48 ইহকালে ও পরকালে ধনী ও গরীব কে?
* আমরা কাকে ধনী বলি? অনেকের ব্যাংক একাউন্ট নেই।মুলত সবায় ফকিরের গোষ্ঠী
* ধনী হইলে টাকা হইলেই খাবার খাওয়া যায় না তিনি যদি না খাওয়ান।
* আল্লাহ যাকে খাওয়ায় সেই খাইতে পারে। রাসূল সা: এক অভিযানে বের হলেন, মদিনায় চলছে তখন অর্থনৈতিক সংকট প্রায় দুর্ভিক্ষের মত অবস্থা। সৈন্য দলের জন্য রসদপত্র নেই বললেই চলে। নামমাত্র পথ পাথেয় স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রত্যেক সৈন্য কে বন্টন করে দিলেন। কিন্তু সাহাবী হুদাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কিছুই পেলেন না
* পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী হেনরি ফোর্ড ও তো না খাইয়া মারা গেছে। সুবাহান আল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তুমি বাঁচাও তুমি মার।অবিরত ক্ষমা কর।
ধরার যে জন,তাকেই ধর,তোমার মুঠোয় সবি আল্লাহ
* মনে রাখবেন সম্পদ থাকলে প্রকৃত ধনী নয় সুখী নয়। দীনদার ব্যক্তিরাই প্রকৃত ধনী ও সুখী। বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ ধনীকে দেখা গেল শুকনা পাতলা দূর্বল শরীর নিয়ে সকাল বেলায় পার্কে পায়চারী করছেন। তার একজন পরিচিত বন্ধু এসে জিজ্ঞাসা করলো, —আপনি কেমন আছেন, আপনি এত শুকিয়ে গেছেন কেন?'
* দুনিয়ার ব্যাংকে থাকলেই ধনী নয় আখেরাতের ব্যাংকে থাকলেই ধনী। সেদিন প্রত্যেকটি ব্যাংকের হিসাব হবে, প্রথম যে ব্যাংকের হিসাব হবে। আখেরাতের ব্যাংক কোনটি
* রাসূল সা এর প্রশ্ন প্রকৃত গরীব কে? তিরমিযী ২৪১৮
* ধনী কে? ধনী হলো সেই ব্যক্তি যাকে রসূলুল্লাহ্ ধনী বলেছেন। তিনি এরশাদ করেন :
خَيْرُ الْغِنَى عَلَى النَّفْسِ
অর্থাৎ যার কোন চাহিদা নাই সেই ধনী
* এক ব্যক্তি হযরত জুনায়দ বাগদাদী (রহঃ) এর কাছে পাঁচ শত দীনার নিয়ে এসে বললো, 'হুযূর, এই দীনারগুলি আপনি নিন। আপনার জন্যে হাদিয়া নিয়ে এসেছি
সুতরাং আমরা যাদেরকে ধনী মনে করছি তারা যে ধনী নয় কৃত্রিম ধনী সেকথা প্রমাণিত হয়ে গেল ।
____________________________________
৪৮ ধনী ও গরীব কে?
