47/104 আসলে রিজিকের চিন্তা আল্লাহর, পেরেশানীতে ব্যাস্ত থাকি আমরা,কবর পর্যন্ত
* মসজিদের বাহিরে রিজিক বিতরে রহমত
* নামায শেষে রিজিক অন্বেষণের নির্দেশ। ওমর রা মসজিদে দেখলেন একদল ইয়েমেনী জুহর আসর মাগরিব এর পর জিকিরে রতো
* সৃষ্টির সকল জীবের প্রতি আল্লাহর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর। হুদ-৬
وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا ۚ كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
* মায়ের পেটে বাচ্ছাকে কে খাওয়ান? কোন পিতা? সংরক্ষিত এলাকা রোগ রোগ নাই,আল মুমিনূন ১৩
ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
সুরা আল আনকাবুতে বলা হয়েছে - ৬০
وَكَأَيِّن مِّن دَابَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا اللَّهُ يَرْزُقُهَا وَإِيَّاكُمْ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
* দাব্বাহ মানুষ রিজিকের জন্য পেরেশান। অন্য সব সৃষ্টি আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল
* আউলিয়ার দরবার বাবা,কেল্লা আইবা,মুর্শিদ আমার আল্লাহর বান্দা, হাকিম পুরি জর্দা খায়
* সর্তের বিনিময়ে রিজিক প্রদানের নিশ্চয়তা আল্লাহ দিচ্ছেন, যদি গুনাহ গৃনার সাথে বর্জন করা যায়। আল আরাফ-৯৬
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِبَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَـٰكِن كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُون
* সূরা কোরাইশ ওখানে ও খাবার আসবে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَـٰذَا الْبَيْتِ
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
* দ্বিতীয়ত তাওয়াক্কুল যদি আমারা অর্জন করতে পারি ধারণাতীথ রিজিক প্রধানের ঘোষণা আল্লাহ দিয়েছেন। আত ত্বালাক-৩
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
* বহু ওলি আছে কল্পনার সংগে সংগে রিজিক চলে আসে,যা জান্নাতে সম্ভব,হযরত আবু হাফস (রঃ) জংগলে সাথীসহ জিকিরে মত্ত ১টি হরিন হাফসের কিনারে-তাজ: আউলিয়া-২৪৮
* হযরত আবু হাফস (রঃ) হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রঃ) কে বললেন এক ডেকচি শাহী পায়েশ ও হালুয়া তৈরী কর-তাজ: আউলিয়া- ২৫১
* হযরত মরিয়ম আ: এর গৃহে আল্লাহ রিজিক পাঠান 19:মারইয়াম:16
وَاذْكُرْ فِى الْكِتٰبِ مَرْيَمَ إِذِ انتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا
* হযরত যাকারিয়া আ: যখনই ঐ কামরায় প্রবেশ করতেন অমৌসুমী ফল দেখতে পেতেন। আল ইমরান-৩৭
كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًا ۖ قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَـٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
* রিজিক আল্লাহর হাতে। রিজিক বন্ধ ও চালু করার মালিক সেই আল্লাহ- মুল্ক-২১
أَمَّنْ هَـٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
* রিজিক তাঁর হাতে যাকে ইচ্ছা দেন ,নেতার হাতে নয়,আশ্-শূরা-১২
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল ইমরান-২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে
تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ ۖ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ ۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
আল আনকাবুতে বলা হয়েছে - ৬২
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
* আমরা যদি মোমেন হয়ে যাই তাহলে সর্বস্থায় আল্লাহর সাহায্য আমাদের উপর অবধারিত। কারণ আল্লাহ নিজে ঘোষণা দিচ্ছেন,আর রুম-৪৭
وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ
* ভয় পেরেশানি কিছুই স্পর্শ করবে না, নুহ (আ:) এর প্লাবন থেকে বেচে গেল এক বৃদ্দা মহিলার মতো। ইউনুস-৬২-৬৪
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ-
لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
৷
اَمۡسَکَ?- বন্ধ করে দেন,
بَلۡ لَّجُّوۡا-তারা অবিচল,
فِیۡ عُتُو- অবাধ্যতায়,খোদা দ্রোহিতায়,
وَّ نُفُوۡرٍ- সত্য
পরিহারেী
বিস্মৃত = ভুলে গেছে। স্মরণে নেই এমন
________________
104 রিজিকের চিন্তা আল্লাহর ব্যাস্ত থাকি আমরা, কবর পর্যন্ত ✓
أَمَّنْ هَـٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
