Header Ads

Header ADS

1 দুনিয়ার উদাহরণ

 1  দুনিয়ার উদাহরণ

*  এই দুনিয়া খেল তামাসার জীবন। বাচ্চারা জোলাবাতির রান্না ভোগ করতে পারে না। মানুষ অর্থ আহরণে ব্যস্ত এমন অবস্থায় মৃত্যু এসে যায়।  আনয়াম:৩২,

وَ مَا الْحَیٰوةُ الدُّنْیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَهْوٌؕ وَ لَلدَّارُ الْاٰخِرَةُ خَیْرٌ لِّلَّذِیْنَ یَتَّقُوْنَؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ

*  দুনিয়া একটি মৃত ছাগলের বাচ্চার মতো: হজরত জাবের (রাদি.) বর্ণনা করেন, রাসূল সা: একবার একটি বাজারের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাঁর দু’পাশ দিয়েই লোকজন আসা যাওয়া করছিল। হঠাৎ তিনি রাস্তার ধারে একটি মৃত ছাগলের বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখলেন।

*  ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন।এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে

আইসো একা যাইবা একা সংগে যাবে কি,,, সংগে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী

*  এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে

*  মৌচাক নামক দুনিয়ার পেছনে পড়ে আমরা আমাদের জীবন শেষ করেছি। একটা নেকির মূল্য কতো সেই দিন বুঝে আসবে

*  একটা নেকির কতো দাম সেদিন বুঝা যাবে


____________________________________


266  দুনিয়ার উদাহরণ

নৌকা আর পানির সম্পর্ক যেমন, মানুষ আর দুনিয়ার সম্পর্ক তেমন হওয়া উচিত। পানি ছাড়া যেমন নৌকা চলতে পারে না, ঠিক তেমনিভাবে দুনিয়া ছাড়াও মানুষ এক মুহূর্ত চলতে পারে না। এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, পানির ওপরে নৌকা চলতে চলতে যখন পানি নৌকার ভেতরে ঢুকে যায়, তখন নৌকা পানির অতল গহŸরে ডুবে যায়। ঠিক তদ্রƒপ, দুনিয়াতে মানুষ চলতে চলতে যখন দুনিয়ার মহব্বত, ধনদৌলত, সন্তান-সন্ততি, স্ত্রী, পরিবার-পরিজনের মহব্বত মানুষের ভেতরে ঢুকে যায়, তখন মানুষও ঠিক নৌকার মতো ধ্বংস হয়ে যায়। এজন্য দুনিয়া নামক মহাসমুদ্রের ওপরে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই তাকওয়া নামক নৌকা বানিয়ে চলতে হবে, নচেত ধ্বংস অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে।


*  এই দুনিয়া খেল তামাসার জীবন-আনয়াম:৩২,

وَ مَا الْحَیٰوةُ الدُّنْیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَهْوٌؕ وَ لَلدَّارُ الْاٰخِرَةُ خَیْرٌ لِّلَّذِیْنَ یَتَّقُوْنَؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ

*  দুনিয়া একটি মৃত ছাগলের বাচ্চার মতো:

হজরত জাবের (রাদি.) বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি বাজারের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাঁর দু’পাশ দিয়েই লোকজন আসা যাওয়া করছিল। হঠাৎ তিনি রাস্তার ধারে একটি মৃত ছাগলের বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখলেন।

*  ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন।এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে


শিক্ষনীয় ঘটনা


ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন।এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে, তিনি প্রাণের ভয়ে দৌড়াতে লাগলেন কিছুদূর গিয়ে দেখলেন পানিহীন একটা কোয়া। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখতে পেলেন এবং সেটা ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।


উপরে চেয়ে দেখলেন সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নামার অপেক্ষায় রয়েছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা এবং একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমত অবস্থায় তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখন হঠাৎ কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল দিলেন এবং তা চেটে খেলেন, সেই মধুর এতটায় মিষ্টি ছিল যে তিনি মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত বাঘ, নিচে হাঁ করে থাকা সাপ দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।

