১৬/১১৭ দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِیِّ١ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا অতি উত্তম সালাম
* দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
* দুরুদ শরীফ ভ্রাম্যমান ফেরেস্তারা নবিজীর কিনারে পৌছাইয়া দেয়। আল্লাহর কাছে আর্জি পেশ করা হয়। কিরামান কাতিমিন এর প্রতি নির্দেশ একবার দুরুদ পড়ার পরিবর্তে দশটি করে গুনাহ কর্তন করে দাও
* যে যত বেশি দুরুদ শরীফ পাঠ করবে নবীর সাথে তার সম্পর্ক তত বেশি গভীর হবে
1. দুরুদ শরীফ পাঠের দুনিয়াবী ফায়দা আল্লাহ #বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। দুরুদের বরকতে আল্লাহর আবেদ জংগলে নিরাপদ
* হিংস্র প্রাণী ভরপুর জংগলে আল্লাহর আবেদ ইবাদতের উদ্দশ্যে প্রবেশ করলেন। দুরুদ শরীফ পাঠের বরকতে নিরাপদে ফিরে এলেন
2. মৃত্যুর সময় #চেহারায় আল্লাহ নূর দান করবেন
* হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন, যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ পড়িতেছে
3. #চারজন ফেরেস্তার দ্বারা উপকৃত হওয়া। রাসূলে পাক (স:)মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন
আজরাইল মৃত্যু আসান। ইসরাফিল #আরশে আজিমে সেজদায় পর্বে। মিকাইল #হাউজে কাউসার পানি পানের দায়িত্ব। জিব্রাইল পৌঁছে রাত পার
________________________________________________________
* বেশী বেশী দরুদ পাঠ হচ্ছে নবী পাকের প্রতি মোহাব্বত এর নমুনা। এসকে মাহবুবে খোদা
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِیِّ١ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا অতি উত্তম সালাম
* দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
* দুরুদ শরীফ ভ্রাম্যমান ফেরেস্তারা নবিজীর কিনারে পৌছাইয়া দেয়। আল্লাহর কাছে আর্জি পেশ করা হয়। কিরামান কাতিমিন এর প্রতি নির্দেশ একবার দুরুদ পড়ার পরিবর্তে দশটি করে গুনাহ কর্তন করে দাও
* আশা পূরণের জন্য দুরুদ শরীফ পাঠ। হযরত উবাই ইবনে কাব কয় আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব।
* দরূদ শরীফ দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরি করেন, যার একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে আর একটি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,
* সকাল সন্ধ্যায় দশবার দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
* রাসূলে পাক (স:)মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন
* হযরত আলী রা দুরুদ শরীফ পাঠ করে ভিক্ষুকের হাতে ফু দেন। মোতি তথা মুক্তা তৈরি হয় ওয়াজে বেনজীর ২/৪৪
* দুরুদ শরীফ পাঠের দুনিয়াবী ফায়দা আল্লাহ বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। দুরুদের বরকতে আল্লাহর আবেদ জংগলে নিরাপদ
* হিংস্র প্রাণী ভরপুর জংগলে আল্লাহর আবেদ ইবাদতের উদ্দশ্যে প্রবেশ করলেন। দুরুদ শরীফ পাঠের বরকতে নিরাপদে ফিরে এলেন
* মৃত্যুর সময় চেহারায় আল্লাহ নূর দান করবেন
* হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন, যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ পড়িতেছে।
* দুরুদ শরীফ পাঠের পরকালীন ফায়দা। আমাদের পাঠানো দরুদ আল্লাহর নবী মিযানের পাল্লায় স্থাপন করবেন
____________________________________
* ৩৩: আল-আহযাব,:আয়াত: ৫৬,
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِیِّ١ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও।
খায়রুল মাওয়ানিস ' গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে একটি বিস্ময়কর চমৎকার ঘটনার বিবরণ আছে । দরূদের মুঠোয় মুক্তা সৃজন : একবার আবু জালসহ বেশকিছু মুশরিকের জটলায় এক ভিখারী এসে হাত পাতল । তখন তার সাথে উপহাস করে তারা বলল , কাবা ঘরে গিয়ে দেখ , সেখানে আলী ( রা . ) বসে আছে । তার কাছে গিয়ে চাও । সে বড় দানশীল ; তার কাছে অনেক কিছু পাবে । সে তোমাকে অনেক কিছুই দান করবে । " অপরিচিত ভিখারী , কোন কিছুই তার জানা নেই । কথা অনুযায়ী সে আলী ( রা . ) - এর কাছে গিয়ে সবিনয়ে হাত পাতল । তাকে দেবার মত হযরত আলী ( রা . ) - এর হাতে কিছুই নেই । তাই বলে তিনি খালি হাতে ফিরিয়েও দিলেন না । বললেন , “ তোমার হাতটি আমার সামনে খুলে ধর । " ভিখারী হাত খুলে ধরার পরহযরত আলী ( রা . ) কিছু একটা পড়ে তার হাতে ফুঁ দিয়ে বললেন , “ বন্ধ কর । আ যারা তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে , তাদের সামনে গিয়ে হাত খুলবে , তার আগে নয় কিন্তু । ” কথা মত ভিখারী তাদের সামনে