* আমরা কাকে ধনী বলি? যাদের একাউন্টে লাখ লাখ টাকা আছে। অনেকে বিদেশী ব্যাংকে টাকা রাখে। আবার অনেকের ব্যাংক একাউন্ট নেই।
* এত টাকার জন্য পেরেশান কেন দুই মুঠ ভাত খাওয়ার জন্য। টাকা হইলেই খাবার খাওয়া যায় না তিনি যদি না খাওয়ান। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীও তো না খাইয়া মারা গেছে।
* হেনরী ফোর্ডের ঘটনা :
হেনরী ফোর্ড ছিলেন মটর গাড়ীর আবিষ্কারক। সারা বিশ্বে তার গাড়ী বাজারজাত করে তিনি প্রচুর অর্থ ও বিত্তের মালিক হয়েছিলেন। লন্ডন শহরে শোনা যায় ১২০ তলা পর্যন্ত বিশাল দালান রয়েছে। হেনরী ফোর্ডের দালানটিও হয়তো সেই রকমই বিশাল ছিল। কারণ তিনি রক্ত পানি করা গবেষণার ফলটি গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। গবেষণাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে অন্যেরা গাড়ী আবিষ্কার করে তার বাজার নষ্ট করে দিতে পারে। তাই তিনি সেই বিশাল দালানটির হাজার হাজার কোঠরীর মধ্যে থেকে একটি গোপন কোঠরীতে বসে গাড়ীকে উন্নত করার গবেষণা চালিয়ে যেতেন। সেই কোঠাটির খোঁজ কেউ জানতো না । কোঠাটি ছিল 'সাউন্ড প্রুফ'। ভিতর থেকে কোন শব্দ বাহিরে আসতো না এবং বাহির থেকে কোন শব্দ ভিতরে যেতো না। একদিন সকালে তিনি গবেষণার কাজে কক্ষে প্রবেশ করলেন। সঙ্গে আনা তার কুকুরটিকে কক্ষের বাহিরে রেখে ভিতর থেকে দরজার কুলুপ এঁটে দিলেন। বাহিরে কুকুরটি একা একা খেলার ছলে দরজার ছিটকিনি নিয়ে নাড়া-চাড়া করতে করতে ছিটকিনি লক হয়ে দরজা বাহির থেকে আটকিয়ে গেল। কুকুর বুঝতে পারলো না যে সে কী করলো। সে অনেকক্ষণ তার মালিকের অপেক্ষায় থেকে কোথায় চলে গেল। মালিক তার কাজ সারা হলে দুপুরে খাওয়ার জন্যে বাহির হতে চাহালেন। কিন্তু দেখেন দরজা খোলা যাচ্ছে না। তিনি অনেকক্ষণ ধরে ডাকা- ডাকি করলেন, কিন্তু 'সাউন্ড প্রুফ' কক্ষ হওয়ার কারণে বাহিরে তার আওয়াজ পৌঁছলো না। অতঃপর না খেয়েই দুপুর কাটালেন। রাতের খাবারের সময়ও কেউ এসে সেই গোপন কক্ষের দরজাটি খুলে দিল না। ফলে রাতও না খেয়ে কাটলো। হেনরী ফোর্ডকে কয়েকদিন পর্যন্ত অনুপস্থিত দেখে সবাই অস্থির হয়ে উঠলো। সারা লন্ডন শহরে খোঁজ- খোঁজ রব পড়ে গেল। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া গেল না।
অবশেষে একদিন একটি সুইপার তার কক্ষের পাশ দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে যাওয়ার সময় একটি দূর্গন্ধ এসে নাকে লাগলো। দূর্গন্ধের উৎস কোথায় জানার জন্যে লোকজন এসে খোঁজ করতে লাগলো। সবাই নিশ্চিত হলো যে সেই কক্ষটি থেকেই দূর্গন্ধ আসছে। সবাই দরজা খুলে আশ্চর্য এক দৃশ্য দেখতে পেলো। ফোর্ডের লাশ পঁচে গিয়ে দূর্গন্ধ ছুটেছে। লাশে পোকা কিলবিল করছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী না খেয়ে মারা গেছে। টাকা থাকলেই খাদ্য জোটে না। আর আবিষ্কার করলেই তা' ভোগ করা যায় না। ফোর্ড মটর গাড়ী আবিষ্কার করেছে, কিন্তু ভোগ করছে মুসলমানেরা। রাইট ব্রাদার্স উড়া জাহাজ আবিষ্কার করেছে, আর মুসলমানেরা উড়া জাহাজে সফর করে গিয়ে হজ করে চলে আসছে। কিছুদিন পরে হয়তো দেখা যাবে প্রগতিবাদীরা চাঁদকে বসবাসের উপযোগী করে দিয়েছে আর মুসলমানেরা সেখানে গিয়ে সর্বপ্রথম একটি মসজিদ নির্মাণ করে আল্লাহ্ পাকের এবাদতে লিপ্ত হয়ে গেছে। এরই নাম মুসলমান। মুসলমানদের কাজ একটাই, এবাদত বন্দেগী করে যাওয়া।
সুবাহান আল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
* মনে রাখবেন সম্পদ থাকলে প্রকৃত ধনী নয় সুখী নয়। দীনদার ব্যক্তিরাই প্রকৃত ধনী ও সুখী। বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ ধনীকে দেখা গেল শুকনা পাতলা দূর্বল শরীর নিয়ে সকাল বেলায় পার্কে পায়চারী করছেন। তার একজন পরিচিত বন্ধু এসে জিজ্ঞাসা করলো, —আপনি কেমন আছেন, আপনি এত শুকিয়ে গেছেন কেন?'