 ##  ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন।


** এই সিংহ হচ্ছে আমাদের মৃত্যু যা সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,।

 ** সেই সাপটি হচ্ছে কবর যা আমাদের অপেক্ষায় আছে সর্বক্ষণ।


** আর সাদা ইঁদুর হল দিন আর কালো ইঁদুর হল রাত যারা প্রতিনিয়ত আমাদের আয়ু কমিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


** আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের চতুর্মুখী ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যায়।


*  আইসো একা যাইবা একা সংগে যাবে কি,,, সংগে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী

*  এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে


দুনিয়াদারের লোভ ও তার সাথে আযরাঈলের সাক্ষাৎ :-  ভায়েরা আমার ! যারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ - বিলাসে লিপ্ত তারাই মৃত্যু থেকে গাফেল থাকে , মৃত্যুর পরের অবস্থা সম্পর্কে কোন ভ্রুক্ষেপই করে না । ফ্রান্সের এক তাবলীগী ভায়ের মুখে এর একটি দৃষ্টান্ত শুনেছিলাম তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি । এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে , সাথে ভোজের খাদ্যদ্রব্য , ভোগ সামগ্রী সবই বিদ্যমান । গাড়ী চলছে , হঠাৎ গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বলতে লাগল গাড়ী থামাও , আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও । দুনিয়াদার বলছে না গাড়িতে জায়গা নেই , তোমাকে নেয়া যাবে না । তখন পথিক বলল , আমাকে নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । দুনিয়াদার জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ?