গিয়ে যখন হাত খুলল , অবাক হয়ে তারা সবাই দেখল , তার হাতে এক মহামূল্যবান মোতি । যার মূল্য হাজার দিনারের চেয়েও বেশি । অবিশ্বাসীরা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল , এ মোতি কি তোমাকে আলী ( রা . ) দিয়েছেন ? " ভিখারী বলল , “ না , তিনি তো আমার হাতে এক ফুঁ দিয়েছেন আর সে ফুঁর বরকতেই এ মহামূল্যবান মোতি । " গোটা জটলা তখন হযরত আলী ( রা . ) - এর দরবারে ছুটে চলল । গিয়ে তারা প্রশ্ন করলো , “ এ মহা মূল্যবান রত্ন আপনি পেলেন কোথায় ? ” তখন দুঃসময় , এ তো সবারই জানা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা হযরত আলী ( রা . ) কারো কাছেই কোন অর্থ সম্পদ নেই । তাই অবাক হওয়ারই কথা । হযরত আলী ( রা . ) তাদের জানালেন , ভিখারী এসে আমার কাছে হাত পাতলে তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে আমার লজ্জা হল । আবার দেয়ার মত কিছুই নেই । তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর প্রতি দরূদ পড়ে তার হাতে ফুঁকে দিলাম । মহান আল্লাহ দরূদ শরীফের মহিমায় এ মহা মূল্যবান মোতি দান করেছেন । ঘটনায় সবাই বিস্ময়াভীভূত । সাথে সাথে তাদের মধ্য থেকে তিনজন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিল । কবি বলেন। ওয়াজে বেনজীর ২/৪৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।(ই.ফা. ৭৯৫ ,ই.সে.৮০৭ )
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
★৬. রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আঁমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে দরূদ শরীফ পেশ করে,আল্লাহ পাক সেই দরূদ শরীফ দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরি করেন, যার একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে আর একটি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,তার পদযুগল জমিনের স্প্তম স্তরে (যা সর্ব নিম্ন স্তর) দন্ডায়মান হবে। আর তার গর্দান আরশের ছায়াতলে পৌঁছবে,আল্লাহ পাক সেই ফেরেস্তাকে বলবেন,তুমি আঁমার বান্দার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক, যেমন সে আঁমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর প্রতি দরূদ শরীফ প্রেরণ করেছে। অত:পর সে কিয়ামত পর্যন্ত সে ব্যক্তির প্রতি দরূদ পেশ করতে থাকবে।
[দালায়েলুল খায়রাত, বঙ্গানুবাদ, গাউসিয়া পাবলিকেশন্স, লেখক, আল্লামা আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে সোলায়মান যাজুলী (রহ), অনুবাদ- মাও. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-12]
* একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আরও বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন, উত্তম কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে। (মুয়াত্তা শরীফ)
* এক হাদীসে উল্লেখ আছে, একদা রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কী চিন্তা করছেন? রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মতের চিন্তা করছি, কীভাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে নেওয়া যায়। এই কথা শুনে
প্রথম ফেরেশতা আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার ওই উম্মত যে সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করবে, আমি মৃত্যুর সময় তার জান সম্মান ও ইজ্জতের সাথে সহজে কবজ করব।
দ্বিতীয় ফেরেশতা ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত সকাল-সন্ধ্যা দশবার করে আপনার উপর দরুদ ও সালাম ভেজবে, আমি তার জন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের নিচে সেজদারত অবস্থায় তার জন্য গুনাহ মাফির জন্য প্রার্থনা করব এবং প্রার্থনা কবুল না হওয়া পর্যন্ত সেজদা থেকে মাথা তুলব না।
তৃতীয় ফেরেশতা মিকাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত প্রাতে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম জানাবে, আমি হাশরের ময়দানে তাকে নিজ হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করাব।
চতুর্থ ফেরেশতা জিব্রাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাহু ধরে বললেন, অনুরূপ দরুদ পাঠকারীকে আমি এভাবে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌঁছে দেবো। (মাওয়াহিবেল লাদুনিয়া)
* হযরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নামে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করি; অতএব দরুদ পাঠের জন্য আমি কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব?
