২৮। কর্জে হাসানাহ প্রসংগে
২৮। কর্জে হাসানাহ প্রসংগে
* নামাজও যাকাতের পর ঋণের কথা বলা হয়েছে
وَأَقِيمُوا الصَّلٰوةَ وَءَاتُوا الزَّكٰوةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا ۚ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌۢ- مزمل-20
* ঋন দেওয়া সর্বোত্তম ইবাদতের কাজ। সেজন্য #ঋণগ্রহীতার প্রতি সহনশীল হতে হবে সেটা আল্লাহ পাকের নির্দেশ -বাক্বারাহ:280
وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلٰى مَيْسَرَةٍ ۚ وَأَن تَصَدَّقُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
* ঋন দিতে যদি অসমর্থ হয়। কেউ যদি ঋন মাফ করে দেয়। আল্লাহ ও মাফ করে দিবেন।রাসুল (সা:) বলেনঃ এক ব্যক্তি কখনও কোন ভাল কাজ করেনি। তবে সে মানুষের সংগে বাকিতে কারবার করত আর তার প্রতিনিধিকে বলত, যেখানে কর্জদার নিঃস্ব গরীব হয়, সেখানে ছেড়ে দাও। সুনানে আন-নাসায়ী,৪৬৯৪ হাসান
* #যে আল্লাহর উপর ভরসা করে পরিশোধের নিয়তে ঋণ গ্রহণ করে, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করেন। তার অনুপম দৃষ্টান্ত রয়েছে হাদীছে। বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল।সহিহ বুখারী, ২২৯১ সহিহ
* অনেকেই ঋন দিতে চায়না কারণ ঋন নেওয়ার সময় আব্বা ডেকে নেয়। দেওয়ার সময় মনে করে যে সে আমার শালা কি দেবো তারে টাকা। টাকা দেওয়ার সময় হয়ে মোবাইলে পাওয়া যায় না। দেখলে আরেক রাস্তা দিয়ে যায়
* ঋন ভাবনা.. ঋণ কখনো কোনোদিনও শোধ করা যায় না জানেন? বিপদে টাকার দরকার, রক্ত লাগবে, অভুক্ত দিন চারেক কেউ ডাল ভাত খাওয়ালো, বৃষ্টির রাতে বিপদে পুরুষ বন্ধুকে ফোন করে জানালে অন্য একজন লোক এগিয়ে এসে তার বাড়িতে নিয়ে যায়
________________________________________________________
* ঋন দিতে যদি অসমর্থ হয়। কেউ যদি ঋন মাফ করে দেয়, আল্লাহ ও মাফ করে দিবেন।সুনানে আন-নাসায়ী, ৪৬৯৪ : হাসান
রাসুল (সা:) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি কখনও কোন ভাল কাজ করেনি। তবে সে মানুষের সংগে বাকিতে কারবার করত আর তার প্রতিনিধিকে বলত, যেখানে কর্জদার নিঃস্ব গরীব হয়, সেখানে ছেড়ে দাও, মাফ করে দাও। হয়তো আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের মাফ করে দেবেন। যখন সেই লোকের মৃত্যু হল, তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি কোন নেক কাজ করেছ? সে ব্যক্তি বললঃ না, কিন্তু আমার এক চাকর ছিল, আমি লোকদেরকে কর্জ দিতাম, যখন আমি তাকে কর্জ উসূল করতে পাঠাতাম, তখন বলে দিতামঃ যদি সহজভাবে পাওয়া যায়, তবে তা নেবে আর যেখানে কষ্ট হয়, সেখানে ছেড়ে দেবে, ক্ষমা করে দেবে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা বললেনঃ আমিও তোমাকে ক্ষমা করলাম। সুনানে আন-নাসায়ী, ৪৬৯৪ : হাসান সহিহ
* ঋন মাফ করে দেন যদি দিতে অসমর্থ হয়, আল্লাহ ও মাফ করে দিবেন সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৬৯৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ رَجُلًا لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ، وَكَانَ يُدَايِنُ النَّاسَ، فَيَقُولُ لِرَسُولِهِ: خُذْ مَا تَيَسَّرَ، وَاتْرُكْ مَا عَسُرَ وَتَجَاوَزْ، لَعَلَّ اللَّهَ تَعَالَى أَنْ يَتَجَاوَزَ عَنَّا، فَلَمَّا هَلَكَ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ قَالَ: لَا. إِلَّا أَنَّهُ كَانَ لِي غُلَامٌ وَكُنْتُ أُدَايِنُ النَّاسَ، فَإِذَا بَعَثْتُهُ لِيَتَقَاضَى قُلْتُ لَهُ: خُذْ مَا تَيَسَّرَ، وَاتْرُكْ مَا عَسُرَ، وَتَجَاوَزْ لَعَلَّ اللَّهَ يَتَجَاوَزُ عَنَّا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: قَدْ تَجَاوَزْتُ عَنْكَ "