 বলল , আমি টাকা বলল , আরে হা আমার টাকার প্রয়োজন । স্ত্রীকে বলল , তুমি পেছনে যাও আর টাকাকে বলল , তুমি আমার পাশে বস , তোমাকে আমার দরকার আছে । গাড়ী , চলল আবার কিছুক্ষণ  যেতেই আরেক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ , বলছে ভাই আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও । বলল , না জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি রিয়াল দুনিয়াদার বলল , আরে আমার তো রিয়ালের প্রয়োজন আছে । টাকাকে পিছনে দিয়ে রিয়ালকে পাশে বসাল । অত : পর আবারো গাড়ী চলল কিছু যেতেই আবারো এক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ বলল , ভাই আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও , বলল না নেয়া যাবে না জায়গা নেই গাড়ী ভরপুর । বলল , নিয়ে যাওনা এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি ইউ এস ডলার । তখন দুনিয়াদার বলল আরে আমার তো ডলারের বড্ড প্রয়োজন আছে । এই তোরা পিছে যা , তাদেরকে আরো পিছনে দিয়ে ডলারকে পাশে বসালো । এবার গাড়ী আরো দ্রুত চলছে , একটু এগুতেই আরেক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ । বলল , ভাই তোমাদের সাথে আমাকে নিয়ে যাও । একই কথা , জায়গা নেই প্রয়োজন নেই । বলল , নিয়ে যাও তাহলে লাভবান হবে , লোভীর চোখ ও মনের লোভ শেষ হয় না । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি ইউরো , দুনিয়াদার চমকে বলল , আরে আমার তো তোমাকে যথেষ্ট প্রয়োজন । এই তোরা সব পিছে যা প্রয়োজনে বক্সে ঢুকে পড় তবুও আমাকে ইউরো নিতে হবে । পাশেই বসালো । বলল , তুমি তো আমার বন্ধু । এবার গাড়ী খুব স্পীডে চলল , দুনিয়ার সম্পদ মোটামোটি সবই আছে । কোন জিনিসের আর অভাব নেই , সাথে আর কিছুরই প্রয়োজন নেই , মনের আনন্দে গাড়ী চলল । একটু যেতে না যেতেই আওয়াজ আসল দাম, আমাকে সাথে নিয়ে যাও মালিক বলল, না ডিষ্টার্ব করো না । সময় নেই , জায়গাও নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও না , এতে তুমি ভাল লাভবান হবে । জিজ্ঞাসা করলো তুমি কে ? বলল , আমি পাউন্ড । পাউন্ডের নাম শুনতেই ব্রেক করে বলল , আরে পাউন্ডের তো আমার সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন , তোমাকে তো আমি মনে মনে খুঁজছি , এই তোরা সব পিছে যা । যেভাবে হোক পাউন্ড আমাকে নিতে হবেই । এতক্ষণে স্ত্রী , ছেলে - মেয়ের সম্পর্কও কিছুটা লোপ পেয়েছে । কেননা , অতি সম্পদ মানুষকে অন্ধ আর বধির করে দেয় এবং স্ত্রী - সন্তানের মায়া কমিয়ে দেয় । পাউন্ডকে পাশে বসালো এবার গাড়ী চলল দিব্যি আরামে , মনের সুখে , কোন  জিনিষের আর অভাব নেই , সবই যে আছে , বিধায় আর কারো জন্য গাড়ী থামবে না । একটু যেতেই আরেক পথিকের সাক্ষাৎ , আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে যাওনা না কোন অবস্থাতেই নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে দেখনা লাভই হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি দুনিয়া , গাড়ী থেমে গেল বলল , আমার দুনিয়ারও বড্ড প্রয়োজন আছে । তুমি না হলেই নয় , উঠ ! সব পিছনে ঠেলে দিয়ে তাকে পাশেই বসাল । এবার জীবনে আর কোন অভাব নেই , দু : খ নেই , চিন্তা নেই যা মানুষের জীবনে দরকার সবই বিদ্যমান আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই । এবার সুখ সাগরে পাড়ি জমাল ফুল স্পীডে গাড়ী চলল । আর গাড়ী থামবে না কাউকে উঠাবে না , মনের সুখে গাড়ী চলবে । কিছুক্ষণ অগ্রসর হতেই এক পথিক বলছে ভাই অনেক কিছুই নিলা আমাকেও নিয়ে যাও । গাড়ী থেকে আওয়াজ আসলো না না না জায়গা নেই , সময় নেই , আর কারো অবকাশ নেই । কিন্তু কে তুমি কি তোমার পরিচয় ? বলল , আমি নেক আমল , আমি তোমার আখেরাত তথা পরকালে কাজে আসব । দুনিয়াদার জবাব দিল , আরে রাখ আখেরাত , তা পরে দেখা যাবে আগে দুনিয়া ভোগ শেষ হউক । নেক আমলকে তুচ্ছ - তাচ্ছিল্য করে পথেই রেখে গেল , সাথে আর নেয়া হল না । গন্তব্য স্থলে পৌঁছেই দুনিয়ার ভোগ আর উপভোগে মত্ত হয়ে উঠবে এই নেশা ও আশায় দুর্বার গতিতে গাড়ী চলল । একটু এগুতেই বিশাল আকৃতির এক পথিক চিৎকার করে বলল , আরে থাম ! আমাকে নিয়ে যাও ! গাড়ী থেকে জবাব আসছে না ? দেখ গাড়ীতে একেবারেই জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । পথ ছেড়ে দাও আমাদেরকে সুখ সাগরে পাড়ি দিতে দাও । অনেক দূরে যেতে হবে , সেখানে পৌঁছে বহু আশা ভরসা পুরা হবে । পথিক বলল , এক কদম এগুতে দেয়া হবে না । দুনিয়াদার বলল , আরে তোমার এত দাপট , আমার আর কোন জিনিষের প্রয়োজন নেই । সরে যাও আমার সবই আছে পথ ছাড় । পথিক নাছোড় বান্দা ! আমাকে নিয়ে যেতে হবে । না হয় তোমাকে আমি নিয়ে যাব । দুনিয়াদার , আরে আশ্চর্য সাহস দেখছি , কে তুমি ? তোমার এত বড় স্পর্ধা ? আমার সাথে দুনিয়ার সব সম্পদ আছে , এরপরও তুমি আমার সাথে এতবড় শক্তি দেখাচ্ছ । আচ্ছা বলতো দেখি , কে তুমি ? কি - ই বা তোমার পরিচয় ? পথিক এবার জোর গলায় বলল , আমি তোমার যমদূত আযরাঈল । এক্ষুনি তোমার জান কবজ করে নিয়ে যাবো । দুনিয়াদার , আরে তুমি আমাকে নিও না , এই দেখ টাকা থেকে শুরু করে দুনিয়া পর্যন্ত সব আমার সাথে আছে । তুমি যা চাও তাই তোমাকে দিয়ে দিব । প্রয়োজনে ছেলে , মেয়ে , স্ত্রীও নিয়ে যাও তবুও তুমি আমাকে নিও না । যমদূত বললো এগুলো আমার কোন প্রয়োজন নেই । তোমার জান এক্ষুনি আমি কবজ করছি , তবে জানতে চাই তোমার সাথে নেক আমল এনেছ কি ? তখন দুনিয়াদার বললো , আরে নেক আমল তো পিছনে রেখে এসেছি , একটু সুযোগ দাও এই তো তা নিয়ে আসছি । আযরাঈল ( আ :) বললো , আর এক মুহুর্তও সুযোগ দেয়া যাবে না । দুনিয়ার মোহে পরে পরকাল ও নেক আমলের কথা ভুলে গিয়েছিলে , এবার মজা বুঝবে । দুনিয়াতে তো ভোগ করা হলো না শুধু জমা - ই করলে । আর পরকালের কঠিন শাস্তি ও তিরস্কার তোমার জন্য অপেক্ষা করছে । এই বলে আযরাঈল গাড়ীতে সব রেখে তার জান কবজ করে নিয়ে যায় । সবই আপন আপন জায়গায় পড়ে রইল । কিন্তু তাকে সব ছেড়ে খালি হাতে চলে যেতে হল । ধোকা সবই ধোকা , দুনিয়াটা চোখের ভেলকির মত। (মাওয়ায়েজে সিরাজী- 

