Header Ads

Header ADS

138 বিশ্ব নবীর প্রশংসা বারোই রবিউল আউয়াল

138 বিশ্ব নবীর প্রশংসা বারোই রবিউল আউয়াল


* এই মাস হচ্ছে নূরের নবী রাহমাতাল্লিল আলামিন এর আগমন ও ইন্তেকালের মাস,

* এই চান্দে মহান প্রভু তার প্রিয় বন্ধুকে তামাম জাহানের জন্যে রহমত করে মক্কার সেই মরু জমিনে প্রেরণ করেছেন।যার খাতিরে এই জমিনে এই আকাশ বাতাস বৃক্ষ তরুলতা নভমন্ডল ভূমন্ডল আরশ কুরসি লোহ কলম যা কিছু আছে সব একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তৈরি করেছেন তার বন্ধুর খাতিরে। মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সা: এর খাতিরে

* মোহাম্মদ কো আগার পয়দা না করতে-জমিন আসমান পয়দা না করতে

* আদম নামে সর্বপ্রথম আমায় তুমি বানাইয়া- তোমার সাথে কাহার নাম রাখছো গো লিখিয়া

* রাসূল সা: কে আল্লাহ এতো সম্মান দিয়েছেন, যে আল্লাহ নাম ধরে ডাকেনি।

* সে নবীর প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না ১৮: আল-কাহাফ:১০৯

قُلْ لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمٰتِ رَبِّیْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمٰتُ رَبِّیْ وَ لَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا

* যাকে আল্লাহ দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত করে প্রেরণ করেছেন, আম্বিয়া :১০৭

وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِیْنَ

•  আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী রহমাতাল্লিল আলামিন। জগতের রব আল্লাহ রহমত হচ্ছে নবী

•  নবীজির রহমত হযরত হালিমা রাঃ আপন চোখে দেখতে ছিলেন। তায়েফ থেকে দাত্রীগন যান মক্কায় শিশু সন্তানের খুঁজে 

*  সে নবীর মোহাব্বত অন্তরে স্থাপন করুন। নতুবা ঈমান কামেল হবে না


* আদম আঃ এর কপালে যেদিন নূরে মোহাম্মদী এর নূর চমকাচ্ছিল সেদিন আল্লাহ ফেরেস্তাদের বললেন,আদমকে সেজদা করো


* আমি বনী আদমকে সন্মানিত করেছি, সমস্ত খাবার কভার করে দিয়েছি


* আমরা হচ্ছি এমন নবীর উম্মত,যাকে আল্লাহ এতো সম্মান দিয়েছেন।যার সাথে দুনিয়ার কোন মানুষের তুলনা চলেনা। যাকে দুনিয়ার সমস্ত নবীর গুনাবলী দান করা হয়েছে


* আপনারা ইব্রাহিম আঃ সম্পর্কে শুনেন এবং জানেন তিনি মুলকে শিরিয়ার দিকে পদযাত্রা শুরু করেন, পথিমধ্যে রাষ্ট্রের নাম খাজা নাইমর


* নবীর নুরের যদি এতো মর্যাদা হয়।সেই নূর ওয়ালা নবীর আদর্শ অনুসরণ করি তাহলে আল্লাহর কাছে কি আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবেনা


* আমার রাসূল সা: ছিলেন নূর ৫: আল-মায়িদাহ: ১৫,


قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ اللّٰهِ نُوْرٌ وَّ كِتٰبٌ مُّبِیْنٌۙ


* নূর ওয়ালা নবীর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে রয়েছে মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি,যার মাধ্যমে আল্লাহ‌ তাঁর সন্তোষকামী লোকদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তার পথপ্রদর্শন করেন ,৫: আল-মায়িদাহ: ১৬


یَّهْدِیْ بِهِ اللّٰهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهٗ سُبُلَ السَّلٰمِ


* কোরআনের সংরক্ষক আল্লাহ নিজে ১৫: আল-হিজর: ৯


اِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَ اِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ


* সকল প্রকার দ্বীনের ওপর বিজয়ী করার জন্য নবীদের আগমন ৯: আত-তওবা: ৩৩


هُوَ الَّذِیْۤ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰى وَ دِیْنِ الْحَقِّ لِیُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّیْنِ كُلِّهٖ١ۙ وَ لَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ


