Header Ads

Header ADS

11/252 ঈদুল ফিতর

*  মূল্যহীন দুনিয়ার পেছনে পরে আছি নবীজি মদিনার বাজারের পথে মৃত ছাগল দেখতে পান 

* সময় হারিয়ে একদিন বুঝে আসবে নেক আমলের মূল্য কতো। এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে । টাকা রিয়েল ইউএস ডলার ইউরো পাউন্ড দুনিয়া নেক আমল আজরাইল 

*  যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না

* ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সূচনা,রাসূল (সা:) মাদীনাহ্তে এসে দেখেন মাদীনাহ্বাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধূলা ও আনন্দ করে থাকে সুনানে আবু দাউদ-১১৩৪ সহিহ 

* তো এই আনন্দ করবে কারা? রোজা রাখে নাই যারা তারা?  হালুয়া রুটি নতুন পাঞ্জাবি পরবে কারা? বেরোজাদারের আনন্দ দেখাদেখি আনন্দ

*  ঈদুল ফিতরের নামাজ হচ্ছে শুকরিয়ার নামায 

*  বেরোজাদার নয়। সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ আছে। সহিহ মুসলিম ২৫৯৭ সহিহ

لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ

* ঈদুল ফিতরের দিনটি হচ্ছে রোজাদারদের জন্য পুরস্কার দিবস, ফেরেস্তারা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে-খুতবা ঈদুল ফিতর-218 তিবরানী

*  নেক আমলেরতো প্রয়োজন সেজন্যই লোকেরা আসছে। তবে #অনেকেই লুংগি খুলে পাগড়ি বাধার দলে আছে। এরা তারাই যারা নামায পড়েনা কদরের রাতের ফজিলত চায়

* #মুসলমানদের অধপতন দুর হবে যেদিন জুমার মুসল্লি ফজরে হবে

#বেনামাজী যেনাখোরের চেয়ে নিকৃষ্ট 

*  বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি।

__________________


*  সপ্তাহিক নামাযী হলে চলবেনা,নামায হচ্ছ আল্লাহ পাকের সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম


* মুসলমানদের অধপতন দুর হবে যেদিন জুমার মুসল্লি ফজরে হবে * ইহুদী ইমামকে প্রশ্ন করে জুমার মত ফজরে লোক হয় কিনা


একবার এক ইহুদী জুমার নামাজে মুসল্লিদের


সংখ্যাধিক্য দেখে ইমাম সাহেবকে প্রশ্ন করেছিল,


'তোমাদের ফজর নামাজেও কি এই সমপরিমান মুসুল্লি


হয়?


ফজর নামাজের মুসুল্লি জুমার মুসুল্লির দশ ভাগের এক


ভাগও হয় না'। ইমাম সাহেবের কাছ থেকে এইরকম উত্তর


পাওয়ার পর সেদিন সেই ইহুদী অট্টহাসি দিয়ে দর্পভরে


বলেছিলো,


"আরে তাহলে তো আমাদের কোন চিন্তাই নাই ৷ যতদিন


তোমাদের ফজরের মুসুল্লি আর জুমার মুসুল্লি সমান না


হবে ততদিন তোমরা আমাদের সাথে পারবা না৷"


আজ সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে প্রতিটা


জায়গায় মুসলমানরা নির্যাতিত কোন একটা ভূখন্ড


মুসলমানদের জন্য আজ নিরাপদ নয়


*  সময় থাকতে আল্লাহকে ভয় করুন।আলে ইমরান ১০২


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ


* আল্লাহর ভয় মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালনে বাধ্য করে।


*  যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না


*  ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না রাজপুত্রদের হা , তিনি বাদশাহী করে দেখালেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহী । কোন । এক ঈদের উৎসব নিয়ে এলাে । তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন , তার ছােট ছোট বাচ্চারা কাদছে ।বেহেশতী নারী-১৯১


*  এখানে একটি মাদ্রাসা হতে যাচ্ছে। এই মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে আজকের এই আয়োজন এখানে করা হয়েছে। একটা কথা আছে যে


* ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো ,প্রথম ফেক্টুরী পিতামাতা


* আমেরিকার একটি স্কুলে,এক খৃস্টান ম্যাডাম। ছেলে কয় সাহবী হতে চাই


*  হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. পনের পারার হাফেয


* দ্বিতীয় ফেক্টরী মাদরাসা,চরিত্র ঘঠনের একটা পরিবেশ,


*  যাদের পরামর্শক্রমে এই মাদ্রাসা হয়েছে তারা এর অংশ পাবে 


*  চেয়ারম্যানের ছেলে আসসালামু আলাইকুম


* আলেমের পিতার মাতায় নুরের তাজ পড়ানো হবে,


____________________________________


* ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। হযরত ওমর রা আনন্দ বিসর্জন দিয়েছেন ঈদের দিন কাঁদতে ছিলেন


 * ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না


* বেরোজাদারদেরকে সেদিন মুগুর দিয়ে বাইরাবে। তবে আল্লাহর এটাও বলেদিয়েছেন ৩৯: যুমার: ৫৩


قُلْ یٰعِبَادِیَ الَّذِیْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللّٰهِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِیْعًا١ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ


* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।


* আল্লাহর ভয় থাকলে নামাজ রোজা অন্যের হক মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে না


যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়


 * ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না রাজপুত্রদের হা , তিনি বাদশাহী করে দেখালেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহী । কোন । এক ঈদের উৎসব নিয়ে এলাে । তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন , তার ছােট ছোট বাচ্চারা কাদছে । বাচ্চারা কেন কাদছে । ' স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন । " ওরা বলছে , আমাদের বন্ধুরা ঈদের জন্য নতুন নতুন কাপড় বানিয়েছে । আমাদের বাবা তাে আমীরুল মুমিনীন । অথচ আমাদের কাপড় - চোপড় কত পুরাতন । প্রায় ছিড়ে যায় যায় অবস্থা । এখনাে নতুন কাপড় এলাে না । আমাদেরকে নতুন কাপড় দিতে হবে । ' স্ত্রী বললেন । ‘ আমার কাছে তাে এখন পয়সা নেই । আমি কোথেকে নতুন কাপড় এনে দেবাে ? ' উমর ইবনে আবদুল আজীজ বললেন । রাষ্ট্রীয় কোষাগার বায়তুলমাল । সেখান থেকে বেতন নিতেন । যে বেতন পেতেন তাতে খুব কষ্টে দু'বেলার রুটি তরকারি জুটতো । তবুও স্ত্রী । বললেন , “ তাহলে এখন কি করবেন ? বাচ্চাদেরকে কি করে বুঝাবেন ? নিজেরা তো ধৈর্য ধরতে পারবাে । কিন্তু বাচ্চারা তাে ধৈর্য ধরতে পারে না । ' সন্তানের সুখের জন্য মানুষ তাে ঈমানও বিক্রি করে দেয় । নিজের সব অর্জন বিসর্জন দিয়ে দেয় । তারপরও সে সন্তান বাবার চরম অবাধ্য হয় । বাবাকে বলে , তুমি আমাদের জন্য কি করেছো ? আমাদেরকে দেয়ার মতাে কি আছে তােমার ? দু'বেলা খাবার ছাড়া আর কি দিয়েছে আমাদের ?


কারণ , ওর জন্যই তাে বাপ খােদার নাফরমানী করেছে । আল্লাহ । তাআলার সন্তুষ্টিকে জলাঞ্জলী দিয়েছে । এজন্য এ সন্তান কখনাে বাবার বাধ্যগত হবে না । মা - বাবাকে সে জুতাপেটা করেও নির্বিকার থাকবে । ‘ উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( র ) এর স্ত্রী বললেন , তাহলে ওদেরকে কি করে বুঝাবোে ? ' তাহলে আমিই বা কি করে বুঝাবাে ? ' উমর এর স্ত্রী বললেন । রাখুন , আমার মাথায় একটি বুদ্ধি এসেছে । আপনি এক মাসের অগ্রিম বেতন উঠিয়ে নিন । এতে নিশ্চয় ওদের জামা - কাপড়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে । আমরা একটা মাস ধৈর্য ধরে কাটিয়ে দেবাে । ' স্ত্রী বুদ্ধি দিলেন । “ ঠিক আছে । ' উমর ইবনে আবদুল আজীজ বললেন । মাজাহিম তার গােলাম এবং রাজ কোষাগারের নিয়ন্ত্রকও । তাকে ডেকে বললেন , ‘ মাজাহিম মিয়া শােন , আমাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দিয়ে দাও ' । মাজাহিম শুধু খলীফা উমর ইবনে আবদুল আজীজের কর্মচারীই না , তার অধীনস্ত গােলামও । সে বলে উঠলাে , আমীরুল মুমিনীন ! ' আমি একটা কথা বলতে চাচ্ছি । ভুল হলে মাফ করে দেবেন । আপনি আমাকে এই জামানত দেবেন যে , আপনি কি আগামী এক মাস জীবিত থাকবেন ? অথচ আপনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিতে চাচ্ছেন । আপনি এক মাস জীবিত থাকবেন এ কথার জামানত দিতে পারলে বায়তুলমাল থেকে আপনি আপনার প্রয়ােজনীয় পয়সা নিয়ে নিন । আর যদি জামানত দিতে না পারেন তাহলে কেয়ামতের দিন আপনার গলা পাকড়াও করা হবে । '


উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( রা ) চিৎকার করে বলে উঠলেন , ' না , না , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেছেন , 


كم من مقبل لا يكمله


এমন কত মানুষ আছে যারা দিনের সূর্যোদয় দেখতে পারে , কিন্তু সূর্যাস্ত দেখার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় ।


