Header Ads

Header ADS
98 স্বামী স্ত্রীর হক ও পরস্পর ভালবাসা

* আমার মনে করলে ঐ জিনিস মুহাব্বত আসে স্ত্রী আমার সেন্ডেল আমার

৩০: আর-রূম: ২১

وَ مِنْ اٰیٰتِهٖۤ اَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْۤا اِلَیْهَا وَ جَعَلَ بَیْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّ رَحْمَةً١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ

* স্বামী স্ত্রীর মুহাব্বত জান্নাতি নেয়ামত। একটা পোশাক বলা হয়েছে। আংগুল কাটলে চোখে পানি আসে

* স্বাভাবিক ভাবেই সকল স্ত্রীদের মধ্যে একটা বক্রতার স্বভাব থাকবেই। কারণ তারা স্বামীর পাঁজরের হাড়ে তৈরি

* স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তার একটি উত্তম উদাহরণ রয়েছে হযরত ওমর (রাঃ)-এর জীবনে।এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল বেশ মুখরা ও ঝগড়াটে। যা খাবে খাওয়াবে । এক সাথে স্ত্রীদের নিয়ে নবীজী খাইতেন। আয়েশা রা আংগুল ফেটে রক্ত বের হয় এটার নাম মুহাব্বত

* স্ত্রী যদি মন্দ স্বভাবের হয় স্বামীর ভোগান্তির শেষ নেই। হাসান বসরী (রহ.) বলেছেন: আমি মক্কার বাজারে গেলাম। কাপড় কিনতে। দোকানদার শুরু থেকেই

কাপড়ের প্রশংসা করতে শুরু করলো।ক্ষণে ক্ষণে শপথ করে বলতে লাগলো: তার কাপড়ই বাজারের সেরা, ইত্যাদি।

* পরস্পর পরস্পরের প্রতি মুহাব্বতের সাথে সাথে দীনের উপর চলতে সহায়তা করবে। নামায স্বামীর উপার্জন বৈধ কিনা লক্ষ্য রাখবে

* স্ত্রীরা যদি স্বামীর উপার্জনের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতো অবৈধ টাকা ঘরে আসতো না, এক স্ত্রী তার স্বামীকে কাজে যাওয়ার পথে উপদেশ দিচ্ছেন, স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে,

আমি আমার

কাজে গেলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়

স্ত্রী পেছন থেকে স্বামীর জামা টেনে ধরলেন।

____________________________________

74 স্ত্রীর হক স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা

৩০: আর-রূম,:আয়াত: ২১,

وَ مِنْ اٰیٰتِهٖۤ اَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْۤا اِلَیْهَا وَ جَعَلَ بَیْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّ رَحْمَةً١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই জাতি থেকে সৃষ্টি করেছেন স্ত্রীগণকে, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। অবশ্যই এর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।

* স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তার একটি উত্তম উদাহরণ রয়েছে হযরত ওমর (রাঃ)-এর জীবনে। খলিফা হযরত ওমরের খেলাফত কালের ঘটনা। এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল বেশ মুখরা ও ঝগড়াটে। সব সময় সে স্বমীকে জ্বালাতন করত। স্বামী বেচারা স্ত্রীর দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে এ ব্যাপারে নালিশ জানাতে একদিন সে হাজির হল হযরত ওমর (রাঃ) এর দরবারে। সে হযরত ওমরের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে খলিফার বের হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগল। এ সময় সে শুনতে পেল খলিফাকে তাঁর বিবি কঠোর ভাষায় বকাবকি করছেন। কিন্তু হযরত ওমর (রাঃ) কোন জওয়াব দিচ্ছেন না , বরং নীরবে সব শুনে যাচ্ছেন। এ ভাবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে লোকটি চলে যেতে উদ্যত হল। সে মনে মনে ভাবল, এমন প্রতাপশালী খলিফার যখন এমন হাল তখন আমি আর কোন ছাই।