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ধনীর ঘটনা ঃ
বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ ধনীকে দেখা গেল শুকনা পাতলা দূর্বল শরীর নিয়ে সকাল বেলায় পার্কে পায়চারী করছেন। তার একজন পরিচিত বন্ধু এসে জিজ্ঞাসা করলো, —আপনি কেমন আছেন, আপনি এত শুকিয়ে গেছেন কেন?' ধনী জওয়াব দিলেন, 'ভাত খেতে পারি না, তাই এমন শুকিয়ে গেছি।' বন্ধুটি বললেন, 'আপনি এদেশের সবচেয়ে বড় ধনী, আর আপনি ভাত খেতে পান না, একথা কেমন হলো? আপনি কি আমার সঙ্গে চালাকি করছেন?' ধনী বললেন, 'না ভাই চালাকি করছি না। সত্যি সত্যি ভাত খেতে পারি না। ডাক্তার বলেছে, আজ ভাত খেলে কালই কবরে যেতে হবে। তাই দুই স্লাইস্ পাউরুটি আর এক কাপ দুধ, এই খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। দুঃখের কথা আর কত বলবো! দেখুন, আমার সামনে আমার বাড়ীতে বসে আমার চাকরটি পেট ভরে ভাত খায়, অথচ আমি খেতে পাই না। গালে হাত দিয়ে বসে তার খাওয়া দেখি, দুই চোখের পানি টস্ টস্ করে ঝরতে থাকে আর আমি ভাবতে থাকি, হায় রে জীবন! আমার ভাত লোকে খেয়ে যায় আর আমি খেতে পারি না!' বন্ধু বললো, 'এটা তো বড় মুশকিলের কথা হলো দেখছি!' ধনী বললেন, 'শুধু কি তাই? আরও দুঃখ আছে। ঢাকা শহরে আমার শত শত
বাড়ী ও ফ্লাট আছে, একটি বাড়ীতেও রাত কাটাতে পারি না। সারা রাত অফিসে কাজ করি, যখন ঘুমের চাপ আর সহ্য করতে পারি না তখন অফিসের টেবিলেই ফাইলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার কত যে দামী দামী গাড়ী আছে, একটি গাড়ীতেও আমি ভ্রমণ করতে পারি না, আমার কর্মচারীরাই সব গাড়ী হাঁকায়। আমি কাজের চাপে গাড়ীতেও চড়তে পারি না। অথচ ভাল খাবো, ভাল পরবো, ভাল বাড়ীতে বাস করবো এই আশা নিয়ে লেখা-পড়া করে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলাম, দেশে-বিদেশে নির্মাণ কাজের কন্টাক্টারী নিয়ে প্রচুর অর্থ ও বিত্তের মালিক হয়েছি। কিন্তু কিছুই ভোগ করতে পারছি না। বন্ধু বললো, 'তাহলে তো বড় চিন্তার বিষয় দেখছি! এখন কী করা যায়?' ধনী বললেন, 'কী আর করা যাবে, ভাবছি তওবা করবো। জীবনটা বৃথা হয়ে গেছে। এই সম্পদ ধরার চেষ্টা না করে যদি ছোট বেলা থেকেই আল্লাহকে ধরতাম তবে জীবনে সবকিছুই পেতাম। এরা ধনী নয়। এরা সব কৃত্রিম ধনী। এসব ধনীদের জীবন এই রকমই হয়।
দীনদার ব্যক্তিরাই ধনী। এদের খাদ্য আছে, বাসস্থান আছে, স্বাস্থ্য আছে, প্রয়োজন মত সম্পদ আছে, দুনিয়ার সুখ আছে এবং পরকালের সুখও আছে। ( ওয়াজ ও খুতবা ১৫৯-১৬০)
* দুনিয়ার ব্যাংকে থাকলেই ধনী নয় আখেরাতের ব্যাংকে থাকলেই ধনী। সেদিন প্রত্যেকটি ব্যাংকের হিসাব হবে, প্রথম যে ব্যাংকের হিসাব হবে। আখেরাতের ব্যাংক কোনটি? প্রথম ব্যাংক হলো নামায। রোজার ব্যাংক। জিহাদের ব্যাংক। ইশরাত নামাজের ব্যাংক। তাহাজ্জুদের ব্যাংক