৫ম পৃ:-৫১)


*  মৌচাক নামক দুনিয়ার পেছনে পড়ে আমরা আমাদের জীবন শেষ করেছি। একটা নেকির মূল্য কতো সেই দিন বুঝে আসবে

*  একটা নেকির কতো দাম সেদিন বুঝা যাবে


*  যখন হাসরের ময়দানে  একটি নেকির জন্য কোন লোককে জাহান্নামে ফেলে দেয়ার হুকুম হবে তখন লোকটি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ আপনি আমাকে সুযোগদিন, দেখি কারো কাছে একটি নেকি পাওয়া যায়নি, তখন সুযোগ দেয়া হবে। সে তখন পেরেশান অবস্থায় সকলের কাছে যাবে, এক এক করে  বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন ভাই বোন, ছেলে মেয়ে,সবার কাছে যাবে কেউ একটা নেকি দেবেনা সবাই ফিরিয়ে দেবে এমনকি যে মা বাবা পৃথিবীর মধ্য সবচেয়ে আপন ছিল সে  মা বাবা বলবে আমি তোমাকে চিনিনা। হে আল্লাহ তালা আমাদের  শরিয়ত মুতাবেক বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দিন  আমিন ,বিচারের দিবসের দিন কি কেউ কারো কে

চিনতে পারবে?? দু,বন্দুর মাঝে এক বন্দু নেককার আরেক বন্দু বদকার, কেয়ামত দিবসের দিন নেককার বন্দুটি তার নেক আমলের খাতা খুলে দেখে, যে তার আর একটি নেকী লাগবে, তা হলে, সে জান্নাতে যেতে পারবে,তাই আল্লাহ বললো হে,বান্দা, তুমি যাও তোমার পরিচিত কারো কাছ থেকে, আর একটি নেকী নিয়ে আসো,নেকার বন্দুটি নেকী নিতে প্রথমে  সে তার মায়ের কাছে যায়, গিয়ে বলে,মা তুমি দুনিয়াতে কত কষ্ট করিয়ে, আমাকে লালন পালন করেছো,আমি আর একটি নেকীর জন্য জান্নাতে যেতে পারতাছিনা, আমাকে আর একটি নেকী দেও, মা ছেলের কথা শুনে বললো,

