Header Ads

Header ADS

  137 আল্লাহ্ পাকের সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশী ব্যক্তির প্রতিটি মুহূর্ত হতে হবে ইবাদত সেটা যেভাবে ভাবে সম্ভব


* ইবাদতের নিয়্যাতে করলে প্রতিটি কাজ হবে ইবাদতে,সহিহ বুখারী,১: সহিহ


عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى،فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ


* প্রতিটি কাজ যদি কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে হয় তাহলে সেটা ইবাদতে গন্য হবে


* পানি খাওয়ার ৬ টি সুন্নত আছে,সেগুল হল-1) পানি সর্বদা ডান হাতে খাওয়া.2) পানি বসে খাওয়া.3) পানি খাওয়ার শুরাতে “বিসমিল্লাহ্”বলা.4) পানি খাওয়ার পূবে পানিটাকে ভাল ভাবে দেখা.5) পানি ৩ ঢোকের মধ্যে খাওয়া.6) পানি শেষ করার পরে আলহামদুল্লিহ্ বলা 


* খানা সামনে আসলে দোয়া আছে না নাই? 


اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْما رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ


* খানা শুরু করেছেন দোয়া আছে না নাই?


بِسْمِ اللّهِ وَ عَلى بَرَكَةِ اللهِ


* পানাহারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করতে ভুলে গেলে যে দোয়া পড়বেন,জামে' আত-তিরমিজি, ১৮৫৮: সহিহ


عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ ‏ "‏ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ


* খানার শেষে এই দোয়া পড়বে


اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَ سَقَانَا وَ جَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْن


* দাওয়াত খাওয়ার পর এই দোয়া পড়বে 


اَللّهُمَّ اَطْعِمْ مَنْ اَطْعَمَنِيْ وَ اَسْقِ مَنْ سَقَانِيْ


* পায়খানায় প্রবেশ করার সময় দোয়া,এটা আরামের জিনিস, পায়খানা বন্ধ হলে বুজা যায় কত কষ্ট, বাদশা আকবরের ছেলে পেলে হতো না, দিল্লির বড় বজুর্গ সেলিম চিশতি রহঃ কাছে গেল, আমার যদি সন্তান হয়,আপনার নামে নাম রাখবো, আপনার জন্য খানকা ও মসজিদ বানিয়ে দেব, ওয়াজ ও খুতবা-(১/২৫২


* পায়খানায় প্রবেশের সময় দোয়া, মিশকাতুল মাসাবিহ,৩৩৭


اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ


* পবিত্রতা অর্জনকারীর প্রশংসা আল্লাহ পাক নিজে করেছেন,এখানে কোবা বাসীদের বুঝানো হয়েছে ৯:তওবা:১০৮


فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْاؕ وَ اللّٰهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ


পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া,মিশকাতুল মাসাবিহ,৩৩৭


ﻏَُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺫْﻫَﺐَ ﻋَﻨِّﻲ ﺍﻷَﺫَﻯ ﻭَﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ


* ঘুমানোর সময় ও ঘুম থেকে উঠে এই দোয়া পড়বে,সহিহ বুখারী,৬৩২৫: সহিহ


عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا ‏"‏‏.‏ فَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ‏"‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُور


* হালাল রুজি উপার্জনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দোয়া, আমি আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি) আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই;আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই،তিরমিজি،সুনানে আবু দাউদ,৫০৯৫: সহিহ


بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ


* মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া،সহিহ মুসলিম،১৫৩৭: সহিহ


أَوْ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ ‏ "‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‏.‏ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك 


* ২৪ ঘন্টা ইবাদত হবে যদি রাসূল সা: এর তরিকা পরিপূর্ণ ভাবে আমারা মেনে চলি,ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ করাই অর্থ হলো, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়টা ইবাদতে কাজে লাগানো,‌বাকারা:২০৮


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِی السِّلْمِ كَآفَّةً۪ وَ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبين


* তোমরা কি কোরআনের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশকে করবে অস্বীকার,২: আল-বাক্বারাহ্: ৮৫


اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْض


ِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ




________________


162 আল্লাহর সাক্ষাতের প্রত্যাশী, প্রতিটি মুহূর্ত হবে ইবাদত ✓




حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ




‘আলক্বামাহ ইব্‌নু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




আমি ‘উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে। 


(৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; মুসলিম ২৩/৪৫ হাঃ ১৯০৭, আহমাদ ১৬৮) ( আধুনিক প্রকাশনী- ১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।১৮: আল-কাহাফ,:আয়াত: ১১০,




قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ یُوْحٰۤى اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌۚ فَمَنْ كَانَ یَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْیَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّ لَا یُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا۠




হে মুহাম্মাদ! বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ‌ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।


* এই জীবন এমন ভাবে চলবে,যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি থাকবে


* হযরত আলী রা: যুদ্ধের ময়দানে এক কাফেরদের ধরাশায়ী করে,ওয়াজ ও খুতবা-১/২৪৫




হজরত আলীর র: এর বীরত্ব




হজরত আলী (রা) একজন অসীম সাহসী বির পুরুষ ছিলেন । জিহাদের ময়দানে তার তরবারীর সামনে কাফেররা আসতে পারতনা । একবার এক জিহাদে কাফেরদের এক পাহলোয়ানের সাথে হজরত আলীর (র:)এর মোকাবেলা হলো । পাহলোয়ান ও ছিল ভিশন শক্তিশালী । সাহসও তার কম ছিলনা । কিন্তো হজরত আলী (রা) সামনে সে কেমন করে দাডাবে?কিছুক্ষণের মধ্যে হজরত আলী (রা) তাকে আহত করলেন । তার বুকের ওপর চড়ে বসে তলওয়ার উটালেন । তার শির কেটে দেহ আলাদা করে দেবেন । হঠাৎ কাফেরটি তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করলো । কাফের মুখে থুথু নিক্ষেপ করার সাথে সাথেই হজরত আলী (র:) তলোয়ার নামিয়ে নিলেন, এবং তার বুক থেকে নেমে পড়লেন ।তিনি বললেন, যাও চলে যাও, এখন আর আমি তোমাকে হত্যা করতে পারিনা ।এতক্ষণ পয্যন্ত আমি ইসলামের জন্য এবংআল্লাহ কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে লড়াই করেছিলাম ।


কিন্তু এখন তোমাকে হত্যা করতে গেলে তার মধ্যে আমার ক্রোধের ও অংশ থাকবে ।আর হয়ত আল্লাহর নিকট আমার এই কাজটি প্রতিশোধ হিসাবে গণ্য হবে ।তুমি আমার মুখে থুথু নিক্ষেপ করে আমার যে অসম্মান করলে আমি তার প্রতিশোধ নিতে চাইনা ।নিজের সম্মান রক্ষার জন্য এক ব্যক্তি কে হত্যা করার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, বরং এটা কাপুরুষতার লক্ষণ ।যাও তুমি তোমার লোকদের মধ্যে চলে যাও ।হজরত আলীর (র:) আচরণ কাফেরের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করলো ।দ্বীন ইসলামের মহত্বের কাছে সঙ্গে সঙ্গে সে মাথা হেট করলো ।ইসলামের প্রতি তার ঘৃনা ও বিদ্বেষ খতম হয়ে গেল ! সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো ।




* আল্লাহর অলি সেই ব্যক্তি যে রাগ হজম করতে পারে, দিল্লির শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ রহঃ এর সুযোগ্য তনয় মাওলানা শাহ মুহাম্মদ ইসহাক রহঃ এর কাছে এক ব্যক্তি জিগ্গাশা করলো, হযরত আল্লাহর অলি কাকে বলে, তিনি জবাব দিলেন, ফতেহপুর মসজিদে গিয়ে দেখি তিন জন ব্যক্তি মসজিদের তিন কোনায় বসে ইবাদতে লিপ্ত আছে, তাদের প্রত্যেকের গালে একটি করে চর কষে মার (ওয়াজ ও খুতবা-১/২৪৬


* যদি তোমরা প্রতিশোধ নাও, তাহলে ঠিক ততটুকু নাও যতটুকু তোমাদের ওপর বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।১৬: আন্-নহল,:আয়াত: ১২৬,


* যদি তোমরা প্রতিশোধ নাও, তাহলে ঠিক ততটুকু নাও যতটুকু তোমাদের ওপর বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।১৬: আন্-নহল,:আয়াত: ১২৬,




وَ اِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوْا بِمِثْلِ مَا عُوْقِبْتُمْ بِهٖؕ وَ لَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَیْرٌ لِّلصّٰبِرِیْنَ




আর যদি তোমরা প্রতিশোধ নাও, তাহলে ঠিক ততটুকু নাও যতটুকু তোমাদের ওপর বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। কিন্তু যদি তোমরা সবর করো তাহলে নিশ্চিতভাবেই এটা সবরকারীদের পক্ষে উত্তম।