(আল মুল্ক - ২১)
তিনি যদি রিযিক বন্ধ করে দেন, তবে কে আছে, যে তোমাদেরকে রিযিক দিবে বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে।
۞ وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا ۚ كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
(হুদ - ৬)
আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
* মায়ের পেটে বাচ্ছাকে খাওয়ান,
সংরক্ষিত এলাকা রোগ নাই,
ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
(আল মুমিনূন - ১৩)
অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
* আমাদের তাওয়াক্কুলের অভাব ঈমানের জুর কম,
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
(আত ত্বালাক - ৩)
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَـٰكِن كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
(আল আরাফ - ৯৬)
আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে।
* রিজিক তাঁর হাতে যাকে ইচ্ছা দেন,নেতার হাতে নয়
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
(আশ্-শূরা - ১২)
আকাশ ও পৃথিবীর চাবি তাঁর কাছে। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী।
تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ ۖ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ ۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
(আল ইমরান - ২৭)
তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।
* মরিয়মের গৃহে রিজিক পাঠান
فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا ۖ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًا ۖ قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَـٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
(আল ইমরান - ৩৭)
অতঃপর তাঁর পালনকর্তা তাঁকে উত্তম ভাবে গ্রহণ করে নিলেন এবং তাঁকে প্রবৃদ্ধি দান করলেন-অত্যন্ত সুন্দর প্রবৃদ্ধি। আর তাঁকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে সমর্পন করলেন। যখনই যাকারিয়া মেহরাবের মধ্যে তার কছে আসতেন তখনই কিছু খাবার দেখতে পেতেন। জিজ্ঞেস করতেন "মারইয়াম! কোথা থেকে এসব তোমার কাছে এলো?" তিনি বলতেন, "এসব আল্লাহর নিকট থেকে আসে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন।"
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
(আল আনকাবুত - ৬২)
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা হ্রাস করেন। নিশ্চয়, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।
وَكَأَيِّن مِّن دَابَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا اللَّهُ يَرْزُقُهَا وَإِيَّاكُمْ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(আল আনকাবুত - ৬০)
এমন অনেক জন্তু আছে, যারা তাদের খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
(আল ইমরান - ১৩৯)
আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।
* মোমেনের একিন হচ্ছে
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ رُسُلًا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ فَجَاءُوهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَانتَقَمْنَا مِنَ الَّذِينَ أَجْرَمُوا ۖ وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ
(আর রুম - ৪৭)
আপনার পূর্বে আমি রসূলগণকে তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেন। অতঃপর যারা পাপী ছিল, তাদের আমি শাস্তি দিয়েছি। মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।
* হযরত আবু হাফস (রঃ) হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রঃ) কে বললেন এক ডেকচি শাহী পায়েশ ও হালুয়া তৈরী কর- ,( তাজ: আউলিয়া- ২৫১)