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (সা:) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি কখনও কোন ভাল কাজ করেনি। তবে সে মানুষের সংগে বাকিতে কারবার করত আর তার প্রতিনিধিকে বলত, যেখানে কর্জদার নিঃস্ব গরীব হয়, সেখানে ছেড়ে দাও, মাফ করে দাও। হয়তো আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের মাফ করে দেবেন। যখন সেই লোকের মৃত্যু হল, তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি কোন নেক কাজ করেছ? সে ব্যক্তি বললঃ না, কিন্তু আমার এক চাকর ছিল, আমি লোকদেরকে কর্জ দিতাম, যখন আমি তাকে কর্জ উসূল করতে পাঠাতাম, তখন বলে দিতামঃ যদি সহজভাবে পাওয়া যায়, তবে তা নেবে আর যেখানে কষ্ট হয়, সেখানে ছেড়ে দেবে, ক্ষমা করে দেবে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা বললেনঃ আমিও তোমাকে ক্ষমা করলাম।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৬৯৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
* যে আল্লাহর উপর ভরসা করে পরিশোধের নিয়তে ঋণ গ্রহণ করে, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করেন। তার অনুপম দৃষ্টান্ত রয়েছে নিমেণাক্ত হাদীছে।বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল।সহিহ বুখারী, ২২৯১ সহিহ
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَّهُ ذَكَرَ رَجُلاً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلَ بَعْضَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يُسْلِفَهُ أَلْفَ دِينَارٍ، فَقَالَ ائْتِنِي بِالشُّهَدَاءِ أُشْهِدُهُمْ. فَقَالَ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا. قَالَ فَأْتِنِي بِالْكَفِيلِ. قَالَ كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلاً. قَالَ صَدَقْتَ. فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى، فَخَرَجَ فِي الْبَحْرِ، فَقَضَى حَاجَتَهُ، ثُمَّ الْتَمَسَ مَرْكَبًا يَرْكَبُهَا، يَقْدَمُ عَلَيْهِ لِلأَجَلِ الَّذِي أَجَّلَهُ، فَلَمْ يَجِدْ مَرْكَبًا، فَأَخَذَ خَشَبَةً، فَنَقَرَهَا فَأَدْخَلَ فِيهَا أَلْفَ دِينَارٍ، وَصَحِيفَةً مِنْهُ إِلَى صَاحِبِهِ، ثُمَّ زَجَّجَ مَوْضِعَهَا، ثُمَّ أَتَى بِهَا إِلَى الْبَحْرِ، فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ تَسَلَّفْتُ فُلاَنًا أَلْفَ دِينَارٍ، فَسَأَلَنِي كَفِيلاً، فَقُلْتُ كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلاً، فَرَضِيَ بِكَ، وَسَأَلَنِي شَهِيدًا، فَقُلْتُ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا، فَرَضِيَ بِكَ، وَأَنِّي جَهَدْتُ أَنْ أَجِدَ مَرْكَبًا، أَبْعَثُ إِلَيْهِ الَّذِي لَهُ فَلَمْ أَقْدِرْ، وَإِنِّي أَسْتَوْدِعُكَهَا. فَرَمَى بِهَا فِي الْبَحْرِ حَتَّى وَلَجَتْ فِيهِ، ثُمَّ انْصَرَفَ، وَهْوَ فِي ذَلِكَ يَلْتَمِسُ مَرْكَبًا، يَخْرُجُ إِلَى بَلَدِهِ، فَخَرَجَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ أَسْلَفَهُ، يَنْظُرُ لَعَلَّ مَرْكَبًا قَدْ جَاءَ بِمَالِهِ، فَإِذَا بِالْخَشَبَةِ الَّتِي فِيهَا الْمَالُ، فَأَخَذَهَا لأَهْلِهِ حَطَبًا، فَلَمَّا نَشَرَهَا وَجَدَ الْمَالَ وَالصَّحِيفَةَ، ثُمَّ قَدِمَ الَّذِي كَانَ أَسْلَفَهُ، فَأَتَى بِالأَلْفِ دِينَارٍ، فَقَالَ وَاللَّهِ مَا زِلْتُ جَاهِدًا فِي طَلَبِ مَرْكَبٍ لآتِيَكَ بِمَالِكَ، فَمَا وَجَدْتُ مَرْكَبًا قَبْلَ الَّذِي أَتَيْتُ فِيهِ. قَالَ هَلْ كُنْتَ بَعَثْتَ إِلَىَّ بِشَىْءٍ قَالَ أُخْبِرُكَ أَنِّي لَمْ أَجِدْ مَرْكَبًا قَبْلَ الَّذِي جِئْتُ فِيهِ. قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَدَّى عَنْكَ الَّذِي بَعَثْتَ فِي الْخَشَبَةِ فَانْصَرِفْ بِالأَلْفِ الدِّينَارِ رَاشِدًا ".
