Header Ads

Header ADS

151 ইমানের স্বাদ পাবে তিনটি গুন থাকলে




9:আত-তওবা:24




قُلْ اِنْ كَانَ اٰبَآؤُكُمْ وَ اَبْنَآؤُكُمْ وَ اِخْوَانُكُمْ وَ اَزْوَاجُكُمْ وَ عَشِیْرَتُكُمْ وَ اَمْوَالُ ا قْتَرَفْتُمُوْهَا وَ تِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَ مَسٰكِنُ تَرْضَوْنَهَاۤ اَحَبَّ اِلَیْكُمْ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَ جِهَادٍ فِیْ سَبِیْلِهٖ فَتَرَبَّصُوْا حَتّٰى یَاْتِیَ اللّٰهُ بِاَمْرِهٖؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْفٰسِقِیْنَ۠




হে নবী! বলে দাও, যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান ও তোমাদের ভাই তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের আত্মীয়-স্বজন, তোমাদের উপার্জিত সম্পদ, তোমাদের যে ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়ার ভয়ে তোমরা তটস্থ থাক এবং তোমাদের যে বাসস্থানকে তোমরা খুবই পছন্দ কর-এসব যদি আল্লাহ‌ ও তার রসূল এবং তাঁর পথে জিহাদ করার চাইতে তোমাদের কাছে বেশী প্রিয় হয়, তাহলে আল্লাহর ফায়সালা তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর২২ আল্লাহ ফাসেকদেরকে কখনো সত্য পথের সন্ধান দেন না।




ঈমানের স্বাদ পাবে তিনটি গুন থাকলে,


(১) যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রসূল অন্য সকল বস্তু হতে অধিক প্রিয় ;




গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)


অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)


হাদিস নম্বরঃ ৮




الفصل الاول وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ مَنْ كَانَ اللّهُ وَرَسُوْلُهٗ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَمَنْ أَحَبَّ عَبْدًا لَا يُحِبُّهٗ اِلَّا لِلّهِ وَمَنْ يَكْرَهٗ أَنْ يَعُوْدَ فِى الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللّهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَه أَنْ يُلْقى فِي النَّارِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ




প্রথম অনুচ্ছেদ




৮-[৭] উক্ত রাবী (আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোকের মধ্যে তিনটি গুণের সমাবেশ ঘটে, সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে। (১) তার মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ভালোবাসা দুনিয়ার সকল কিছু হতে অধিক প্রিয়। (২) যে লোক কোন মানুষকে কেবলমাত্র আল্লাহর উদ্দেশেই ভালোবাসে। (৩) যে লোক কুফরী হতে নাজাতপ্রাপ্ত হয়ে ঈমান ও ইসলামের আলো গ্রহণ করার পর পুনরায় কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে এত অপছন্দ করে যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে। (বুখারী, মুসলিম)[1]




[1] সহীহ : বুখারী ২১, মুসলিম ৪৩, নাসায়ী ৪৯৮৮, তিরমিযী ২৬২৪, ইবনু মাজাহ ৪০৩৩, আহমাদ ১২৭৬৫। হাদিসের মানঃ সহিহ




শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে, নতুবা কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, )




নবী প্রেম কাকে বলে দেখুন!


""""""""""""""""""""""""""""""""""""""


# হযরত সা'আদ সালামি (রা) নবী করীম (সা) এর একজন সাহাবী ছিলেন।


তিনি অত্যন্ত গরীব সাহাবী ছিলেন।গায়ের রং ছিল খুবই কালো এবং মুখের মধ্যে ছিল বসন্তের দাগ।একদিন সাআদ (রা:) রাসূলে পাক (সা) এর দরবারে বসে কাঁদতে ছিলেন। হুজুর (স:) তাকে কান্না করার কারন জিজ্ঞেস করলেন? জবাবে সাআদ (রা:) বলতে শুরু করলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি আপনার হাতে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছি ৮ মাস হল।এই ৮ মাস আমি মদিনার অলিতে গলিতে কত জায়গায় ঘুরলাম বিয়ের জন্য কিন্ত আমি দেখতে অসুন্দর বলে কেউ আমাকে মেয়ে দেয়না।