 * কাফেরদের ইচ্ছা পূরণ হবে না ৬১: আস-সফ: ৮


یُرِیْدُوْنَ لِیُطْفِئُوْا نُوْرَ اللّٰهِ بِاَفْوَاهِهِمْ وَ اللّٰهُ مُتِمُّ نُوْرِهٖ وَ لَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ


* মান আহাব্বা সুন্নাতি ফাক্বাদ আহাব্বানি


________________


* রাসূল (সা:) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ এর মডেল, ৩৩: আল-আহযাব:২১


لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِیْ رَسُوْلِ اللّٰهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ یَرْجُوا اللّٰهَ وَ الْیَوْمَ الْاٰخِرَ وَ ذَكَرَ اللّٰهَ كَثِیْرًاؕ


* বিদায় হজ্জের বাসনে রাসূল সা: বলেছেন,আমি তোমাদের মাঝে দুটো জিনিস রেখে গেলাম,মিশকাতুল মাসাবিহ,১৮৬, হাসান


قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ رَسُوْلِه. رَوَاهُ فى المُوَطَّا


* নবীর চরিত্রের সর্টিফিকেট দিয়াছেন আমার আল্লাহ,৬৮: আল-ক্বলম:৪


وَ اِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِیْمٍ


* আমার নবী হচ্ছেন রাহমাতাল্লিল আলামিন,২১: আল-আম্বিয়া:১০৭


وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِیْنَ


* নবীজি ছিলেন রহমত


 * হযরত আমেনা নবীজির জন্মে কোন কষ্ট পায় নাই


* রাসূল সা: ছিলেন ইনসাফ দাতা


* রাসূল সা: যখন শিশু অবস্থায় হযরত হালিমা রা: ঘরে যান,হালিমার ঘরে বরকত নেমে আসে


*


________________________________


* হযরত হালিমা রা: ঘরে যখন যান,হালিমার ঘরে বরকত নেমে আসে


বিবি হালিমার ঘরে যেভাবে বেড়ে ওঠেন বিশ্বনবি


বিশ্বনবির জন্মকালীন সময়ে মক্কার লোকেরা নিজেদের সন্তানদেরকে মক্কা শহর থেকে পল্লী গ্রামে পাঠিয়ে দিতেন। যাতে তারা গ্রামের সুন্দর ও উন্মুক্ত পরিবেশে সুস্থ ও মজবুতভাবে বেড়ে ওঠতে পারে। সে আলোকে প্রিয়নবিও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাকেও সুন্দর প্রতিপালন দুগ্ধ পানের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল।


প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের কিছুদিন পর মক্কা পল্লীর হাওয়াযেন গোত্রের বনি সাদ বিন বকর শাখার কতিপয় দুগ্ধদানকারী নারী নবজাতক নেয়ার জন্য পবিত্র নগরী মক্কায় আসেন। সে দলে হজরত হালিমা সাদিয়াও ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী হারিস বিন আবদুল্লাহ।


সে বছরটি ছিল মারাত্মক দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনের। অভাবের তাড়নায় নিঃস্ব যেসব নারীর দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিল তারা দুগ্ধপোষ্য শিশু গ্রহণের ব্যকুল ছিল। হজরত হালিমা সাদিয়ার দুগ্ধপোষ্য শিশুর নাম ছিল আব্দুল্লাহ।


হজরত হালিমা সাদিয়া স্বামী ও শিশু সন্তান আব্দুল্লাহসহ একটি বযস্ক সাওয়ারীর পিঠে চড়ে দুগ্ধপোষ্য সন্তান লাভের আশায় পবিত্র নগরী মক্কায় এসে পৌছলেন। কিন্তু অন্যদের তুলনায় তাদের আসতে দেরি হয়ে যায়।


পথিমধ্যে ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশু আবদুল্লাহ সারারাত কান্নাকাটি করে, ফলে তারা বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করে। সন্তানের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার মতো দুধ ছিল হজরত হালিমা সাদিয়ার বুকে এবং সাওয়ারীর পালানে।


হালিমার মক্কায় আগমন


দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত ও অবসন্ন গোটা কাফেলা পবিত্র নগরী মক্কায় এসে উপস্থিত হয়। কাফেলার সবাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ তিনি ছিলেন পিতৃহীন, ইয়াতিম। যথাযথ পারিশ্রমিক ও উপঢৌকন না পাওয়ার ভয়ে তারা প্রিয়নবিকে এড়িয়ে গেলন।