* প্রতিটি কাজ হবে আল্লাহর জন্য, খাবার খাওয়া এটাও হবে আল্লাহর জন্য,এক বুজর্গ তাঁর মুরিদকে বললেন,এই হাদিয়া গুলো আমার এক বন্ধু অমুক গ্রামে থাকে তাকে দিয়ে আস, সামনে নদী পড়বে, আমাকে ওসিলা দিয়ে দোয়া করবে,খানা খায়নি,স্ত্রী সহবাস করেনী (ওয়াজ ও খুতবা-250ঐ




পানির ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হওয়া ও এক বুযুর্গ তার মুরীদকে বললেন , “ এই হাদিয়াগুলি আমার এক বন্ধু অমুক গ্রামে থাকে । তাকে দিয়ে এসাে । ” মুরীদ বললাে , “ সেখানে যেতে তাে রাস্তায় নদী পড়বে , নদীতে । নৌকা নাই , পার হবাে কিভাবে ? " বুযুর্গ বললেন , “ আমাকে ওসীলা করে আল্লাহর কাছে এই ভাবে দোয়া করিও , হে আল্লাহ ! যে - ব্যক্তি জীবনে আহার গ্রহণ করেনি তার ওসীলায় । আমাকে নদী পার করিয়ে দাও । ' তারপর বিসমিল্লাহ বলে নদীতে পা রেখে পানির ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হয়ে যেয়াে । ” মুরীদ বললাে , “ তাহলে ফিরে আসার সময় কিভাবে পার হবাে ? ” বুযুর্গ বললেন , “ তখন বলিও , ' হে আল্লাহ ! যে - ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী সম্ভোগ করেনি তার ওসীলায় আমাকে নদী পার করিয়ে দাও । ” একথা শিখে নিয়ে মুরীদ হাদিয়া দিতে চলে গেল । বুযুর্গের বিবি পর্দার আড়াল থেকে সব কথা শুনছিলেন । তিনি এবার এসে বুযুর্গকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ এটা কেমন কথা হলাে যে , আপনি জীবনে আহার করেননি । দিনে - রাতে পাঁচ বার করে মন্ডা - মিঠাই , পােলাও - কোর্মা কতকিছু খাচ্ছেন , অথচ মুরীদকে বললেন আপনি জীবনে আহার করেননি । এটা কি সত্যি কথা হলাে ? ” বুযুর্গ । বললেন , “ হা বিবি ছাহেব ! আমি সত্যি কথাটাই বলেছি । কারণ আমি নিজের জন্যে কখনও খাই না । এগুলি খাওয়া নয় , আল্লাহর এবাদত । আল্লাহ হুকুম করেছেন ৪13-2 ) ; 13s ‘ খাও এবং পান কর " তাই আমি তার হুকুম বলিনি । ” বিবি বললেন , “ তাহলে আপনি যে বলেছেন , জীবনে স্ত্রী - সম্ভোগ করেননি । একেমন কথা হলাে ? সারাদিন তাে সীনার সঙ্গে লেগে থাকেন ছাড়তে চান না , আবার বলছেন জীবনে স্ত্রী সম্ভোগ করেননি । এটাও কি সত্যি কথা ? ” বুযুর্গ বললেন , “ জী হাঁ , এটাও সত্যি কথা । এটাও এবাদত । আমি নিজের খাহেশ মিটাই না । আমি শুধু আল্লাহর কুম পালন করি । তিনি এরশাদ করেছেন ৪ -12 : 16s36 56s 24 যেভাবে ইচছা গমন কর । " -সূরা ২ বাকারা , ২২৩ আয়াত -থানবী ও আল - এ ফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ




* প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর দেওয়া তরিকায় হয় তাহলে সেটা ইবাদত,




পানি খাওয়ার ৬ টি সুন্নত আছে,সেগুল হল :-


 1) পানি সর্বদা ডান হাতে খাওয়া .


 


2) পানি বসে খাওয়া.


 


3) পানি খাওয়ার শুরাতে “বিসমিল্লাহ্”বলা.


 


4) পানি খাওয়ার পূবে পানিটাকে ভাল ভাবে দেখা.


 


5) পানি ৩ ঢোকের মধ্যে খাওয়া.


 


6) পানি শেষ করার পরে


 “আলহামদুল্লিহ্”বলা 


* খানা সামনে আসলে দোয়া আছে না নাই?




