142 আমল যদি রিজেক্ট হয়
142 আমল যদি রিজেক্ট হয়
ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত সমূহের মধ্যে কিছু অর্জনীয় আর কিছু বর্জনীয়
* বেহেস্তে যেতে কতো নেকের প্রয়োজন,প্রয়োজন আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক কাজ করলেই আল্লাহ খুশি হন।
* যা বর্জনীয় তা হলো অহংকার সহীহ নিয়্যাতের বিপরীত অর্থাৎ রিয়া বিহীন আমল, হিংসা,হারাম খাদ্য
* গার্মেন্টসে জামা তৈরি করার পর জামায় স্পট কিনা চেক দেয়। যদি স্পট থাকে তা রিজেক্টে চলে যায়
* রিজেক্ট যুক্ত আমাল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়
* কবরে আমল অনুপাতে সুখ আর দুঃখ। কারো কবর হবে জান্নাতের বাগান। সেই কবরে আমল যদি রিজেক্ট হয় অবস্থা হবে কি
* হাসরের ময়দানে আমলের হিসাব হবে, আমল যদি রিজেক্ট হয় অবস্থা হবে কি
* #আমাদের প্রতিটি আমল প্রতিটি কাজ হবে যদি নবীর তরিকায়। অন্যথায় কোন আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যুমার ৪৭
وَ بَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ یَكُوْنُوْا یَحْتَسِبُوْنَ
* #সেদিন কিছু কিছু আমলনামা ধূলিকণার মতো উড়িয়ে দেওয়া। সূরা ফুরকান ২৩
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا
* যা অর্জনীয় তা হল ইখলাস, সহি আমল
* কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহকে এখলাসের সাথে ডাকতে বলা হয়েছে।আল-মু’মিন ১৪
فَادْعُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ وَ لَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ
৯৮ আল-বাইয়েনাহ ৫
وَ مَاۤ اُمِرُوْۤا اِلَّا لِیَعْبُدُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ١ۙ۬ حُنَفَآءَ وَ یُقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ یُؤْتُوا الزَّكٰوةَ وَ ذٰلِكَ دِیْنُ الْقَیِّمَةِؕ
* দাগ পরিমানে মেডিসিন,গুনাহ অনুপাতে তৈাবাহ,মদ দুধে পরিনত #একদিন এক লোক মদ খেতে খেতে আসছিল হঠাত্ করে হযরত ওমর (রা) দেখতে পেল।
________________________________________________________
* কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহকে এখলাসের সাথে ডাকতে বলা হয়েছে
৪০ আল-মু’মিন, আয়াত: ১৪
فَادْعُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ وَ لَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
(সুতরাং হে প্রত্যাবর্তনকারীরা, ) দ্বীনকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করে তাঁকেই ডাকো, তোমাদের এ কাজ কাফেরদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।
ফী যিলালিল কুরআন:
অতএব (হে মুসলমানরা), তােমরা তােমাদের জীবন বিধানকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তায়ালার জন্যেই নিবেদিত করা, একমাত্র তাঁকেই ডাকো, যদিও কাফেররা (এটা) পছন্দ
করে না।
৯৮ আল-বাইয়েনাহ, আয়াত: ৫
وَ مَاۤ اُمِرُوْۤا اِلَّا لِیَعْبُدُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَ١ۙ۬ حُنَفَآءَ وَ یُقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ یُؤْتُوا الزَّكٰوةَ وَ ذٰلِكَ دِیْنُ الْقَیِّمَةِؕ
তাফহীমুল কুরআন:
তাদেরকে তো এছাড়া আর কোন হুকুম দেয়া হয়নি যে, তারা নিজেদের দ্বীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদাত করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দেবে, এটিই যথার্থ সত্য ও সঠিক দ্বীন।
ফী যিলালিল কুরআন:
অথচ এদের এ ছাড়া আর কিছুরই আদেশ দেয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর জন্যেই নিজেদের দ্বীন ও এবাদাত নিবেদিত করে নেবে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দান করবে, (কেননা) এ হচ্ছে সঠিক জীবন বিধান;
৩৯ আয-যুমার, আয়াত: ৪৭
وَ لَوْ اَنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّ مِثْلَهٗ مَعَهٗ لَافْتَدَوْا بِهٖ مِنْ سُوْٓءِ الْعَذَابِ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ١ؕ وَ بَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ یَكُوْنُوْا یَحْتَسِبُوْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