একবারের ঘটনা , হযরত আবু হাফস ( রহঃ ) হযরত জুনায়েদ বাগদাদী ( রহঃ ) -কে বললেন , এক ডেকচি জেরবা , অর্থাৎ শাহী পায়েশ এবং হালুয়া তৈরী করাও । হুকুম পালিত হল । অতঃপর তিনি বললেন , উহা একটি লোকের মাথায় তুলে দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অর্থাৎ তার সাধ্য মত দ্রুত তাকে হাঁটতে বল । তারপর উহা বহনে শ্রান্ত হয়ে যেখানে গিয়ে সে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বসে পড়বে , সেখান থেকে যে গৃহটি সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী হবে , সেই গৃহের লোক ডেকে তাদেরকে ইহা দিয়ে আসবে । হযরত জুনায়েদ ( রহঃ ) সেই ব্যবস্থাই করলেন । একটি লোকের মাথায় ঐ জেরবা ও হালুয়ার পাত্র তুলে দিয়ে তার সাথে আর একটি লোক দিয়ে হযরত আবু হাফসের ( রহঃ ) নির্দেশ মত তাদেরকে সে বিষয় যথাযথভাবে উপদেশ দিয়ে দিলেন । বাহক লোকটি সত্যিই এক জায়গায় গিয়ে কোন একটি গৃহের নিকটে তার মাথার ডেকচি নামিয়ে বিশ্রাম করতে বসল । তার সাথের লোকটি তখন সর্বাধিক নিকটবর্তী গৃহের দরজায় গিয়ে ঐ গৃহের লোক ডাকতে শুরু করল । গৃহের ভিতর থেকে একটি বৃদ্ধ বলে উঠল , কে তুমি ? যদি জেরবা ও হালুয়া দুটোই নিয়ে এসে থাক , তাহলে বল , ঘর থেকে বের হয়ে আসি আর তানা হলে এসে কোন লাভ নেই । লোকটি তার কথা শুনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলল , ব্যাপার কি ? জেরবা ও হালুয়ার কথা তুমি জানলে কি করে বল শুনি । তখন বলল , দেখ ! বহুদিন থেকে আমার ছেলেটি আমার নিকট জেরবা ও হালুয়া খেতে চাইছে । গতকল্য যখন আমার মুনাজাতের সময় ইহা আমার স্মরণ হল , তখন মনে মনে বললাম , এর জন্য আবার দোয়া করার কি প্রয়োজন ? আল্লাহতায়ালার মন্ত্রী হলে উহা আপনা থেকেই এসে হাজির হবে । তারপর এখন তোমার ডাক শুনেই আমার মনে হল , নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার জন্য সে জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছেন । বৃদ্ধের মুখে এই আশ্চর্যজনক বিবরণ শুনে আর কোনরূপ দ্বিরুক্তি না করে ঐ জেরবা এবং হালুয়া তার গৃহে পৌঁছিয়ে দেয়া হল । আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের এভাবে রিজিক প্রদান করে থাকেন
* বহু ওলি আছে কল্পনার সংগে সংগে রিজিক চলে আসে,যা জান্নাতে সম্ভব,
হযরত আবু হাফস (রঃ) জংগলে সাথীসহ জিকিরে মত্ত ১টি হরিন হাফসের কিনারে,( তাজ: আউলিয়া- ২৪৮)
একবার হযরত আবু হাফস ( রহঃ ) অতিপয় শিষ্য - সাথীসহ জঙ্গলে গমন করে আল্লাহর যিকিরে মগ্ন হয়ে গেলেন । ঠিক এমনি সময় হঠাৎ একটি হরিণ এসে হযরত আবু হাফসের ক্রোড়ে মস্তক রেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল । হযরত আবু হাফস ( রহঃ ) এ ঘটনায় আকুলভাবে কাঁদতে লাগলেন । বহুক্ষণ ধরে তিনি শুধু কাঁদলেন । তাঁর কান্না কিছুতেই থামছে না দেখে হরিণটি আবার আপনা থেকে চলে গেল । হরিণটি চলে যাওয়ার পর শিষ্য - সাথীগণ হযরত আবু হাফসের ( রহঃ ) কাছে আরজ করল , হুযুর ! হরিণটি এভাবে এসে আপনার কোলে মাথা রেখে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকল আবার সে আপনা থেকে চলে গেল । এর ভেদ কি , বলুন তিনি বললেন , আল্লাহর যিকির শুরু করার সময়ে হঠাৎ আমার মনে এরূপ একটি খেয়াল জেগে ছিল যে , আল্লাহ পাক যদি এ সময়ে আমাকে একটি বকরী মিলিয়ে দিতেন , তাহলে তা যবেহ করে মাংস দ্বারা কাবাব তৈরী করে আমার শিষ্য - সঙ্গীগণকে তৃপ্তি সহকারে ভোজন করাতে মনে এ খেয়াল জাগার সঙ্গে সঙ্গে হরিণটি কি ভাব করল তা তো তোম্বরা পারতাম চোখেই দেখলে । সঙ্গীগণ তখন বলল , হুযুর । এ ত ভারী খুশী ও আনন্দের কথা ছিল । তা আপনি খুশী প্রকাশের বদলে উল্টো এমনভাবে কাঁদলেন যে , লোক ভীষণ কোন বিপদ কালেও অতটা কাঁদে না , এর কারণটা কি ? তিনি বললেন , হরিণটি আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে একটি কথা জেগে উঠল , তা হল আমার নিকট এভাবে হরিণটির আগমন মূলতঃ আমাকে আল্লাহর দরবার থেকে বের করে নিয়ে আসার কারণ ছাড়া আর কিছু নয় । কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি মিসরের অধিপতি ফিরাউনের মঙ্গল কামনাই করতেন , তা হলে কিছুতেই ফিরাউনের ইচ্ছা এবং নির্দেশক্রমে নীল নদীর পানির স্রোত বন্ধ এবং প্রবাহিত হত না ।
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
(ইউনুস - ৬২)
মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।
* ঈমানদার ব্যক্তির এতটুকু বিস্বাস যে আল্লাহ আমার রব আল্লাহ আমার সব । তিনি রিজিকদাতা বাচানেওয়ালা মারনেওয়ালা
الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ
(ইউনুস - ৬৩)
যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।
لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
(ইউনুস - ৬৪)
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَـٰذَا الْبَيْتِ