_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও। আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও; আর যদি আরও বেশি কর, তবে তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম_ তবে দুই তৃতীয়াংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, আমি আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য আমার সমুদয় সময় নির্দিষ্ট করব। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে। (তিরমিযী)
* !!! এক যুবকের দরুদ পড়ার কাহিনী !!!
*********************************
হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে
কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন,যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ
পড়িতেছে।ইহাতে তাহার অন্তরে বড় কৌতুহল জাগিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞাসা করিলেন- বৎস
কা'বা শরীফের "তওয়াফ"কালে পড়ার জন্য ত নিদিষ্ট দোয়া রহিয়াছে;তুমি তাহা না পড়িয়া কেবল
দরুদ শরীফ পড়িতেছ।তবে কি দরুদ শরীফ ছাড়া
ঐ সমস্ত দোয়া তোমার মুখস্ত নাই।
যুবক জবাব দিল- জী,দোয়া সব কয়টিই। মুখস্ত
আছে, কিন্তু দরুদ শরীফের ফায়েদা ও অশেষ মহিমার যে প্রমান আমি নিজে পাইয়াছি, তাহার তুলনাই অন্য কোন দোয়ায় তাহা পাই নাই।এ জন্য
আমি সকল ক্ষেত্রে দরুদ শরীফ পড়িতেছি।
যুবকের এই কথাই শিবলীর উৎসুক আরো বাড়িয়া
গেল।তিনি তাহাকে বলিলেন-- দরুদ শরীফের মহাত্ব
সম্পর্কে তোমার যে অভিজ্ঞতার আভাস দিলে,তাহা
আমার নিকট খুলিয়া বল।
যুবক তখন বলিলেন ঃএক সময় আমি আমার পিতার সংগে হজ্জের নিয়াতে মাতৃভুমি হতে বাহির
হইয়া বাগদাদ শহরে উপস্তিত হইলাম,তখন হঠাৎ
আমার পিতা কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হইয়া একদিন রাত্রিকালে মারা গেলেন।তাহার ইনতেকালের পর
দেখা গেল তাহার চেহারা শুয়রের আকৃতিসদৃশ
হইয়াছে।
এই অবস্তা দেখিয়া আমি মনের দঃখে কাঁদিতে লাগিলাম এবং একখন্ড কাপড় দ্বার ঢাকিয়া রাখিলাম।এই বিষয় কাহারও নিকট প্রকাশ করিতে
আমার খুব লজ্জা বোধ হইল।অথচ একা দাফন
কাফনের ব্যবস্থা করাও আমার পক্ষে সম্বভ নয়।
নিজের হাটুতে মাথা ঠেকাইয়া ভাবিতে ভাবিতে ক্লান্ত
অবসাদগ্রস্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িলাম।
এমন সময় দেখিলাম,অতি সুন্দর সুদর্শন এক বুযুর্গ
ব্যক্তি আমার পিতার লাশের নিকট আসিয়া তাঁহার
চেহারা হতে কাপড় খানী সরাইয়া নিজের হাত দ্বারা
তাঁহার চেহারা মুছিয়া দিলেন,আর অমনি সেই বিকৃত চেহারা পুর্বাবস্থায় ফিরিয়া আসিয়া এমন সুন্দর ও উজ্জল হইয়া উঠিল যে উহাতে পুর্নিমার
চাঁদের মত'নুরানী চমক দেখা যাইতে লাগিল।
এই অবস্থায় আগন্তক ব্যক্তি বিদায় হইয়া যাইতে চাহিলে আমি তাহার জামার আস্তিন ধরিয়া অত্যান্ত
বিনয়ের সাথে আরজ করিলাম,হুজুর আমার এই
চরম বিপদের মুহুর্তে আপ্নি আমার প্রতি অতুলনীয়
দয়া দেখায়েছেন।দয়া করিয়া আপনার পরিচয় টুকু
জানাইয়া আমাকে ধন্য করুন।
তিনি বলিলেন:- আমি হইলাম শাফীউল'মুযনিবীন
গুনাহগার উম্মতের একমাত্র ভরসা স্থল মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহী( সঃ) পরিচয় পাওয়া মাত্রই আমি আবেগ ও শ্রব্ধাপ্লুত অন্তরে তাহার পাক কদমে
লুটাইয়া পড়িয়াচ চুমা খাইলাম আর আরজ করিলাম ইয়া রাসুলুল্লাহ ( সঃ) আমার পিতার মৃত্যু
সংবাদ আপনার পাক দরবারে কি ভাবে পৌছিল?