এসব জালেমদের কাছে যদি পৃথিবীর সমস্ত সম্পদরাজি এবং তাছাড়া আরো অতটা সম্পদও থাকে তাহলে কিয়ামতের ভীষণ আযাব থেকে বাঁচার জন্য তারা মুক্তিপণ হিসেবে সমস্ত সম্পদ দিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু তাদের সামনে আসবে যা তারা কোন দিন অনুমানও করেনি।
ফী যিলালিল কুরআন:
যদি এ যালেমদের কাছে সেসব (সম্পদ) মজুদ থাকে, যা এ পৃথিবীর মাঝে ছড়িয়ে আছে, তার সাথে সমপরিমাণ (সম্পদ) আরাে যদি তার কাছে থাকে, কেয়ামতের দিন আযাবের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে তারা সবকিছু (বিনা দ্বিধায়) দিয়ে দিতে চাইবে; সে সময় আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে সে (আযাব) এসে উপস্থিত হবে, যার কম্পনাও তারা করতে পারেনি।
২৫ আল-ফুরকান, আয়াত: ২৩
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا
তাফহীমুল কুরআন:
এবং তাদের সমস্ত কৃতকর্ম নিয়ে আমি ধূলোর মতো উড়িয়ে দেবো।
ফী যিলালিল কুরআন:
(এবার) আমি তাদের সে সব কর্মকান্ডের দিকে মনােনিবেশ করবাে, যা তারা (দুনিয়ায়) করে এসেছে, তখন আমি তা উড়ন্ত ধুলিকণার মতােই ( নিষ্ফল) করে দেবাে।
* দাগ পরিমানে মেডিসি,গুনাহ অনুপাতে তৈাবাহ,মদ দুধে পরিনত
##একদিন এক লোক মদ খেতে খেতে আসছিল হঠাত্ করে হযরত ওমর (রা) দেখতে পেল। লোকটি ওমর (রা) এর ভয়ে কাঁদতে লাগল।
লোকটি তখন আল্লাহর কাছে বলতে লাগল হে আল্লাহ তুমি আমাকে রক্ষা কর।
আমি ওমর কে খুব ভয় পাই। তখন লোকটি আল্লাহর কাছে কাঁদতে কাঁদতে বলে হে আল্লাহ আমি আর কোনদিন মদ খাবোনা।
আপনি আমার মদগুলোকে দুধে পরিনত করে দিন।
কিছুক্ষন পর ওমর (রা) তার সামনে গিয়ে বলল তুমি মদ খাচ্ছো কেন? তোমার মদের বতল টা আমাকে দাও আজকে তোমার বিচার হবে।
এই কথা বলার পর লোকটি থরথর করে কাঁপছে আর মদের বতল টা বের করে তার হাতে দিল।
কিন্তু মহুর্তের মধ্যে ওমর (রা) দেখতে পেল সেটি মদের বোতল নয় বরং দুধের বোতল।
তখন ওমর রাঃ বলল তুমি আল্লাহর কাছে খালেচ তাওবা করেছ তাই আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করেছেন।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে খালেচ তওবা করার তৌফিক দান করুক আমিন।
____________________________
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
(আশ শামস - ৯)
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
(আশ শামস - ১০)
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
(আশ শুআরা - ৮৮)
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
(আশ শুআরা - ৮৯)
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।
* দাগ পরিমানে মেডিসি,গুনাহ অনুপাতে তৈাবাহ,মদ দুধে পরিনত
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
(আল মুমিনূন - ১)
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
(আল মুমিনূন - ২)
যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
* ইমামের আগে রুকুতে যাওয়া যাবেনা
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
(আন নাহল - ৯৭)
যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।
كَلَّا ۖ بَلْ ۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ
(আত মুত্বাফ্ফিফীন - ১৪)
কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে।
[১] حياة طيبة সুখী জীবন বলতে পৃথিবীর জীবন, কারণ পরকালের জীবনের কথা পরের আয়াতে বলা হয়েছে। যার সারমর্ম হল একজন চরিত্রবান মু'মিন সৎ ও ধর্মভীরু জীবন যাপনে, আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যে, দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত ও অল্পে তুষ্ট হওয়াতে যে পরম সুখ-স্বাদ অনুভব করে, তা কোন কাফের ও পাপী ব্যক্তি পৃথিবীর সকল সুখ ভোগ করলেও সে সুখ-স্বাদ পায় না। বরং সে এক ধরনের মানসিক অশান্তি ভোগ করে। মহান আল্লাহ বলেন,{وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا} যে আমার স্মরণে বিমুখ হবে, তার জীবন হবে সংকুচিত। (সূরা তহা ২০:১২৪)
আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেন যে, কোন পুরুষ বা নারী যদি ঈমানের সাথে সৎ আমল করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুটি উপহার দেবেন একটি দুনিয়াতে অপরটি আখিরাতে। দুনিয়াতে তাকে حَيٰوةً طَيِّبَةً তথা সুখী-সুন্দর জীবন দান করবেন। অর্থাৎ দুনিয়াতে পবিত্র ও হালাল রিযিক, সুখ সম্ভোগ, মনের তৃপ্তি, ইবাদতের স্বাদ, আনুগত্যের মজা ইত্যাদি সবই দেবেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ঐ ব্যক্তি সফলকাম হয়েছে যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাকে যথেষ্ট পরিমাণ রিযিক দান করা হয়েছে এবং আল্লাহ তা‘আলা তাকে যা দিয়েছেন তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থেকেছে। (তিরমিযী হা: ২৩৪৮, সহীহ)
