Header Ads

Header ADS

143 সফলতার জীবন

143 সফলতার জীবন




* কত রাজা কত বাদশা কত আমীর কত শাহানশাহ এই জমিনে বসবাস করতো,زَكَّاهَا=তাকে পবিত্রকরল, خَابَ=ব্যর্থহলো,دَسَّاهَا=তাকে কলুষিত করলো,৯১:


আশ শামস ৯-১০


قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا --- وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا 


* এই জীবন অস্থায়ী জীবন,ছেড়ে যেতে হবে পরপারের জীবনে,দোখান-২৫-২৯,وَزُرُوعٍ=এবংশস্যক্ষেত,وَمَقَامٍ=ওবাসস্থান,كَرِيمٍ=সুন্দর فَاكِهِينَ=আনন্দকারী(সবছেড়েচলেগেলো)مُنْظَرِينَ=অবকাশপ্রাপ্ত,


 كَمْ تَرَكُوا مِن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ --- وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ


وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ --- كَذَٰلِكَ ۖ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ


فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ


* মোমেনের জন্য আসমানে দুটি দরজা রয়েছে, একটি দিয়ে নেক আমল যায় অন্যটি দিয়ে রিজিক আসে


* কত নেতা মরে,কেউ কাঁদে না এটা সফলতার জীবন নয়, মোমেনের মৃত্যুতে আসমান জমিন কান্দে,এমন জীবন কররে গঠন,নম্র হবেন ভদ্র হবেন


* মানুষ মানুষের প্রশংসা বা দোষক্রুটি বর্ননা করার ফল,সহিহ বুখারী-১৩৬৭ সহিহ


أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَرُّوا بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَجَبَتْ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ مَرُّوا بِأُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا فَقَالَ ‏"‏ وَجَبَتْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مَا وَجَبَتْ قَالَ ‏"‏ هَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا فَوَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا فَوَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ


* মৃত্যুর পরে শান্তিতে থাকার উপকরণ জোগাড় করাই হলো সফলতার জীবন


* হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহ:) এর মা ছেলেকে দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করেণ,বাদশা আবু জাফর শূলির আদেশ দেন, বিখ্যাত তাপস ফুযাইল ইবনে আয়ায এর কোলে মাথা রেখে বিশ্রাম (মুলতাযিম ধরে ফরিয়াদ,তায়েফেও আসতে পারেনি,আল্লাহকে যদি পেতে চাও-২৯৯


* টাকা পয়সা বিলাসীতা সফলতার জীবন নয়,সেইদিন দুনিয়ার বিলাসীদের বলবেন-৪৬: আল-আহক্বাফ-২০, يُعْرَضُ=উপস্থিতকরাহবে, أَذْهَبْتُمْ=তোমরানিঃশেষকরেছ, طَيِّبَاتِكُمْ=তোমাদেরসুখ-সুবিধাগুলোকে, وَاسْتَمْتَعْتُمْ=এবংতোমরাভোগকরেছ, بِهَا=তারদ্বারা, فَالْيَوْمَ=অতএবআজ, تُجْزَوْنَ=তোমাদেরপ্রতিফলদেওয়াহবে عَذَابَ=শাস্তি, الْهُونِ=অপমানের, بِمَا=একারণেযা, كُنْتُمْ=তোমরাকরছিলে, تَسْتَكْبِرُونَ=অহংকার, بِغَيْرِ=ব্যতীত, الْحَقِّ=অধিকার, وَبِمَا=এবংএকারণেযা, كُنْتُمْ=তোমরাকরছিলে, تَفْسُقُونَ=পাপাচার


اَذْهَبْتُمْ طَیِّبٰتِكُمْ فِیْ حَیَاتِكُمُ الدُّنْیَا وَ اسْتَمْتَعْتُمْ بِهَا١ۚ فَالْیَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُوْنَ فِی الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ بِمَا كُنْتُمْ تَفْسُقُوْنَ۠


* সাদ রা: ইন্তেকাল করলেন, জিবরাঈল আ: বললেন, হুজুর আজকে আপনার কোন সাহাবী ইন্তেকাল করেছেন,সাহাবীর লাসের ওজন ছিলনা নাই, রাসূল সা: এর প্রেমিকদের মরনেও সম্মান (আল্লাহকে যদি পেতে চাও-৩০২




________________


138 সফলতার জীবনقَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا




(আশ শামস - ৯)


যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।


وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا




(আশ শামস - ১০)


এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।

136 সফলতার জীবন,


قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا


(আশ শামস - ৯)


যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।


وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا


(আশ শামস - ১০)


এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।


কত রাজা কত,


এমপি হওয়া নয়,


* এই জীবন জীবন নয়, كَمْ تَرَكُوا مِن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ


(আদ-দোখান - ২৫)


তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,


وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ


(আদ-দোখান - ২৬)


কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান।


وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ


(আদ-দোখান - ২৭)


কত সুখের উপকরণ, যাতে তারা খোশগল্প করত।


كَذَٰلِكَ ۖ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ


(আদ-দোখান - ২৮)


এমনিই হয়েছিল এবং আমি ওগুলোর মালিক করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে।


فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ


(আদ-দোখান - ২৯)


তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি। এটার নাম সফলতার জীবন নয়,


* সফলতার জীবন হলো,মুমেনের মরনে আসমান কান্দে


* এমন জীবন কররে গঠন


* ওমর দেখ যাবেরের হাতে গোস্ত (নূরুল কুর 26/54)


وَيَوْمَ يُعْرَضُ الَّذِينَ كَفَرُوا عَلَى النَّارِ أَذْهَبْتُمْ طَيِّبَاتِكُمْ فِي حَيَاتِكُمُ الدُّنْيَا وَاسْتَمْتَعْتُم بِهَا فَالْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنتُمْ تَفْسُقُونَ


(আল আহ্‌কাফ - ২০)


যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা পাপাচার করতে।


* আল্লাহকে খুশি করার জীবন


* হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহ:) - এর মা ছেলেকে দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করেণ,বাদশা আবু জাফর শূলির আদেশ দেন, বিখ্যাত তাপস ফুযাইল ইবনে আয়ায এর কোলে মাথা রেখে বিশ্রাম,মুলতাযিম ধরে ফরিয়াদ,তায়েফেও আসতে পারেনি


,( আল্লাহকে যদি পেতে চাও ২৯৯ )


* তৌবার জীবন


* খাঁটি তওবা


.....................................................


বনী ইসরাইলে এক যুবক ছিল বড্ড বদমাশ, শারাবী ও জুয়াড়ী। শহরের লোকেরা তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দিল।


উক্ত ব্যক্তিকে লোকেরা শহর থেকে বের করে দেবার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের বাইরে গিয়ে নিজের আস্তানা গেড়ে বসল। সেখানে কোন সাথী সঙ্গী ছিলনা, খাদ্য-পানীয় ছিলনা। আস্তে আস্তে সব শেষ হয়ে গেল। তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিতে লাগল। সে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করল, ডানে দেখল, বামে দেখল, কিন্তু কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর সে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলতে লাগলঃ হে আল্লাহ্! আমি যদি জানতাম যে, আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে আর ক্ষমা করে দিলে তোমার রাজত্ব হ্রাস পাবে তাহলে, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাইতাম না। যদি আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি না ঘটে, তাহলে আমাকে আযাব না দিয়ে মাফ করে দাও। হে আল্লাহ্! কেউ আমার সাথি হয়নি, সকলেই আমাকে পরিত্যাগ করেছে। হে আল্লাহ্! মৃত্যুর মুখে আমি তওবা করছি, গোনাহ করতে করতে সারাটা জীবন কেটে গেছে। হে আল্লাহ্! সকলে তো আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, তুমি আমাকে পরিত্যাগ কর না, একথা বলতেই তার প্রাণপাখি উড়ে গেল।


আল্লাহ্ তাআলা হযরত মুসা (আঃ) কে বললেনঃ অমুক জঙ্গলে আমার এক বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছে। তুমি গিয়ে তাকে গোসল করাও, কাফন পড়াও ও জানাযা পড়াও।আর সারা শহরে ঘোষনা করে দাও যে, যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়। মুসা (আঃ) ঘোষনা করে দিলেন।


ঘোষনা শুনে শহরের লোকজন সব ছুটল জঙ্গলের দিকে। সেখানে গিয়ে তো সকলে বিস্ময়ে হতবাক। সেই শরাবী, জুয়াড়ী, ডাকাত, বদমাশ মরে পড়ে আছে।


লোকেরা মুসা (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলঃ হে মূসা (আঃ), ঘটনা কী? এই লোককে তো আমরা শহর থেকে বের করে দিয়েছিলাম অথচ আল্লাহ্ তাআ’লা তাকে বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন!


হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট আরয করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! তোমার বান্দারা তো বলছে, এই ব্যক্তি তোমার দুশমন আর তুমি তাকে নিজের বন্ধু বলছ!!


