Header Ads

Header ADS

 57/ 177 গুনাহ সূদ




* হে ঈমানদারগণ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো-ইমরান:130


يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبٰوٓا أَضْعٰفًا مُّضٰعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


* মানুষের ধারণা সূদখোররা কুটি পতি হয়ে যাচ্ছে, খুব শান্তিতে আছে,না এ ধারণা ভুল,সূদ মানুষকে ধ্বংস করে ছারবেই,সূদ খোর আল্লাহ‌ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারী পাপী বান্দা-বাক্বারাহ:276


يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبٰوا وَيُرْبِى الصَّدَقٰتِ ۗ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ


* যে ব্যক্তি আমার “যিকির” (উপদেশমালা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জন্য হবে দুনিয়ায় সংকীর্ণ জীবন,২০: ত্ব-হা-১২৪


وَ مَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِیْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِیْشَةً ضَنْكًا وَّ نَحْشُرُهٗ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ اَعْمٰى


* সমপরিমাণ স্বর্ণের পরিবর্তে সমপরিমাণ স্বর্ণ হতে হবে-জামে' আত-তিরমিজি-১২৪০


عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ ‏"‏ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الْبُرَّ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الشَّعِيرَ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ 


* যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো সূদের বকেয়া ছেরে দাও-বাক্বারাহ:278


يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِىَ مِنَ الرِّبٰوٓا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ,


* যদি সূদের বকেয়া না ছার, তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা রইল-বাক্বারাহ:279


فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ


* মানুষ রুপি জানুয়ারদের পরিচয় আমাদের জানিয়েছেন,সুরা-আরাফ-179


وَ لَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِیْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ ﳲ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا یَفْقَهُوْنَ بِهَا٘-وَ لَهُمْ اَعْیُنٌ لَّا یُبْصِرُوْنَ بِهَا٘-وَ لَهُمْ اٰذَانٌ لَّا یَسْمَعُوْنَ بِهَاؕ-أُولَٰئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّؕ-أُولَٰئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ


* মিরাজের রাতে রাসূল সা: কে এমন একদল লকের কাছে নিয়ে আসা হলো,পেট ছিল ঘরের মত বিশাল-সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৩:দুর্বল


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ ﷺ "‏ أَتَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عَلَى قَوْمٍ بُطُونُهُمْ كَالْبُيُوتِ فِيهَا الْحَيَّاتُ تُرَى مِنْ خَارِجِ بُطُونِهِمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرَائِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ أَكَلَةُ الرِّبَا


* সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে।সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৪


الرِّبَا سَبْعُونَ (جُزْءًا) حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ


নামাজ না পরলে মায়ের সাথে যেনা করার সমান গুনাহ হয় না,সূদের সাথে সম্পৃক্ত চারো জন মায়ের সাথে যেনা করার সমান গুনাহগার হবে


* যে ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলো, ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন,মিশকাত হা/২৮২৫ ঊপদেশ ১২৯


دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَة


* রাসূল সা: লা’নত করেছেন, সুদখোর, সুদদাতা,লেখক ও তার সাক্ষী দু’জনের উপর-


সহিহ মুসলিম-৩৯৮৫


عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ : آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ


* সূদের সাথে সম্পৃক্ত অবস্হায় মৃত্যু বরণকারী জীন,ভূতে ধরা রোগীর মতো হাসরের ময়দানে উঠবে,শেষ পরিনাম হবে জাহান্নাম-বাক্বারাহ:275


الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبٰوا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِى يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبٰوا ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَانتَهٰى فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ


* সূদখোররা গরীবদের সেবার নামে শোষণ করে যাচ্ছে,সেবা দুই ভাবে করা যায়,ফেরত মুক্ত দান, মুনাফা মুক্ত ঋন, তারা বলে সূদতো ব্যবসার মতো হালাল, কাজ এক সন্তান কেন অবৈধ


