্র জন্তু জানোয়ারের ধ্বংস হতে, প্রত্যেক কুদৃষ্টিসম্পন্ন চোখ হতে তোমাদেরকে আল্লাহর আশ্রয়ে সোপর্দ করছি। তিনি আরো বলতেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এ কালিমার দ্বারা তাঁর সন্তান ইসমা‘ঈল ও ইসহককে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করতেন। বুখারী; মাসাবীহ সংস্করণের অধিকাংশ স্থানে ‘বিহা’ শব্দের জায়গায় بهما (বিহিমা-) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে দ্বিবচন শব্দে।[১]
সহীহ : বুখারী ৩৩৭১,
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৫৩৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
No comments