১৭। জুমার নামায
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও হযরত আবু মাসউদ আনসারীর বর্ণনা থেকে জানা যায়, হিজরাতের কিছুকাল পূর্বে পবিত্র মক্কাতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জুম’আর ফরয হওয়ার বিধান নাযিল হয়।
* শ্রেষ্ঠ দিন জুমার দিনে আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে এই দিনে কেয়ামত হবে বেহেশতীদেরকে নিয়ে আল্লাহ মজলিসে বসবেন সালাম প্রদান করবেন। অপরাধীদেরকে দূর হতে বলবেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
আবার নামাজ পড়ে মসজিদে বসে থাকতে ও বলেন নাই
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوةُ فَانْتَشِرُوْا فِی الْاَرْضِ وَ ابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ وَ اذْكُرُوا اللّٰهَ كَثِیْرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
* #শ্রেষ্ট দিন জুমার দিন। দিনকে ইহুদিরা গ্রহন করলনা ইয়াহুদীরা গ্রহন করে শনিবার। নাসারারা গ্রহন করে রবিবার,বুখারী ৮৭৬
* সালমান ফারসি রাঃ বলেন যে জুমার দিন গোসল করে তেল সুগন্ধি ব্যবহার করে,বুখারী ৮৮৩
غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى
* যে প্রথমে আসে উঠ,গাভী,দুম্বা, মোরগ ডিম কুরবানীর সওয়াব বুখারী ৮৮১
* #স্ত্রীর কাছে আমার দাম যেমন শাশুড়ির কাছে আমার দাম তেমন। আল্লাহ নবীর হুকুমগুলি আমার কাছে যেমন দাম আল্লাহর কাছে আমার তেমন দাম
* ইহুদী কয় ওমর রাঃ কে আমাদের উপর নাযিল হলে ঈদ মনে করতাম,বুখারী৭২৬৮
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
* তাহিয়াতুল অজুর গুরত্ব সুলায়ক আল গাত্বাফানীকে দুই রাকআত পড়ে বসার নির্দেশ জুমার দিন ছিল।মুসলিম ১৯০৮
* মেরাজের রজনীতে হযরত বেলালের পদ ধ্বনি শুনেন
* বা'দাল জুমা পড়ার নির্দেশ, রিয়াদুস সলেহিন ১১৩৩,মুসলিম
إِذَا صَلَّى أَحَدُكُم الجُمُعَةَ، فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبعاً
* সপ্তাহিক নামাযী হলে চলবেনা নামায হচ্ছ আল্লাহ পাকের সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম
* মুসলমানদের অধপতন দুর হবে যেদিন জুমার মুসল্লি ফজরে হবে * #ইহুদী ইমামকে প্রশ্ন করে জুমার মত ফজরে লোক হয় কিনা
* নামায কে বলোনা কাজ আছে
* নামাযের হিসাব কিয়ামতের দিন প্রথমে হবে- বান্দা নামায পড়ছত?
* জুমার দিন গরীবের হজের দিন,সামর্থ নাই জুমার নামায পড়বে হজ্বের সওয়াব পাবে, কানযুল উম্মাল, খন্ড-৭ম,হাদীস-২১০২৭
ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻤﺴﺎﻛﻴﻦ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻔﻘﺮﺁﺀ
____________________________________
47 জুমার ফজিলত ✓
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
(আল জুমুআহ - ৯)
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
62 আল-জুমুয়াহ, আয়াত নং: 10
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوةُ فَانْتَشِرُوْا فِی الْاَرْضِ وَ ابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ وَ اذْكُرُوا اللّٰهَ كَثِیْرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
তারপর যখন নামায শেষ হয়ে যায় তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো১৬ এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। ১৭ আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।১৮
فَإِذَا = অতঃপর যখন
قُضِيَتِ = সমাপ্তহয়
الصَّلَاةُ = নামাজ
فَانْتَشِرُوا = তখন তোমরা ছড়িয়েপড়ো
فِي = উপর
الْأَرْضِ = পৃথিবীর
وَابْتَغُوا = ও তোমরা সন্ধানকরো
مِنْ = মধ্য হতে
فَضْلِ = অনুগ্রহ
اللَّهِ = আল্লাহর
وَاذْكُرُوا = এবং তোমরা স্মরণ করো
اللَّهَ = আল্লাহকে
كَثِيرًا = অধিক
لَعَلَّكُمْ = সম্ভবতঃ
تُفْلِحُونَ = তোমরা সফল হবে
* হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও হযরত আবু মাসউদ আনসারীর বর্ণনা থেকে জানা যায়, হিজরাতের কিছুকাল পূর্বে পবিত্র মক্কাতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জুম’আর ফরয হওয়ার বিধান নাযিল হয়। কিন্তু সে সময় তিনি এ নির্দেশের ওপর আমল করতে পারতেন না। কারণ মক্কায় সামষ্টিক কোন ইবাদাত করা সম্ভব ছিল না। তাই যেসব লোক নবীর ﷺ আগে মদীনায় হিজরত করেছিলেন তিনি তাদের নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন যে, তারা যেন সেখানে জুম’আ কায়েম করে। অতএব প্রথম দিকে হিজরাতকারীদের নেতা হযরত মুস’আব ইবনে উমায়ের ১২ জন লোক নিয়ে মদীনায় সর্বপ্রথম জুম’আর নামায আদায় করেন। (তাবারানী, দারু কুতনী)।