* সূদখোরের নামায,রোজা,হজ্জ কোন ইবাদত কবুল হবে না


* মৃত্যুর সময় সূদ খোরের মুখে কালেমা নসিব হবেনা,মালেক দীনার র: মুমূর্ষু রোগীকে কালমায়ে শাহাদাত তালকীন দিতে থাকেন,লোকটি কালেমার পরিবর্তে বলতে শুরু করল, দশ এগার বারো,কি হলো তোমার? লোকটি বলল,কালেমা পড়ার ইচ্ছা করা মাত্র দেখি আগুনের শিখা আমার দিকে ধেয়ে আসে,মালেক দীনার র: বলেন, লোকটি মাপে কম দিত,সূদের কারবার করতো- তাজ: আউ: পৃ: 44




11/42 সূদ




* হে ঈমানদারগণ! এ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো-ইমরান:130




يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبٰوٓا أَضْعٰفًا مُّضٰعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ




হে ঈমানদারগণ! এ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো৯৮ এবং আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।




* যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো সূদের বকেয়া ছেরে দাও,না ছারলে ইমান আছে না গেছে?-বাক্বারাহ:278




يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِىَ مِنَ الرِّبٰوٓا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ




হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং লোকদের কাছে তোমাদের যে সুদ বাকি রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও, যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো।




* যদি সূদের বকেয়া না ছার তবে জানিয়া রাখ আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা রইল-বাক্বারাহ:279




فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ




* জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন,মিশকাত হা/২৮২৫ ঊপদেশ ১২৯




عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيْلِ الْمَلاَئِكَةِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَةً.




আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে’ (আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৮২৫; বাংলা মিশকাত হা/২৭০১)।


  




ঊপদেশ, হাদিস নং ১২৯


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* সূদ খোর আল্লাহ‌ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারী পাপী বান্দা-বাক্বারাহ:276




يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبٰوا وَيُرْبِى الصَّدَقٰتِ ۗ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ




আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত ও বিকশিত করেন।৩২০ আর আল্লাহ‌ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারীকে পছন্দ করেন না।৩২১




* সূদের সাথে সম্পৃক্ত অবস্হায় মৃত্যু বরণকারী জাহান্নামে যাবে


2:আল-বাক্বারাহ:275




الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبٰوا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِى يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبٰوا ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَانتَهٰى فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ




কিন্তু যারা সুদ খায়৩১৫ তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে।৩১৬ তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ব্যবসা তো সুদেরই মতো।”৩১৭ অথচ আল্লাহ‌ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।৩১৮ কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে।৩১৯ আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।




* মৃত্যুর সময় সূদ খোরের মুখে কালেমা নসিব হবেনা- তাজ: আউ: পৃ:




* সমপরিমাণ স্বর্ণের পরিবর্তে সমপরিমাণ স্বর্ণ হতে হবে-জামে' আত-তিরমিজি-১২৪০


حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الْبُرَّ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الشَّعِيرَ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَبِلاَلٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏"‏ بِيعُوا الْبُرَّ بِالشَّعِيرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ عُبَادَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْحَدِيثَ وَزَادَ فِيهِ قَالَ خَالِدٌ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ ‏"‏ بِيعُوا الْبُرَّ بِالشَّعِيرِ كَيْفَ شِئْتُمْ ‏"‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يُبَاعَ الْبُرُّ بِالْبُرِّ إِلاَّ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ إِلاَّ مِثْلاً بِمِثْلٍ فَإِذَا اخْتَلَفَ الأَصْنَافُ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يُبَاعَ مُتَفَاضِلاً إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ ‏.‏ وَهَذَا قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَالْحُجَّةُ فِي ذَلِكَ قَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بِيعُوا الشَّعِيرَ بِالْبُرِّ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ تُبَاعَ الْحِنْطَةُ بِالشَّعِيرِ إِلاَّ مِثْلاً بِمِثْلٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏




উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সমপরিমাণ স্বর্ণের পরিবর্তে সমপরিমাণ স্বর্ণ হতে হবে; সমপরিমাণ রূপার পরিবর্তে সমপরিমাণ রূপা হতে হবে; সমপরিমাণ খেজুরের পরিবর্তে সমপরিমাণ খেজুর হতে হবে; সমপরিমাণ গমের পরিবর্তে সমপরিমাণ গম হতে হবে; সমপরিমাণ লবণের পরিবর্তে সমপরিমাণ লবণ হতে হবে এবং সমপরিমাণ যবের পরিবর্তে সমপরিমাণ যব হতে হবে। যে লোক এ সবের লেনদেনে বেশি পরিমাণ দিবে অথবা নিবে সে সূদে লেনদেনকারী বলে বিবেচিত হবে। তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী রূপার পরিমাণের পরিবর্তে স্বর্ণের পরিমাণ নির্ধারণ করে নগদ বিক্রয় করতে পার। তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী খেজুরের পরিমাণের পরিবর্তে গমের পরিমাণ নির্ধারণ করে নগদ বিক্রয় করতে পার। তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী খেজুরের পরিমাণের পরিবর্তে যবের পরিমাণ ঠিক করে নগদ বিক্রয় করতে পার। 




সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২৫৪), মুসলিম




ফুটনোটঃ


আবূ সাঈদ, আবূ হুরাইরা, বিলাল ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। উল্লেখিত হাদীসের অপর এক বর্ণনায় আছেঃ “তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী গমের পরিমাণের পরিবর্তে যবের পরিমাণ নির্ধারণ করে নগদ বিক্রয় করতে পার”। আর এক বর্ণনায় আছেঃ “তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী বার্লির পরিমাণের পরিবর্তে গমের পরিমাণ নির্ধারণ করে (পরিমাণে কম-বেশি করে) নগদ বিক্রয় করতে পার”। এ হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করেছেন। তাদের মতে, সমপরিমাণ গমের পরিবর্তে সমপরিমাণ গম এবং সমপরিমাণ যবের পরিবর্তে সম-পরিমাণ যব বিক্রয় করতে কোন সমস্যা নেই। বিনিময়ের বস্তু দুটি যদি একই প্রজাতির না হয় তাহলে পরিমাণে কম-বেশি হলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে নগদ আদান-প্রদান হতে হবে। এই মত প্রকাশ করেছেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ। সুফিয়ান সাওরী, আহ্‌মাদ ও ইসহাকেরও এই মত। শাফিঈ বলেন, এ কথার দলীল হল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ “তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী গমের পরিমাণের পরিবর্তে যবের পরিমাণ ঠিক করে নগদ বিক্রয় করতে পার”। একদল আলিমের মতে যবের পরিবর্তে গমের পরিমাণ বেশি নির্ধারণ করে বিক্রয় করা মাকরূহ্‌, উভয়ের পরিমাণ সমান থাকতে হবে। ইমাম মালিক এই মত পোষণ করেন। কিন্তু প্রথম মতই অনেক বেশি সহীহ্‌ । 




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২৪০


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




দুই


* সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে।সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৪


الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ ‏"‏ ‏.‏




حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ ‏"‏ ‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা। [২২৭৪]




ফুটনোটঃ


[২২৭৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব ৩/৫০,৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মা'শার সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি সিকাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম তিরমিযি বলেন, তার মুখস্ত করার আগে হাদিস বর্ণনার ব্যাপারে কিছু আহলে ইলম সমালোচনা করেছেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৩৮৬, ২৯/৩২২ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবু মা'শার এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১২ টি খুবই দুর্বল, ২২ টি দুর্বল হাদিস পাওয়া যায় কিন্তু সহিহ শাহিদ হাদিস পাওয়া যায় না। 




সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৪


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* লা’নত সুদখোর, সুদদাতা,লেখক ও তার সাক্ষী দু’জনের উপর-


সহিহ মুসলিম-৩৯৮৫


آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ




حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالُوا حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ ‏.‏




জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লা’নত করেছেন সুদখোরের উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও তার সাক্ষী দু’জনের উপর এবং বলেছেন এরা সবাই সমান। (ই. ফা. ৩৯৪৮, ই. সে. ৩৯৪৭)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৯৮৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


ছহীহ মুসলিমে জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন সুদখোরকে, সুদ দাতাকে, সুদের লিখককে এবং তার দুই সাক্ষিকে। তিনি বলেন, পাপের ক্ষেত্রে সকলেই এক সমান।




নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, সুদের মধ্যে সত্তরটির মত পাপ রয়েছে। তম্মধ্যে সবচেয়ে সহজ পাপটি হচ্ছে নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা। (ইবনু মাজাহ্‌ হা/২২৭৪)


রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)




 আরো বলেন, دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (আহমাদ, সিলসিলা ছহীহা হা/ ১০৩৩)




জাহান্নামের মধ্যে সুদখোরের শাস্তি সম্পর্কে একটি দীর্ঘ হাদীছে বলা হয়েছে। নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বপ্নে দু’জন ফেরেশতার সাথে জান্নাত-জাহান্নাম দেখেছেন, জাহান্নামে বিভিন্ন অপরাধীদের শাস্তির ধরণ অবলোকন করেছেন। তিনি দেখেছেন, জনৈক ব্যক্তি একটি রক্তের নদীতে সাঁতার কাটছে। নদীর তীরে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন ব্যক্তি। লোকটি সাঁতার কাটতে কাটতে যখনই কিনারে আসছে তখন তীরে দন্ডায়মান লোকটি পাথরটি তার মুখে নিক্ষেপ করছে, তখন সে পূর্বের স্থানে নদীর মধ্যে চলে যাচ্ছে। এভাবে যখনই সে নদী থেকে বের হতে চাচ্ছে, তাকে পাথর মেরে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে তার শাস্তি চলছেই। নদীর মধ্যের লোকটি হচ্ছে সুদখোর। (বুখারী ও মুসলিম)




বর্তমানের অধিকাংশ ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে মানুষকে ইন্টারেষ্ট (সুদ) দিয়ে থাকে। এজন্য সে সকল ব্যাংকে টাকা জমা রাখা উচিত নয়। কেননা এতে তাদেরকে হারাম কাজে সহযোগিতা করা হয়। আর আল্লাহ বলেন, وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ তোমরা পরস্পরকে সৎ ও আল্লাহ ভীতির কাজে সহযোগিতা কর এবং গুনাহ ও শত্রুতার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। (সূরা মায়েদা- ২)




______________


সূদ




* হে ঈমানদারগণ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো-ইমরান:130


يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبٰوٓا أَضْعٰفًا مُّضٰعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


* সমপরিমাণ স্বর্ণের পরিবর্তে সমপরিমাণ স্বর্ণ হতে হবে-জামে' আত-তিরমিজি-১২৪০


عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الْبُرَّ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الشَّعِيرَ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ 


* যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো সূদের বকেয়া ছেরে দাও,না ছারলে ইমান আছে না গেছে?-বাক্বারাহ:278


يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِىَ مِنَ الرِّبٰوٓا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ,


* যদি সূদের বকেয়া না ছার তবে জানিয়া রাখ আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা রইল-বাক্বারাহ:279


فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ


* সূদ খোর আল্লাহ‌ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারী পাপী বান্দা-বাক্বারাহ:276


يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبٰوا وَيُرْبِى الصَّدَقٰتِ ۗ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ


* লা’নত সুদখোর, সুদদাতা,লেখক ও তার সাক্ষী দু’জনের উপর-


সহিহ মুসলিম-৩৯৮৫


آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ


* জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন,মিশকাত হা/২৮২৫ ঊপদেশ ১২৯


دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَة


* সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে।সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৪


الرِّبَا سَبْعُونَ (جُزْءًا) حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ


* সূদের সাথে সম্পৃক্ত অবস্হায় মৃত্যু বরণকারী জাহান্নামে যাবে-বাক্বারাহ:275


الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبٰوا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِى يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبٰوا ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَانتَهٰى فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ


* মৃত্যুর সময় সূদ খোরের মুখে কালেমা নসিব হবেনা,মালেক দীনার র: কথায় লোকটি কালেমার পরিবর্তে বলে দশ এগার,মাপে কম দিত,সূদ লইত- তাজ: আউ: পৃ: 44




________




( فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى - যে লোক এ সবের লেনদেনে বেশি পরিমাণ দিবে অথবা নিবে সে সূদে লেনদেনকারী বলে বিবেচিত হবে। )


( )


( )


( )


( )

No comments

Powered by Blogger.