খানার দোয়া:-




খানা সামনে আসলে এই দোয়া পড়বে – 


اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْما رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ


উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফিমা রাজাকতানা ওয়া কিনা আ‘জাবান নার।


অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যে জীবিকা দান করেছেন, তাতে বরকত দিন এবং আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান।


সূত্র : আল-আজকারুন নাবুওয়াহ, হাদিস : ৫৫৬




খানা খাওয়ার শুরুতে এই দোয়া পড়বে- 


بِسْمِ اللّهِ وَ عَلى بَرَكَةِ اللهِ


উচ্চারণ ঃ বিস্মিল্লাহি ও‘আলা বারাকাতিল্লাহ


অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।




খানার শুরুতে দোয়া পড়তে ভুরে গেলে খানার মাঝে স্মরণ আসার পর এই দোয়া পড়বে-


بِسْمِ اللهِ أَوَّلَه وَآخِرَه


উচ্চারণ ঃ বিসমিল্লাহি আউয়্যালাহু ওয়া আখীরাহ।




পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে খাওয়া শেষ করার পূর্বে যখনই মনে পড়বে তৎক্ষণাৎ বলবেন, “বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি” অথবা “বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।”




নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,




إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَاماً فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ، فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ


“তোমাদের কেউ যখন খাওয়া শুরু করে সে যেন বলে, বিসমিল্লাহ (অর্থ: নামে শুরু করছি) আর যদি, শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায় তাহলে সে যেনো বলে: “বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি” (অর্থ: শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নামে)


(হিসনুল মুসলিম ২২৬ পৃষ্ঠা, হাদীসটি নেওয়া হয়েছে সুনানে আবু দাউদ থেকে)




অন্য বর্ণনায় এসেছে:


بسم الله أَوَّلَه وآخرَه


বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু (অর্থ: শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নামে)।




➤ এমনকি খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে অথবা সামান্য একটু পরও যদি মনে পড়ে তাহলেও তা বলা জায়েয আছে।




কাশশাফুল কেনা’ গ্রন্থে এসেছে:


وظاهره ولو بعد فراغه من الأكل


“উক্ত হাদিসের বাহ্যিক অর্থ হল, খাবার শেষ করার পরও যদি তা স্বরণ হয় তাহলেও উক্ত দুআটি (বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি) পাঠ করা যাবে।” [কাশশাফুল কেনা ৫/১৭৩]


নিহায়াতুল মুহতাজ গ্রন্থে বলা হয়েছে:


لا يأتي بها ( أي التسمية ) بعد فراغ وضوئه ، بخلاف الأكل فإنه يأتي بها بعده


“(ওজুর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে) শেষ করার পর তা (বিসমিল্লাহ) বলবে না। কিন্তু খাবার ব্যাপারটি ব্যতিক্রম। এ ক্ষেত্রে শেষ করার পর হলেও বিসমিল্লাহি (তথা বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি) বলবে। [নিহায়াতুল মুহতাজ ১/১৮৪]


খানার শেষে এই দোয়া পড়বে – 


اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَ سَقَانَا وَ جَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْن.


উচ্চারণ ঃ আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আতআ‘মানা ওয়া ছাক্বানা ওয়া জাআলানা মিনাল মুসলিমীন।




অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন।


সূত্র : আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫২)




* حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ الْعُقَيْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ ‏"‏ ‏.‏




وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ طَعَامًا فِي سِتَّةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَأَكَلَهُ بِلُقْمَتَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمَّى لَكَفَاكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأُمُّ كُلْثُومٍ هِيَ بِنْتُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏.‏




আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি খাওয়া শুরু করে তখন যেন সে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। সে খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তবে যেন বলে, “বিসমিল্লাহ ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরাহু” (এর শুরু ও শেষ আল্লাহ তা’আলার নামে)।




সহীহ্‌, ইরওয়া (১৯৬৫), তা’লীকুর রাগীব (৩/১১৫-১১৬), তাখরীজ-কালিমুত তাইয়্যিব (১১২)




ফুটনোটঃ


আইশা (রাঃ) হতে একই সনদে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সময় তাঁর ছয়জন সাহাবীকে সাথে নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় একজন বেদুঈন লোক এসে হাযির হল। সে সবগুলো খাবার দুই গ্রাসেই শেষ করে ফেলল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাবার খেতে শুরু করত তাহলে তোমাদের সবার জন্যে এই খাবারটুকুই পর্যাপ্ত হত। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। উম্মু কুলসুম (রহঃ) হলেন আবূ বাক্‌র সিদ্দীক (রাঃ)-এর ছেলে মুহাম্মাদের মেয়ে। 