و كم من مستقبل لغد لا يدركه


আর এমন কত মানুষ আছে যারা আগামীকালের অপেক্ষায় থাকে । কিন্তু আগামীকালের সূর্যোদয় দেখতে পারে না । ' প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর মুখনিঃসৃত এই অনিবার্য সত্যবাণীটি হযরত উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( র ) -এর মনে পড়লাে । তিনি বললেন , শােন বাচ্চারা ! এখানে ধৈর্য ধরাে । যা চাওয়ার আছে জান্নাতে গিয়ে । চাইবে পেয়ে যাবে । আমার কাছে এখন আর কিছু নেই তােমাদেরকে দেয়ার মতাে । আল্লাহর নির্দেশ ভাঙ্গেননি । নির্দেশের সীমা অতিক্রম করেননি । ব্যচ্চাদের মনের সাধ - স্বপ্ন ভেঙ্গেছেন । নিজের মনের ইচ্ছার বলি দিয়েছেন প্রয়ােজনকে বিসর্জন দিয়েছেন । এভাবেই “ লা - ইলা - হা ইল্লাল্লাহ ' এর গােলাম হয়ে যেতে হবে । স্ত্রী সন্তানদের গােলাম নয় । ব্যবসা বাণিজ্যের গােলাম নয় । বাদশাহীর গােলাম । নয় । ক্ষমতার গোলাম না ।( বেহেশতী নারী-১৯১)


* রমজান চলে যাচ্ছে মুসল্লির সংখ্যা কমে যাচ্ছে আমরা লক্ষ্য করছি ঠিক কিনা? বেনামাজী যেনাকারীর চেয়ে ও খারাপ । বর্ণিত আছে যে, বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। পরে তওবাও করেছি। আপনি দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেন।


____________________________________


* ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সূচনা,রাসূল (সা:) মাদীনাহ্তে এসে দেখেন মাদীনাহ্বাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধূলা ও আনন্দ করে থাকে সুনানে আবু দাউদ-১১৩৪ সহিহ


حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ ‏"‏ مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ ‏"‏ ‏.‏


আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্তে এসে দেখেন মাদীনাহ্বাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধূলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ দু’টি দিন কিসের? সকলেই বললো, জাহিলী যুগে আমরা এ দু’ দিন খেলাধূলা করতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দু’ দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্বরের দিন।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১১৩৪


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ আছে،সহিহ মুসলিম-২৫৯৭ সহিহ


وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ ‏.‏ وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏"‏ ‏.


আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সাওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, “কিন্তু সিয়াম আমারই জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিফল দান করব। বান্দা আমারই জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।” সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ আছে। একটি তার ইফত্বারের সময় এবং অপরটি তার প্রতিপালক আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাতের সময়। সিয়াম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়। (ই.ফা. ২৫৭৪, ই.সে. ২৫৭৩)


  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৯৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। হযরত ওমর রা আনন্দ বিসর্জন দিয়েছেন ঈদের দিন কাঁদতে ছিলেন


* এক ঈদের দিন হযরত আবু হোরায়রা (রা.) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.) এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন যে, মুসলিম বিশ্বের রাজাধিরাজ সৈয়্যদেনা উমর ফারুক (রা.) কান্নাকাটি করছেন। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আমিরুল মু’মিনিন! আজ ঈদের দিন। লোকেরা আনন্দোল্লাসে মেতে আছে, অথচ আপনি ঘরে দরজা বন্ধ করে কান্নাকাটি করছেন, এর হেকমত কী?’ এবার উমর ফারুক (রা.) জবাব দিলেন, ‘আনন্দিত লোকেরা যদি জানতো, তবে এমনটা করতো না’। এটা বলতে বলতে তিনি পুনরায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বলতে লাগলেন, “তাদের (রমজানের রোযা, নামায, ইবাদাত, রিয়াজত) যদি আল্লাহ তায়ালা কবুল করে থাকেন, তবে তাদের আনন্দ উদযাপনে দোষের কিছু নাই। কিন্তু এর বিপরীত হলে আনন্দ উদযাপন না করা উচিৎ। আমি তো নিশ্চিত না যে, আমার ইবাদত-রিয়াজত কবুল হয়েছে কিনা? (আর এজন্যেই আমি কাঁদছি)”


* ঈদুল ফিতরের দিনটি হচ্ছে রোজাদারদের জন্য পুরস্কার দিবস, ফেরেস্তারা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে-খুতবা ঈদুল ফিতর-218 তিবরানী


اذا كان يوم الفطر وقفت الملائكة علي ابواب الطرقات فنادوا اغدوا يا معشر المسلمين إلي رب كريم يمن بالخير ثم يثيب عليه الجزيل ،لقد أمرتم بقيام الليل فقمتم ،وأمرتم بصيام النهار فصمتم و أطعتم ربكم فقبضوا جوائزكم ،فإذا صلوا نادي مناد : الا إن ربكم قد غفر لكم فارجعوا راشدين الي رحالكم فهو يوم الجائزة ويسمي ذلك اليوم في السماء يوم الجائزة


রাসুলুল্লাহ ( দঃ ) বলিয়াছেন— ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতাগণ রাস্তার মুখে মুখে দাঁড়াইয়া চিৎকার করিয়া বলিতে থাকেন , — হে মুসলিম ! নেক কাজের  ক্ষমতাদাতা ও উহাতে ছওয়াবের আধিক্যদাতা প্রতিপালক আল্লাহর নিকটে অতি শীঘ্র চল  তোমাদিগকে রাত্রে এবাদত করার হুকুম করা হইয়াছে , তোমরা উহা করিয়াছ , আর দিবসে রোযা রাখিতে বলা হইয়াছে তোমরা উহা রাখিয়াছ এবং তোমাদের পালন কর্তাকে | খাওয়াইয়াছ ( অর্থাৎ তাহার নির্দেশ মত গরীব দুঃখীকে খাওয়াইয়াছ ) আজ তাহার পুরস্কার গ্রহণ কর । তারপর মুসলমানগণ ঈদের নামায পড়ে , তখন একজন ফেরেশতা উচ্চস্বরে বলে , তোমাদিগকে তোমাদের প্রভু ক্ষমা করিয়া দিয়াছেন এখন তোমরা পূন্যময় দেহ মন লইয়া তোমাদের ঘরে ফিরিয়া যাও । এই দিনটি পুরস্কারের দিন 


