Header Ads

Header ADS

148 রূহ

  148 রূহ 




মৃত্যুর পর মানুষের রুহ বা আত্মা কোথায় যায় এবং কোথায় অবস্থান করে। কিয়ামত সংঘটিত হবার পরে বিচার শেষে মানুষ জান্নাত বা জাহান্নামে অবস্থান করবে। কিন্তু এর পূর্বে সুদীর্ঘকাল মানুষের আত্মা কোথায় অবস্থান করবে? কোরআন-হাদীসে এর স্পষ্ট জবাব রয়েছে। মৃত্যুর পরের সময়টিকে যদিও পরকালের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে, তবুও কোরআন-হাদীস মৃত্যু ও বিচার দিনের মধ্যবর্তী সময়কে আলমে বরযখ নামে অভিহিত করেছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- এবং তাদের পেছনে রয়েছে বরযখ- যার সময়কাল হচ্ছে সেদিন পর্যন্ত যেদিন তাদেরকে পুনর্জীবিত ও পুনরুত্থিত করা হবে। (সূরা মুমিনুন-১০০) এই আয়াতে যে বরযখ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, এর অর্থ হলো যবনিকা পর্দা। অর্থাৎ পর্দায় আবৃত একটি জগৎ- যেখানে মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রুহ্ অবস্থান করবে। ইসলাম পাঁচটি জগতের ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছে। প্রথম জগৎ হলো, রুহ্ বা আত্মার জগৎ- যাকে আলমে আরওয়াহ্ বলা হয়েছে। দ্বিতীয় জগৎ হলো মাতৃগর্ভ বা আলমে রেহেম। তৃতীয় জগৎ হলো আলমে আজসাম বা বস্তুজগৎ- অর্থাৎ এই পৃথিবী। চতুর্থ জগৎ হলো আলমে বরযাখ বা মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে সুক্ষ্ম জগৎ রয়েছে, যেখানে মানুষের আত্মা অবস্থান করছে। পঞ্চম জগৎ হলো আলমে আখিরাত বা পুনরুত্থানের পরে অনন্তকালের জগৎ। এ কথা স্পষ্ট মনে রাখতে হবে যে, রুহ বা আত্মার কখনো মৃত্যু হয় না। মৃত্যুর পর এই পৃথিবী থেকে আত্মা আলমে বরযখে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ আত্মা দেহ ত্যাগ করে মাত্র, তার মৃত্যু হয় না। আলমে বরযখের বিশেষভাবে নির্দিষ্ট যে অংশে আত্মা অবস্থান করে সে বিশেষ অংশের নামই হলো কবর।




কবরে রুহের জগতে মৃত্যুর পর মানুষের আত্তা চলে যায়।এবং দুভাগে বিভক্ত হয়।ভাল আত্না গুলো ইল্লিনে থাকে আর খারাপ আত্না গুলো সিজজীনে থাকে। এবং থাকবে কিয়ামত পর্যন্তু।




* মুমেনের মৃত্যুতে আসমান জমিন সেজদার স্হান কান্দে- 


فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَا۬ءُ وَالْأَرْضُ) 


(দোখান- ২৯)


অর্থাৎ তারা এমন কোন ভাল কাজ করেনি যার জন্য আকাশ-জমিন তাদের জন্য কাঁদবে বরং তাদেরকে ধ্বংস করার কারণে আকাশ-জমিন স্বস্তিবোধ করেছে। একাধিক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, কোন সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি মারা গেলে আকাশ-জমিন ক্রন্দন করে। 




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে স্বস্তি পেয়েছে এবং তার থেকেও স্বস্তি পেয়েছে। সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ‘সে স্বস্তি পেয়েছে এবং তার থেকেও স্বস্তি পেয়েছে’ এর অর্থ কী? তিনি বললেন, যদি মৃত ব্যক্তি মু’মিন বান্দা হয়ে থাকে তাহলে সে দুনিয়ার কষ্ট-মসিবত থেকে স্বস্তি লাভ করেছে। আর যদি মৃত ব্যক্তি পাপিষ্ট হয় তাহলে তার (তার অত্যাচার-নির্যাতন) থেকে দুনিয়ার মানুষ, দেশ, গাছ-পালা ও পশুপাখি স্বস্তি পেয়েছে। (সহীহ বুখারী হা. ৬৫১২,সহীহ মুসলিম হা. ২২৪৫) 


إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ الأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُرَّ عَلَيْهِ بِجِنَازَةٍ فَقَالَ مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ مَا الْمُسْتَرِيحُ وَالْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ قَالَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا إِلَى رَحْمَةِ اللهِ وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلاَدُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ




ক্বাতাদাহ ইব্‌নু রিবঈ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




একবার রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হলো। তিনি বললেনঃ সে সুখী অথবা (অন্য লোকেরা) তার থেকে শান্তি লাভকারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! ‘মুস্তারিহ’ ও মুস্তারাহ মিনহু’-এর অর্থ কি? তিনি বললেনঃ মু’মিন বান্দা দুনিয়ার কষ্ট ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহ্‌র রহমতের দিকে পৌঁছে শান্তি প্রাপ্ত হয়। আর গুনাহগার বান্দার আচার-আচরণ থেকে সকল মানুষ, শহর-বন্দর, বৃক্ষলতা ও জীবজন্তু শান্তি প্রাপ্ত হয়। [৬৫১৩; মুসলিম ১১/২১, হাঃ ৯৫০, আহমাদ ২২৬৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৮)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫১২


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* কিছু রূহ খুশি হয় আর কিছু রূহ আফসোস করে আসলে বিষয়টা কি? 




أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا حُضِرَ الْمُؤْمِنُ أَتَتْهُ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ بِحَرِيرَةٍ بَيْضَاءَ فَيَقُولُونَ: اخْرُجِي رَاضِيَةً مَرْضِيًّا عَنْكِ إِلَى رَوْحِ اللَّهِ، وَرَيْحَانٍ، وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ، فَتَخْرُجُ كَأَطْيَبِ رِيحِ الْمِسْكِ، حَتَّى أَنَّهُ لَيُنَاوِلُهُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ بَابَ السَّمَاءِ فَيَقُولُونَ: مَا أَطْيَبَ هَذِهِ الرِّيحَ الَّتِي جَاءَتْكُمْ مِنَ الْأَرْضِ، فَيَأْتُونَ بِهِ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَهُمْ أَشَدُّ فَرَحًا بِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ بِغَائِبِهِ يَقْدَمُ عَلَيْهِ، فَيَسْأَلُونَهُ: مَاذَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ مَاذَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ فَيَقُولُونَ: دَعُوهُ فَإِنَّهُ كَانَ فِي غَمِّ الدُّنْيَا، فَإِذَا قَالَ: أَمَا أَتَاكُمْ؟ قَالُوا: ذُهِبَ بِهِ إِلَى أُمِّهِ الْهَاوِيَةِ، وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا احْتُضِرَ أَتَتْهُ مَلَائِكَةُ الْعَذَابِ بِمِسْحٍ فَيَقُولُونَ: اخْرُجِي سَاخِطَةً مَسْخُوطًا عَلَيْكِ إِلَى عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَتَخْرُجُ كَأَنْتَنِ رِيحِ جِيفَةٍ، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ بَابَ الْأَرْضِ، فَيَقُولُونَ: مَا أَنْتَنَ هَذِهِ الرِّيحَ حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ أَرْوَاحَ الْكُفَّارِ "




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মু’মিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুর সম্মুখীন হয় তখন তার কাছে একদল রহমতের ফেরেশতা সাদা রেশমী কাপড় নিয়ে এসে (তার) আত্মাকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, “তুমি আল্লাহর তা’আলার রহমত এবং সন্তুষ্টির পানে বের হয়ে আস আল্লাহ তা’আলা তোমার উপর রুষ্ট নন; তুমি তাঁর উপর সন্তুষ্ট, তিনিও তোমার উপর সন্তুষ্ট। তখন আত্মা মেশকের সুঘ্রাণ অপেক্ষাও অধিক সুঘ্রান ছড়াতে ছড়াতে বের হয়ে আসে। যখন ফেরেশতাগণ সম্মানের খাতিরে আত্মাকে পর্যায়ক্রমে একজনের হাত থেকে অন্যজনের হাতে দিয়ে আসমানের দরজায় নিয়ে আসেন তখন তথাকার ফেরেশতাগণ বলতে থাকেন, “এ সুগন্ধি কত না উত্তম! যা তোমরা পৃথিবী থেকে নিয়ে আসলে। আর তাঁরা তাকে মু’মিনদের রুহসমূহের কাছে নিয়ে যান। তোমাদের কেউ প্রবাস থেকে আসলে তোমরা যেরূপ আনন্দিত হও, মু’মিনদের রূহও ঐ নবাগত রূহকে পেয়ে ততোধিক আনন্দিত হয়। মু’মিনদের রূহ নবাগত রূহকে জিজ্ঞাসা করে যে, অমুক ব্যক্তি দুনিয়াতে কি কাজ করেছে? অমুক ব্যক্তি দুনিয়াতে কি কাজ করেছে? তখন ফেরেশতারা বলেন, তার সম্পর্কে তোমরা কি জিজ্ঞাসা করবে? সে দুনিয়ার চিন্তা-ভাবনায় ছিল। যখন নবাগত রূহ বলেঃ সে কি তোমাদের কাছে আসেনি? তখন আসমানের ফেরেশতারা বলেনঃ তাকে তার বাসস্থান হাবিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর কাফির যখন তার মৃত্যুর সম্মুখীন হয় তখন তার কাছে আযাবের ফেরেশতারা চটের ছালা নিয়ে আগমন করে এবং আত্মাকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকে, “তুমি আল্লাহ তা’আলার আযাবের পানে বের হয়ে আস, তুমিও আল্লাহ তা’আলার উপর অসন্তুষ্ট, আল্লাহ তা’আলাও তোমার উপর অসুন্তষ্ট।” তখন সে মুর্দারের দুর্গন্ধ থেকেও অধিকতর দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে বের হয়ে আসে। যখন ফেরেশতারা তাকে নিয়ে দুনিয়ার আসমানের দরজায় পৌছে তখন তথাকার ফেরেশতারা বলতে থাকেঃ এ কি দুর্গন্ধ! এরপর ফেরেশতারা তাকে কাফিরদের আত্মাসমূহের কাছে নিয়ে যায়।


 


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৮৩৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* রূহ দেখা ধরা রং নাই প্রভুর আদেশ ,


 আবদুল্লাহ্ বিন মাস‘ঊদ (রাঃ) নবীর সাথ


ক্ষেতের মাঝে খেজুরের লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়েছিলেন




রূহ বা আত্মা কি ? 