করুনার ছবি দয়াল নবী জওয়াব দিলেন- তোমার
পিতা প্রতিরাতে আমার নামে তিন বার করে দরুদ
পাঠ করত। উম্মতের দরুদ আমাদ নিকট পৌছা-
নোর জন্য একজন ফেরেস্তা নিয়জিত।সে তোমার
বাবাফ দরুদ পৌছায়ে দিতেন।কিন্তু আজ তোমার
পিতার দরুদ না পৌছালে আমি জিজ্ঞাসা করলাম
আজ অমুক ব্যক্তির দরুদ না পৌছার কারন কি?
তখন তোমার পিতার মৃত্যু সংবাদ ও দুরাবস্থার কথা
আমাকে জানাইলেন,এই খবর পাইয়া আমার দরদী
অন্তরে খুব দয়া হইল,তায় আমি নিজে এখানে চলিয়া আসিয়াছি।
এই কথা বলিয়া হুজুর বিদায় হইয়া গেলেন, আমি
বিস্ময়াবিভুত বাকি রাত কাটাইলাম।ফজরের নামাজের পর দেখিলাম,আমার পিতার জানাজা
পড়বার জন্য শহর থেকে দলে দলে লোক জমায়েত
হইতেছে। এই দৃশ্য দেখিয়া ভাবিতে লাগিলাম।যে
এই সমস্ত লোকদের আমার পিতার মৃত্যু সংবাদ
কে দিলেন।আমি তাহাদের জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা বলিলেন-
আমরা আজ যখন ফজরের নামাজ পড়বার জন্য
ঘর থেকে বাহির হইলাম তখন এক গায়েবি আওয়াজ'শুনিলাম, যে ব্যক্তি নিজে যাবতিয় গুনাহ
মাফ পাইয়া পাক- পুন্য হইতে চাই।সে যেন অমুক
মহল্যায় অমুক মায়্যেতের জানাজায় শরীক হয়।
মোটকথা, খুব ভাবগাম্ভীর্য পুর্ন পরিবেশে জনাজা
নামাজ পড়ার পর পিতার লাশ দাফন করা হয়।
এই যে এই ব্যপারে আমি দরুদ শরীফের যে মহাত্ব
দেখিয়াছি,সেই কারনেই আমি অন্যান্য দোয়া বাদ
দিয়া কেবল মাত্র দরুদ শরীফ পড়িতেছি।
যুবকের মুখে এই ঘটনার কথা শুনিয়া হযরত শিবলী (রহঃ) বলিলেন- বৎস যে খুটির সন্ধেন তুমি
পাইয়াছ, ইহাকে মজবুত রুপে আঁকড়াইয়া।ধর,
কখনো ইহা ছাড়িও না।
সুবহানাল্লাহ, দরুদ শরীফ যাহারা পড়িয়া থাকেন
তাহাদের কতই না ফজিলত হয়।( সুত্রঃ বেনজীর)
* দুরুদ শরীফ আমলের আশ্চর্য ঘটনা
একদা নীলনদ দিয়ে এক সওদাগরের জাহাজ যাচ্ছিল।ঐ জাহাজে একজন লোক সর্বদাই দুরুদ শরিফ পাঠ করত.একদিন একটি বড় মাছ তার দুরুদ শরীফ খুব মন দিয়ে শুনছিল।হঠাৎ একজেলে জাল ফেলে মাছটিকে ধরে ফেলল।এবং মাছটিকে বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে গেল।এদিকে হযরত ওমর (রাঃ)নবী করীম (সাঃ)কে দাওয়াত করে খাওয়াবেন বলে বাজারে গেলেন বড় মাছ ক্রয় করতে।তিনি ঐ মাছটিকেই ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে এলেন এবং বিবিকে মাছটি ভূনা করতে বললেন।বিবি সাহেবা মাছটি রান্না করার জন্য সবরকম চেষ্টা করলেন কিন্তূ রান্না তো দূরের কথা মাছটি কড়াইয়ে চাপিয়ে আগুন জালাতে পারলেন না।আগুন নিজে নিজেই নিভে যায়।পরিশেষে তারা উভয়েই চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে নবী করীম (সাঃ) কে ডেকে সব ঘটনা খুলে বললেন।তিনি মাছটির সমস্ত ঘটনা পরিজ্ঞাত হয়ে বললেন দুনিয়ার অগ্নি কেন দোযখের অগ্নিও তাকে জালাতে পারবেনা।কেননা এক ভক্ত অতি ভক্তের সাথে দুরুদ শরিফ পাঠ করছিল আর এ মাছটি অনুরুপভাবে প্রেমের সাথে মন দিয়ে তা শ্রবন করছিল এমন সময় জেলে তাকে ধরে আনে।তাই তাকে দুনিয়া কেন জাহান্নামের আগুনও তাকে জালাতে পারবেনা।
দুরুদ শরীফ পাঠ শোনার জন্য যদি মাছটি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেলে মানুষ কেন পাবে না
--+
টোকেন
" مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا " .
*একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
* রাসূলে পাক (স:)মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে
* হযরত উবাই ইবনে কাব কয়
আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব।
* হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে
কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন,যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ
পড়িতেছে।
16/117 দুরুদ শরীফের ফজিলত
* বেশী বেশী দরুদ পাঠ হচ্ছে নবী পাকের প্রতি মোহাব্বত এর নমুনা। এসকে মাহবুবে খোদা
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِیِّ١ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا অতি উত্তম সালাম
* দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
* দুরুদ শরীফ ভ্রাম্যমান ফেরেস্তারা নবিজীর কিনারে পরিচয় সহকারে পৌছাইয়া দেয়। অতঃপর আল্লাহর কাছে পরিচয় তুলে ধরা হয়
* একবার দুরুদ শরীফ পাঠে একজন ফেরেশতা আল্লাহ তৈরি করেন
* হযরত উবাই ইবনে কাব কয়
আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব।
* সকাল সন্ধ্যায় দশবার দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
* রাসূলে পাক (স:)মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে
* হযরত আলী রা দুরুদ শরীফ পাঠ করে ভিক্ষুকের হাতে ফু দেন। মোতি তথা মুক্তা তৈরি হয় ওয়াজে বেনজীর ২/৪৪
* দুরুদ শরীফ পাঠের দুনিয়াবী ফায়দা আল্লাহ বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। দুরুদের বরকতে আল্লাহর আবেদ জংগলে নিরাপদ
* হিংস্র প্রাণী ভরপুর জংগলে আল্লাহর আবেদ ইবাদতের উদ্দশ্যে প্রবেশ করলেন। দুরুদ শরীফ পাঠের বরকতে নিরাপদে ফিরে এলেন
* মৃত্যুর সময় চেহারায় আল্লাহ নূর দান করবেন
* হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন, যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ পড়িতেছে।
* দুরুদ শরীফ পাঠের পরকালীন ফায়দা। আমাদের পাঠানো দরুদ আল্লাহর নবী মিযানের পাল্লায় স্থাপন করবেন
____________________________________
* ৩৩: আল-আহযাব,:আয়াত: ৫৬,
اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِیِّ١ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও।
খায়রুল মাওয়ানিস ' গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে একটি বিস্ময়কর চমৎকার ঘটনার বিবরণ আছে । দরূদের মুঠোয় মুক্তা সৃজন : একবার আবু জালসহ বেশকিছু মুশরিকের জটলায় এক ভিখারী এসে হাত পাতল । তখন তার সাথে উপহাস করে তারা বলল , কাবা ঘরে গিয়ে দেখ , সেখানে আলী ( রা . ) বসে আছে । তার কাছে গিয়ে চাও । সে বড় দানশীল ; তার কাছে অনেক কিছু পাবে । সে তোমাকে অনেক কিছুই দান করবে । " অপরিচিত ভিখারী , কোন কিছুই তার জানা নেই । কথা অনুযায়ী সে আলী ( রা . ) - এর কাছে গিয়ে সবিনয়ে হাত পাতল । তাকে দেবার মত হযরত আলী ( রা . ) - এর হাতে কিছুই নেই । তাই বলে তিনি খালি হাতে ফিরিয়েও দিলেন না । বললেন , “ তোমার হাতটি আমার সামনে খুলে ধর । " ভিখারী হাত খুলে ধরার পরহযরত আলী ( রা . ) কিছু একটা পড়ে তার হাতে ফুঁ দিয়ে বললেন , “ বন্ধ কর । আ যারা তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে , তাদের সামনে গিয়ে হাত খুলবে , তার আগে নয় কিন্তু । ” কথা মত ভিখারী তাদের সামনে গিয়ে যখন হাত খুলল , অবাক হয়ে তারা সবাই দেখল , তার হাতে এক মহামূল্যবান মোতি । যার মূল্য হাজার দিনারের চেয়েও বেশি । অবিশ্বাসীরা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল , এ মোতি কি তোমাকে আলী ( রা . ) দিয়েছেন ? " ভিখারী বলল , “ না , তিনি তো আমার হাতে এক ফুঁ দিয়েছেন আর সে ফুঁর বরকতেই এ মহামূল্যবান মোতি । " গোটা জটলা তখন হযরত আলী ( রা . ) - এর দরবারে ছুটে চলল । গিয়ে তারা প্রশ্ন করলো , “ এ মহা মূল্যবান রত্ন আপনি পেলেন কোথায় ? ” তখন দুঃসময় , এ তো সবারই জানা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা হযরত আলী ( রা . ) কারো কাছেই কোন অর্থ সম্পদ নেই । তাই অবাক হওয়ারই কথা । হযরত আলী ( রা . ) তাদের জানালেন , ভিখারী এসে আমার কাছে হাত পাতলে তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে আমার লজ্জা হল । আবার দেয়ার মত কিছুই নেই । তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর প্রতি দরূদ পড়ে তার হাতে ফুঁকে দিলাম । মহান আল্লাহ দরূদ শরীফের মহিমায় এ মহা মূল্যবান মোতি দান করেছেন । ঘটনায় সবাই বিস্ময়াভীভূত । সাথে সাথে তাদের মধ্য থেকে তিনজন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিল । কবি বলেন। ওয়াজে বেনজীর ২/৪৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।(ই.ফা. ৭৯৫ ,ই.সে.৮০৭ )