* বেরোজাদারদেরকে সেদিন মুগুর দিয়ে বাইরাবে।


* রোজার সাথে যাদের মুহাব্বত নেই তারা দিনে খায়,যারা রোজার সাথে বেয়াদবি করে দিনে খায়, সেদিন রমজানে আহারকারীকে লোহার মুগুর দিয়ে আঘাত করবে, নবীজির সুপারিশে বাধা,সুহকান, মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ 217


* বেরোজাদারের শাস্তি:-খাইরুল মাজারের গ্রন্থে বর্ণিত আছে-কিয়ামতের ময়দানে একদল লোককে বন্দী অবস্থায় আনিয়া ফেরেস্তাগন এমন লৌহ মুগুর দ্বারা প্রহার করিতে থাকিবে যে, তাহারা যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে গাধার মত চিৎকার করতে থাকবে।দয়ার সাগর নূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে চিৎকার শুনে ব্যথিত অন্তরে ছুটিয়ে গিয়ে ফেরেস্তাদিগকে জিজ্ঞাসা করিবেন,হে আজাবের ফেরেস্তাগন, আমার উম্মাহকে এমন নির্দয়ভাবে কেন প্রহার করিতেছ? ইহারা কি এমন অপরাধ করিয়াছে যে তজ্জন্য এরূপ কঠোর শাস্তি হইতেছে। ফেরেস্তাগন বলিবেন ইহারা জাহেল বদকার ছিল, আল্লাহর আদেশ অমান্য করিতো, এবং রমজান মাসে রোজা না রাখিয়া উদরপূর্ন করিয়া ভোজন করিত। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহা শুনিয়া তাদের শাফায়াত করিতে ইচ্ছা করিলে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা তখন বলিলেন,হে আমার হাবীব,ইহারা আপনার শফায়তের যোগ্য নয়, রমজানের রোজা যে আমার খাছ ইবাদত,আর আমি উহার পালনকারী দিগকে যে খাছ বদলা দিব ইহা উহারা অস্বীকার করেছিল।অতএব ইহারা আপনার শফায়তের যোগ্য পাত্র নয়, আপনি উহাদের জন্য শাফায়াত করিবেন না,তখন নবীজী বললেন সুহকান দুর হও।(মজমুয়ে ওয়াজ শরীফ-২১৭)


 


তবে আল্লাহর এটাও বলেদিয়েছেন 


৩৯: আয-যুমার,:আয়াত: ৫৩,


قُلْ یٰعِبَادِیَ الَّذِیْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللّٰهِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِیْعًا١ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ


(হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ‌ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।


* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।


* বনী ইসরাইলে এক যুবক ছিল বড্ড বদমাশ, শারাবী ও জুয়াড়ী। শহরের লোকেরা তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দিল।


উক্ত ব্যক্তিকে লোকেরা শহর থেকে বের করে দেবার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের বাইরে গিয়ে নিজের আস্তানা গেড়ে বসল। সেখানে কোন সাথী সঙ্গী ছিলনা, খাদ্য-পানীয় ছিলনা। আস্তে আস্তে সব শেষ হয়ে গেল। তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিতে লাগল। সে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করল, ডানে দেখল, বামে দেখল, কিন্তু কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর সে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলতে লাগলঃ হে আল্লাহ্! আমি যদি জানতাম যে, আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে আর ক্ষমা করে দিলে তোমার রাজত্ব হ্রাস পাবে তাহলে, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাইতাম না। যদি আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি না ঘটে, তাহলে আমাকে আযাব না দিয়ে মাফ করে দাও। হে আল্লাহ্! কেউ আমার সাথি হয়নি, সকলেই আমাকে পরিত্যাগ করেছে। হে আল্লাহ্! মৃত্যুর মুখে আমি তওবা করছি, গোনাহ করতে করতে সারাটা জীবন কেটে গেছে। হে আল্লাহ্! সকলে তো আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, তুমি আমাকে পরিত্যাগ কর না, একথা বলতেই তার প্রাণপাখি উড়ে গেল।


আল্লাহ্ তাআলা হযরত মুসা (আঃ) কে বললেনঃ অমুক জঙ্গলে আমার এক বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছে। তুমি গিয়ে তাকে গোসল করাও, কাফন পড়াও ও জানাযা পড়াও।আর সারা শহরে ঘোষনা করে দাও যে, যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়। মুসা (আঃ) ঘোষনা করে দিলেন।


ঘোষনা শুনে শহরের লোকজন সব ছুটল জঙ্গলের দিকে। সেখানে গিয়ে তো সকলে বিস্ময়ে হতবাক। সেই শরাবী, জুয়াড়ী, ডাকাত, বদমাশ মরে পড়ে আছে।


লোকেরা মুসা (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলঃ হে মূসা (আঃ), ঘটনা কী? এই লোককে তো আমরা শহর থেকে বের করে দিয়েছিলাম অথচ আল্লাহ্ তাআ’লা তাকে বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন!


হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট আরয করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! তোমার বান্দারা তো বলছে, এই ব্যক্তি তোমার দুশমন আর তুমি তাকে নিজের বন্ধু বলছ!!


আল্লাহ্ তাআ’লা বললেনঃ তাদের কথাও ঠিক, আমার কথাও ঠিক। সে আমার দুশমনই ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে দেখল যে, সে একা, তার ডানে বামে কেউ নেই, সবাই পরিত্যাগ করেছে। আর সেই অবস্থায় যখন সে আমাকে স্মরণ করল, আমাকে ডাকল, তখন আমি তাকে তার গোনাহের কারনে নিঃস্ব, একাকী অবস্থায় তাকে পাকড়াও করতে লজ্জ্বাবোধ করলাম। সে সময় যদি সে আমার নিকট সারা দুনিয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করত, তাও আমি গ্রহণ করতাম।


*  এই দুনিয়া নেক আমলের মূল্য আমাদের কাছে নাই যার জন্য দুনিয়াকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু একদিন নেক আমলের মূল্য যে কতো তা বুঝে আসবে

* #এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে। টাকা 


টাকা,ইউএস ডলার,ইউরো, পাউন্ড, দুনিয়া,নেক আমল,আজরাইল 


______________________________________________________________


* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে


দুনিয়াদারের লোভ ও তার সাথে আযরাঈলের সাক্ষাৎ :- ভায়েরা আমার ! যারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ - বিলাসে লিপ্ত তারাই মৃত্যু থেকে গাফেল থাকে , মৃত্যুর পরের অবস্থা সম্পর্কে কোন ভ্রুক্ষেপই করে না । ফ্রান্সের এক তাবলীগী ভায়ের মুখে এর একটি দৃষ্টান্ত শুনেছিলাম তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি । 


এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে , সাথে ভোজের খাদ্যদ্রব্য , ভোগ সামগ্রী সবই বিদ্যমান । গাড়ী চলছে , হঠাৎ গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বলতে লাগল গাড়ী থামাও , আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও । দুনিয়াদার বলছে না গাড়িতে জায়গা নেই , তোমাকে নেয়া যাবে না । তখন পথিক বলল , আমাকে নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । দুনিয়াদার জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ?


