Header Ads

Header ADS

6  রমজানের প্রথম জুমা রোজার আদব

*  রমজানের আদব রক্ষা করলেই রমজানের ফজিলত অর্জন করা সম্ভব। জবানের হেফাজত করা মন্দ কথা ত্যাগ করা। নিসা ১৪৮

لَا یُحِبُّ اللّٰهُ الْجَهْرَ بِالسُّوْٓءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلَّا مَنْ ظُلِمَ١ؕ

*  কান চক্ষু অন্তঃকরণ হেফাজত করুন কান চক্ষু হাত পা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। চোখ কান অন্তঃকরণ দিয়ে রোজা রাখতে হবে। কারণ চোখ গুনাহ করতে পারে কান গুনাহ করতে পারে অন্তঃকরণ গুনাহ করতে পারে

اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

সেদিন মুখের জবান বন্ধ করে দেয়া হবে 

اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى اَفْوَاهِهِمْ وَ تُكَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ

সুতরাং সর্বআংগ রোজা রাখতে হবে 

*  গীবত করা অন্যর দোষ খোঁজা থেকে বিরত থাকতে হবে। হুজুরাত ১২

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ١٘ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوْا وَ لَا یَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًا١ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ یَّاْكُلَ لَحْمَ اَخِیْهِ مَیْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ١ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیْمٌ

* রোজা কষ্ট হয় কাদের জানেন?গীবত কারীর জন্য রোযা রাখা কষ্টকর,নবীর জমানায় দুইজন মহিলা রোযা রেখে কাতরাচ্ছে, বয়ান ও খুতবাে-1/325

*  মুসলমান খেয়ে জাহান্নামী আর অগ্নি পুজক আদব দেখিয়ে জান্নাতি হয়ে গেল,মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ-216

*  রোজার আদব রোজার মাসে দিনে যারা খায় ইচ্ছা করলে আল্লাহ গলায় আটকাইয়া দিতে পাড়তেন

* রোজার সাথে যাদের মুহাব্বত নেই তারা দিনে খায়,যারা রোজার সাথে বেয়াদবি করে দিনে খায়, সেদিন রমজানে আহারকারীকে লোহার মুগুর দিয়ে আঘাত করবে, নবীজির সুপারিশে বাধা,সুহকান, মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ 217

* দান করলে যে কি পরিমান পুরস্কার রয়েছে সেটা মৃত্যুর পর বুঝা যাবে  মুনাফিকুন 63:10

وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ

*  মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সাওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। মুসলিম,২৫৯৭ সহিহ

كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ


_________________

_________________


*  ইফতার করানোর ফজিলত

وَعَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِىِّ ، قَالَ : خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فِى اٰخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ فَقَالَ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ! قَدْ أَظَلَّكُمْ شَهْرٌ عَظِيمٌ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، شَهْرٌ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ، جَعَلَ اللهُ تَعَالٰى صِيَامَه فَرِيضَةً، وَقِيَامَ لَيْلِه تَطَوُّعًا، مَنْ تَقَرَّبَ فِيهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ كَانَ كَمَنْ أَدّٰى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ، وَمَنْ أَدّٰى فَرِيضَةً فِيهِ كَانَ كَمَنْ أَدّٰى سَبْعِينَ فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ. وَهُوَ شَهْرُ الصَّبْرِ، وَالصَّبْر ثَوَابُهُ الْجَنَّةُ، وَشَهْرُ الْمُوَاسَاةِ، وَشَهْرٌ يُزْدَادُ فِيهِ رِزْقُ الْمُؤْمِنِ، مَنْ فَطَّرَ فِيهِ صَائِمًا كَانَ لَه مَغْفِرَةً لِذُنُوْبِه، وَعِتْقَ رَقَبَتِه مِنَ النَّارِ، وَكَانَ لَه مِثْلُ أَجْرِه مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجْرِه شَىْءٌ» قُلْنَا : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! لَيْسَ كُلُّنَا نَ جِدُ مَا نُفَطِّرُ بِهِ الصَّائِمَ. فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «يُعْطِى اللّٰهُ هٰذَا الثَّوَابَ مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا عَلٰى مَذْقَةِ لَبَنٍ، أَوْ تَمْرَةٍ أَوْ شَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ، وَمَنْ أَشْبَعَ صَائِمًا؛ سَقَاهُ اللّٰهُ مِنْ حَوْضِىْ شَرْبَةً لَا يَظْمَأُ حَتّٰى يَدْخُلَ الْجَنَّةَ. وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُه رَحْمَةٌ، وَأَوْسَطُه مَغْفِرَةٌ، وَاٰخِرُه عِتْقٌ مِنَ النَّارِ. وَمَنْ خَفَّفَ عَنْ مَمْلُوكِه فِيهِ؛ غَفَرَ الله لَه وَأعْتَقَه مِنَ النَّارِ