আগত কাফেলার সবাই শিশু পেয়ে যায় কিন্তু হজরত হালিমা কোনো শিশু পায়নি। আর বাকী ছিলেন শুধু শিশু মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হজরত হালিমা রাদিয়াল্লাহু আনহু এ ইয়াতিম শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিতেই স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করেন এবং জেদ ধরেন যে, এ ইয়াতিম শিশুকেই সে গ্রহণ করবে।


হালিমার স্বামী তাকে বলল- ‘ইয়াতিম শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিতে পার, হতে পারে আল্লাহ তাআলা তার মাঝে আমাদের জন্য কোনো কল্যাণ রেখেছেন।’


শিশু মুহাম্মদকে গ্রহণ


বিবি হালিমা শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করলেন যে, তার স্তন দুটি দুধে পরিপূর্ণ। তা থেকে শিশু মুহাম্মদকে দুধ পান করালেন। তার সন্তান আব্দুল্লাহকেও দুধ পান করালেন।


যে বয়স্ক ও দুর্বল সাওয়ারিতে করে তারা মক্কায় এসেছেন, সে সাওয়ারী অন্যদের সাওয়ারী থেকে শক্তিশালী ও তার পালনেও দুধে ভরপুর হয়ে গেল। তা থেকে হজরত হালিমার স্বামী হারিস দুধ দোহন করে তারা উভয়ে তৃপ্তিসহকারে দুধ পান করলেন।


হজরত হালিমার স্বামী তখন স্ত্রীকে বললেন, হে হালিমা! জেনে রেখো, তুমি এক মহান কল্যাণময় শিশু পেয়েছ। হজরত হালিমা বলেন, ‘আমারও তা-ই মনে হয়।’ শুরু হলো শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে হালিমার পথচলা।


হালিমার গৃহে শিশু মুহাম্মদ


মক্কায় আসার পথে যে বাহনে আসতে বিবি হালিমার কষ্ট হয়েছিল এবং তারা কাফেলা থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। সে সাওয়ারী শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ে গোটা কাফেলাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চললো।


কাফেলার সহযাত্রী নারীরা বলতে লাগলো, হে আবু যুয়াইবের কন্যা! একটু দাঁড়াও এবং আমাদের জন্য অপেক্ষা কর। এটা কি সেই সাওয়ারী নয়, যেটায় চড়ে তুমি আমাদের সঙ্গে এসেছিলে?


হজরত হালিমা সাদিয়া বললেন, ‘হ্যাঁ’। তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম! এ সাওয়ারী আগের অবস্থার পুরোপুরি উল্টো।’


হাওয়াযেন গোত্রে শিশু মুহাম্মদ


হজরত হালিমা শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ে নিজ গৃহে এসে উপস্থিত হলেন। আল্লাহর একান্ত মেহেরবানি যে, সবাই যখন অভাব-অনটনে নিমজ্জিত, তখন হালিমার গৃহে বেইছে স্বচ্ছলতার সুবাতাস।


যেখানে গোত্রের কারো ভেড়া ও ছাগলের পাল পেট পুরে খেতে পারে না এবং দুধ দেয় না সেখানে হজরত হালিমার ভেড়া ও ছাগলের পাল পেট ভরে খায় এবং পালান ভর্তি দুধ দেয়। আর তাতে দ্রুত হজরত হালিমার অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। সাবলম্বী হয়ে ওঠে হজরত হালিমার পরিবার।


শিশু মুহাম্মদের বেড়ে ওঠা


হজরত হালিমার গৃহে প্রিয়নবির আগমনই ছিল মহান আল্লাহর একান্ত রহমত। যে কারণে পুরো গোত্র দুর্ভিক্ষগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তার গৃহ ছিল সার্বিকভাবে স্বচ্ছল। এর এটি ছিল প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক বিশেষ মুজিজা।


আল্লাহ তাআলা একান্ত রহমত ও বরকতা দ্বারা হালিমার ঘরকে সাহায্য করেন। ক্ষুধা ও ভয় থেকে প্রিয়নবিসহ বিবি হালিমার পুরো পরিবারকে হেফাজত করেন। আর এভাবেই নিরাপদে বিবি হালিমার ঘরে বেড়ে ওঠেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


আল্লাহ তাআলা ইয়াতিম শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে দুর্ভিক্ষের মাঝে সাহায্য করেছিলেন। যা ইসলাম ও মুসলমানসহ বিশ্ব মানবতার জন্য এক মহান শিক্ষা।