* রাসূল সা এর প্রশ্ন প্রকৃত গরীব কে? তিরমিযী ২৪১৮
* ধনী কে? :
ধনী হলো সেই ব্যক্তি যাকে রসূলুল্লাহ্ ধনী বলেছেন। তিনি এরশাদ করেন :
خَيْرُ الْغِنَى عَلَى النَّفْسِ
অর্থাৎ যার কোন চাহিদা নাই সেই ধনী
* এক ব্যক্তি হযরত জুনায়দ বাগদাদী (রহঃ) এর কাছে পাঁচ শত দীনার নিয়ে এসে বললো, 'হুযূর, এই দীনারগুলি আপনি নিন। আপনার জন্যে হাদিয়া নিয়ে এসেছি
সুতরাং আমরা যাদেরকে ধনী মনে করছি তারা যে ধনী নয় সেকথা প্রমাণিত হয়ে গেল ।
* শ্রেষ্ঠ ধনী না খেয়ে মারা যায়
__________________________
بَابُ الظُّلْمِ
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم
পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৭-[৫] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (মুসলিম)[1]
[1] সহীহ : মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮
* ধনী কে? :
ধনী হলো সেই ব্যক্তি যাকে রসূলুল্লাহ্ ধনী বলেছেন। তিনি এরশাদ করেন :
خَيْرُ الْغِنَى عَلَى النَّفْسِ
“ধনী হলো সেই ব্যক্তি যার অন্তর ধনী।”
অর্থাৎ যার কোন চাহিদা নাই সেই ধনী। সে কখনও অভাব অনুভব করে না, তার যা’ আছে তাতেই সে সন্তুষ্ট। এই সন্তুষ্টিটাই ধনীত্ব। বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে একটি ঘটনা থেকে। ঘটনাটি হলো এই ঃ
অভাবী এক ধনীর ঘটনা :
এক ব্যক্তি হযরত জুনায়দ বাগদাদী (রহঃ) এর কাছে পাঁচ শত দীনার নিয়ে এসে বললো, 'হুযূর, এই দীনারগুলি আপনি নিন। আপনার জন্যে হাদিয়া নিয়ে এসেছি।' তিনি বললেন, 'আমি গরীবের হাদিয়া গ্রহণ করি না।' লোকটি বললো, 'আমি গরীব নই। আপনি এইগুলি গ্রহণ করুন। হযরত বললেন, 'এই পাঁচ শত দীনার ছাড়া আরও কি তোমার কোন দীনার আছে?' সে বললো, 'জী হাঁ, আমার আরও অনেক দীনার আছে।' তিনি বললেন, 'তুমি কি আর অধিক দীনার চাও না?' সে বললো, 'চাই। আরও অধিক হলে ভাল হয়।' হযরত জুনায়দ বললেন, 'তাহলে এখনও তোমার চাহিদা আছে। আর যার চাহিদা আছে সে অভাবী। সুতরাং তুমি গরীব। এই পাঁচ শ' দীনারে আমার চেয়ে তোমার হক বেশী। সুতরাং তুমি এগুলি নিয়ে যাও। আমার যা আছে আমি তাতেই সন্তুষ্ট। আমার কোন চাহিদা নাই। সুতরাং আমি ধনী। আর তুমি গরীব। ধনী হয়ে গরীবের হাদিয়া গ্রহণ করতে পারি না।'
সুতরাং আমরা যাদেরকে ধনী মনে করছি তারা যে ধনী নয় সেকথা প্রমাণিত হয়ে গেল । আরেকটি প্রমাণ হলো এই যে, এরা সম্পদ জমা করে ঠিকই, কিন্তু ভোগ করতে কেউ পারে না। এখানে বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ ধনীর ঘটনা উল্লেখ করলে সব ধনীর অবস্থা বুঝে নিতে পারবেন।
* কাবুলের প্রেসিডেন্ট দোস্ত মাহমুদ খান তাঁর পুত্র যুদ্ধের মাঠে পলায়ন নয় ( ওয়াজ ওখুতবা - ১/ ৪০০)
কাবুলের বেগমের ঘটনা : কাবুলের