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
★৬. রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আঁমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে দরূদ শরীফ পেশ করে,আল্লাহ পাক সেই দরূদ শরীফ দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরি করেন, যার একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে আর একটি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,তার পদযুগল জমিনের স্প্তম স্তরে (যা সর্ব নিম্ন স্তর) দন্ডায়মান হবে। আর তার গর্দান আরশের ছায়াতলে পৌঁছবে,আল্লাহ পাক সেই ফেরেস্তাকে বলবেন,তুমি আঁমার বান্দার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক, যেমন সে আঁমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর প্রতি দরূদ শরীফ প্রেরণ করেছে। অত:পর সে কিয়ামত পর্যন্ত সে ব্যক্তির প্রতি দরূদ পেশ করতে থাকবে।
[দালায়েলুল খায়রাত, বঙ্গানুবাদ, গাউসিয়া পাবলিকেশন্স, লেখক, আল্লামা আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে সোলায়মান যাজুলী (রহ), অনুবাদ- মাও. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-12]
* একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আরও বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন, উত্তম কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে। (মুয়াত্তা শরীফ)
* এক হাদীসে উল্লেখ আছে, একদা রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কী চিন্তা করছেন? রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মতের চিন্তা করছি, কীভাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে নেওয়া যায়। এই কথা শুনে
প্রথম ফেরেশতা আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার ওই উম্মত যে সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করবে, আমি মৃত্যুর সময় তার জান সম্মান ও ইজ্জতের সাথে সহজে কবজ করব।
দ্বিতীয় ফেরেশতা ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত সকাল-সন্ধ্যা দশবার করে আপনার উপর দরুদ ও সালাম ভেজবে, আমি তার জন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের নিচে সেজদারত অবস্থায় তার জন্য গুনাহ মাফির জন্য প্রার্থনা করব এবং প্রার্থনা কবুল না হওয়া পর্যন্ত সেজদা থেকে মাথা তুলব না।
তৃতীয় ফেরেশতা মিকাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত প্রাতে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম জানাবে, আমি হাশরের ময়দানে তাকে নিজ হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করাব।
চতুর্থ ফেরেশতা জিব্রাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাহু ধরে বললেন, অনুরূপ দরুদ পাঠকারীকে আমি এভাবে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌঁছে দেবো। (মাওয়াহিবেল লাদুনিয়া)
* হযরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নামে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করি; অতএব দরুদ পাঠের জন্য আমি কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব?
_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও। আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও; আর যদি আরও বেশি কর, তবে তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম_ তবে দুই তৃতীয়াংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, আমি আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য আমার সমুদয় সময় নির্দিষ্ট করব। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে। (তিরমিযী)
* !!! এক যুবকের দরুদ পড়ার কাহিনী !!!