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




দাওয়াত খাওয়ার পর এই দোয়া পড়বে – 


اَللّهُمَّ اَطْعِمْ مَنْ اَطْعَمَنِيْ وَ اَسْقِ مَنْ سَقَانِيْ


উচ্চারণ, আল্লাহুম্মা আতঈম মান আত‘আামনী ওয়া আস্কী মান সাকানী




মসজিদে প্রবেশ কালে দু‘আ পড়াঃ




اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ 




উচ্চারণঃআল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিক।




অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার রহমতের দরজা আমার জন্য খুলে দাও।




মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা ঢুকান।




মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পড়াঃ




اَللّٰهمَّ اِنِّي اَسْٮَٔلُكَ مِنْ فَضْلِكِ 




উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলূকা মিস ফাযলিকা।”




অর্থঃ হে আল্লাহ আমি আপনার দয়া প্রার্থনা করি।




প্রথমে বাম পা মসজিদ হতে বের করা




মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নত ৫টিঃ


১. বিসমিল্লাহ বলা


২. দরূদ শরীফ পড়া


৩. দো’আ পড়া


৪. মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা ঢুকান


৫. এ’তেকাফের নিয়ত করা। এইভাবে-




نَوَيْتُ سُنَّةُ الْاِعْتِكَافِ 




অর্থৎ যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করবে, ততক্ষণের জন্য সুন্নত এ’তেকাফের নিয়ত করলাম।– হিসনে হাসীন




মসজিদে বের হওয়ার সুন্নত ৫টিঃ


১. বিসমিল্লাহ বলা


২. দরূদ শরীফ পড়া


৩. দো’আ পড়া


৪. প্রথমে বাম পা মসজিদ হতে বের করা


৫. ডান পায়ে জুতা আগে পরিধান করা




আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে মসজিদে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার আদব রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাওফিক দান করুন। আমিন




حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، - أَوْ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‏.‏ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ يَحْيَى يَقُولُ كَتَبْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ كِتَابِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ ‏.‏ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ يَحْيَى الْحِمَّانِيَّ يَقُولُ وَأَبِي أُسَيْدٍ ‏.




আবু উসায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মাসজিদে প্রবেশ করবে তখন বলবেঃ ''আল্ল-হুম্মাফ তাহ্‌লী আব্‌ওয়া-বা রহ্‌মাতিক” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি তোমার অনুগ্রহের দরজা আমার জন্য খুলে দাও)। যখন বের হয়ে যাবে, তখন বলবে- ''আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্‌আলুকা মিন ফায্‌লিক” (অর্থাৎ- আমি আপনার কাছে আপনার অনুগ্রহ প্রার্থী)।


ইমাম মুসলিম বলেছেনঃ আমি ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন- আমি সুলায়মান ইবনু হিলালের একটি গ্রন্থ থেকে এ হাদীসটি লিপিবদ্ধ করেছি। তিনি আরো বলেছেন যে, ইয়াহ্‌ইয়া আল্‌ হিমানী আবূ উসায়দ থেকে বর্ননা করেছেন। (ই.ফা. ১৫২২, ই.সে. ১৫২৯)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৫৩৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




ঘুমানোর আগে ও পরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি


ঘুমানোর আগে ও পরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি


ইসলাম ডেস্ক: হজরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন।


অতঃপর বলতেন-


‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا


উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’


আর যখন (ঘুম থেকে) সজাগ হতেন, তখন বলতেন-


الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ


উচ্চারণ- ‘আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’


অর্থ : ‘সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির ঘুমানোর এ ছোট্ট আমলটি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।




حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا ‏"‏‏.‏ فَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ‏"‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ‏"‏‏.‏




আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন রাতে বিছানায় যেতেন তখন দু'আ পড়তেনঃ "হে আল্লাহ! আমি আপনারই নামে মরি এবং জীবিত হই।" আর যখন তিনি সজাগ হতেন তখন বলতেনঃ "সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌রই যিনি আমাদের জীবিত করেছেন, (নিদ্রা স্বরূপ) মৃত্যুর পর এবং তাঁরই কাছে অবশ্যই পুনরুত্থান সুনিশ্চিত।"(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৩)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩২৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




শয়তানদের থাকার জায়গা। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ যখন প্রসাব-পায়খানায় যায়, সে যেন এই দোয়া বলে-




ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨُﺒْﺚِ ﻭَﺍﻟْﺨَﺒَﺎﺋِﺚِ .


(ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ/ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ﻭﻣﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ )




“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল খুবুসি অল্ খাবায়িস।”


অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ জ্বিন ও দুষ্ট নারী জ্বিনের অনিষ্ট থেকে।


(সহীহ হাদিস্ , সহীহ বোখারী ও সহীহ মুসলিম)




# বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা আর পায়খানা হতে বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)


# অতি প্রয়োজনীয় ব্যতীত কথাবার্তা না বলা। তেমনি ভাবে আল্লাহর নাম মখে উচ্চারণ না করা।


(মুসলিম, আবুদাউদ, তিরমিযী) একদা একলোক রাসূল (স:) ইস্তিনজা করত: আবস্থায় সালাম করে, রাসূল (স:)


এর উত্তর দেননি, অথচ সালামের উত্তর দেয়া ফরজ। এ থেকে বুঝা যায়, ইস্তিনজা করত: আবস্থায় চুপ থাকা।


# কোন প্রস্রাবের ছিটা যেন শরীওে না পড়ে সে ব্যাপারে অতি সতর্ক থাকা। কারণ হাদীস


শরীফে আছে,


ﺗَﻨَﺰَّﻫُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ؛ ﻓَﺈِﻥَّ ﻋَﺎﻣَّﺔَ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ


“প্রসাবের ফোটা থেকে বাচ, কেননা অধিকাংশ কবরের আযাব হয় প্রস্রাবের কারণে।” (আদ- দারকুতনী)


# টয়লেট থেকে বাহির হওয়ার সময় পড়ার দোয়াঃ


1. ﻏَُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ .


(ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ/ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﻭﺍﺑﻦ


ﻣﺎﺟﻪ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ )


“গুফরানাক”


অর্থ, আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।


{হাদিস্ সহীহ / আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ী, ইবনে


মাজাহ}


2.ﻏَُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺫْﻫَﺐَ ﻋَﻨِّﻲ ﺍﻷَﺫَﻯ ﻭَﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ .


(ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ / ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ


ﻋﻨﻪ)


“আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আযহাব আন্নি আযা ওয়া ফানী”


অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি কষ্টকর জিনিস আমার থেকে বে করিয় দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করিয়াছেন।


{হাদিস্ জঈফ / আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ}




উল্লেখ্য দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিস জঈফ হলেও আমল করেতে পারবেন, কারণ প্রার্থনা আপনি যে কোন শব্দ দিয়ে করতে পারেন, যদি শব্দগুলিতে শিরক না থাকে।




# প্রসাবের পর সন্দেহের উদ্রেক হলে: প্রসাব কারার পর যদি মনে হয় প্রাস্রাবের ফোটা বের হচ্ছে তাহলে কাপড়ের উপর দিয়ে পনি ছিটায় দেয়া। কারণ রাসূল স: থেকে বর্ণিত, « ﺑَﺎﻝَ ﺛﻢ ﻧَﻀﺢَ ﻓَﺮْﺟَﻪ »


অর্থাত্ “লজ্জাস্থানে উপরে পানি ছিটকাইয়ে ভিজিয়ে দিতেন।” (আবু দাউদ) প্রস্রাব বের হচ্ছে মনে করে লজ্জাস্থানে কুলুখ ধরে মানুষের সামনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে হাঁটা-চলা, উঠানাম ও পুরুষাঙ্গ ধরে টানা হিঁচড়া করা, গলা খেঁখড়ানী দেয়া, চল্লিশ কদম হাটা, পায়ের উপর পা দিয়ে বসা এসবই বিদাত।


বি:দ্র: উপরোক্ত বিষয়গুলির শুধু মূল বক্তব্যগুলি আনা হয়েছে। সবগুলি মাস’আলা “ফিকহুস সুন্নাহ” থেকে নেয়া।




বাড়ি থেকে বের হয়ে আল্লাহর জিম্মায় থাকার দোয়া


আল্লাহ তাআলার জিম্মাদারী চায় না এমন মুমিন মুসলমান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন, দূরে কিংবা কাছে কোথাও যাচ্ছেন, বাহিরে অবস্থানের এ সময়টাতে আল্লাহর জিম্মাদারী থাকার জন্য রাসুলে আরাবির শিখানো দোয়া-ই একজন মুমিন বান্দার জন্য যথেষ্ট।