আল্লাহ্ তাআ’লা বললেনঃ তাদের কথাও ঠিক, আমার কথাও ঠিক। সে আমার দুশমনই ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে দেখল যে, সে একা, তার ডানে বামে কেউ নেই, সবাই পরিত্যাগ করেছে। আর সেই অবস্থায় যখন সে আমাকে স্মরণ করল, আমাকে ডাকল, তখন আমি তাকে তার গোনাহের কারনে নিঃস্ব, একাকী অবস্থায় তাকে পাকড়াও করতে লজ্জ্বাবোধ করলাম। সে সময় যদি সে আমার নিকট সারা দুনিয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করত, তাও আমি গ্রহণ করতাম।


(সূত্রঃ মাওলানা তারিক জামিল এর বক্তৃতা)


★হযরত সাদ রা.এর মৃত্যুর পর সম্মান প্রদর্শন★


হযরত সাদ ইবনে মুয়াজ রা.ইন্তেকাল করলেন।হযরত জিবরাইল আ.এসে নিবেদন করলেন, য়া রাসুলুল্লাহ, আজ আপনার সাহাবিদের মধ্যে কে ইন্তেকাল করেছে?রাসুল সা.বললেন কেন? কী হয়েছে? হযরত জিবরাইল আ.বললেন, যখন কোনো ইমানদার মারা যায় তখন তার রুহ সোজা আরশের নিচে গিয়ে সিজদা করে।জিবরাইল বলেন,আজ আল্লাহর আরশ আনন্দে দুলছে। কে আসছে?? 


সাত আসমানের ফেরেশতা আজ খুশিতে আত্মহারা।কে আসছে?রাসুল সা.বলেন, হায়,আমার সাদ তাহলে চলে গেলো।


হযরত সাদ রা.যুদ্ধে জখম ও রক্তাক্ত হয়েছিল। তাই রাসুল সা.বুঝতে পারলেন হযরত সাদ রা.ইনতেকাল করেছেন।রাসুল সা.দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে এলেন।তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে এত দ্রুত চলতে লাগলেন যে, সাহাবায়ে কেরাম তার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছিলেন।তিনি হাঁটছিলেন।তাদের জুতার ফিতা ছিরে যাওয়ার মতো অবস্হা ।তারা নিবেদন করলেন, য়া রাসুলুল্লাহ ,একটু আস্তে চলুন। আমরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। রাসুল সা.বললেন, তারাতারি চলো।আমার ভয় হচ্ছে আমরা পৌঁছার পূর্বে ফেরেস্তারা আবার সাদকে গোসল দিয়ে দেয় কিনা।তাহলে আমরা তাকে গোসল দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবো।তাই জলদি চলো।দৌড়াতে দৌড়াতে পৌঁছে দেখলেন হযরত সাদ রা.এর মৃতদেহ ঘরে পড়ে আছে।ঘরে কেউ নেই।হযরত সাহাবায়ে কেরাম বাহিরে দাড়িয়ে রইলেন। রাসুল সা.ভিতরে গেলেন।ভিতরে কিভাবে গেলেন?যেমন খতিব সাহেব বয়ান করা অবস্হায় কেও যদি তার সামনে যেতে চাই তাহলে তাকে কখনো ডানদিক আবার কখনো বামদিক দিয়ে আসতে হবে সরাসরি আসতে পারবে না, কারন তার সামনের রাস্তা লোকে লোকারণ্য। ঠীক তেমনিভাবে সাহাবায়ে কেরাম বাহিরে থেকে দেখতে পেলেন, হুজুর সা. কখনো এ-দিক পা রাখছেন।কখনো ও-দিক পা ফেলছেন। কখনো পা পুরাটা মাটিতে রাখছেন। কখনো অর্ধেক পা।তারপর সাদ রা.এর মাথার কাছে গিয়ে সংকুচিত হয়ে বসলেন।সাহাবায়ে কেরাম নিবেদন করলেন,য়া রাসুলুল্লাহ, কেন আপনি অমন করলেন?আমরা তো ঘরে কাউকে দেখছি না।রাসুল সা.ইরশাদ করলেন,ঘরে ফেরেশতা এতো বেশি ছিলো যে,পা রাখার জায়গাটুকু পর্যন্ত ছিলো না।এইমাএ একজন ফেরেশতা তার ডানা সংকুচিত করে আমার বসার জায়গা বানিয়েছে।আমাদের মৃত্যু যেন এমন হয়।মরলে এভাবেই মরা উচিত আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুক।আমিন..........