সালমান আল ফারিসী থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, শা‘বান মাসের শেষ দিনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদেরকে ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বারাকাতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার মধ্যে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ এ মাসের সিয়াম ফরয করেছেন আর নফল করে দিয়েছেন এ মাসে রাতের কিয়ামকে। যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করেন, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয সম্পাদন করল। এ মাস সবরের (ধৈর্যের) মাস; সবরের সাওয়াব জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার। এ এমন এক মাস যাতে মু’মিনের রিযক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোন সায়িমকে ইফতার করাবে, এ ইফতার তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, হবে জাহান্নামের অগ্নিমুক্তির উপায়। তার সাওয়াব হবে সায়িমের অনুরূপ। অথচ সায়িমের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না।


আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সকলে তো সায়িমের ইফতারীর আয়োজন করতে সমর্থ নয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সাওয়াব আল্লাহ তা‘আলা ঐ ইফতার পরিবেশনকারীকেও প্রদান করেন, যে একজন সায়িমকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করায়। আর যে ব্যক্তি একজন সায়িমকে পেট ভরে খাইয়ে পরিতৃপ্ত করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এভাবে পানি খাইয়ে পরিতৃপ্ত করবেন, যার পর সে জান্নাতে (প্রবেশ করার পূর্বে) আর পিপাসার্ত হবে না। এমনকি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটা এমন এক মাস যার প্রথম অংশে রহমত। মধ্য অংশে মাগফিরাত, শেষাংশে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত। যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধিনস্তদের ভার-বোঝা সহজ করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন। 


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯৬৫


* রোজা কষ্ট হয় কাদের জানেন?গীবত কারীর জন্য রোযা রাখা কষ্টকর,নবীর জমানায় দুইজন মহিলা রোযা রেখে কাতরাচ্ছে, বয়ান ও খুতবাে-1/325


*  যবানের হেফাজত করা। অর্থাৎ যবান দ্বারা যেন কোন গুনাহ হতে না পারে।যবানের বড় দুটি গুনাহ হল গিবত করা এবং মিথ্যা বলা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জমানায় দুই জন মহিলা রোজা রেখে খুব কাতর হয়ে পড়ল। তাদের অবস্থা মরনাপন্ন হয়ে দাঁড়াল। সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে একটা পেয়ালা পাঠিয়ে দিলেন যে, এই পেয়ালায় যেন বমি করে। বমি করলে দেখা গেল যে, তাতে গোস্তের টুকরা এবং তাজা রক্ত পড়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে, তারা গীবত করেছে,তাই তাদের এই দুরাবস্থা হয়েছে। কোন মুসলমানের গীবত করার অর্থ হলো তার মাংস চিবিয়ে খাওয়া।যা কুরআনে বলা হয়েছে। এটা যে বাস্তব,অমুলক নয়-এটা প্রমান করার জন্যই হয়ত আল্লাহ পাক এ ঘটনা ঘটিয়ে দেখিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, এই গীবত করার কারণেই তাদের রোযায় কষ্ট হচ্ছে।এ ঘটনা থেকে বুঝা গেল যে, কোন ইবাদত যদি সহীহ তরিকায় না হয়, তার মধ্যে যদি গলতী এসে যায়, তাহলে সেই ইবাদতে কষ্ট হয়।(বয়ান ও খুতবা ১/৩২৫

*  মুসলমান খেয়ে জাহান্নামী আর অগ্নি পুজক আদব দেখিয়ে জান্নাতি হয়ে গেল,মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ-216

*  জনৈক মজুছীর রোজার আদব রাখিয়া ঈমান প্রাপ্ত হওয়ার বিবরণ।মজুসী (আগুন পূজারি) মজুসী বলা হয় অগ্নীপুজককে


