Header Ads

Header ADS

 33 সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত ।

চির সুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত ব্যদন বুঝিতে পারে। কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিশে

* পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদের নাম হলো সুস্থতা। এটা বুঝতে হলে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বুঝতে পারবেন

* শরীর অসুস্থ হলে মসজিদে বাজারে হেঁটে যাওয়া যায় না। চক্ষু অসুস্থ হলে কিছুই পড়তে দেখতে মন চায় না। জ্বর হলে খেতে মন চায় না 

* রোগ শোক বালা মুসিবত আল্লাহর রহমত। যদিও আমরা এটাকে অপছন্দ করি। কারণ এই রোগের উসিলায় গুনাহ মাফ হয়। ছবরে জামিল ধরলে আল্লাহ খুশি হন। রয়েছে পুরুস্কার । সেই পুরস্কার হলো।বাক্বারাহ: ১৫৫

وَ لَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَیْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَ الْجُوْعِ وَ نَقْصٍ مِّنَ الْاَمْوَالِ وَ الْاَنْفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ١ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیْنَۙ

الَّذِیْنَ اِذَاۤ اَصَابَتْهُمْ مُّصِیْبَةٌ١ۙ قَالُوْۤا اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَیْهِ رٰجِعُوْنَؕ

اُولٰٓئِكَ عَلَیْهِمْ صَلَوٰتٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رَحْمَةٌ١۫ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُوْنَ

এই ফায়দা তখনই আসবে যখন আমাদের একিন হবে যে,

مَاۤ اَصَابَ مِنْ مُّصِیْبَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ١ؕ وَ مَنْ یُّؤْمِنْۢ بِاللّٰهِ یَهْدِ قَلْبَهٗ١ؕ وَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ

* বিপদের পথে রাখো ধৈর্যের চরণ তবেই পাইতে পারো খোদারী দর্শন

* জুলফিকার হযরত আলী কারামুল্লাহ নকশেবন্দী রা: ঘটনা বর্ণনা করেন। পূর্ব যুগে নিশি রজনীতে স্বামী স্ত্রীর কাছে পানি চাইল 

* তবে কঠিন রোগ থেকে আল্লাহর নবী আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছেন। সুস্থ থাকতে পড়ুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের শরীর মোবারককে সুস্থ রাখতে সকাল-সন্ধ্যায় এ দোয়া ৩ বার পড়তেন-

اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِى - اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ - اَللَّهُمَّ عَافِنىِ فِىْ بَصَرِىْ – لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ

______________________________________________________


حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ ‏"‏ ‏.‏


ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এমন দু’টি নিয়ামত আছে যে ব্যাপারে অধিকাংশ লোক ধোঁকায় পতিতঃ সুস্বাস্থ্য ও সুসময় বা অবসর।[৩৫০২]


তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।


ফুটনোটঃ

[৩৫০২] সহীহুল বুখারী ৬৪১২, তিরমিযী ২৩০৪, আহমাদ ২৩৩৬, ৩১৯৭, দারিমী ২৭০৭। 


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪১৭০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الجَنَّةِ الجَنَّةَ يُنَادِي مُنَادٍ : إِنَّ لَكُمْ أَنْ تَحْيَوْا، فَلاَ تَمُوتُوا أَبَداً، وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَصِحُّوا، فَلاَ تَسْقَمُوا أَبَداً، وَإِنَّ لَكمْ أَنْ تَشِبُّوا فَلاَ تَهْرَمُوا أَبَداً، وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَنْعَمُوا، فَلاَ تَبْأسُوا أَبَداً» . رواه مسلم


আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘‘জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবে যে, তোমাদের জন্য এখন অনন্ত জীবন; তোমরা আর কখনো মরবে না। তোমাদের জন্য এখন চির সুস্বাস্থ্য; তোমরা আর কখনো অসুস্থ হবে না। তোমাদের জন্য এখন চির যৌবন; তোমরা আর কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমাদের জন্য এখন চির সুখ ও পরমানন্দ; তোমরা আর কখনো দুঃখ-কষ্ট পাবে না।’’


ফুটনোটঃ

(মুসলিম ২৮৩৬, ২৮৩৭, তিরমিযী ২৫২৫, ২৫২৬, ৩২৪৬, আহমাদ ৮৬০৯, ৯০২৬, ৯১২৫, ৯৬৪১, ১০৯৩৯, ১১৪৯৫, দারেমী ২৮২১, ২৮২৪) 


রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৯০১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْروٍ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: «اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ وَالرِّضٰى بِالْقَدَرِ


আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু‘আয়) বলতেন,


‘‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাস্ সিহহাতা ওয়াল ‘ইফফাতা ওয়াল আমা-নাতা ওয়া হুস্‌নাল খুলুকি ওয়ার্ রিযা- বিল কদার’’


(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, আমানাতদারী, উত্তম চরিত্র এবং তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক কামনা করছি)।[১]


ফুটনোটঃ

[১] য‘ঈফ : মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববরানী ৬০, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ২৫৯, শু‘আবূল ঈমান ৮১৮১, য‘ঈফ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৭/৩০৭, য‘ঈফ আল জামি‘ ১১৯১। কারণ ‘আবদুর রহমান বিন যিয়াদ বিন আন্‘উম আর ‘আবদুর রহমান বিন রাফি‘ দু’জন দুর্বল রাবী । 


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২৫০০

হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


২: আল-বাক্বারাহ,:আয়াত: ১৫৭,


اُولٰٓئِكَ عَلَیْهِمْ صَلَوٰتٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رَحْمَةٌ١۫ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُوْنَ


তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিপুল অনুগ্রহ বর্ষিত হবে, তাঁর রহমত তাদেরকে ছায়াদান করবে এবং এই ধরণের লোকরাই হয় সত্যানুসারী।


৬৪: আত-তাগাবুন,:আয়াত: ১১,


مَاۤ اَصَابَ مِنْ مُّصِیْبَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ١ؕ وَ مَنْ یُّؤْمِنْۢ بِاللّٰهِ یَهْدِ قَلْبَهٗ١ؕ وَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ


আল্লাহর অনুমোদন ছাড়া কখনো কোন মুসিবত আসে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে আল্লাহ‌ তার দিলকে হিদায়াত দান করেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন।


সুস্থ থাকতে পড়ুনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের শরীর মোবারককে সুস্থ রাখতে সকাল-সন্ধ্যায় এ দোয়া ৩ বার পড়তেন-

اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِى - اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ - اَللَّهُمَّ عَافِنىِ فِىْ بَصَرِىْ – لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ


উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আফেনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফেনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফেনি ফি বাসারি; লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।’


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই।’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহামদ)


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ زِيَادٍ الْعَدَوِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مِنْ دَعْوَةٍ يَدْعُو بِهَا الْعَبْدُ أَفْضَلَ مِنَ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ‏"‏ ‏.


আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা যত রকম দুআ’ করে তার মধ্যে "হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করি" এ দুআ’র চেয়ে উত্তম কোন দুআ’ নাই। [৩১৮৩]


ফুটনোটঃ

[৩১৮৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১১৩৮। 


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৫১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

No comments

Powered by Blogger.