কাবুলের বেগম দোস্ত মুহাম্মদ খান প্রচুর ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্যের মালিক ছিলেন। একবার তাঁর স্বামী হয়রান ও পেরেশান হয়ে অন্দর মহলে প্রবেশ করলেন। বেগম দাঁড়িয়ে স্বামীকে অভ্যর্থনা জানাতেই স্বামী বললেন, “আজ একটি দুঃসংবাদ এসেছে। শত্রুরা দেশ আক্রমন করেছে। আমি আমাদের শাহযাদাকে সৈন্য সহ দুশমনের মোকাবেলা করতে পাঠিয়ে দিয়েছি।” বেগম বললেন, “বেশ কাজ করেছেন। আপনি ঘাবড়াবেন না। আল্লাহ্ আপনাকে সাহায্য করবেন।" পরের দিন দুঃখে কাতর বাদশাহ তাঁর বেগমের কাছে গিয়ে বললেন, “খবর খুব দুঃখের এসেছে। শাহযাদা পরাজিত হয়ে পালিয়ে আসছে। বিজয়ী শত্রুরা দেশের মধ্যে প্রবেশ করছে। এবার দেশ যাবে, বাদশাহীও যাবে।” বেগম বললেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর এটা। আপনি একথা মোটেই বিশ্বাস করবেন না।” বাদশাহ্ বললেন, “মিথ্যা নয়। সরকারী তথ্য বিভাগের এলান এটা গোয়েন্দা বিভাগও এই খবর দিয়েছে।” বেগম বললেন, “আপনার সরকারী তথ্য-বিভাগ মিথ্যা। গোয়েন্দা বিভাগও ভুল খবর দিয়েছে। এটা একটা মিথ্যা খবর। এরূপ হতেই পারে না।” বাদশাহ্ বললেন, “সারা দেশের সরকারী ব্যবস্থা খবর দিয়েছে। এ খবর সত্য হওয়ার পিছনে যুক্তি রয়েছে।” বেগম বললেন, “সকল সরকারী ব্যবস্থা খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিবেশন করেছে।”
বাদশাহ্ দেখলেন বেগমের কথার কোন যুক্তি নাই। যুক্তিহীন বিতর্ক করাই স্ত্রীলোকের স্বভাব। সুতরাং এই বিতর্কে সময় নষ্ট না করাই উচিৎ। বাদশাহ্ বাহিরে চলে গেলেন। তার পরের দিন বাদশাহ্ অন্দর মহলে প্রবেশ করে আনন্দ ও উল্লাসে ফেটে পড়লেন। বললেন, “প্রিয়তমা! আপনি যা' বলেছিলেন সেই কথাটিই সত্য হয়েছে। আমাদের সন্তান যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। দুশমনকে বিতাড়িত করে বিজয়ীর বেশে সে ফিরে আসছে।” বেগম বললেন, “আলহামদুলিল্লাহ্! মহান আল্লাহ্ কতই না ভাল! তিনি আমার কথাকে সমুন্নত রেখেছেন এবং আমার কথাকে সত্যে পরিণত করেছেন।” বাদশাহ্ বললেন, “আপনি গতকাল কিভাবে এত জোর দিয়ে বলতে পেরেছিলেন বেগম, যে আমার সকল সরকারী ব্যবস্থা মিথ্যা? আপনার কি কোন ‘এলহাম' হয়েছিল?” বেগম বললেন, “কথাটির সাথে এলাহামের কোন সম্পর্ক নাই। তবে কথাটি গোপনীয়। এই রহস্য আমি কারো কাছে খুলতে চাই না।” বাদশাহ্ বললেন, “এতই কি গোপনীয় যে স্বামীর কাছেও গোপনীয় থেকে যাবে?” বেগম বললেন, “গোপনীয় এইজন্যে যে, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে হলে আমাকে ফিরে যেতে হবে সেই দিনগুলিতে যখন এই শাহাদা গর্ভে ছিল । আল্লাহ্ পাকের কাছে আমি ওয়াদা করেছিলাম যতদিন এই সন্তান পেটে থাকবে আমি হারাম কোন খাদ্য গ্রহণ করবো না। সেই ওয়াদা আমি পূরাপূরি রক্ষা করেছিলাম। হারাম খাদ্য তো দূরের কথা কোনরূপ সন্দেহজনক পথে