লায়স (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে থেকে বর্ণিতঃ:
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তারপর (ঋণদাতা) বলল, তা হলে একজন যামিনদার উপস্থিত কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল। তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাজী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, ( এই টাকা পাওনা মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তোমার। এই ছিল আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল। যে আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। এই বলে সে কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়ত বা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখন্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্ঠখন্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি। ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে গেল।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৯১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* ঋন ভাবনা.. ঋণ কখনো কোনোদিনও শোধ করা যায় না জানেন? বিপদে টাকার দরকার, রক্ত লাগবে, অভুক্ত দিন চারেক কেউ ডাল ভাত খাওয়ালো, বৃষ্টির রাতে বিপদে পুরুষ বন্ধুকে ফোন করে জানালে অন্য একজন লোক এগিয়ে এসে তার বাড়িতে নিয়ে যায়
ধরুণ, আপনি খুব বিপদে পড়েছেন। আপনার কিছু টাকার দরকার। তখন কেউ আপনাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করলো। একসময় আপনি তার সেই টাকাটা ফেরত দিলেন এবং ভাবলেন ঋণ শোধ করে ফেলেছেন।
এটা আপনার ভুল ধারণা। আপনি টাকার অংকটা কেবল পরিশোধ করতে পেরেছেন। কিন্তু, আপনার বিপদের সময় সে টাকাটা দিয়ে যেই উপকার করেছিলো, সেই উপকারের ঋণ কোনদিনও শোধ করা সম্ভব না!
আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ খুব অসুস্থ, রক্ত লাগবে। কেউ আপনাকে তার শরীরের রক্ত দিয়ে সাহায্য করলো। সেই রক্ত যদি অর্থের বিনিময়ে আপনি কিনেও নেন, তবু সেই রক্তের ঋণ চিরকাল থেকেই যাবে।
আপনার সাথে হসপিটালে দিনের পর দিন থেকে কেউ আপনাকে সাহায্য করলো। এরপর আপনিও কোনো না কোনভাবে তার উপকারে এলেন। তবুও, আপনার ঐ দুঃসময়ে সেই মানুষটার পাশে থাকার ঋণ কোনোকিছুর বিনিময়েই শোধ হবে না!
আপনি অভুক্ত, দিন চারেক মুখে দানাপানি কিছু পড়েনি। কেউ একজন আপনাকে সেদিন তার ক্ষুদ্র সামর্থ্য থেকে ডাল-ভাত খাওয়ালো। এরপর আপনার সুযোগ মতো একদিন যদি তাকে নামি-দামি রেষ্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে ডিনার করান, তবু সেদিনের ঐ ডাল-ভাতের ঋণ আপনার পক্ষে শোধ করা সম্ভব না।
বড়জোর তাকে ভরপেট খাইয়ে ঋণ কিংবা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে পারেন। এরচেয়ে বেশি করার সামর্থ্য আল্লাহ আমাদের দেননি!