দোররাতুন নাছেহীন নামক কিতাবে বর্নিত আছে,একদা এক অগ্নিপুজক মজুছী তাহার আট দশ বছরের একটি পুত্রকে সংগে লইয়া রমজান মাস বাগদাদের বাজারে বাজার করিতে যায়। পিতার অসাক্ষাতে ছেলেটি কিছু খাবার কিনে খাইতে থাকে।পিতা তাহাকে বাজারের মুসলমানদের সম্মুখে খাইতে দেখিয়া তাহার গন্ডে চপেটাঘাত করিয়া বলিল,রে বেয়াদব তুই জানিস না যে এটা রমজান মাস। মুসলমানরা তাহাদের আল্লাহর আদেশে রোজা রাখিয়েছেন।আর তুই এমন বেয়াদব সন্তান যে, তাহাদের সম্মুখে খাইতছিস?। ফলকথা সেই মজুসী তাহার পুত্রকে তিরস্কার করিতে করিতে গৃহে লইয়া যায়।এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই সেই মজুসী পরলোক গমন করে। ঐ রমজান মাসে একজন আলেম স্বপ্নে মজুসীকে বেহেশতে স্বর্ণ সিংহাসনে সম্মানের সহিত বসিয়া আছে দেখিয়া আশ্চার্য্যাম্বিত হইয়া জিগ্গাসা করিলেন। আপনি না অমুক মজুসী?। আপনি কি এমন নেক আমল করিয়াছিলেন যে,তজ্জন্য বেহেশতে স্হান পাইলেন। উত্তরে মজুসী বলিলেন, আমি রমজান শরীফের আদব করিয়া সন্তানকে প্রহার করিয়াছিলাম বলিয়া মৃত্যুর সময়ে দয়াময় আল্লাহ তায়ালা আমার দেলে ঈমানের এমন জোশ দিলেন যে,আমি কালেমা পড়িয়া মুসলমান হইলাম। এবং ঐ সময় দৈব শব্দ শুনিতে পাইলাম,হে ফেরেস্তা এই ব্যক্তি রমজান মাসের যেমন আদব করিয়াছে, ঈমান অবস্থায় তাহার জান কবজ কর এবং তাহাকে তাজিমের সহিত বেহেশতে লইয়া যাও। আমি এই বানী শ্রবন মাত্রেই লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ বলার সংগে সংগে আমার জান কবজ হয়।(মজমুয়ে ওয়াজ শরীফ-216)


*  রোজার আদব রোজার মাসে দিনে যারা খায় ইচ্ছা করলে আল্লাহ গলায় আটকাইয়া দিতে পাড়তেন


* রোজার সাথে যাদের মুহাব্বত নেই তারা দিনে খায়,যারা রোজার সাথে বেয়াদবি করে দিনে খায়, সেদিন রমজানে আহারকারীকে লোহার মুগুর দিয়ে আঘাত করবে, নবীজির সুপারিশে বাধা,সুহকান, মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ 217


* বেরোজাদারের শাস্তি:-খাইরুল মাজারের গ্রন্থে বর্ণিত আছে-কিয়ামতের ময়দানে একদল লোককে বন্দী অবস্থায় আনিয়া ফেরেস্তাগন এমন লৌহ মুগুর দ্বারা প্রহার করিতে থাকিবে যে, তাহারা যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে গাধার মত চিৎকার করতে থাকবে।দয়ার সাগর নূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে চিৎকার শুনে ব্যথিত অন্তরে ছুটিয়ে গিয়ে ফেরেস্তাদিগকে জিজ্ঞাসা করিবেন,হে আজাবের ফেরেস্তাগন, আমার উম্মাহকে এমন নির্দয়ভাবে কেন প্রহার করিতেছ? ইহারা কি এমন অপরাধ করিয়াছে যে তজ্জন্য এরূপ কঠোর শাস্তি হইতেছে। ফেরেস্তাগন বলিবেন ইহারা জাহেল বদকার ছিল, আল্লাহর আদেশ অমান্য করিতো, এবং রমজান মাসে রোজা না রাখিয়া উদরপূর্ন করিয়া ভোজন করিত। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহা শুনিয়া তাদের শাফায়াত করিতে ইচ্ছা করিলে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা তখন বলিলেন,হে আমার হাবীব,ইহারা আপনার শফায়তের যোগ্য নয়, রমজানের রোজা যে আমার খাছ ইবাদত,আর আমি উহার পালনকারী দিগকে যে খাছ বদলা দিব ইহা উহারা অস্বীকার করেছিল।অতএব ইহারা আপনার শফায়তের যোগ্য পাত্র নয়, আপনি উহাদের জন্য শাফায়াত করিবেন না,তখন নবীজী বললেন সুহকান দুর হও।(মজমুয়ে ওয়াজ শরীফ-২১৭)