উপার্জিত খাদ্যের গ্রাসও আমি গ্রহণ করিনি। কারণ হারাম খাদ্য থেকে উৎপাদিত রক্তে লালিত সন্তান চরিত্রহীন এবং কাপুরুষ হয়ে থাকে । এছাড়া যখন বুকের দুধ পান করিয়েছি তখন প্রথমে ওযূ করেছি পরে দুই রাকাত নফল নামায পড়েছি। অতঃপর যিকির করতে-করতে আল্লাহ্র প্রতি মনোযোগী হয়ে দুধ পান করিয়েছি। সুতরাং একদিকে পবিত্র রক্তে গঠিত হয়েছে তার দেহ অপরদিকে এবাদতের মাধ্যমে অর্জিত খোদা-ভীতি সঞ্চারিত হয়েছে তার অন্তরে। অতএব যার অন্তরে খোদা- ভীতি আছে তার অন্তরে দুনিয়ার কোন কিছুর ভয় স্থান পেতে পারে না। সে যুদ্ধে শহীদ হতে পারে কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করতে পারে না। তাই সরকারী ব্যবস্থায় পরিবেশিত খবর 'আমার ছেলে পরাজিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেছে' মিথ্যা বলে দাবী করেছিলাম।”
সুতরাং দেখা যায় কাবুলের রাণী বেগম দোস্ত মুহাম্মদ খান অজস্র ধন-দৌলত ও ঐশ্বর্যের মধ্যে থেকেও একজন পরহেজগার ও মুত্তাকীর জীবন অতিবাহিত করেছেন। দীনদার হওয়ার জন্যে যেমন ধনী হওয়া জরুরী নয়, তেমনি গরীব হওয়াও জরুরী নয়। অজস্র ধন-দৌলত ও আরাম আয়েশের মধ্যে থেকেও নারীগণ পুরুষের মতই দীনদার হতে পেরেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে নারী সম্প্রদায় অধিক অগ্রসর হয়ে ইসলামী জীবনের সুখ ও শান্তি পুরুষের চেয়ে অধিক ভোগ করেছে। এরা জীবনেও সুখী, মরণেও একজন কামিয়াব বেহেশতী ।
-সূত্র ঃ কারী মুহাম্মদ তাইয়েব (রহঃ)
* স্বপ্নে পাওয়া সম্পদ :
আস্সালামু আলাইকুম। হযরতওয়ালা! আমি আপনার নির্দেশিত ওযীফাগুলি ঠিকমত আদায় করে যাচ্ছি। তবে সম্প্রতি একটি অবাক করে দেওয়া ঘটনা ঘটে গেছে। সেদিন তাহাজ্জুদের নামায আদায় করার পর তখনও ফজরের আযানে বিলম্ব ছিল। আমি যিকির করতে লাগলাম। ‘ইল্লাল্লাহ্-ইল্লাল্লাহ' যিকির করে যাচ্ছি। কিছুক্ষণ যিকির করার পর দেখলাম ফেরেশ্তাগণ সাদা পোষাকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সারি আকাশ পর্যন্ত উঠে গেছে। আমি একজন ফেরেশ্তার কাছে গিয়ে সামান্য ঝুঁকে বললাম, 'ইল্লাল্লাহ্' । তারপর দ্বিতীয় ফেরেশতার কাছে গিয়ে বললাম 'ইল্লাল্লাহ্' । এভাবে একজন ফেরেশ্তার কাছে যাচ্ছি আর 'ইল্লাল্লাহ্' বলছি, যেন তারা স্বাক্ষী থাকে যে আমি "ইল্লাল্লাহ'-র যিকির করছি। এভাবে যিকির করতে-করতে আমি আকাশ পার হয়ে আরশ পর্যন্ত পৌছে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমি এমন ভাবে চিৎকার করে ‘ইল্লাল্লাহ্' বলতে লাগলাম যেন একজন আবদ্ধ ব্যক্তি তার নাজাতের জন্যে ছট্ফট্ করছে। বিপদে-পড়া ব্যক্তির মত পেরেশান হয়ে অসহায়ের মত চিৎকার করে যাচ্ছি। এমন সময় আওয়াজ আসলো, 'এই লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে এখান থেকে বাহির করে দাও