(কুরাইশ - ৩)
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
(কুরাইশ - ৪)
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন ৷
*
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধনের আধিক্য হলে ধনী হয় না, অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী। [১৬][মুসলিম ১২/৪০, হাঃ ১০৫১, আহমাদ ৭৩২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০২)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৪৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
(আত ত্বালাক - ২)
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।
65:3
وَّ یَرۡزُقۡہُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ فَہُوَ حَسۡبُہٗ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بَالِغُ اَمۡرِہٖ ؕ قَدۡ جَعَلَ اللّٰہُ لِکُلِّ شَیۡءٍ قَدۡرًا ﴿۳﴾
* বাশি ওয়ালা ,সিরাজী 2/ 197
হাদীছের গল্প
আল্লাহর উপর ভরসার প্রতিদান
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত’ (ইবরাহীম ১১)। ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট’ (তালাক্ব ৩) । রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরসা কর, তাহ’লে তিনি তোমাদেরকে অনুরূপ রিযিক দান করবেন, যেরূপ পাখিদের দিয়ে থাকেন। তারা প্রত্যুষে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং দিনের শেষে ভরা পেটে ফিরে আসে’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫০৬৯) । আল্লাহর উপর ভরসা সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ।-
(১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর ব্যক্তির নিকট এক হাযার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদের সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তারপর ঋণদাতা বলল, তাহ’লে একজন যামিনদার উপস্থিত কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যিই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে পরিশোধের শর্তে তাকে এক হাযার দীনার দিয়ে দিল। তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাযার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান, আমি অমুকের নিকট এক হাযার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাযী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তাতে সে রাযী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম। এই বলে সে কাষ্টখন্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে ভেসে চলল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়ত ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখন্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্টখন্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাযার দীনার নিয়ে হাযির হ’ল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহন খুঁজেছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি। ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হ’তে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাযার দীনার নিয়ে ফিরে চলে এল’
(বুখারী হা/২২৯১, ‘কিতাবুল কিফালাহ’) ।
(২) জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর সাথে নজদের (বর্তমানে রিয়ায অঞ্চল) দিকে জিহাদে রওয়ানা হ’লেন। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাড়ী ফিরতে লাগলেন, তখন তিনিও তাঁর সঙ্গে ফিরলেন। রাস্তায় প্রচুর কাটাগাছে ভরা এক উপত্যকায় তাঁদের দুপুরের বিশ্রাম নেওয়ার সময় হ’ল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) (বিশ্রামের জন্য) নেমে পড়লেন এবং ছাহাবীগণও গাছের ছায়ার খোঁজে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি বাবলা গাছের নীচে অবতরণ করলেন এবং তাতে স্বীয় তরবারি ঝুলিয়ে দিলেন। আর আমরা অল্পক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে গেলাম। অতঃপর হঠাৎ (আমরা শুনলাম যে,) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ডাকছেন। সেখানে দেখলাম, একজন বেদুঈন তার কাছে রয়েছে। তিনি বললেন, আমার ঘুমের অবস্থায় এই ব্যক্তির হাতে আমার তরবারিখানা খোলা অবস্থায় দেখলাম। (তারপর) সে আমাকে বলল, আমার নিকট হ’তে তোমাকে (আজ) কে বাঁচাবে? আমি বললাম, আল্লাহ। এ কথা আমি তিনবার বললাম। তিনি তাকে কোন শাস্তি দিলেন না। অতঃপর তিনি বসে গেলেন। (অথবা সে বসে গেল) (বুখারী ও মুসলিম) ।