_________________


* রোযার পরিচয় رمضان শব্দটি رمض শব্দ হতে নির্গত। এর অর্থ পুড়িয়ে ফেলা। রোযা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। রমযান গুনাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে মুত্তাকিন হওয়ার যোগ্যতায় পৌছাইয়া দেয়। তাই এর নাম রমযান। রমজানের আদব রক্ষা করলেই এই ফজিলত অর্জন করা সম্ভব


*  জবানের হেফাজত মন্দ কথা, মিথ্যা কথা, গীবত করা, মুখে হারাম খাবার প্রবেশ না করা


* রোজার সাথে যাদের মুহাব্বত নেই তারা দিনে খায়,যারা রোজার সাথে বেয়াদবি করে দিনে খায়, সেদিন রমজানে আহারকারীকে লোহার মুগুর দিয়ে আঘাত করবে, নবীজির সুপারিশে বাধা,সুহকান, মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ 217


* যারা রোজার সম্মান করবে কিয়ামতের দিন রোজা তাদের জন্য সুপারিশ করবে মুসনাদে আহমদ ৬৬২৬)


*  সওয়াব অর্জনের সিজনে বেশি বেশি করে দান সদকা করুন। নামাজ ও রোজার জন্য আফসোস করবে না। কিন্তু দান সদকা না করার জন্য আফসোস করবে। তার কারণ আলমে বরযখ তার চোখের সামনে ভেসে উঠবে 


* মুনাফিকুন 63:10


وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ


____________________________________


৪: আন-নিসা,:আয়াত: ১৪৮,


لَا یُحِبُّ اللّٰهُ الْجَهْرَ بِالسُّوْٓءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلَّا مَنْ ظُلِمَ١ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ سَمِیْعًا عَلِیْمًا


মানুষ খারাপ কথা বলে বেড়াক, এটা আল্লাহ‌ পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম করা হলে তার কথা স্বতন্ত্র। আর আল্লাহ‌ সবকিছু শোনেন ও জানেন। (মজলুম অবস্থায় তোমাদের খারাপ কথা বলার অধিকার থাকলেও)


৩৬: ইয়া-সীন,:আয়াত: ৬৫,


اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى اَفْوَاهِهِمْ وَ تُكَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ


আজ আমি এদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছি, এদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং এদের পা সাক্ষ্য দেবে এরা দুনিয়ায় কি উপার্জন করে এসেছে।


১৭: বনী ইসরাঈল,:আয়াত: ৩৬,


وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ١ؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا


(তের) এমন কোন জিনিসের পেছনে লেগে যেয়ো না যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই। নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


২: আল-বাক্বারাহ,:আয়াত: ১৮৮,


وَ لَا تَاْكُلُوْۤا اَمْوَالَكُمْ بَیْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَ تُدْلُوْا بِهَاۤ اِلَى الْحُكَّامِ لِتَاْكُلُوْا فَرِیْقًا مِّنْ اَمْوَالِ النَّاسِ بِالْاِثْمِ وَ اَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ۠


আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পদ্ধতিতে খেয়ো না এবং শাসকদের সামনেও এগুলোকে এমন কোন উদ্দেশ্যে পেশ করো না যার ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে তোমরা অন্যের সম্পদের কিছু অংশ খাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাও।


৪৯: আল-হুজুরাত,:আয়াত: ১২,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ١٘ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوْا وَ لَا یَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًا١ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ یَّاْكُلَ لَحْمَ اَخِیْهِ مَیْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ١ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیْمٌ


হে ঈমানদারগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ। দোষ অন্বেষণ করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু।


*  মুসলমান খেয়ে জাহান্নামী আর অগ্নি পুজক আদব দেখিয়ে জান্নাতি হয়ে গেল,মজমুয়ায়ে ওয়ায়েজ-216


* যারা রোজার সম্মান করবে কিয়ামতের দিন রোজা তাদের জন্য সুপারিশ করবে মুসনাদে আহমদ-৬৬২৬)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, ‘এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।(মুসনাদে আহমদ-৬৬২৬)।