আমি আপনার সকল সুন্নাত পালন করতে পারলেও আপনার একটি সুন্নাত বিয়ে যা আমি পালন করতে পারিনি। তাই আমি ভয়ে কান্না করছি যদি এই সুন্নাত না মানার জন্য আল্লাহ্ আমাকে জান্নাত হতে বঞ্চিত করেন।


একটি সুন্নাত না মানার জন্য সাহাবীর পরকাল নিয়ে এত চিন্তা আর আজ আমরা নিজেদের কে সুন্নী ও আসেকে রাসুল বলে দাবি করি অথচ কত কয়টা সুন্নাত আমরা পালন করি?


রাসুল (স:) সাআদ (রা) কে বললেন এই মদিনার সবচেয়ে ধনী লোক আমর ইবনে ওহাব (রা) এর মেয়ে যিনি মদিনার সবচেয়ে সুন্দরী ছিলেন, আমি রাসূল তার সঙ্গে তোমার বিয়ে দিয়ে দিলাম। এখন তুমি আমর


ইবনে ওহাবের বাড়িতে যাও এবং তাকে গিয়ে বল আমি তার মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। হযরত সাআদ (রা:) আমর ইবনে ওহাবের বাড়িতে গেলেন এবং আমর ইবনে ওহাবকে সব কিছু খুলে বললেন।


সাআদ (রা:) এর কথা শুনে আমর ইবনে ওহাব খুব রাগন্নিত হয়ে তার সাথে খারাপ আচরণ করে বাড়ি হতে বের করে দিলেন। এদিকে আমর ইবনে ওহাবের মেয়ে ঘরের ভেতর থেকে সব শুনতে পেলেন। যখন আমর ইবনে ওহাব ঘরে ঢুকলেন তার মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলন বাবা তোমাকে এত বড় সাহস কে দিল যে রাসূলের কথা অমান্য করলেন।


আল্লাহর রাসূল আমার জন্য যে ছেলেকে পছন্দ করেছেন আমি তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিলাম। মেয়ের কথা শুনে আমর ইবনে ওহাব দৌড়ে রাসূলের দরবারে গেলেন এবং রাসূলের কাছে মাফ চাইলেন।


আমার দয়াল নবীজী তাকে মাফ করে দিলেন।


আর সাআদ (রা:) এর বিয়ের জন্য ৬০০ দিরহাম


মোহরানা ধার্য করলেন এবং বললেন এখন তুমি তোমার


স্ত্রীর কাছে যাও। কিন্ত সাআদ (রা:) এত গরীব ছিলেন তার পক্ষে ৬০০ দিরহাম জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাই অন্যান্য সাহাবীরা মিলে সাআদ (রা:) কে সাহায্য করলেন যাতে উনি উনার স্ত্রীর মোহরানা আদায় করেও নতুন বৌয়ের জন্য কিছু সদাই করতে পারেন।


ওদিকে সাআদ (রা:) বাজারে চলে গেলেন কেনাকাটা করার জন্য। যখন নতুন বৌয়ের জন্য কেনাকাটা করতে দোকানে ঢুকলেন হঠাৎ শুনতে পেলেন মদিনার


বাজারে কে যেন জিহাদের ডাক দিচ্ছে। জিহাদের ডাক শুনে সাদ (রা:) ভাবলেন আমি সাদ ফুলের বিছানা বাসর ঘরে নতুন স্ত্রীর কাছে যাবো না আমি রাসূলের