ধরুণ, আপনি একজন সুন্দরী মেয়ে, যার জন্য এ সমাজে বাইরের জগৎটা খুব অনিরাপদ। একদিন সঙ্গত কারণে পথে খুব রাত হয়ে গেলো, সাথে মুসলধারায় বৃষ্টি, কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না, রাস্তায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকাও নিরাপদ না। তখন আপনার এক কাছের বিশ্বস্ত পুরুষ বন্ধুকে ফোন করে আপনার সমস্যার কথা জানালেন। সে ঐ রাতে বৃষ্টি মাথায় করে ছুটে এলো এবং কোনো রকম ভাবে নিরাপদে আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিলো। তারপর আপনি সারাজীবন তার জন্য যা কিছুই করেন না কেন, ঐ বৃষ্টির রাতে তার কাছ থেকে যতটা উপকার আপনি পেয়েছিলেন, তা কোনোভাবেই শোধ করা সম্ভব না!
আমরা যে ঋণ শোধ করার গল্প বলি সবাই, সেটা আমাদের ভুল ধারণা। ঋণ এমন একটা বিশুদ্ধ সুন্দর ব্যাপার, যা কোনোদিন কেউ শোধ করতে পারে না।
কৃতজ্ঞতার সাথে কেবল তা সারা জীবন মনে রাখতে হয়। আর সেটাই যে কোনো ঋণের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
🌸🌸🌸
সংগৃহীত
____________________________
* আল্লাহ অভাবী নয় আমরাই ফকিরের গোষ্ঠী। কর্জ বান্দাকে দিলেই আল্লাহ পায়,সেদিন আল্লাহ বলবেন আমি অসুস্হ ছিলাম,সহিহ মুসলিম-৬৪৫০
يَا ابْنَ آدَمَ مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدْنِي ....
يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمْنِي ....
يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي .
* বান্দার হক আল্লাহ মাফ করবেন না। দেখুন কর্জ আদায়ে রাসূল (সা) এর ভুমিকা কেমন ছিল। জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ রাঃ বলেন, মদিনায় এক ইয়াহূদী সে আমাকে কর্জ দিত আমার খেজুর পাড়ার মিয়াদ পর্যন্ত। সহিহ বুখারী-৫৪৪৩
* শহীদের জন্য ও মাফ নাই। মুহাম্মদ ইব্ন জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তিনি আকাশের দিকে তাঁর মাথা উঠান, তারপর তাঁর হাত ললাটের উপর স্থাপন করে বলেনঃ সুব্হানাল্লাহ্! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হলো! সুনানে আন-নাসায়ী ৪৬৮৪
* কর্জে হাসানাহ এর মধ্যে রয়েছে কল্যান। সেটা কেমন কল্যান, সূরা হাদীদ-১৮
إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ
* সেদিন তার জন্য রয়েছে সম্মান জনক পুরস্কার, বহুগুন বাড়িয়ে দেওয়া হবে,হাদীদ:11
مَّن ذَا الَّذِى يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضٰعِفَهُۥ لَهُۥ وَلَهُۥٓ أَجْرٌ كَرِيمٌ
* কর্জদাতাকে কয়েক গুণ + বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন?আল্লাহ কমানোর ও বাড়ানোর ক্ষমতা রাখেন-বাক্বারাহ:245
مَّن ذَا الَّذِى يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضْعَافًا كَثِيرَةً ۚ وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُۜطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
* কর্জ দিলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করবেন ও আল্লাহ কর্জদাতা বান্দাদের সাথে থাকবেন -মায়িদাহ ১২
وَلَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا ۖ وَقَالَ اللَّهُ إِنِّي مَعَكُمْ ۖ لَئِنْ أَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَآتَيْتُمُ الزَّكَاةَ وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِي وَعَزَّرْتُمُوهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۚ فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ
________________
15 কর্জে হাসানার ফজিলত
73:আল-মুজ্জাম্মিল:20
وَأَقِيمُوا الصَّلٰوةَ وَءَاتُوا الزَّكٰوةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ
নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে “কর্জে হাসানা” দিতে থাকো।
* আল্লাহ অভাবী নয় কর্জ বান্দাকে দিলেই আল্লাহ পায়,আল্লাহ বলবেন আমি বিক্ষা চেয়েছিলাম তুই দেস নাই,
* ঋণগ্রহীতার প্রতি সহনশীল হওয়ার নির্দেশ
2:আল-বাক্বারাহ:280
وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلٰى مَيْسَرَةٍ ۚ وَأَن تَصَدَّقُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
তোমাদের ঋণগ্রহীতা অভাবী হলে সচ্ছলতা লাভ করা পর্যন্ত তাকে অবকাশ দাও। আর যদি সাদ্কা করে দাও, তাহলে এটা তোমাদের জন্য বেশী ভালো হবে, যদি তোমরা জানতে।
* সেটা কেমন কল্যান
إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ
বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার।
(সূরাঃ আল হাদীদ, আয়াতঃ ১৮)
* সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান
57:আল-হাদীদ:11
مَّن ذَا الَّذِى يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضٰعِفَهُۥ لَهُۥ وَلَهُۥٓ أَجْرٌ كَرِيمٌ
এমন কেউ কি আছে যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? উত্তম ঋণ যাতে আল্লাহ তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন। আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান
2:আল-বাক্বারাহ:245
مَّن ذَا الَّذِى يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضْعَافًا كَثِيرَةً ۚ وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُۜطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত,২৬৭ যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন?কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।
* কর্জ দিলে গুনাহ মাফ করবেন ও আল্লাহ সাথে থাকবেন
وَلَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا ۖ وَقَالَ اللَّهُ إِنِّي مَعَكُمْ ۖ لَئِنْ أَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَآتَيْتُمُ الزَّكَاةَ وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِي وَعَزَّرْتُمُوهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۚ فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ
বাংলা অনুবাদঃ আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার নিযুক্ত করেছিলাম। আল্লাহ বলে দিলেনঃ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত দিতে থাক, আমার পয়গম্বরদের প্রতি বিশ্বাস রাখ, তাঁদের সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম পন্থায় ঋন দিতে থাক, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের গোনাহ দুর করে দিব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে উদ্যান সমূহে প্রবিষ্ট করব, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নিঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হয়। অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি এরপরও কাফের হয়, সে নিশ্চিতই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।
(সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ১২)
* কর্জ আদায়ে রাসূল (সা) এর ভুমিকা
سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْن أَبِي رَبِيعَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَانَ بِالْمَدِينَةِ يَهُودِيٌّ وَكَانَ يُسْلِفُنِي فِي تَمْرِي إِلَى الْجِدَادِ وَكَانَتْ لِجَابِرٍ الأَرْضُ الَّتِي بِطَرِيقِ رُومَةَ فَجَلَسَتْ فَخَلاَ عَامًا فَجَاءَنِي الْيَهُودِيُّ عِنْدَ الْجَدَادِ وَلَمْ أَجُدَّ مِنْهَا شَيْئًا فَجَعَلْتُ أَسْتَنْظِرُه“ إِلٰى قَابِلٍ فَيَأْبٰى فَأُخْبِرَ بِذ‘لِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لأَصْحَابِه„ امْشُوا نَسْتَنْظِرْ لِجَابِرٍ مِنَ الْيَهُودِيِّ فَجَاءُونِي فِي نَخْلِي فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمُ الْيَهُودِيَّ فَيَقُوْلُ أَبَا الْقَاسِمِ لاَ أُنْظِرُه“ فَلَمَّا رَأٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَامَ فَطَافَ فِي النَّخْلِ ثُمَّ جَاءَه“ فَكَلَّمَه“ فَأَبٰى فَقُمْتُ فَجِئْتُ بِقَلِيلِ رُطَبٍ فَوَضَعْتُه“ بَيْنَ يَدَيْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ عَرِيشُكَ يَا جَابِرُ فَأَخْبَرْتُه“ فَقَالَ افْرُشْ لِي فِيهِ فَفَرَشْتُه“ فَدَخَلَ فَرَقَدَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَجِئْتُه“ بِقَبْضَةٍ أُخْر‘ى فَأَكَلَ مِنْهَا ثُمَّ قَامَ فَكَلَّمَ الْيَهُودِيَّ فَأَبٰى عَلَيْهِ فَقَامَ فِي الرِّطَابِ فِي النَّخْلِ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَالَ يَا جَابِرُ جُدَّ وَاقْضِ فَوَقَفَ فِي الْجَدَادِ فَجَدَدْتُ مِنْهَا مَا قَضَيْتُه“ وَفَضَلَ مِنْه“ فَخَرَجْتُ حَتّٰى جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَشَّرْتُه“ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنِّي رَسُوْلُ اللهِ