 বলল , আমি টাকা বলল , আরে হা আমার টাকার প্রয়োজন । স্ত্রীকে বলল , তুমি পেছনে যাও আর টাকাকে বলল , তুমি আমার পাশে বস , তোমাকে আমার দরকার আছে । গাড়ী , চলল আবার কিছুক্ষণ যেতেই আরেক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ , বলছে ভাই আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও । বলল , না জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি রিয়াল দুনিয়াদার বলল , আরে আমার তো রিয়ালের প্রয়োজন আছে । টাকাকে পিছনে দিয়ে রিয়ালকে পাশে বসাল । অত : পর আবারো গাড়ী চলল কিছু যেতেই আবারো এক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ বলল , ভাই আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও , বলল না নেয়া যাবে না জায়গা নেই গাড়ী ভরপুর । বলল , নিয়ে যাওনা এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি ইউ এস ডলার । তখন দুনিয়াদার বলল আরে আমার তো ডলারের বড্ড প্রয়োজন আছে । এই তোরা পিছে যা , তাদেরকে আরো পিছনে দিয়ে ডলারকে পাশে বসালো । এবার গাড়ী আরো দ্রুত চলছে , একটু এগুতেই আরেক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ । বলল , ভাই তোমাদের সাথে আমাকে নিয়ে যাও । একই কথা , জায়গা নেই প্রয়োজন নেই । বলল , নিয়ে যাও তাহলে লাভবান হবে , লোভীর চোখ ও মনের লোভ শেষ হয় না । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি ইউরো , দুনিয়াদার চমকে বলল , আরে আমার তো তোমাকে যথেষ্ট প্রয়োজন । এই তোরা সব পিছে যা প্রয়োজনে বক্সে ঢুকে পড় তবুও আমাকে ইউরো নিতে হবে । পাশেই বসালো । বলল , তুমি তো আমার বন্ধু । এবার গাড়ী খুব স্পীডে চলল , দুনিয়ার সম্পদ মোটামোটি সবই আছে । কোন জিনিসের আর অভাব নেই , সাথে আর কিছুরই প্রয়োজন নেই , মনের আনন্দে গাড়ী চলল । একটু যেতে না যেতেই আওয়াজ আসল থাম, আমাকে সাথে নিয়ে যাও মালিক বলল, না ডিষ্টার্ব করো না । সময় নেই , জায়গাও নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও না , এতে তুমি ভাল লাভবান হবে । জিজ্ঞাসা করলো তুমি কে ? বলল , আমি পাউন্ড । পাউন্ডের নাম শুনতেই ব্রেক করে বলল , আরে পাউন্ডের তো আমার সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন , তোমাকে তো আমি মনে মনে খুঁজছি , এই তোরা সব পিছে যা । যেভাবে হোক পাউন্ড আমাকে নিতে হবেই । এতক্ষণে স্ত্রী , ছেলে - মেয়ের সম্পর্কও কিছুটা লোপ পেয়েছে । কেননা , অতি সম্পদ মানুষকে অন্ধ আর বধির করে দেয় এবং স্ত্রী - সন্তানের মায়া কমিয়ে দেয় । পাউন্ডকে পাশে বসালো এবার গাড়ী চলল দিব্যি আরামে , মনের সুখে , কোন জিনিষের আর অভাব নেই , সবই যে আছে , বিধায় আর কারো জন্য গাড়ী থামবে না । একটু যেতেই আরেক পথিকের সাক্ষাৎ , আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে যাওনা না কোন অবস্থাতেই নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে দেখনা লাভই হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি দুনিয়া , গাড়ী থেমে গেল বলল , আমার দুনিয়ারও বড্ড প্রয়োজন আছে । তুমি না হলেই নয় , উঠ ! সব পিছনে ঠেলে দিয়ে তাকে পাশেই বসাল । এবার জীবনে আর কোন অভাব নেই , দু : খ নেই , চিন্তা নেই যা মানুষের জীবনে দরকার সবই বিদ্যমান আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই । এবার সুখ সাগরে পাড়ি জমাল ফুল স্পীডে গাড়ী চলল । আর গাড়ী থামবে না কাউকে উঠাবে না , মনের সুখে গাড়ী চলবে । কিছুক্ষণ অগ্রসর হতেই এক পথিক বলছে ভাই অনেক কিছুই নিলা আমাকেও নিয়ে যাও । গাড়ী থেকে আওয়াজ আসলো না না না জায়গা নেই , সময় নেই , আর কারো অবকাশ নেই । কিন্তু কে তুমি কি তোমার পরিচয় ? বলল , আমি নেক আমল , আমি তোমার আখেরাত তথা পরকালে কাজে আসব । দুনিয়াদার জবাব দিল , আরে রাখ আখেরাত , তা পরে দেখা যাবে আগে দুনিয়া ভোগ শেষ হউক । নেক আমলকে তুচ্ছ - তাচ্ছিল্য করে পথেই রেখে গেল , সাথে আর নেয়া হল না । গন্তব্য স্থলে পৌঁছেই দুনিয়ার ভোগ আর উপভোগে মত্ত হয়ে উঠবে এই নেশা ও আশায় দুর্বার গতিতে গাড়ী চলল । একটু এগুতেই #বিশাল আকৃতির এক পথিক চিৎকার করে বলল , আরে থাম ! আমাকে নিয়ে যাও ! গাড়ী থেকে জবাব আসছে না ? দেখ গাড়ীতে একেবারেই জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । পথ ছেড়ে দাও আমাদেরকে সুখ সাগরে পাড়ি দিতে দাও । অনেক দূরে যেতে হবে , সেখানে পৌঁছে বহু আশা ভরসা পুরা হবে । পথিক বলল , এক কদম এগুতে দেয়া হবে না । দুনিয়াদার বলল , আরে তোমার এত দাপট , আমার আর কোন জিনিষের প্রয়োজন নেই । সরে যাও আমার সবই আছে পথ ছাড় । পথিক নাছোড় বান্দা ! আমাকে নিয়ে যেতে হবে । না হয় তোমাকে আমি নিয়ে যাব । দুনিয়াদার , আরে আশ্চর্য সাহস দেখছি , কে তুমি ? তোমার এত বড় স্পর্ধা ? আমার সাথে দুনিয়ার সব সম্পদ আছে , এরপরও তুমি আমার সাথে এতবড় শক্তি দেখাচ্ছ । আচ্ছা বলতো দেখি , কে তুমি ? কি - ই বা তোমার পরিচয় ? পথিক এবার জোর গলায় বলল , আমি তোমার যমদূত আযরাঈল । এক্ষুনি তোমার জান কবজ করে নিয়ে যাবো । দুনিয়াদার , আরে তুমি আমাকে নিও না , এই দেখ টাকা থেকে শুরু করে দুনিয়া পর্যন্ত সব আমার সাথে আছে । তুমি যা চাও তাই তোমাকে দিয়ে দিব । প্রয়োজনে ছেলে , মেয়ে , স্ত্রীও নিয়ে যাও তবুও তুমি আমাকে নিও না । যমদূত বললো এগুলো আমার কোন প্রয়োজন নেই । তোমার জান এক্ষুনি আমি কবজ করছি , তবে জানতে চাই তোমার সাথে নেক আমল এনেছ কি ? তখন দুনিয়াদার বললো , আরে নেক আমল তো পিছনে রেখে এসেছি , একটু সুযোগ দাও এই তো তা নিয়ে আসছি । আযরাঈল ( আ :) বললো , আর এক মুহুর্তও সুযোগ দেয়া যাবে না । দুনিয়ার মোহে পরে পরকাল ও নেক আমলের কথা ভুলে গিয়েছিলে , এবার মজা বুঝবে । দুনিয়াতে তো ভোগ করা হলো না শুধু জমা - ই করলে । আর পরকালের কঠিন শাস্তি ও তিরস্কার তোমার জন্য অপেক্ষা করছে । এই বলে আযরাঈল গাড়ীতে সব রেখে তার জান কবজ করে নিয়ে যায় । সবই আপন আপন জায়গায় পড়ে রইল । কিন্তু তাকে সব ছেড়ে খালি হাতে চলে যেতে হল । ধোকা সবই ধোকা , দুনিয়াটা চোখের ভেলকির মত। (মাওয়ায়েজে সিরাজী-  ৫ম পৃ:-৫১)