রূহ বা আত্মা হলো মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হুকুম ৷ 


এটি দেখা যায় না ৷ 


মানুষের শরীরে বা মানব দেহে রূহ বা আত্মা থাকলে তখনই মানব দেহ সচল থাকে , এই রূহ বা আত্মা বা হুকুম যখনই মানব দেহ থেকে বের হয়ে যায় তখন আমরা মৃত বলি ৷ সুতরাং রূহ বা আত্মা হলো.... 


আল্লাহর হুকুম বা আদেশ ৷ যা চোখে দেখা যায় না, দৈর্ঘ-প্রস্থ, ওজন, রং কোনটাই নেই ৷ বিজ্ঞানীরা কিয়ামত পর্যন্ত গবেষণা করেও কোনো কুলকিনারা পাবে না ৷ যেমন পায় না, সাত আসমানের এক আসমানের কূলকিনারা বের করতে ৷


আসুন এ জীবনই শেষ নয়, আরো আরো জীবন আছে ৷ আখেরাতের জীবনের কথা ভাবি৷ 




عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَا أَنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَرْثٍ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى عَسِيْبٍ إِذْ مَرَّ الْيَهُوْدُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ سَلُوْهُ عَنْ الرُّوْحِ فَقَالَ مَا رَأْيُكُمْ إِلَيْهِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَا يَسْتَقْبِلُكُمْ بِشَيْءٍ تَكْرَهُوْنَهُ فَقَالُوْا سَلُوْهُ فَسَأَلُوْهُ عَنْ الرُّوْحِ فَأَمْسَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ شَيْئًا فَعَلِمْتُ أَنَّهُ يُوْحَى إِلَيْهِ فَقُمْتُ مَقَامِيْ فَلَمَّا نَزَلَ الْوَحْيُ قَالَ {وَيَسْئَلُوْنَكَ عَنِ الرُّوْحِ ط قُلِ الرُّوْحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّيْ وَمَآ أُوْتِيْتُمْ مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيْلًا}.




‘আবদুল্লাহ্ বিন মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, একদা আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে একটি ক্ষেতের মাঝে উপস্থিত ছিলাম। তিনি একটি খেজুরের লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময় কিছু সংখ্যক ইয়াহূদী যাচ্ছিল। তারা একে অন্যকে বলতে লাগল, তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। কেউ বলল, কেন তাকে জিজ্ঞেস করতে চাইছ? আবার কেউ বলল, তিনি এমন উত্তর দিবেন না, যা তোমরা অপছন্দ কর। তারপর তারা বলল যে, তাঁকে প্রশ্ন কর। এরপরে তাঁকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (উত্তরদানে) বিরত থাকলেন, এ সম্পর্কে তাদের কোন উত্তর দিলেন না। (বর্ণনাকারী বলছেন) আমি বুঝতে পারলাম, তাঁর ওপর ওয়াহী অবতীর্ণ হবে। আমি আমার জাযগায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হল, তখন তিনি [রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] বললেন, وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الرُّوحِ قُلْ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلًا “আর তারা আপনাকে ‘রূহ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলে দিন ঃ রূহ আমার রবের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে খুব সামান্যই জ্ঞান দেয়া হয়েছে” (সূরাহ বানী ইসরাঈল ১৭/৮৫)। [১২৫] (আ.প্র. ৪৩৬০, ই.ফা. ৪৩৬২)


  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৭২১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* এমন জিবন কররে গঠন


وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏"‏ ‏.‏ وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرٌّ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرًا فَقُلْتَ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏.‏ وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرٌّ فَقُلْتَ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَمَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ ‏"‏ ‏.




আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, একটি জানাযাহ্‌ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকেরা প্রশংসা করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে। (আরেকবার) একটা জানাযাহ্‌ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিন্তু লোকেরা তার দুর্নাম করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)তার সম্পর্কে ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে (তিনবার) বললেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার উপর আমার মা-বাপ উৎসর্গ হোক! একটা জানাযাহ্‌ অতিক্রম করলে তার প্রতি ভাল মন্তব্য করা হলে আপনি ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে বললেন! আর একটা জানাযাহ্‌ অতিক্রমকালে তার প্রতি খারাপ মন্তব্য করা হলে আপনি ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে-বললেন! রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)উত্তরে বললেনঃতোমরা যার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করেছ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। আর তোমরা যার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে। তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী, তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী, তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী। (ই.ফা. ২০৬৮, ই.সে. ২০৭৩)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২০৮৯


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

No comments

Powered by Blogger.