* শ্রেষ্ট দিনকে ইহুদিরা গ্রহন করলনা ইয়াহুদীদের গ্রহন করে শনিবার নাসারারা গ্রহন করে রবিবার,বুখারী ৮৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ هُرْمُزَ الأَعْرَجَ، مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَحْنُ الآخِرُونَ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، بَيْدَ أَنَّهُمْ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا، ثُمَّ هَذَا يَوْمُهُمُ الَّذِي فُرِضَ عَلَيْهِمْ فَاخْتَلَفُوا فِيهِ، فَهَدَانَا اللَّهُ، فَالنَّاسُ لَنَا فِيهِ تَبَعٌ، الْيَهُودُ غَدًا وَالنَّصَارَى بَعْدَ غَدٍ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু কিয়ামাতের দিন আমরা মর্যাদার ব্যাপারে সবার পূর্বে। ব্যতিক্রম এই যে, আমাদের পূর্বে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে। অতঃপর তাদের সে দিন যে দিন তাদের জন্য ইবাদত ফরয করা হয়েছিল তারা এ বিষয়ে মতভেদ করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ্ আমাদের হিদায়েত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাদ্বর্তী। ইয়াহূদীদের (সম্মানীয় দিন হচ্ছে) আগামী কাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামী পরশু (রোববার)।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৭৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* সালমান ফারসি রাঃ বলেন যে জুমার দিন গোসল করে তেল,সুগন্ধি ব্যবহার করে,বুখারী ৮৮৩
غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ، فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى ".
সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল হতে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর বের হয় এবং দু’ জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, অতঃপর তার নির্ধারিত সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুত্বা দেয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমু’আ হতে আরেক জুমু’আ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮৩ : সহিহ হাদিস
* যে প্রথমে আসে উঠ,গাভী,দুম্বা, মোরগ,ডিম কুরবানীর সওয়াব,বুখারী ৮৮১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْخَامِسَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ حَضَرَتِ الْمَلاَئِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুত্বা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) যিক্র শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮১ : সহিহ হাদিস
* ইহুদী কয় ওমর রাঃ কে আমাদের উপর নাযিল হলে ঈদ মনে করতাম,বুখারী৭২৬৮
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
●উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত: এক ইয়াহুদি তাঁকে বলল ,’হে আমিরুল মু’মিনীন ! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে, যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদি জাতির উপর অবতীর্ণ হতো, তবে অবশ্যই আমরা সেই দিনকে ঈদ হিসাবে পালন করতাম’, তিনি বললেন, ‘কোন আয়াত’? সে বলল,
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ۚ
“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” – [ সূরা মায়েদা; ৩ ]; উমার (রাঃ) বললেন, “এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি; তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমুআ’র দিন।”-[সহীহ বুখারী;হাদিস নং – ৪৩, ৪৪০৭, ৪৬০৬, ৭২৬৮; সহীহ মুসলিম ৪৩/১ ,হাদিস নং – ৩০১৭]
* তাহিয়াতুল অজুর গুরত্ব,সুলায়ক আল গাত্বাফানীকে দুই রাকআত পড়ে বসার নির্দেশ জুমার দিন ছিল,মুসলিম ১৯০৮
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমা’আর দিন মিম্বারে উপবিষ্ট থাকা অবস্থায় সুলায়ক আল গাত্বাফানী মাসজিদে এসে (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) সলাত আদায় করার আগেই বসে পড়ল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন: তুমি কি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছো? সে বলল, না। তিনি বলেন, তুমি উঠে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় কর। (ই.ফা. ১৮৯৩, ই.সে. ১৯০০)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৯০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মেরাজের রজনীতে হযরত বেলালের পদ ধ্বনি শুনেন
* বা'দাল জুমা পড়ার নির্দেশ, রিয়াদুস সলেহিন ১১৩৩,মুসলিম
إِذَا صَلَّى أَحَدُكُم الجُمُعَةَ، فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبعاً
وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُم الجُمُعَةَ، فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبعاً». رواه مسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন কোন ব্যক্তি জুমাআর নামায আদায় করবে, তখন সে যেন তারপর চার রাকআত (সুন্নত) পড়ে ।”
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১১৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* সপ্তাহিক নামাযী হলে চলবেনা,নামায হচ্ছ আল্লাহ পাকের সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম
* মুসলমানদের অধপতন দুর হবে যেদিন জুমার মুসল্লি ফজরে হবে * ইহুদী ইমামকে প্রশ্ন করে জুমার মত ফজরে লোক হয় কিনা
একবার এক ইহুদী জুমার নামাজে মুসল্লিদের
সংখ্যাধিক্য দেখে ইমাম সাহেবকে প্রশ্ন করেছিল,
'তোমাদের ফজর নামাজেও কি এই সমপরিমান মুসুল্লি
হয়?