তো! লোকটা দেখি নিয়ম-কানূন কিছুই জানে না! গায়ের জোরে চিৎকার দিয়ে নাজাত পেতে চায়। বাহির হয়ে যাও এখান থেকে! এইভাবে চিৎকার করে কোন লাভ হবে না। শরীয়ত দেওয়া হয়েছে। শরীয়তের উপর চললেই শুধু নাজাত হবে। চিৎকার করে নাজাত পাওয়া যাবে না।' এই কথা বলতে বলতে আমাকে সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। আমি কাঁদতে-কাঁদতে নেমে আসতে লাগলাম। রাস্তায় এক জায়গায় দেখি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক শাহী আসনের উপরে বসে এক সমাবেশে ওয়াজ করছেন, আর আপনি (হওরতওয়ালা থানবী) তাঁর পদ যুগলের কাছে বসে কী-যেন লিখছেন। আমাকে দেখে রসূলুল্লাহ্ বললেন, “কী হয়েছে, কাঁদছো কেন? তুমি নাকি শরীয়তের এহতেমাম কর না? এসো তোমার জন্যে শরীয়তের অধিক পাবন্দ হওয়ার দোয়া করি। এই বলে তিনি দুই হাত তুলে দোয়া করতে লাগলেন। সমাবেশের সবাই হাত উঠিয়ে দোয়া করতে লাগলো। আমিও দুই হাত উঠিয়ে দোয়া শুরু করলাম। এমন সময় ফজরের আযান হয়ে গেল। আযানের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। দেখি আমার দুই হাত তখনও দোয়ার জন্যে উঠানোই আছে।
এই চিঠির জওয়াবে হযরত থানবী (রহঃ) লিখলেন : আপনার চিঠি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পড়তে গিয়ে আমি একেবারে 'সিতা'-র হালতে এসে পড়েছিলাম। এই ঘটনা এক বিরাট শিক্ষা বহন করছে। শরীয়তের বিধান মান্য করা ছাড়া নাজাতের কোন পথ নাই। যতই যিকির ফিকির করা যাক শরীয়তের উপর না চলে কিছুতেই নাজাতের আশা করা যায় না। সুতরাং শরীয়ত হলো মানুষের সব চেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদ ধারণ করুন। যিকির শুধু আপনার অন্তরকে নরম করে দিয়ে শরীয়তের 'উপর চলতে সাহায্য করবে। —থানবী ঃ তরবিয়াতুস্ সালেক
সুতরাং ধনী হউক, গরীব হউক; আর সুস্থ হউক আর রুগী হউক সবাই নিজের খাহেশকে কোরবান করে দিয়ে আল্লাহ্ পাকের খাহেশ অনুযায়ী চলতে হবে। আল্লাহর ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজে ইচ্ছা-শূণ্য হয়ে যেতে হবে। কিভাবে আল্লাহ্র ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দিতে হয় তার একটি ঘটনা রয়ে েইনশা-আল্লাহ্ আগামী বয়ানে এ ব্যপারে আলোচনা করা হবে। এখন দোয়া করেন আল্লাহ্ পাক যেন তাঁর ইচ্ছা বা শরীয়তকে আঁকড়িয়ে ধরার তওফীক দান করেন। আল্লাহুম্মা আমীন! ওয়াজ ও খুতবা ৪০৪ পৃষ্ঠ