এমন সময় খলিফা বাড়ির বের হয়ে দেখতে পেলেন লোকটি চলে যাচ্ছে। তিনি লোকটিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ“ কি হে বাপু, তুমি এলেই বা কেন, আর কিছু না বলে চলে যাচ্ছ কেন? ”

লোকটি জওয়াব দিল, “হুজুর, আমার স্ত্রী আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে , কথায় কথায় ঝগড়া করে । তার বিরুদ্ধে নালিশ করার জন্য আপনার দরবারে এসেছিলাম। কিন্ত দেখতে পেলাম আপনার হাল আমার চেয়ে ভাল নয়। তাই কিছু না বলেই চলে যাচ্ছি।”

হযরত ওমর (রাঃ) বললেন : “শোন ভাই, আমার উপর আমার বিবি সাহেবার বেশ কিছু অধিকার কাছে, আমি তাই তার এ বকাবকি সহ্য করছি। দেখ সে আমার খাবার রান্না করে, রুটি বানায়, কাপড় চোপড় ধোয় , বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায়। অথচ এ সব কাজ তার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, সে স্বেচ্ছায়ই এ সব করে। এ সব কাজ করে সে আমাকে হারাম উপার্জন থেকে বাচিয়ে রাখে। এখন বল আমি কি তাকে সহ্য না করে পারি?”

লোকটি বললঃ “আমিরুল মুমিনীন,আমার বিবিও তো এরূপ। ”

হযরত ওমর (রাঃ) বললেন , “তা হলে তাকে সহ্য করতে থাক, ভাই । দুনিয়ার জীবনটা তো নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। ” 

খলিফাতুল মুসলিমীন- এর এ ভাষণ থেকে স্বামীদের শিক্ষা গ্রহণ করে স্ত্রীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ নূর নবী (সঃ) বলেছেনঃ ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐ ব্যক্তি, যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সব চেয়ে ভাল ব্যবহার করে।’

* হাসান বসরী (রহ.) বলেছেন:

-আমি মক্কার বাজারে গেলাম।

কাপড় কিনতে। দোকানদার শুরু থেকেই

কাপড়ের প্রশংসা করতে শুরু করলো।

ক্ষণে ক্ষণে শপথ করে বলতে

লাগলো:তার

কাপড়ই বাজারের সেরা, ইত্যাদি।

আমি কাপড় না কিনেই দোকান

থেকে

বেরিয়ে এলাম। এমন লোকের কাছ

থেকে

কিছু কেনা নিরাপদ নয়।দুই বছর পর

আবার

হজে গেলাম। আবার কাপড় কিনতে

গেলাম। অদূরে দাঁড়িয়ে লোকটার

প্রতি লক্ষ রাখলাম। নাহ, আগের মতো

প্রশংসা-শপথ কোনওটাই করছে না।

ক্রেতা নিজের পছন্দ মতো

কেনাকাটা

করছে।আমি এগিয়ে গেলাম। জানতে

চাইলাম:-তুমি কি অমুক লোক নও?

-জ্বি।

-তাহলে তোমার এই পরিবর্তনের

কারণ কী?

-তখন আমার ঘরে প্রথম স্ত্রী ছিল।

আমি যদি সন্ধ্যায় অল্প টাকা নিয়ে

ফিরতাম সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে

আমার

রাতটাকে মাটি করে দিত। আর যত

বেশি টাকাই নিয়ে যেতাম,তার

চোখে

লাগত না। আরও বেশি কেন রুজি

করলাম না,

তা নিয়ে উঠতে-বসতে খোঁটা শুনতে

হতো।

তার বাপের বাড়ির দোহাই দিত!

-তারপর?