* বর্ণিত আছে যে, বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। পরে তওবাও করেছি। আপনি দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ তুমি কী গুনাহ করেছো? সে বললোঃ আমি ব্যভিচার করেছিলাম।অতঃপর একটি অবৈধ সন্তান প্রসব করি এবং তাকে হত্যা করে ফেলি।মূসা (আঃ) বললেনঃ “হে মহাপতাকিনী। এক্ষুনি বেরিয়ে যাও। আমার আশংকা, আকাশ থেকে এক্ষুনি আগুন নামবে এবং তাতে আমরা সবাই ভস্মীভূত হবো।” মহিলাটি ভগ্ন হৃদয়ে বেরিয়ে গেল। অল্পক্ষণ পরেই জিবরীল (আঃ) এলেন। তিনি বললেনঃ “হে মূসা! আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞাসা করাছেন কী কারণে এই তওবাকারিণীকে তাড়িয়ে দিলেন? তার চেয়েও কি কোন অধম মানুষকে আপনি দেখেন নি?” মূসা বললেনঃ “হে জিবরীল! এর চেয়ে পাপিষ্ঠ কে আছে?” জিবরীল (আঃ) বললেনঃ “ইচ্ছাকৃতভাবে নামায তর্ককারী।”


* --ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো--


শোনা কথা, সত্য-মিথ্যা জানিনা,


"শিক্ষনীয়" মনে করতেছি, তাই


সবার উপকার্থে পোষ্ট করলাম...!!


আমেরিকার একটি স্কুলে,


ছোট্ট বাচ্চাদের ক্লাস নিচ্ছেন


এক খৃস্টান ম্যাডাম।


ক্লাসের এক ফাঁকে ম্যাডাম


বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ-


তোমরা বড় হয়ে কে কি হতে চাও..??


সবাই এক এক করে বলতে লাগলো,


আমি পাইলট হবো,


চাঁদের দেশে যাবো।


কেউ কেউ বললো


ডাক্তার,বিজ্ঞানি, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।


ম্যাডাম লক্ষ্য করলেন


ছোট্ট একটি ছেলে সে কিছুই


বলছে না।


ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন


তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও..??


ছেলেটি বলল, আমি বড় হয়ে


'সাহাবী' হতে চাই।


ম্যাডাম থমকে গেলেন! মনে মনে


ভাবলেন 'সাহাবী' আবার কি..??


ম্যাডাম ক্লাস শেষ করে সেই


ছেলেটির মায়ের কাছে ফোন


দিলেন।


ছেলেটির মাকে বললেন,


আপনার ছেলে বড় হয়ে 'সাহাবী'


হতে চায়, এখন আমি


জানতে চাই 'সাহাবী' মানে কি?


ছেলেটির মা বলল-ফোনে 'সাহাবী'


চিনানো যাবে না।


আপনি যদি বাসায় আসেন,


আমি বুঝিয়ে দিবো।


অমূল্য হেদায়াত যেন


সেই খৃস্টান ম্যাডামকে


হাতছানি দিয়ে ডাকতেছে...!!


পরদিন ম্যাডাম সেই ছেলেটির


বাসায় গেলেন। ছেলেটির মা


রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর আগমনের


পূর্বে অন্ধকার যুগের চিত্র


তুলে ধরলেন।


নারীদের অবমাননা,


দূর্বলদের প্রতি সবলদের অত্যাচার,


মারামারি ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদির


কথা বললেন।


অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর


ছোঁয়ায় পৃথিবী আলোকিত হওয়া,


নারীরা সম্মান পাওয়া,


ধনী গরীব সমান হওয়া ইত্যাদি


স্বর্ণালি যুগের কথা বললেন।


তুলে ধরলেন সাহাবীদের জীবন


চলার পাথেয়। বিশিষ্ট চার


সাহাবীর জীবন কাহিনী বললেন।


ম্যাডাম সাহাবীর পরিচয় জানতে


এসে, ইসলাম ধর্মের পরিচয় জানলেন।


ছেলেটির মাকে বললেন,


ইসলামি কিছু বই দেওয়ার জন্য।


ছেলেটির মা ইংরেজি অনুবাদের


একটি আল-কোরআন


আর কিছু ইসলামি বই দিলো।


বই গুলো পড়ে সেই ম্যাডাম


কিছু দিন পর ইসলামের


ছায়াতলে আশ্রয় নিলেন....!!


সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম


'মা' তো এমনি হওয়া চাই।


নিজ সন্তানকে রুপকথার


রাজ্যের কাল্পনিক কাহিনী না বলে


ইসলামের কথা বললেন।


ফলে এই ছোট্ট শিশুটির মাধ্যমে


একজন খৃস্টান ম্যাডাম ইসলাম


গ্রহণ করলেন।


এটাতে শিক্ষনীয় বিষয় হলো,


পিতামাতার উচিত এরকম


ধার্মিক করে সন্তান গরে তোলা।


তা-নাহলে কিয়ামতে আপনার


শাস্তি সন্তানের চাইতেও দিগুন হবে।


আল্লাহ তায়ালা সবাইকে


সঠিক বুঝ দান করুক।-


* হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এতো বড় অলি হওয়ার পেছনে ছিল মায়ের অবদান।


হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এর বাল্যকাল 


--পাঞ্জাবি ওয়ালা


বখতিয়ার কাকী রহ. কে তার মা সবক পড়ানোর জন্যে মাদরাসায় নিয়ে গেছেন, উস্তাদ তাকে পড়াতে লাগলেন, অালিফ, বা, তা, ছা,। সে পড়তে লাগলো -


এবং একাধারে পনের পারা শুনিয়ে দিলো।


শিক্ষক বললেন,আরে বাবা,তোমার মা আমার সাথে মস্করা করলেন! ঘড়ে ফিরে এসে মাকে বললো, মা! তোমার ছেলে তো আমাকে পনের পারা শুনিয়ে দিয়েছে। সে পনের পারার হাফেজ। সে পনের পারা কিভাবে হেফজ করলো। অথচ আপনি তাকে আলিফ বা তা ছা পড়ার জন্যে পাঠিয়েছেন। বখতিয়ার কাকী রহ. -এর মা বললেন, আমি যখন তাকে দুধ পান করাতাম কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে পান করাতাম। তা শুনে শুনেই সে পনের পারার হাফেজ হয়ে গেছে। সুবহানআল্লাহ


আমরা জানি শিশুদের স্মৃতিশক্তি খুবই পরিচ্ছন্ন হয়। মা দুধ দিয়েছেন, সাথে কুরআনে কারীমের আয়াত দিয়েছেন।


দুধের সাথে সাথে অন্তরে কুরআনে কারীমের আয়াতও অংকিত হয়ে গেছে।


পক্ষান্তরে শিশু দুধ পান করছে। ঘরে চলছে গান। এখানে এই শিশুর কাছে আমরা ভবিষ্যতে কী প্রত্যাশা করবো? প্রথম দিন থেকেই তো তার কানে বিষ ঢালা হচ্ছে। হযরত লোকমান আ. তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন, আল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করো না '। সুতরাং মায়ের কাজ হবে সন্তানকে সর্বপ্রথম এ কথা শেখানো, আল্লাহর কোন শরীক নেই। সবকিছু একমাত্র আল্লাহই করেন।


একজন মা শুধু একজন সাধারন নারী নয়, তারা এক এক জন এক একটি আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর। 


আল্লাহ সকলকে ইবরত হাসিল করার তৌফিক দান করুন


*  খালা ! একটু পানি পড়া আর একটা তাবিজ দেন।


–কেনো, কি সমস্যা?


–ছেলে কথা শুনেনা খালা! আমাদের খেদমতও করতো চায়না।


এত্তো কস্ট করে লেখাপড়া শিখায়েছি।


বিয়াও করাইছি। কিন্তু সে এখন আমাদের ঠিকমতো খোজ খবর লয়না। কয়দিন আগে জগড়া করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে ।


–হুম…আপনার ছেলের নাম কি?


কি কাজ করে?


–জে, ছেলের নাম সুমন মিয়া।


ঢাকা একটা কোম্পানিতে চাকরি করে।


অনেক টাকা বেতন পায়।


–বুঝলাম, আপনার অভিযোগ ছেলেকে লালন পালন করে বড় করেছেন, অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে লেখা পড়া শিখিয়েছেন।


আর সে এখন মোটা বেতনে চাকরি পেয়ে বিয়ে করে বাপ মাকে অর্থাৎ আপনাদের ছেড়ে আলাদা হয়ে গেছে, এই তো?


— জি জি খালাএকদম ঠিক বলেছেন ! আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি কিন্তু


পোলা আমাদের কোন হকই আদায় করতাছে না। টাকা পয়সাও দেয়না।


–হুম, আপনারা আগে ছেলের হক ঠিকমতো আদায় করেছেন তো!


–কি বলেন খালা ! সবই তো করছি!


–হুম…আচ্ছা একটা কথা বলুন তো মা। 


আপনার ছেলের জন্মের পর তার ডান কানে আযান বাম কানে একামত দিয়েছেন? কিংবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন ?


–না…তা তো করিনি খালা


–আচ্ছা, আপনার ছেলের নাম যে সুমন রাখছেন এটা কি কোন মুসলমানের নাম নাকি হিন্দুদের নাম সেটা যাঁচাই করে রাখছেন?


–(মাথা চুলকে)না… তা তো জানিনা খালা।


–আচ্ছা, আপনার ছেলেকে কি সাত বছর বয়সে নামায শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন?


–স্কুলের পড়া লইয়া বেস্ত থাকতো খালা ! প্রাইভেট, (কোচিং)

No comments

Powered by Blogger.