* আল্লাহ যাকে খাওয়ায় সেই খাইতে পারে। রাসূল সা: এক অভিযানে বের হলেন, মদিনায় চলছে তখন অর্থনৈতিক সংকট প্রায় দুর্ভিক্ষের মত অবস্থা। সৈন্য দলের জন্য রসদপত্র নেই বললেই চলে। নামমাত্র পথ পাথেয় স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রত্যেক সৈন্য কে বন্টন করে দিলেন। কিন্তু সাহাবী হুদাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কিছুই পেলেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাকে দিতে ভুলে গেলেন। কিন্তু হুদাইর রাঙদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এসে বললেন না ইয়া রাসুল আল্লাহ আমাকে তো রসদপত্র কোন কিছুই দেওয়া হয়নি। একথা বললে যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বিরক্ত হন। তিনি যদি কষ্ট পান। তিনি চুপচাপ চলতে লাগলেন। যখন জরফ নামক মঞ্জিল অতিক্রম করলেন তখন ক্ষুধার জ্বালা টের পেলেন। বলতে লাগলেন হে আমার মাওলা আপনার নবি আমাকে দেননি আমিও এগিয়ে গিয়ে তার কাছে চাইনি। আপনি তো জানেন আমার কাছে না আছে কোন খানা, না আছে কোন দানা, আপনি আমার ক্ষুধা নিবারণের উপকরণ হয়ে যান। আপনার তাসবিহ আমার খানা-দানা সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এটাই আমার খাবার। সেটাই আমার পানীয় এটাই আমার যুদ্ধের রসদপত্র। এমনকি হাতিয়ারও এ কথা বলতে বলতে তিনি পথ চলছিলেন। যাকে বলেছিলেন তিনি তো সব দেখেছিলেন। শুনেছিলেন হুদাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কি বলেছেন, আরশে আজিম কেঁপে উঠলো, জিব্রাইল আলাই সাল্লাম ছুটে এলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, জিবরাঈল বললেন হুদাইর তো আল্লাহ কে ডাকছে তার ডাক তু আরশ কে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাকে তো আপনি পথ ও পাথেয় কিছুই দেননি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এক লোককে তার কাছে এই বলে পাঠালেন যে, ওদেরকে এই জিনিসগুলো দেবে এবং ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তাকে বলবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আলাই সাল্লাম ভুলে গিয়েছিলেন এখন তিনি নিজেকে তোমারকাছে পেশ করেছেন। হুদাইর রা: সৈন্যদলের প্রায় শেষ সারিতে ছিলেন,সেই লোক উটনি ছুটিয়ে তার কাছে গিয়ে জিনিসগুলো দিলো। বললো ভাই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভুলে গিয়েছিলেন। এখন এগুলোর মাধ্যমে নিজেকে পেশ করেছেন।হুদাইর রা কৃতজ্ঞতার গভীর দৃষ্টি নিয়ে তাকালেন আকাশের দিকে আবেগ রুদ্ধ কন্ঠে বললেন
الحمد لله الذى ذكرنى من فوق عرش و من فوق سبع سموات
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তার প্রতি আমার প্রান উৎসর্গিত হোক। যিনি আমাকে তার আরশে আজিম স্বরণ করেছেন। যিনি আমাকে স্বরণ করেছেন সপ্তাকাশের ওপর।
رحم بى وجوعى رحم بى وضعفى
যিনি আমার ক্ষুৎপিপাসার উপর রহম করেছেন। আমার এই অসহায় দুর্বল অবস্থার ওপর।
রাসূল সা: সৈন্য দলের মধ্যে খাদ্য বন্টনের সময় সাহাবী হুদাইর রা: খাদ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, রাসূল সা তাকে দিতে ভুলে গেলেন,(বেহেশতী নারী,তারিক জামিল -290
No comments