অন্য বর্ণনায় আছে, জাবের (রাঃ) বলেন যে, আমরা ‘যাতুর রিক্বা’-তে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর (ফেরার সময়) যখন আমরা ঘন ছায়া বিশিষ্ট একটি গাছের কাছে আসলাম, তখন তা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্য ছেড়ে দিলাম। (তিনি বিশ্রাম করতে লাগলেন।) ইতিমধ্যে একজন মুশরিক আসল। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর তরবারি গাছে ঝুলানো ছিল। তারপর সে তা (খাপ থেকে) বের করে বলল, তুমি কি আমাকে ভয় করছ? তিনি বললেন, না। সে বলল, তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে? তিনি বললেন, আল্লাহ।
আবু বকর ইসমাঈলীর ছহীহ গ্রন্থে রয়েছে, সে বলল, আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে? তিনি বললেন, আল্লাহ। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তার হাত থেকে তরবারিটি পড়ে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তরবারিখানা তুলে নিয়ে বললেন, (এবার) তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে? সে বলল, তুমি উত্তম তরবারিধারক হয়ে যাও। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? সে বলল, না। কিন্তু আমি তোমার কাছে অঙ্গীকার করছি যে, তোমার বিরুদ্ধে কখনো লড়বো না। আর আমি সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গীও হব না, যারা তোমার বিরুদ্ধে লড়বে। সুতরাং তিনি তার পথ ছেড়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সঙ্গীদের নিকট এসে বলল, আমি তোমাদের নিকটে সর্বোত্তম মানুষের নিকট থেকে আসলাম (বুখারী হা/২৯১০, ২৯১৩, ৪১৩৫, ৪১৩৭)।
পরিশেষে বলব, আল্লাহর উপরে ভরসা করলে তিনি মানুষের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। উপরোক্ত হাদীছ দু’টি তার বাস্তব প্রমাণ। আল্লাহ আমাদেরকে উপরোক্ত হাদীছদ্বয়ের উপর আমল করার তাওফীক্ব দান করুন-
পিপঁড়ার মাধ্যমে রিজিত সরবরাহহযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি একদিন নদীর তীরে বসে ছিলেন। এমন সময় উনার চোঁখ পড়লো একটি পিঁপিঁলিকার উপর । . পিঁপিঁলিকাটি মুখে করে একটি গমের দানা নিয়ে নদীর তীরে আসলো। নদীর তীরে পৌঁছতেই একটি ব্যাঙ হা করে অমনি পিঁপড়াটিকে গিলে ফেললো !! . দীর্ঘক্ষন পানিতে ডুবে থাকার পর ব্যাঙটি পুনরায় নদীর তীরে ভেসে উঠে হা করে পিঁপিঁলিকাকে ছেড়ে দেয় !! . হযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন তাদের প্রতি! হযরত সুলায়মান (আঃ) এর মোজেযার মধ্যে একটি মোজেযা হচ্ছে তিনি সব মাখলুকের কথা বুঝতেন!! . পিঁপিঁলিকাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার...? কোথায় গিয়ে ছিলে? কেন গিয়ে ছিলে ? উত্তরে পিঁপিঁলিকা বললো নদীর নীচে একটি বিশাল পাথরে ভিন্ন রকম কিড়া- মাকড়ের জন্ম, তাদের অনেকে অন্ধ, তারা রিযিকের তালাশে বাহিরে যেতে পারেনা!! . এদের রিযিকের জিম্মাদারীত্ব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আমায় দিয়েছেন । ওদের পর্যন্ত রিযিক পৌঁছাতে আমি অক্ষম, তাই পানির নীচের বাহন হিসেবে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি এই ব্যাঙকে আমার অনুগামী করে দিয়েছেন!! . আমি ওর মুখের ভিতরে নিরাপদ সফর করে তাদের পর্যন্ত রিযিক পৌঁছে দিয়ে পুনরায় তারই মুখের ভিতরে করে ফিরে আসি!! . হযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি জিজ্ঞেস করলেন! সেখানকার অন্ধ কিড়া-মাকড়দের কোনো তাসবীহ্ পাঠ করতে কি শুনেছো ? . পিঁপিঁলিকা বললো হ্যাঁ !! তারা রিযিক পেয়ে বলতে থাকে- পবিত্র সত্তা মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ! যিনি আমাদের এই গভীর পানির নীচে ও ভুলেননি! (সুবাহানআল্লাহ্) মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে অপরিমিত রিযিক দান করুন।
-----------------------------------
টোকেন
* রিজিকের চিন্তা আল্লাহর,অথছ পেরেশানীতে ব্যাস্ত থাকি,কবর পর্যন্ত থাকবে
* আমাদের তাওয়াক্কুলের অভাব ঈমানের জুর কম