-আল্লাহ আমার দিকে ফিরে

তাকিয়েছেন। আমার প্রথম স্ত্রী

মারা গেছে। আমি দ্বিতীয় বিয়ে

করেছি। বিয়ের পরদিন বাজারে

আসছি, বউ

পেছন থেকে আমার জামা টেনে

গতি

রোধ

করে বললো:শুনুন! আল্লাহকে ভয় করে

চলবেন।

আমাদেরকে হালাল খাওয়াবেন।

গুনাহ

করে

বেশি কামানোর প্রয়োজন নেই।

আপনি

হালাল পথে কম রোজগার নিয়ে

এলেও,

সেটাকে আমি পরম সমাদরে অনেক

বেশি মনে করবো। আপনি যদি কিছু

না নিয়েই বা রাতে ফেরেন,সেটাই

আল্লাহর

ফয়সালা বলে,খালি পেটে ঘুমিয়ে

পড়বো।

তবুও হারামের পথে যাবেন না। এই ধরনের বিবি কয়জনের মিলে। প্রত্যেকটা স্ত্রীর দায়িত্ব ছিল স্বামীর উপার্জনের দিকে খেয়াল রাখা

* পরস্পর পরস্পরের প্রতি মুহাব্বতের সাথে সাথে দীনের উপর চলতে সহায়তা করবে। নামায স্বামীর উপার্জন বৈধ কিনা লক্ষ্য রাখবে

* স্ত্রীরা যদি স্বামীর উপার্জনের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতো অবৈধ টাকা ঘরে আসতো না, এক স্ত্রী তার স্বামীকে কাজে যাওয়ার পথে উপদেশ দিচ্ছেন

স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে,

আমি আমার

কাজে গেলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়

স্ত্রী পেছন থেকে স্বামীর

জামা টেনে ধরলেন।

তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল,

স্বামী বলল,

হুম তোমার সমস্ত কথা শুনার জন্য

আমি প্রস্তুত আছি।

স্ত্রী তার স্বামীকে বলল,

তুমি যে ভাবেই

উপার্জন করে আনোনা কেন?

সেটা আমার জন্য হালাল,

কিন্তু আমি চাই তুমি

আমাদের জন্য পরিপূর্ণ হালাল রুজি

রোজগার করবে,

সবার স্ত্রী যদি ৫ লক্ষ

টাকার শাড়ি চায়,

তবে আমি তোমার

কাছে চাইবো এতটুকু বস্ত্র,

যা দিয়ে আমি

আমার আব্রু ঢেকে রাখতে পারবো।

কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর নিকট শান,

শৌকত ইমারত চায়,

তবে আমি তোমার নিকট

চাইবো ছোট একটা কুঠির ঘর,

যাহাতে কোন মতো রাত্রি যাপন করতে

পারি।

কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর নিকট স্বর্ণ

অলংকার চাই,

তবে আমি চাইবোনা,

আমি চাইবো আল্লাহ তোমার চরিত্র

স্বর্নের

মতো খাঁটি করুক,

প্রতিদিন গোস্ত পোলাও

খেতে চাইনা,

দামী রেস্টুরেন্টের কোন

ফাস্ট ফুডস খেতে চাইবোনা,

আমি দুদিন না খেয়েও থাকতে পারবো,

কিন্তু হালাল উপার্জনের একমুঠো খাবার

আমাকে

দিলেই চলবে।

তোমাকে আমি গোলামের মতো নয়,

বাদশার মতো মনে করি,

জুতার মতো তোমার স্থান পায়ে নয়,

তুমি আমার মাথার তাজ,

হৃদয়ের সব ভালবাসা তোমার

জন্য।

তোমার নিকট আমার একটাই চাওয়া,

ফরজ কাজ গুলো কখনোই অমান্য করবেনা,

নবীর সুন্নত মোতাবেক জীবন সাজাবে।

স্বামী এতক্ষণে চুপ করে সব শুনছিলেন,

স্ত্রীর বলা শেষ হলে বললেন,

তুমি আমার

কাছে রাজরানীর চাইতেও বড় কিছু,

তোমার মতো স্ত্রী এ জগতে সেই পাবে,

যে পরম সৌভাগ্যবান,

তোমার প্রতিটি কথা,

আমার জীবন চলার পথে অনেক বড়

একটা অবলম্বন।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তোমার সাথে,

আমাকে জান্নাত নসিব করুক,

"আমিন"

No comments

Powered by Blogger.