প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতেকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মহান রবের ওপর ভরসা করে বের হওয়ার জন্য সুপরামর্শ দিয়েছেন। দোয়াটি পড়ে বের হওয়ার পর থেকে ঘরে ফিরার আগ পর্যন্ত সে আল্লাহ তাআলার জিম্মায় থাকবে। বাহিরের জটিল ও কঠিন বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে যাবে।




প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়া পড়তে বলেছেন-




بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ




অর্থ : আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি); আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই; আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)




আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘর থেবে বাহিরে বের হওয়ার তাঁর জিম্মায় থাকার তাওফিক দান করুন। যাবতীয় অন্যায় ও পাপ কাজ এবং বিপদ-আপদ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।




حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْخَثْعَمِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ يُقَالُ حِينَئِذٍ هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ فَتَتَنَحَّى لَهُ الشَّيَاطِينُ فَيَقُولُ لَهُ شَيْطَانٌ آخَرُ كَيْفَ لَكَ بِرَجُلٍ قَدْ هُدِيَ وَكُفِيَ وَوُقِيَ ‏"‏ ‏.‏




আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর হতে বের হওয়ার সময় বলবেঃ “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্‌কালতু ‘আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”-তখন তাকে বলা হয়, তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে!


  




সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫০৯৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ هِشَامٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الدَّسْتَوَائِيَّ - عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ امْرَأَةٍ، مِنْهُمْ يُقَالُ لَهَا أُمُّ كُلْثُومٍ عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى فَإِنْ نَسِيَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ ‏"‏ ‏.‏




‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ আহার করতে বসলে যেন বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করে। সে যদি প্রথমে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায় তবে যেন বলেঃ খাবারের শুরুতে আল্লাহর নাম শেষেও আল্লাহর নাম।


  




সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৭৬৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* পবিত্রতা অর্জনকারীর প্রশংসা আল্লাহ পাক নিজে করেছেন ৯: আত-তওবা,:আয়াত: ১০৮


لَا تَقُمْ فِیْهِ اَبَدًاؕ لَمَسْجِدٌ اُسِّسَ عَلَى التَّقْوٰى مِنْ اَوَّلِ یَوْمٍ اَحَقُّ اَنْ تَقُوْمَ فِیْهِؕ فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْاؕ وَ اللّٰهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ




তুমি কখনো সেই ঘরে দাঁড়াবে না। যে মসজিদে প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার ভিত্তেতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল সেই মসজিদটি দাঁড়ানোরই (ইবাদতের জন্য) তোমার পক্ষে অধিকতর সমীচীন। সেখানে এমন লোক আছে যারা পাক-পবিত্র থাকা পছন্দ করে এবং আল্লাহ‌ পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন।




------------------------


162 আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশী ব্যক্তির প্রতিটি মুহূর্ত হতে হবে ইবাদত


* যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।১৮: আল কাহাফ-আয়াত: ১১০,


فَمَنْ كَانَ یَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْیَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّ لَا یُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا۠


* এই জীবন এমন ভাবে চলবে,যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি থাকবে


* হযরত আলী রা: যুদ্ধের ময়দানে এক কাফেরকে ধরাশায়ী করেন, থুতু নিক্ষেপ করলে রাগ হজম করে নেন,ওয়াজ ও খুতবা-১/২৪৫


* আল্লাহর অলি সেই ব্যক্তি যে রাগ হজম করতে পারে, দিল্লির শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ রহঃ এর সুযোগ্য তনয় মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ ইসহাক রহঃ এর কাছে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, হযরত আল্লাহর অলি কাকে বলে, তিনি জবাব দিলেন, ফতেহপুর মসজিদে গিয়ে দেখি তিন জন ব্যক্তি মসজিদের তিন কোনায় বসে ইবাদতে লিপ্ত আছে, তাদের প্রত্যেকের গালে একটি করে চর কষে মার (ওয়াজ ও খুতবা-১/২৪৬


* যদি তোমরা প্রতিশোধ নাও, তাহলে ঠিক ততটুকু নাও যতটুকু তোমাদের ওপর বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।১৬: আন্-নহল,:আয়াত: ১২৬,


وَ اِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوْا بِمِثْلِ مَا عُوْقِبْتُمْ بِهٖؕ وَ لَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَیْرٌ لِّلصّٰبِرِیْنَ


* প্রতিটি কাজ হবে আল্লাহর জন্য,খাবার খাওয়া এটাও হবে আল্লাহর জন্য,এক বুজর্গ তাঁর মুরিদকে বললেন,এই হাদিয়া গুলো আমার এক বন্ধু অমুক গ্রামে থাকে তাকে দিয়ে আস, সামনে নদী পড়বে, আমাকে ওসিলা দিয়ে দোয়া করবে,খানা খায়নি,স্ত্রী সহবাস করেনী (ওয়াজ ও খুতবা-250


* প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর দেওয়া তরিকায় হয় তাহলে সেটা ইবাদত


* খানা সামনে আসলে দোয়া আছে না নাই? 


اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْما رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ


* খানা শুরু করেছেন দোয়া আছে না নাই?


بِسْمِ اللّهِ وَ عَلى بَرَكَةِ اللهِ


* পানাহারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করতে ভুলে গেলে,জামে' আত-তিরমিজি, ১৮৫৮: সহিহ


عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ ‏ "‏ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ


* খানার শেষে এই দোয়া পড়বে


اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَ سَقَانَا وَ جَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْن


* দাওয়াত খাওয়ার পর এই দোয়া পড়বে 


اَللّهُمَّ اَطْعِمْ مَنْ اَطْعَمَنِيْ وَ اَسْقِ مَنْ سَقَانِيْ


* পায়খানায় প্রবেশ করার সময় দোয়া,এটা আরামের জিনিস, পায়খানা বন্ধ হলে বুজা রায় কত কষ্ট, বাদশা আকবরের ছেলে পেলে হতো না, দিল্লির বড় বজুর্গ সেলিম চিশতি রহঃ কাছে গেল, আপনার নামে নাম রাখবো,খানা ও মসজিদ বানিয়ে দেব, ওয়াজ ও খুতবা-(১/২৫২,মিশকাতুল মাসাবিহ,৩৩৭


اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ


ﻏَُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺫْﻫَﺐَ ﻋَﻨِّﻲ ﺍﻷَﺫَﻯ ﻭَﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ


* ঘুমানোর সময় দোয়া,সহিহ বুখারী,৬৩২৫: সহিহ


عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا ‏"‏‏.‏ فَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ‏"‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُور


* হালাল রুজি উপার্জনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দোয়া,আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি) আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই;আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই،তিরমিজি،সুনানে আবু দাউদ,৫০৯৫: সহিহ


بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ


* মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া،সহিহ মুসলিম،১৫৩৭


হাদিসের মান: সহিহ


أَوْ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ ‏ "‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‏.‏ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك 


* বাড়ি নির্মাণ কাজ ইবাদত,এক মুরশীদ সুন্দর একটি দালান বাড়ী বানিয়ে বুযুর্গকে গিয়ে বলল, হুজুর দয়া করে বাড়িটা দেখে যান,ওয়াজ ও খুতবা (১/২৫৬)২৪ ঘন্টা ইবাদত,ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ করাই অর্থ হলো, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়টা ইবাদতে কাজে লাগানো,‌বাকারা:২০৮


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِی السِّلْمِ كَآفَّةً۪ وَ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ


* তোমরা কি কোরআনের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশকে করবে অস্বীকার,২: আল-বাক্বারাহ,:আয়াত: ৮৫,




ثُمَّ اَنْتُمْ هٰۤؤُلَآءِ تَقْتُلُوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَ تُخْرِجُوْنَ فَرِیْقًا مِّنْكُمْ مِّنْ دِیَارِهِمْ٘ تَظٰهَرُوْنَ عَلَیْهِمْ بِالْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِؕ وَ اِنْ یَّاْتُوْكُمْ اُسٰرٰى تُفٰدُوْهُمْ وَ هُوَ مُحَرَّمٌ عَلَیْكُمْ اِخْرَاجُهُمْؕ اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ




কিন্তু আজ সেই তোমরাই নিজেদের ভাই-বেরাদারদেরকে হত্যা করছো, নিজেদের গোত্রীয় সম্পর্কযুক্ত কিছু লোককে বাস্তভিটা ছাড়া করছো, যুলুম ও অত্যধিক বাড়াবাড়ি সহকারে তাদের বিরুদ্ধে দল গঠন করছো এবং তারা যুদ্ধবন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তাদের মুক্তির জন্য তোমরা মুক্তিপণ আদায় করছো। অথচ তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে উচ্ছেদ করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ‌ বেখবর নন।




-------------------------

No comments

Powered by Blogger.