ফজর নামাজের মুসুল্লি জুমার মুসুল্লির দশ ভাগের এক
ভাগও হয় না'। ইমাম সাহেবের কাছ থেকে এইরকম উত্তর
পাওয়ার পর সেদিন সেই ইহুদী অট্টহাসি দিয়ে দর্পভরে
বলেছিলো,
"আরে তাহলে তো আমাদের কোন চিন্তাই নাই ৷ যতদিন
তোমাদের ফজরের মুসুল্লি আর জুমার মুসুল্লি সমান না
হবে ততদিন তোমরা আমাদের সাথে পারবা না৷"
আজ সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে প্রতিটা
জায়গায় মুসলমানরা নির্যাতিত কোন একটা ভূখন্ড
মুসলমানদের জন্য আজ নিরাপদ নয়
* নামায কে বলোনা কাজ আছে
* নামাযের হিসাব কিয়ামতের দিন প্রথমে হবে- বান্দা নামায পড়ছত?
* জুমার দিন গরীবের হজের দিন,সামর্থ নাই জুমার নামায পড়বে হজ্বের সওয়াব পাবে, কানযুল উম্মাল, খন্ড-৭ম,হাদীস-২১০২৭
ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻤﺴﺎﻛﻴﻦ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻔﻘﺮﺁﺀ
* জুমার দিন গরীবের হজের দিন তাদের টাকা নাই কিভাবে হজ্জ করবে ৷ রাসূল সাঃ বলেন: —
দলিল — রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻤﺴﺎﻛﻴﻦ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺣﺞ ﺍﻟﻔﻘﺮﺁﺀ . অর্থ্যাৎ “জুমার নামায মিসকিনদের হজ্জ। অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, জুমার নামায গরীবদের হজ্জ।”
[সূত্রঃ কানযুল উম্মাল, খন্ড- ৭ম, হাদীস নং-২১০২৭, ২১০২৮] ।
__________________
عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مِسْعَرٍ وَغَيْرِهِ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ لِعُمَرَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ أَنَّ عَلَيْنَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمْ الإِسْلاَمَ دِينًا} لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي لأَعْلَمُ أَيَّ يَوْمٍ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ نَزَلَتْ يَوْمَ عَرَفَةَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ سَمِعَ سُفْيَانُ مِنْ مِسْعَرٍ وَمِسْعَرٌ قَيْسًا وَقَيْسٌ طَارِقًا.
ত্বারিক ইব্নু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের এক লোক ‘উমর (রাঃ) - কে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমাদের উপর যদি এ আয়াতঃ “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নি’মাত পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে কবূল করে নিলাম” - (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩) অবতীর্ণ হত, তাহলে সে দিনটিকে আমরা অবশ্যই ঈদের দিন হিসেবে গণ্য করতাম। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমি অবশ্যই জানি এ আয়াতটি কোন্ দিন অবতীর্ণ হয়েছিল। আরাফাহ্র দিন জুমু‘আহ্র দিনে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছিল। হাদীসটি সুফিয়ান (রহঃ) মিসআর (রহঃ) থেকে, মিস্আর কায়স থেকে কায়স (রহঃ) তারিক থেকে শুনেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৭২)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৬৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
*
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ سُلَيْكٌ الْغَطَفَانِيُّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَعَدَ سُلَيْكٌ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَرَكَعْتَ رَكْعَتَيْنِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " قُمْ فَارْكَعْهُمَا " .