এই হচ্ছে সফল জীবন


"হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) এর মা বলেছিলেন যাও বেটা আমি তোমাকে,


আল্লাহর দ্বীনের জন্য (ওয়াক্বফ) করে দিলাম।


আজ যদি কোনো মা-বাবা শুনতে পায় তার ছেলে আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে তাহলে সাথে সাথে তাকে পাঠিয়ে দিবে । অতি বৃদ্ধ মা-বাবাও বলবে না , না বাবা যেও না । বরং তাকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সকলেই ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পড়বে


অথচ আমাদের পিছনে এমন একটা সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন মা তার আদরের দুলালকে আল্লাহর দীনের জন্য বিসর্জন দিতেন।


"মায়ের আদরের দুলাল সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)


ঘর থেকে বের হলেন, আর এখন মুরুব্বীরা তো মাত্র এক চিল্লা বা চার মাসের কথা বলেন। হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) ঊনিশ


বছর পর ঘরে ফিরে এসেছিলেন, সেই মা ও কেমন ছিলেন! ঘরে ফিরেছেন রাতের বেলা। দরজায় কড়া নেড়েছেন।


মাকে আল্লাহ পাক হায়াত ও দিয়েছিলেন।


মা জীবিত ছিলেন, ভিতর থেকে বললেন কে ?


বললেন তোমার পুত্র সুফিয়ান, তাৎক্ষণিক মা বললেন বাবা কাউকে কোনো জিনিস উপহার দিয়ে তা ফিরত নেওয়া খুবই অপমানজনক। আমি তো তোমাকে আল্লাহ্‌র কাছে দিয়ে দিয়েছি। তোমাকে ফিরিয়ে নেওয়া বড়ই


অপমানের বিষয় মনে হচ্ছে। তোমার জন্য এই


দুনিয়াতে আমি দরজা খুলতে পারবোনা।


তুমি আল্লাহ্‌র রাস্তায় ফিরে যাও, কেয়ামতের দিন সাক্ষাৎ হবে। সেই দিনই সান্ত্বনা লাভ করবো ইনশাআল্লাহ। মা দরজা খোলেননি সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) ফিরে গেছেন ।


তারপর এই সুফিয়ান সাওরী কোথায় পৌছেছেন ? মা যত বড় তার সন্তান ততটাই বড় হবে। 'বাদশাহ আবু জাফর মনসুরের বিরুদ্ধে


খোলামেলা ফতোয়া দিয়েছেন।


মনসুর বলে পাঠিয়েছে আমি মক্কায় আসছি ।


আমি আসার আগেই শূলি প্রস্তুত করে রাখো । আমি এসেই সুফিয়ান সাওরী কে শূলিতে দেবো, সুফিয়ান সাওরী বিখ্যাত তাপস ফুযাইল ইবনে


আয়ায (রহঃ) এর কোলে মাথা রেখে বিশ্রাম করছেন স্থান ও পবিত্র হারাম শরীফ।


এমন সময়, বিখ্যাত মুহাদ্দিস সুফিয়ান ইবনে ওয়াইনা (রহঃ) ছুটে আসলেন। এসেই বলতে লাগলেন সুফিয়ান ! সর্বনাশ হয়েছে।


কি সর্বনাশ ? বাদশাহ মনসুর তোমাকে শূলির আদেশ দিয়েছেন।তোমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে এখান থেকে সরে যাও। সুফিয়ান সাওরী বললেন আসলেই সে একথা বলেছে ? হাঁ বলেছে। আমি পালিয়ে যাব ?


এটা কোনো কথা হলো ? সেখান থেকে


সোজা চলে গেলেন বাইতুল্লাহর সামনে। মুলাতাযিম চেপে ধরে ফরিয়াদ করলেন হে আল্লাহ! তুমি যদি মনসুরকে মক্কায় ঢুকতে দাও তাহলে তোমার সাথে আমার কোনো বন্ধুত্ব নেই। হায়রে মক্কা কেন মনসুর তায়েফেও প্রবেশ করতে পারেনি । দুর্ভাগা তাহাকে তায়েফে প্রবেশ করার আগেই মৃত্যুর কোলে আশ্রয় নিয়েছে॥ কেমন ঈমান ওয়ালা তাহারা ছিলেন।


-আল্লাহু-আকবার, আল্লাহু-আকবার


আল্লাহ'র সাথে আল্লাহ'র মহব্বতের বান্দাদের


সম্পর্ক এমনই হয়। এমন করেই আল্লাহ তাঁর মহব্বতের বান্দাকে গুরুত্ব দেন।সেই মহব্বতে রাজা-বাদশাহও ধূলিসাৎ হয়ে যায়।


সংগৃহীত


* শবে মেরাজের রোযা ৷

No comments

Powered by Blogger.