মহব্বতে জিহাদে যাবো। তাই তিনি বিয়ের তাকা খরচ


করে যুদ্ধের সরঞ্জাম ক্রয় করে জিহাদে চলে গেলেন।


এদিকে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।সাআদ (রা:) একের পর এক


কাফিরকে হত্যা করে জাহান্নামে পাঠাতে লাগলেন। যুদ্ধ


করতে করতে এরকম হঠাৎ সাআদ (রা:) শাহাদাতের পেয়ালায় শরবত পান করে শহীদ হয়ে গেলেন। যুদ্ধ শেষ হল। দুর হতে দেখা যায় কার যেন লাশ পড়ে আছে। রাসুল (স:) ও সাহাবীরা কাছে গিয়ে দেখলেন এ যে সাআদের লাশ। মাথার লোহার টুপি ভেঙ্গে মগজ বের হয়ে গেছে আর জিহবা বের হয়ে আছে।


সাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে রাসূল (স:) কেঁদে দিলেন আবার পরক্ষণেই আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁসলেন এবং আবার আকাশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। একজন যুবক সাহাবী আবু লুবাবা (রা) রাসূল (সা) কে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন।রাসুল (স:) বললেন আমার সাআদ ফুলের বিছানার বাঁসর ঘরে যায়নি,আমার


মুহব্বতে শহীদ হয়ে গেল তাই স্নেহের কারণে আমার চোখ হতে পানি ঝড়ে পড়ল। আর আকাশেরের দিকে তাকিয়ে হাসলাম কারণ আল্লাহ আমার সাদকে এত সুন্দর একটা মাকাম দান করেছেন আর চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ হল আমার সাআদ শহীদ হয়েছে তাই আকাশের সব দরজা খুলে গিয়েছে। বেহেস্ত হতে অসংখ্য হুর দৌঁড়ে আসতেছে যে কার আগে কে সাআদ কে কোলে নিবে। দৌড় দেওয়ার কারণে হুরদের সামনের পর্দা সরে যাচ্ছিলো যা দেখে আমি রাসূল লজ্জায়


চোখ ফিরিয়ে নিলাম - আল্লাহু আকবার।।


এটা হলো নবী প্রেমিক সাহাবাদের দুনিয়ার উপর আখিরাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার জ্বলন্ত উদাহারন, হে আমার রব তুমি আমাদের কে সাহাবাদের মুহাব্বতের সমুদ্র হতে অন্তত এক ফোটা পানী পান করাও আর


আমাদের অন্তরে তোমার হাবীবের অঢেল মুহাব্বত দান করো এবং তোমার ও তোমার হাবীবের অনুস্বরণ পুর্বক সাহাবায়ে কেরামদের মতো জীবন যাপন করার তাওফীক দান করো- আমিন।


___________________________


، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَمَنْ أَحَبَّ عَبْدًا لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَمَنْ يَكْرَهُ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ، كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ




নবীজির প্রতি মু’মিনের ভালোবাসার স্বরুপ কেমন হওয়া উচিত ?


এই প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এসেছে-




عَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّي اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَالِدِه وَوَلَدِه والنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ




অর্থাৎ- “হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতামাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হই।”


(বুখারী ও মুসলিম)




হযরত সা'আদ সালামি (রা) নবী করীম (সা) এর একজন সাহাবী ছিলেন।




* ভাল যদি বাসতে চাও নবীকে বাস


কবি সম্রাট ডঃ আল্লামা ইকবাল (রাঃ)


বলেছেন "এশকে


মাহবুবে খোদা


জিস দিলমে হাছেল নেহী, লাখো


মো'মেন


হো


মাগর ঈমান মে কামেল নেহী"।অর্থঃ


যে


ক্বলবে


নবীজি(দরুদ) এর মুহব্বত নেই, লাখো


বিশ্বাসী


হলেও কিন্তু সে পূর্ণ মুমিন নয়।




* ভালবাসার পদ্ধতি,সালাম দাও-




আবূ ইদরীস খাওলানী র


আমি দামিশকের মসজিদে প্রবেশ করলাম মোয়ায ইবনে জাবাল




* পরস্পর ভালবাসবে সেদিন আরশের ছায়ায় স্থান,


নবী এবং শহীদগণও ঈর্ষান্বিত হবে।




* এক গ্রামে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে

No comments

Powered by Blogger.