عن أنس بن مالك -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «أتاني جبريلُ بمثل هذه المرآة البيضاء فيها نُكْتة سوداء، قلت: يا جبريلُ ما هذه؟ قال: هذا الجُمُعة جعلها الله عيدًا لك ولأمتك فأنتم قبل اليهود والنصارى، فيها ساعةٌ لا يوافقها عبدٌ يسأل الله فيها خيرًا إلا أعطاهُ إياه، قال: قلت: ما هذه النُكْتةُ السوداء؟ قال: هذا يوم القيامة تَقُوم في يوم الجمعة، ونحن ندعوه عندنا (المزيد) قال: قلت: ما يومُ المزيد؟ قال: إنَّ الله جعل في الجنة واديًا أفيح، وجعل فيه كُثْبانًا من المسك الأبيض، فإذا كان يومُ الجمعة ينزلُ الله فيه فوضعت فيه منابر من ذهب للأنبياء وكراسي من درٍّ للشهداءٍ، وينزلن الحورُ العينُ من الغُرف فحمدوا الله ومَجَّدوه، قال: ثم يقول الله: اكسوا عبادي فيكسون، ويقول: أطعموا عبادي فيطعمون، ويقول: اسقوا عبادي فيسقون، ويقول: طيِّبوا عبادي فيطيبون، ثم يقول: ماذا تُريدون؟ فيقولون: ربنا رضوانك، قال: يقول: رضيت عنكم ثم يأمرهم فينطلقون وتصعدُ الحورُ العين الغرفَ، وهي من زمردةٍ خضراء ومن ياقوتةٍ حمراء » . ( يع ) صحيح
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সাদা এ আয়নার ন্যায় অনুরূপ আয়না নিয়ে জিবরিল আমার নিকট এসেছে তাতে কালো একটি ফোঁটা। আমি বললামঃ হে জিবরিল এটা কি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে জুমা, আল্লাহ যা তোমার ও তোমার উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন, তোমরাই ইহুদি ও খৃস্টানদের পূর্বে, (অর্থাৎ তাদের সাপ্তাহিক ঈদের পূর্বদিন তোমাদের ঈদের দিন) তাতে একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে সময় বান্দা আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ প্রার্থনা করবে না, যা তিনি তাকে দিবেন না। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ এ কালো ফোঁটা কি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে কিয়ামত জুমার দিন কায়েম হবে, আমরা একে মাযিদ বলি। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়াওমুল মাযিদ কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ জান্নাতে প্রশস্ত ময়দান তৈরি করেছেন, সেখানে তিনি সাদা মিশকের স্তূপ রেখেছেন, যখন জুমার দিন হয় আল্লাহ সেখানে অবতরণ করবেন, সেখানে নবীদের জন্য স্বর্ণের মিম্বার রাখা হয়, আর শহীদদের জন্য মুক্তোর চেয়ার এবং (জান্নাতের) প্রাসাদসমূহ থেকে ‘হূরুল ঈন’ বা ডাগর নয়না হূর অবতরণ করে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ-গান করবে। তিনি বলেনঃ অতঃপর আল্লাহ বলবেনঃ আমার বান্দাদের কাপড় পরিধান করাও, তাদের কাপড় পরিধান করানো হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের খাদ্য দাও, তাদের খাদ্য দেয়া হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের পান করাও, তাদের পান করানো হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের সুগন্ধি দাও, তাদের সুগন্ধি দেয়া হবে। অতঃপর বলবেনঃ তোমরা কি চাও? তারা বলবেঃ হে আমাদের রব তোমার সন্তুষ্টি। তিনি বলেনঃ তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছি, অতঃপর তাদেরকে নির্দেশ দিবেন, তারা যাবে ও ‘হূরল ঈন’ প্রাসাদসমূহে প্রবেশ করবে যা সবুজ মণি-মুক্তা ও লাল ইয়াকুত পাথরের তৈরি”। [আবু ইয়ালা]
সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ৯০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
●●“উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুম’আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল।”-[বুখারী – ৮৭৬, ইফা – ৮৩২, মুসলিম – ৮৫৫]
২. সালমান ফারেসী রাহ. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
عن سلمان الفارسي قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : لا يغتسل رجل يوم الجمعة ويتطَهَّر ما استطاع من طُهر ويَدَّهن من دُهنِه أو يمس من طيب بيته، ثم يخرج فلا يُفَرِّق بين اثنين، ثم يُصَلِّي ما كُتِب له، ثم يُنْصِت إذا تكلَّم الإمام، إلا غُفِر له ما بينه وبين الجمعة الأخرى.
কোনো পুরুষ যখন জুমার দিন গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, এরপর (জুমার জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর তাওফীক মতো নামায পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমা পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৮৩; মুসনাদে আহমদ ৮/৪৩ (২৩৭১০); সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৭৭৬
●●রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
“যে ব্যাক্তি জুমু’আর দিন ভাল মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়,সে যেন একটি উট কুরবানী করল,দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল,তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল।আর পঞ্চম
সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল।অতঃপর ইমাম যখন
বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য,তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।”-[বুখারী;৮৮১]
●●“জান্নাতে প্রতি জুম’আর দিনে জান্নাতীদের হাট বসবে। জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে।”-[মুসলিম;২৮৩৩, ৭১/৭৫৩]
* নামায হচ্ছ আল্লাহ পাকের সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ৷
No comments