* হালিমা নিজে বর্ণনা করেন, আমরা বাড়ি পৌঁছে গেলাম। সেখানে তখন চরম দুভিক্ষ বিরাজ করছিলো। দুধের সবগুলো পশু ছিলো দুধশূন্য। কিন্তু আমি ঘরে প্রবেশ করতেই আমার বকরিগুলোর স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো।


_______________


158 বিশ্ব নবীর প্রশংসা, বারোই রবিউল আউয়াল-১ ✓


* খুলুক্কিন আযিম নবীর প্রশংসা শেষ করা যাবেনা,১৮: আল-কাহাফ:১০৯


قُلْ لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمٰتِ رَبِّیْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمٰتُ رَبِّیْ وَ لَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا


* খাতামান নাবিয়্যিম,আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা এমন, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নির্মাণ করল;সহিহ বুখারী,৩৫৩৫


إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ، إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِهِ وَيَعْجَبُونَ لَهُ، وَيَقُولُونَ هَلاَّ وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَةُ قَالَ فَأَنَا اللَّبِنَةُ، وَأَنَا خَاتِمُ النَّبِيِّينَ


* এই পৃথিবীতে নবীর আগমন আর প্রয়োজন মনে করলেন না ইসলামকে আল্লাহতালা এই জমিনে পরিপূর্ণতা দান করলেন,মায়িদাহ:৩,


اَلْیَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِیْنَكُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَیْكُمْ نِعْمَتِیْ وَ رَضِیْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِیْنًاؕ


* আদম (আ:) ক্ষমা পান রাসূল (সা:) এর ওসিলায়


قال رسول الله (ص) : لما اقترف آدم الخطيئة ، قال : يا رب أسألك بحق محمد لما غفرت لي ، فقال الله : يا آدم وكيف عرفت محمدا ولم أخلقه ، قال : يا رب لأنك لما خلقتني بيدك ونفخت في من روحك رفعت رأسي فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا إله الا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك الا أحب الخلق إليك ، فقال الله : صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلي ادعني بحقه فقد غفرت لك ولولا محمد ما خلقتك ، هذا حديث صحيح الاسناد ، وهو أول حديث ذكرته لعبد الرحمن بن زيد بن أسلم في هذا الكتاب


* আমার নবী হচ্ছেন রাহমাতাল্লিল আলামিন,২১: আল-আম্বিয়া:১০৭


وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِیْنَ


* নবীজি রহমত


 # হযরত আমেনা নবীজির জন্মে কোন কষ্ট পায় নাই


# হযরত হালিমা রা: ঘরে যখন যান,হালিমার ঘরে বরকত নেমে আসে


* সে নবীর মুহাব্বতে,সে নবী জন্মের মাসে আল্লাহকে খুশি করার জন্য কে আছেন,আমি এক হাজার টাকা দিব


* দান না করলে একদিন আফসোস করতে হবে,আল্লাহ গো তুমি যদি আরো সময় দিতা,৬৩: আল-মুনাফিকুন:১০


وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ


* এই জীবনের জন্য একদিন আফসোস হবে,৮৯: আল-ফাজর:২৪


یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ قَدَّمْتُ لِحَیَاتِیْۚ


* প্রিয় বস্তু দান করতে বলা হয়েছে,আমাদের প্রিয় বস্তু হলো টাকা,৩: আলে-ইমরান:৯২


لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّوْنَ ﱟ وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَیْءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیْمٌ


* দানের বিনিময় একে সত্তুর,আল-বাক্বারাহ:২৬১


مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ


* দুনিয়া ও পরকালের বিপদ থেকে বাচাবেন,তাদের কোন ভয় নাই,২: আল-বাক্বারাহ:২৭৪


اَلَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ بِالَّیْلِ وَ النَّهَارِ سِرًّا وَّ عَلَانِیَةً فَلَهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْۚ وَ لَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَؔ


________________________________


158 বিশ্ব নবীর প্রশংসা, বারোই রবিউল আউয়াল ✓


  আজ 12 রবিউল আউয়াল এই দিনে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করেছেন, আবার একই দিনের নির্দিষ্ট সময়ে দুনিয়ার সমস্ত উম্মতের চোখে পানি রেখে, মদিনার মাটিতে শুয়ে গেছেন ৷ আল্লাহর নবী দুনিয়া থেকে চলে গেছেন, মদিনার মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর আদর্শ, যে ব্যক্তি তার আদর্শ মেনে চলবে, সে কোনদিন পথ ভ্রষ্ট হবে না, গোমরাহী হবে না, ধর্ষক হবে না, চরিত্রহীন হবে না, বরং আখলাক আরো সুন্দর হবে, তিনি আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ এর মডেল, ৩৩: আল-আহযাব:২১,


لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِیْ رَسُوْلِ اللّٰهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ یَرْجُوا اللّٰهَ وَ الْیَوْمَ الْاٰخِرَ وَ ذَكَرَ اللّٰهَ كَثِیْرًاؕ


আসলে তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে ছিল একটি উত্তম আদর্শ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ‌ ও শেষ দিনের আকাঙ্ক্ষী এবং বেশী করে আল্লাহকে স্মরণ করে।


 দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নবীর আদর্শ একমাত্র আমাদের জন্য একমাত্র মুক্তির পাথেয়


* বিদায় হজ্জের বাসনে রাসূল সা: বলেছেন,আমি তোমাদের মাঝে দুটো জিনিস রেখে গেলাম,মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৮৬


হাদিসের মান: হাসান হাদিস


যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এ দুটো জিনিস দৃঢ়ভাবে ধারণ করে রাখবে, ততক্ষণ তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।


 তাহলো আল্লাহ তায়ালা র কিতাব ও তার নবি صلي الله عليه و سلم এর সুন্নাহ


দলিলঃ-


 


وَعَنْ مَالِكِ بْنِ اَنَسٍ مُرْسَلًا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ رَسُوْلِه. رَوَاهُ فى المُوَطَّا


মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহ্‌র কিতাব ও তাঁর রসূলের হাদীস। (ইমাম মালিক মুওয়াত্তায় বর্ণনা করেছেন)। [১]


[১] হাসান: মুয়াত্ত্বা মালিক ১৫৯৪। [ইমাম মালিক মুয়াত্ত্বায় বর্ণনা করেছেন।] এ হাদীসটি মুরসাল বরং মু‘যাল (অর্থাৎ- পর্যায়ক্রমে দু’জন রাবীর নাম উল্লেখ করা হয়নি) এজন্য য‘ঈফ বটে। তবে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে হাসান সানাদে ইমাম হাকিম-এর শাহিদ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আলবানী (রহঃ) বলেন, আমি ‘আত্তাজুল জামি‘উ লিল উসূলিল খামসাহ্’ নামক গ্রন্থে এর উভয় সানাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।


হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস-১৭৬


তাই ঐটা সুন্নতই হবে।


وَعَنْ مَالِكِ بْنِ اَنَسٍ مُرْسَلًا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ رَسُوْلِه. رَوَاهُ فى المُوَطَّا


মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহ্‌র কিতাব ও তাঁর রসূলের হাদীস। (ইমাম মালিক মুওয়াত্তায় বর্ণনা করেছেন)। 


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৮৬


হাদিসের মান: হাসান হাদিস


Source:


* জন্ম নিয়াছেন রাহমাতাল্লিল আলামিন,২১: আল-আম্বিয়া:১০৭,


وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِیْنَ


হে মুহাম্মাদ! আমি যে তোমাকে পাঠিয়েছি, এটা আসলে দুনিয়াবাসীদের জন্য আমার রহমত।


১৮: আল-কাহাফ:১০৯,


قُلْ لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمٰتِ رَبِّیْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمٰتُ رَبِّیْ وَ لَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا


হে মুহাম্মাদ! বলো, যদি আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র কালিতে পরিণত হয় তাহলে সেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার রবের কথা শেষ হবে না। বরং যদি এ পরিমাণ কালি আবারও আনি তাহলে তাও যথেষ্ট হবে না।


حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ، إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِهِ وَيَعْجَبُونَ لَهُ، وَيَقُولُونَ هَلاَّ وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَةُ قَالَ فَأَنَا اللَّبِنَةُ، وَأَنَا خَاتِمُ النَّبِيِّينَ ‏"‏‏.‏


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা এমন, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নির্মাণ করল; তাকে সুশোভিত ও সুসজ্জিত করল, কিন্তু এক পাশে একটি ইটের জায়গা খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকজন এর চারপাশে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল ঐ শূন্যস্থানের ইটটি লাগানো হল না কেন? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমিই সে ইট। আর আমিই সর্বশেষ নবী।


  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৫৩৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


4286 - عن عمر ابن الخطاب (ر) ، قال : قال رسول الله (ص) : لما اقترف آدم الخطيئة ، قال : يا رب أسألك بحق محمد لما غفرت لي ، فقال الله : يا آدم وكيف عرفت محمدا ولم أخلقه ، قال : يا رب لأنك لما خلقتني بيدك ونفخت في من روحك رفعت رأسي فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا إله الا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك الا أحب الخلق إليك ، فقال الله : صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلي ادعني بحقه فقد غفرت لك ولولا محمد ما خلقتك ، هذا حديث صحيح الاسناد ، وهو أول حديث ذكرته لعبد الرحمن بن زيد بن أسلم في هذا الكتاب.