* রোজা কষ্ট হয় কাদের জানেন?গীবত কারীর জন্য রোযা রাখা কষ্টকর,নবীর জমানায় দুইজন মহিলা রোযা রেখে কাতরাচ্ছে, বয়ান ও খুতবাে-1/325


* দেহের চিকিৎসা হয় হাসপাতালে নিয়ম মাফিক চলতে হয়,আল্লাহ আমাদের রুহের চিকিৎসা করতে চান,রুহ তখন শক্তিশালী হয়, তখন দেহের উপর তার প্রভাব পরে,বুজর্গ 40 দিন গর্তে ইবাদত করে, উপরে বড় পাথর ভক্তরা রেখে দেয়(ওয়াজ ও খুতবা-1/341


* রূহের প্রভাব দেহের মধ্যে পড়ার ঘটনা,এক বুযুর্গ তার খানকায় লোকজনের ভিড়ের কারনে নিজের মন মতো ইবাদত বন্দেগী ও জিকির আজকার করতে পারতেন না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি পাহাড়ের গুহায় গিয়ে একা একা থাকবেন এবং মনের মতো যিকির আযকার করবেন। তিনি এক পাহাড়ের গুহার সন্ধান করলেন। গুহায় প্রবেশ করার আগে মুরীদগনকে বললেন। আমি এই গুহায় প্রবেশ করার পর ঐ পাথরের খন্ডটি তোমরা গড়িয়ে এনে গুহার মুখ বন্ধ করে দিও।যেন কোন লোক আমার কাছে না আসতে পারে।মুরীদগন দেখলো পাথরের খন্ডটি এক মানুষ সমান লম্বা এবং ঐ পরিমানই চওরা। পাথরটি সরাতে কয়েকটি হাতির শক্তির দরকার। কিন্তু সে রকম পোষা হাতী কোথায় পাবে? তাই খানকার সমস্ত মুরীদ মিলে পাথরটিকে ঠেলে গড়িয়ে কোন রকমে এনে গুহার মুখ বন্ধ করে দিল।বুযুর্গ এই বার মনের মতো করে ভিতরে থেকে এবাদত বন্দেগী ও যিকির আযকার করতে লাগলেন। চল্লিশ দিন পর্যন্ত কোন কিছু আহার করলেন না। অবিরাম জিকির আজকার ও মোরাকাবা মুশাহাদা করার পর যখন মন ভরে গেল তখন গুহা থেকে বাহির হতে ইচ্ছে করলেন। কিন্তু গুহার মুখে এমন এক পাথর চাপা দেওয়া ছিল যে ভিতর থেকে ডাকলে বাহিরে শব্দ আসতো না। তিনি কোন কিছুর অপেক্ষা না করে দুই হাতে পাথরকে এমন জোড়ে ধাক্কা দিলেন যে পাথর ছিটকিয়ে একদিকে গিয়ে পড়লো।আর তিনি বাহির হয়ে আসলেন।এই হলো দেহের উপর রুহানি শক্তির প্রভাব (বয়ান ও খুতবা ১/৩৪১)


63:10)


وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ


শব্দার্থ:        وَأَنْفِقُوا =  এবং  তোমরা খরচকরো,     مِنْ =  থেকে,     مَا =  তা (যা) ,     رَزَقْنَاكُمْ =    তোমাদের আমরা রিজিকদিয়েছি,     مِنْ =  থেকে,     قَبْلِ =  পূর্বে,     أَنْ =  যে,     يَأْتِيَ =  আসে,     أَحَدَكُمُ =    তোমাদের কারও,     الْمَوْتُ =  মৃত্যু,     فَيَقُولَ =   অতঃপর সেবলবে,     رَبِّ =  হে আমার রব,     لَوْلَا =  কেননা,     أَخَّرْتَنِي =   তুমি আমাকেঅবকাশদিলে,     إِلَىٰ =  পর্যন্ত,     أَجَلٍ =  কাল,     قَرِيبٍ =  কিছু,     فَأَصَّدَّقَ =   আমি তাহলেসদকাকরতাম,     وَأَكُنْ =  এবং হতাম আমি ,     مِنَ =  অন্তর্ভুক্ত,     الصَّالِحِينَ =   সৎকর্মশীলদের,


অনুবাদ:    আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।

No comments

Powered by Blogger.