32/ 135 নবীদের সিফত গুনাহ মুক্ত জীবন,
গুনাহ তিনটি জিনিস থেকে বঞ্চিত রাখে
১। যখন চক্ষু পরনারী ও অশ্লীল ছবি ভিডিও এর দিকে যাবে। কান শুনবে অন্তঃকরণ কল্পনা করবে তখন এই গুনাহ দ্বীনী এলেম নামায ইবাদত কুরআন তেলাওয়াত থেকে বঞ্চিত করে দেয়।
اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا
২। গুনাহ রিজিক কমাইয়া দেয়। অবৈধ উপার্জনকারী সাধারণ মানুষের মতো বেশি ভাত তরকারি খাইতে পারে না। শিল্পপতি একটা রুটি আর কুদ্দুরা ভেজিটেবল খায়। কয় ভেজিটেবল খাই। বাংলা তরজমা মুলার শাক পুঁই শাক লাউ কুমড়া শাক। সবগুলো হারাম খোর রিজিক থেকে বঞ্চিত
৩। আল্লাহর ইবাদত ও বন্দেগী করার তৌফিক ছুটে যায়।দোকানদারী বিড়ি চা খানার টাইম আছে। নামায পড়ার টাইম নাই । হারাম খোরে নামাজের টাইম পায়না। আল্লাহর যারে তাওফিক দেয় তার অসুবিধা হয় না
* আমরা নিষ্পাপ নই। নবীগন মাসুম ছিলেন। প্রতিটি মূহুর্তে আমাদের গুনাহ হচ্ছে। গুনাহ করা মজা তবে তা চুলকানির মতো। সাজা বেশি
* অপরাধ দুর্নীতি কারা করে অবৈধ উপার্জন কারা করে? যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই
* যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তাঁরা কভু পথ ভুলে যায়না
* আমরা গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারিনা অথচ বাদশাহ সামসুদ্দীন আলতামাশ রহ. বাদশাহী করে ও আল্লাহকে ভূলে যাননি । হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহ. ইন্তেকাল করার পর বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। হাজারো লাখো মানুষের উপস্থিত। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন, হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. ইন্তেকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন, যার মাঝে চারটি গুণ থাকবে তিনি যেন বখতিয়ার কাকী রহ. এর জানাযা পড়ান। যদি এমন চারটি গুনওয়ালা ব্যক্তি না পাওয়া যায় তাইলে বিনা জানাযায় দাফন করবে।
১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি। ২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি। ৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি । ৪. এমন ইবাদতগুযার, যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি।
____________________________________
১৭: বনী ইসরাঈল,:আয়াত: ৩৬,
وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ١ؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا
(তের) এমন কোন জিনিসের পেছনে লেগে যেয়ো না যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই। নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কেমন ছিলেন বাদশাহ আলতামাশ রহ.?
মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা: তিনি ছিলেন সেই যামানার অনেক বড় একজন বযুর্গ- আল্লাহওয়ালা। যার জিন্দেগীতে কোনোদিন আসরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজও ছুটেনি। যিনি কোনদিন গাইরে মাহরামের দিকে ইচ্ছাকৃত গোনাহর নজরে তাকাননি। যিনি তাকবির উলা ছাড়া কোন ফরয নামাজ পড়েননি। যিনি কোনদিন তাহাজ্জুদের নামাজ মিস করেননি। সব সময় নিজের আমলকে গোপন রেখেছিলেন কিন্তু শেষ বয়সে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাদশাহ বখতিয়ার কাকীর রহ.জন্য।
হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহ. ইন্তেকাল করার পর বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। হাজারো লাখো মানুষের উপস্থিত। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন, হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. ইন্তেকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন, যার মাঝে চারটি গুণ থাকবে তিনি যেন বখতিয়ার কাকী রহ. এর জানাযা পড়ান। যদি এমন চারটি গুনওয়ালা ব্যক্তি না পাওয়া যায় তাইলে বিনা জানাযায় দাফন করবে।
গুণ চারটি হলো:
১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি। ২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি। ৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি । ৪. এমন ইবাদতগুযার, যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি।
একথা শোনার পর পুরো মাঠে নিরবতা ছেয়ে গেলো। সবাই নিস্তব্ধ। কে আছেন এমন? কাউকে পাওয়া যায়না সবাই পেরেশান তাইলে বাদশাহ কুতুবদ্দীন কাকীকে বিনা জানাযায় দাপন করতে হবে নাকি? এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ভীড় ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন একজন। সবার দৃষ্টি তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে জানাযার দিকে এগিয়ে এলেন। লাশের মুখ থেকে চাদর সরিয়ে বললেন, কুতুবুদ্দীন ! তুমি নিজে তো চলে গেলেন। কোনদিন নিজের আমল দুনিয়াতে প্রকাশ করিনি। শেষ মুহুর্তে জানাযার আগে আমার আমলগুলি মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিয়ে গেলেন। আমাকে অপদস্ত করে গেলেন। তারপর তিনি জনসম্মুখে আল্লাহ তা‘য়ালাকে সাক্ষী রেখে কসম খেয়ে বললেন, আমার মাঝে এই চারটি গুণ আছে। জনতা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো। আরে!! ইনি কে? তিনি আর কেউ নয়। তিনি হলেন তৎকালীন বাদশাহ শামসুদ্দীন আলতামাশ (র.)।
No comments