*********************************
হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে
কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন,যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ
পড়িতেছে।ইহাতে তাহার অন্তরে বড় কৌতুহল জাগিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞাসা করিলেন- বৎস
কা'বা শরীফের "তওয়াফ"কালে পড়ার জন্য ত নিদিষ্ট দোয়া রহিয়াছে;তুমি তাহা না পড়িয়া কেবল
দরুদ শরীফ পড়িতেছ।তবে কি দরুদ শরীফ ছাড়া
ঐ সমস্ত দোয়া তোমার মুখস্ত নাই।
যুবক জবাব দিল- জী,দোয়া সব কয়টিই। মুখস্ত
আছে, কিন্তু দরুদ শরীফের ফায়েদা ও অশেষ মহিমার যে প্রমান আমি নিজে পাইয়াছি, তাহার তুলনাই অন্য কোন দোয়ায় তাহা পাই নাই।এ জন্য
আমি সকল ক্ষেত্রে দরুদ শরীফ পড়িতেছি।
যুবকের এই কথাই শিবলীর উৎসুক আরো বাড়িয়া
গেল।তিনি তাহাকে বলিলেন-- দরুদ শরীফের মহাত্ব
সম্পর্কে তোমার যে অভিজ্ঞতার আভাস দিলে,তাহা
আমার নিকট খুলিয়া বল।
যুবক তখন বলিলেন ঃএক সময় আমি আমার পিতার সংগে হজ্জের নিয়াতে মাতৃভুমি হতে বাহির
হইয়া বাগদাদ শহরে উপস্তিত হইলাম,তখন হঠাৎ
আমার পিতা কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হইয়া একদিন রাত্রিকালে মারা গেলেন।তাহার ইনতেকালের পর
দেখা গেল তাহার চেহারা শুয়রের আকৃতিসদৃশ
হইয়াছে।
এই অবস্তা দেখিয়া আমি মনের দঃখে কাঁদিতে লাগিলাম এবং একখন্ড কাপড় দ্বার ঢাকিয়া রাখিলাম।এই বিষয় কাহারও নিকট প্রকাশ করিতে
আমার খুব লজ্জা বোধ হইল।অথচ একা দাফন
কাফনের ব্যবস্থা করাও আমার পক্ষে সম্বভ নয়।
নিজের হাটুতে মাথা ঠেকাইয়া ভাবিতে ভাবিতে ক্লান্ত
অবসাদগ্রস্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িলাম।
এমন সময় দেখিলাম,অতি সুন্দর সুদর্শন এক বুযুর্গ
ব্যক্তি আমার পিতার লাশের নিকট আসিয়া তাঁহার
চেহারা হতে কাপড় খানী সরাইয়া নিজের হাত দ্বারা
তাঁহার চেহারা মুছিয়া দিলেন,আর অমনি সেই বিকৃত চেহারা পুর্বাবস্থায় ফিরিয়া আসিয়া এমন সুন্দর ও উজ্জল হইয়া উঠিল যে উহাতে পুর্নিমার
চাঁদের মত'নুরানী চমক দেখা যাইতে লাগিল।
এই অবস্থায় আগন্তক ব্যক্তি বিদায় হইয়া যাইতে চাহিলে আমি তাহার জামার আস্তিন ধরিয়া অত্যান্ত
বিনয়ের সাথে আরজ করিলাম,হুজুর আমার এই
চরম বিপদের মুহুর্তে আপ্নি আমার প্রতি অতুলনীয়
দয়া দেখায়েছেন।দয়া করিয়া আপনার পরিচয় টুকু
জানাইয়া আমাকে ধন্য করুন।
তিনি বলিলেন:- আমি হইলাম শাফীউল'মুযনিবীন
গুনাহগার উম্মতের একমাত্র ভরসা স্থল মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহী( সঃ) পরিচয় পাওয়া মাত্রই আমি আবেগ ও শ্রব্ধাপ্লুত অন্তরে তাহার পাক কদমে
লুটাইয়া পড়িয়াচ চুমা খাইলাম আর আরজ করিলাম ইয়া রাসুলুল্লাহ ( সঃ) আমার পিতার মৃত্যু
সংবাদ আপনার পাক দরবারে কি ভাবে পৌছিল?
করুনার ছবি দয়াল নবী জওয়াব দিলেন- তোমার
পিতা প্রতিরাতে আমার নামে তিন বার করে দরুদ
পাঠ করত। উম্মতের দরুদ আমাদ নিকট পৌছা-
নোর জন্য একজন ফেরেস্তা নিয়জিত।সে তোমার
বাবাফ দরুদ পৌছায়ে দিতেন।কিন্তু আজ তোমার
পিতার দরুদ না পৌছালে আমি জিজ্ঞাসা করলাম
আজ অমুক ব্যক্তির দরুদ না পৌছার কারন কি?