عُرُوشٌ وَعَرِيشٌ بِنَاءٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَعْرُوشَاتٍ مَا يُعَرَّشُ مِنَ الْكُرُومِ وَغَيْرِ ذ‘لِكَ يُقَالُ عُرُوشُهَا أَبْنِيَتُهَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ : قَالَ أَبُو جَعْفَرِ : قَالَ مُحَمَّدُ بنُ إسْمَاعِيْلَ فَخَلاَ لَيْسَ عِندِيْ مُقَيِّدًا ثُمَّ قَالَ : فَجَلّٰى لَيْسَ فِيْهِ شَكٌّ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, মদিনায় এক ইয়াহূদী ছিল। সে আমাকে কর্জ দিত, আমার খেজুর পাড়ার মিয়াদ পর্যন্ত। রুমা নামক স্থানের পথের ধারে জাবির (রাঃ)-এর এক টুকরো জমি ছিল। আমি কর্জ পরিশোধে এক বছর বিলম্ব করলাম। এরপর খেজুর পাড়ার সময়ে ইয়াহূদী আমার কাছে আসল, আমি তখনো খেজুর পাড়তে পারিনি। আমি তার কাছে আগামী বছর পর্যন্ত সময় চাইলাম। সে অস্বীকার করল। এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানানো হল। তিনি সাহাবীদের বললেনঃ চলো জাবিরের জন্য ইয়াহূদী থেকে সময় নেই। তারপর তাঁরা আমার বাগানে আসলেন। নবী ইয়াহূদীর সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা বললেন। সে বললঃ হে আবুল কাসিম! আমি তাকে আর সময় দেব না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এ কথা শুনে উঠলেন এবং বাগানটির চারিদিকে ঘুরে তার কাছে এসে আবার আলাপ করলেন। সে এবারও অস্বীকার করল। এরপর আমি উঠে গিয়ে সামান্য কিছু তাজা খেজুর নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রাখলাম। তিনি কিছু খেলেন। তারপর বললেনঃ হে জাবির! তোমার ছাপড়াটা কোথায়? আমি তাঁকে জানিয়ে দিলাম। তিনি বললেনঃ সেখানে আমার জন্য বিছানা বিছাও। আমি বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি এতে ঢুকে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুম থেকে জাগলে আমি তাঁর কাছে আরেক মুষ্টি খেজুর নিয়ে আসলাম। তিনি তা থেকে খেলেন। তারপর উঠে আবার ইয়াহূদীর সঙ্গে কথা বললেন। সে অস্বীকার করল। তখন তিনি দ্বিতীয়বার খেজুর বাগানে গেলেন এবং বললেনঃ হে জাবির! তুমি খেজুর পাড়তে থাক এবং ঋণ শোধ কর। এই বলে, তিনি খেজুর পাড়ার স্থানে বসলেন। আমি খেজুর পেড়ে ইয়াহূদীর পাওনা শোধ করলাম। এরপর আরও খেজুর উদ্বৃত্ত রইল। আমি বেরিয়ে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সুসংবাদ দিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সাক্ষী থাক যে, আমি আল্লাহ্র রসূল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৬)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৪৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* শহীদের জন্য ও মাফ নাই
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ جَحْشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، ثُمَّ وَضَعَ رَاحَتَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ، مَاذَا نُزِّلَ مِنَ التَّشْدِيدِ» فَسَكَتْنَا وَفَزِعْنَا، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ، سَأَلْتُهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا التَّشْدِيدُ الَّذِي نُزِّلَ؟ فَقَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ أُحْيِيَ، ثُمَّ قُتِلَ ثُمَّ أُحْيِيَ، ثُمَّ قُتِلَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ، مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ دَيْنُهُ»
মুহাম্মদ ইব্ন জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তিনি আকাশের দিকে তাঁর মাথা উঠান, তারপর তাঁর হাত ললাটের উপর স্থাপন করে বলেনঃ সুব্হানাল্লাহ্! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হলো! আমরা ভয়ে নির্বাক হয়ে গেলাম। পরদিন আমি জিজ্ঞাস করলামঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! ঐ কঠোরতা কী ছিল, যা অবতীর্ণ হয়েছে? রাসুলুল্লাহ (সা:) বললেনঃ যাঁর নিয়ন্ত্রণে আমার প্রাণ তাঁর কসম। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হয়, আবার জীবন লাভ করে; আবার শহীদ হয় এবং আবার জীবিত হয়, পরে আবার শহীদ হয়, আর তার উপর কর্জ থাকে, তবে তার পক্ষ হতে সে কর্জ আদায় না হওয়া পর্যন্ত সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৬৮৪
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إِنَّ اللهَ - عَزَّ وَجَلَّ - يَقُولُ يَومَ القِيَامَة
No comments