আর আখিরাতে তাকে কাজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান দেবেন। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَي قَلْبِ بَشَرٍ)
আমি আমার সৎ বান্দাদের জন্য এমন কিছু তৈরি করে রেখেছি যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শ্রবণ করেনি এবং কোন মানুষের অন্তর কল্পনাও করেনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩২৪৪, সহীহ মুসলিম হা: ২৮২৪)
তবে কোন আমল সৎ আমল হিসেবে গণ্য হবার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে
১. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أُمِرُوْآ إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَا۬ءَ وَيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوا الزَّكٰوةَ وَذٰلِكَ دِيْنُ الْقَيِّمَةِ)
“তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা বিশুদ্ধচিত্তে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। ” (সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৫)
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত অনুযায়ী হতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ج وَمَا نَهٰكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا)
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।”(সূরা হাশর ৫৯:৭)
সুতরাং কোন মুসলিম ব্যক্তি উক্ত শর্ত ছাড়া আমল করলে তা গ্রহণযোগ্য হবার আশা করা যায় না।
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
(ইয়াসীন - ৫৯)
হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
۞ أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
(ইয়াসীন - ৬০)
হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
_________
টোকেন%
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
(আন নাহল - ৯৭)
কোন পুরুষ,নারী সৎ আমলের বিনময়ে দুটি উপহার, একটি দুনিয়াতে অপরটি আখিরাতে।
দুনিয়াতে তাকে حَيٰوةً طَيِّبَةً
আর আখিরাতে, হাদীসে কুদসীতে এসেছে,
أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَي قَلْبِ بَشَرٍ)
(সহীহ বুখারী হা: ৩২৪৪, সহীহ মুসলিম হা: ২৮২৪)
তবে কোন আমল সৎ আমল হিসেবে গণ্য হবার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে
১. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে।
(وَمَآ أُمِرُوْآ إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَا۬ءَ وَيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوا الزَّكٰوةَ وَذٰلِكَ دِيْنُ الْقَيِّمَةِ)
(সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৫)
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত অনুযায়ী হতে হবে
(وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ج وَمَا نَهٰكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا)
(সূরা হাশর ৫৯:৭)
* জামায় স্পট কিনা চেক দেয় রিজেক্টে চলে যায়
* কবরে পরিক্ষা হবে, আমলের হিসাব হবে, আমার আমল যদি রিজেক্ট হয়
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
(আশ শামস - ৯)
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
(আশ শামস - ১০)
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
(আশ শুআরা - ৮৮)
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
(আশ শুআরা - ৮৯)
كَلَّا ۖ بَلْ ۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ
(আত মুত্বাফ্ফিফীন - ১৪)
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
(ইয়াসীন - ৫৯)
۞ أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
(ইয়াসীন - ৬০)
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
(আল মুমিনূন - ১)
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
(আল মুমিনূন - ২)
* ইমামের আগে রুকুতে যাওয়া যাবেনা
No comments