তখন তোমার পিতার মৃত্যু সংবাদ ও দুরাবস্থার কথা
আমাকে জানাইলেন,এই খবর পাইয়া আমার দরদী
অন্তরে খুব দয়া হইল,তায় আমি নিজে এখানে চলিয়া আসিয়াছি।
এই কথা বলিয়া হুজুর বিদায় হইয়া গেলেন, আমি
বিস্ময়াবিভুত বাকি রাত কাটাইলাম।ফজরের নামাজের পর দেখিলাম,আমার পিতার জানাজা
পড়বার জন্য শহর থেকে দলে দলে লোক জমায়েত
হইতেছে। এই দৃশ্য দেখিয়া ভাবিতে লাগিলাম।যে
এই সমস্ত লোকদের আমার পিতার মৃত্যু সংবাদ
কে দিলেন।আমি তাহাদের জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা বলিলেন-
আমরা আজ যখন ফজরের নামাজ পড়বার জন্য
ঘর থেকে বাহির হইলাম তখন এক গায়েবি আওয়াজ'শুনিলাম, যে ব্যক্তি নিজে যাবতিয় গুনাহ
মাফ পাইয়া পাক- পুন্য হইতে চাই।সে যেন অমুক
মহল্যায় অমুক মায়্যেতের জানাজায় শরীক হয়।
মোটকথা, খুব ভাবগাম্ভীর্য পুর্ন পরিবেশে জনাজা
নামাজ পড়ার পর পিতার লাশ দাফন করা হয়।
এই যে এই ব্যপারে আমি দরুদ শরীফের যে মহাত্ব
দেখিয়াছি,সেই কারনেই আমি অন্যান্য দোয়া বাদ
দিয়া কেবল মাত্র দরুদ শরীফ পড়িতেছি।
যুবকের মুখে এই ঘটনার কথা শুনিয়া হযরত শিবলী (রহঃ) বলিলেন- বৎস যে খুটির সন্ধেন তুমি
পাইয়াছ, ইহাকে মজবুত রুপে আঁকড়াইয়া।ধর,
কখনো ইহা ছাড়িও না।
সুবহানাল্লাহ, দরুদ শরীফ যাহারা পড়িয়া থাকেন
তাহাদের কতই না ফজিলত হয়।( সুত্রঃ বেনজীর)
* দুরুদ শরীফ আমলের আশ্চর্য ঘটনা
একদা নীলনদ দিয়ে এক সওদাগরের জাহাজ যাচ্ছিল।ঐ জাহাজে একজন লোক সর্বদাই দুরুদ শরিফ পাঠ করত.একদিন একটি বড় মাছ তার দুরুদ শরীফ খুব মন দিয়ে শুনছিল।হঠাৎ একজেলে জাল ফেলে মাছটিকে ধরে ফেলল।এবং মাছটিকে বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে গেল।এদিকে হযরত ওমর (রাঃ)নবী করীম (সাঃ)কে দাওয়াত করে খাওয়াবেন বলে বাজারে গেলেন বড় মাছ ক্রয় করতে।তিনি ঐ মাছটিকেই ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে এলেন এবং বিবিকে মাছটি ভূনা করতে বললেন।বিবি সাহেবা মাছটি রান্না করার জন্য সবরকম চেষ্টা করলেন কিন্তূ রান্না তো দূরের কথা মাছটি কড়াইয়ে চাপিয়ে আগুন জালাতে পারলেন না।আগুন নিজে নিজেই নিভে যায়।পরিশেষে তারা উভয়েই চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে নবী করীম (সাঃ) কে ডেকে সব ঘটনা খুলে বললেন।তিনি মাছটির সমস্ত ঘটনা পরিজ্ঞাত হয়ে বললেন দুনিয়ার অগ্নি কেন দোযখের অগ্নিও তাকে জালাতে পারবেনা।কেননা এক ভক্ত অতি ভক্তের সাথে দুরুদ শরিফ পাঠ করছিল আর এ মাছটি অনুরুপভাবে প্রেমের সাথে মন দিয়ে তা শ্রবন করছিল এমন সময় জেলে তাকে ধরে আনে।তাই তাকে দুনিয়া কেন জাহান্নামের আগুনও তাকে জালাতে পারবেনা।
দুরুদ শরীফ পাঠ শোনার জন্য যদি মাছটি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেলে মানুষ কেন পাবে না
--+
টোকেন
" مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا " .
*একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
* রাসূলে পাক (স:)মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে
* হযরত উবাই ইবনে কাব কয়
আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব।
* হযরত শায়েখ শিবলী (রহঃ) একদা এক যুবককে
কা'বা শরীফে তাওয়াফ 'করিতে দেখিলেন। তিনি আরো দেখিলেন,যুবকটি তওয়াফের নির্ধারিত দোয়া না পড়িয়া সকল ক্ষেত্রেই কেবল দরুদ শরীফ
পড়িতেছে।
No comments