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَـٰكِن كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُوا
يَكْسِبُونَ (আল আরাফ - ৯৬)
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
(আত ত্বালাক - ৩)
* বহু ওলি আছে কল্পনার সংগে সংগে রিজিক চলে আসে,যা জান্নাতে সম্ভব,
হযরত আবু হাফস (রঃ) জংগলে সাথীসহ জিকিরে মত্ত ১টি হরিন হাফসের কিনারে,( তাজ: আউলিয়া- ২৪৮)
* হযরত আবু হাফস (রঃ) হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রঃ) কে বললেন এক ডেকচি শাহী পায়েশ ও হালুয়া তৈরী কর- ,( তাজ: আউলিয়া- ২৫১)
* মরিয়মের গৃহে রিজিক পাঠান
فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا ۖ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًا ۖ قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَـٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
(আল ইমরান - ৩৭)
* রিজিকের চিন্তা আল্লাহর,
أَمَّنْ هَـٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
(আল মুল্ক - ২১)
۞ وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا ۚ كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
(হুদ - ৬)
* মায়ের পেটে বাচ্ছাকে কে খাওয়ান,কোন পিতা?
সংরক্ষিত এলাকা রোগ নাই,
ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
(আল মুমিনূন - ১৩)
وَكَأَيِّن مِّن دَابَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا اللَّهُ يَرْزُقُهَا وَإِيَّاكُمْ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(আল আনকাবুত - ৬০)
* রিজিক তাঁর হাতে যাকে ইচ্ছা দেন,নেতার হাতে নয়
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
(আশ্-শূরা - ১২)
تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ ۖ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ ۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
(আল ইমরান - ২৭)
اللَّهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
(আল আনকাবুত - ৬২)
* চিন্তা, ভয় বলতে যত প্রকার
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
(ইউনুস - ৬২)
الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ
(ইউনুস -৬৩)
لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
(ইউনুস - ৬৪)
* মোমেনের একিন হচ্ছে
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ رُسُلًا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ فَجَاءُوهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَانتَقَمْنَا مِنَ الَّذِينَ أَجْرَمُوا ۖ وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ
(আর রুম - ৪৭)
* খাবার আসবে শর্তের বিনিময়ে
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَـٰذَا الْبَيْتِ
(কুরাইশ - ৩)
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
(কুরাইশ - ৪)
* নুহ (আ:) এর প্লাবন থেকে বেচে গেল এক বৃদ্দা মহিলা
* আউলিয়ার দরবার বাবা,কেল্লা আইবা,মুর্শিদ আমার আল্লাহর,হাকিম পুরি জর্দা খায় ৷
_________
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ زَائِدَةَ بْنِ نَشِيطٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْوَالِبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ تَفَرَّغْ لِعِبَادَتِي أَمْلأْ صَدْرَكَ غِنًى وَأَسُدَّ فَقْرَكَ وَإِلاَّ تَفْعَلْ مَلأْتُ يَدَيْكَ شُغْلاً وَلَمْ أَسُدَّ فَقْرَكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو خَالِدٍ الْوَالِبِيُّ اسْمُهُ هُرْمُزُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদাতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা কর, আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব দূর করে দিব। তুমি তা না করলে আমি তোমার দুইহাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব-অনটন রহিত করবো না।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪১০৭)।
ফুটনোট: আবূ ঈসা বলেন, এই হাদিসটি হাসান গারীব। আবূ খালিদ আল-ওয়ালিবীর নাম হুরমুয।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪৬৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com
No comments