 


 


 খুতবাহ-রবিউল আউয়াল ২য়,পৃ:35


 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, আদম আলাই সালাম যখন ভুল করিয়া বসিলেন, গন্ধম খাইলেন তখন তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উসিলায় আমাকে ক্ষমা করুন, তুমি মোহাম্মদকে কি প্রকারে চিনিলে, হযরত আদম আলাই সাল্লাম বলিলেন যখন আপনি আমাকে আপনার রহমতে তৈয়ার করিয়া, আমার ভিতর প্রাণ দান করলেন, তখন আমি মাথা উত্তোলন করিয়া দেখিলাম, আরশ এর পায়ের সঙ্গে লেখা আছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, তখন আমি মনে করলাম আপনার সৃষ্টির মধ্যে আপনার সর্বাধিক প্রিয় দোস্ত ছাড়া নাম আপনি আপনার নামের সঙ্গে যোগ করেন নাই, যাহার নাম আপনি আপনার সঙ্গে যোগ করিয়াছেন, তিনি নিশ্চয়ই আপনার প্রিয়তম দোস্ত, আল্লাহ বলিলেন, আদম ঠিক বলেছ, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যদি আমার না থাকিত, তবে তোমাকেও সৃষ্টি করিতাম না, ( হাকিম বারো চাঁদের খুতবা রবিউল আউয়াল দ্বিতীয় খুতবা)


 


* হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর গুণাবলী শেষ করা যাবেনা


৬৩: আল-মুনাফিকুন:১০,


وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ


আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।


* এই পৃথিবীতে নবীর আগমন আর প্রয়োজন মনে করলেন না ইসলামকে আল্লাহতালা এই জমিনে পরিপূর্ণতা দান করলেন


৫: আল-মায়িদাহ:৩,


حُرِّمَتْ عَلَیْكُمُ الْمَیْتَةُ وَ الدَّمُ وَ لَحْمُ الْخِنْزِیْرِ وَ مَاۤ اُهِلَّ لِغَیْرِ اللّٰهِ بِهٖ وَ الْمُنْخَنِقَةُ وَ الْمَوْقُوْذَةُ وَ الْمُتَرَدِّیَةُ وَ النَّطِیْحَةُ وَ مَاۤ اَكَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَكَّیْتُمْ  وَ مَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَ اَنْ تَسْتَقْسِمُوْا بِالْاَزْلَامِؕ ذٰلِكُمْ فِسْقٌؕ اَلْیَوْمَ یَئِسَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ دِیْنِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَ اخْشَوْنِؕ اَلْیَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِیْنَكُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَیْكُمْ نِعْمَتِیْ وَ رَضِیْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِیْنًاؕ فَمَنِ اضْطُرَّ فِیْ مَخْمَصَةٍ غَیْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ


তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে মৃতজীব, রক্ত, শূকরের গোশ্ত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহকৃত জীব এবং কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে, আহত হয়ে, ওপর থেকে পড়ে গিয়ে বা ধাক্কা খেয়ে মরা অথবা কোন হিংস্র প্রাণী চিরে ফেলেছে এমন জীব, তোমরা জীবিত পেয়ে যাকে যবেহ করে দিয়েছো সেটি ছাড়া। আর যা কোন বেদীমূলে যবেহ করা হয়েছে (তাও তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। ) এছাড়াও শর নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ণয় করাও তোমাদের জন্য জায়েয নয়। এগুলো ফাসেকীর কাজ। আজ তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কাফেররা পুরোপুরি নিরাশ হয়ে পড়েছে। কাজেই তোমরা তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি (কাজেই তোমাদের ওপর হালাল ও হারামের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলো। ) তবে যদি কোন ব্যক্তি ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে ঐগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি জিনিস খেয়ে নেয় গুনাহের প্রতি কোন আকর্ষণ ছাড়াই, তাহলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী।


_____________

No comments

Powered by Blogger.