কি বলো, তুমি, কে তুমি,?আমার তো এ দুনিয়াতে বিয়ে ই হয়নি, ছেলে আসবে

কেমনে, তার পর নেককার বন্দুটি তার বাবার কাছে, গিয়ে বললো,বাবা আমাকে

একটি নেকী দেও আর একটি নেকী পেলে আমি, জান্নাতে জেতে পাবো, বাবা

ছেলের কথা শুনে বললো, কে তুমি, কি বলো?আমার তো এ দুনিয়াতে, বিয়ে ই

হয়নি,ছেলে আসবে কি করে,?তার পর নেককার বন্দুটি,তার বদকার বন্দুটির

সাথে দেখা হয়, আর বদকার বন্দুটি বললো কি বেপার কি হইছে,নেককার বন্দুটি বললো, আমি আর একটি নেকীর জন্য জান্নাতে যেতে পারতাছিনা, বদকার বন্দুটি তার কথা শুনে বললো, আমি দিবো, তকে, আর একটি নেকী  আমি তো এমনি, জাহান্নামে যাবো,জীবনে ও নামায পড়িনি, নেক আমল  করিনি, আমার এ, একটি নেকী নিয়ে আমি কি কবরো, তুই নিয়ে যা, আল্লাহ কাছে নেককার  বন্দুটি গেলেন,  নেকী নিয়ে,আল্লাহ বললো, যাও বান্দা জান্নাতে, নেককার বন্দুটি বললো, না যাবো না ,আল্লাহ বললো,কেনো?নেককার বন্দুটি বললো, যার কারণে আমি জান্নাত পেলাম তাকে ছাড়া এ জান্নাত চায় না, আল্লাহ,   তখন, বললো, যাও তাকে ও নিয়ে জান্নাতে যাও,সুবহানাআল্লাহ,একটি নেকির বিনিময় ধামিক বন্দুটির উপলক্ষে নেক আমল ছাড়া ই জান্নাত পেলো, বিচার দিবসে মানুষের এমন আবস্তা হবে,মা ভূলে যাবে, ছেলেকে আর

ছেলে ভূলে যাবে, মাকে, তাই আপনারা সকলে ধামিক মানুষের সাথে উঠা বসা করুন,যাতে করে, দেখা মাত্র  ই একে ওপরকে

চিনতে পায়,একটা অশ্লীল বন্দু দশটা গুণার কারণ, আর একটা ধামিক বন্দু দশটা নেকীর কারণ হোতে পারে, আল্লাহ সকলকে সহি বুঝ আমল করার তৌফিক দান করুন

৮০: আবাসা:আয়াত: ৩৪


یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ اَخِیْهِۙ


শব্দার্থ:        يَوْمَ =  সেদিন,     يَفِرُّ =  পালাবে,     الْمَرْءُ =  মানুষ,     مِنْ =  হতে,     أَخِيهِ =  তারভাই,


অনুবাদ:    সেদিন মানুষ পালাতে থাকবে --- নিজের ভাই,




(80:35)

وَ اُمِّهٖ وَ اَبِیْهِۙ


শব্দার্থ:        وَأُمِّهِ =  ওতারমা,     وَأَبِيهِ =  ওতারবাপ (হতে) ,


অনুবাদ:    নিজের মা, বাপ




(80:36)

وَ صَاحِبَتِهٖ وَ بَنِیْهِؕ


শব্দার্থ:        وَصَاحِبَتِهِ =  ওতারস্ত্রী,     وَبَنِيهِ =  এবং তার সন্তানদের  (হতে) ,


অনুবাদ:    নিজের সাথী, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের থেকে।




(80:37)

لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ یَوْمَئِذٍ شَاْنٌ یُّغْنِیْهِؕ


শব্দার্থ:        لِكُلِّ =   জন্যে প্রত্যেক,     امْرِئٍ =   ব্যক্তির ,     مِنْهُمْ =  তাদের মধ্যকার,     يَوْمَئِذٍ =  সেদিন,     شَأْنٌ =   (বিশেষ) অবস্থা,     يُغْنِيهِ =  তাকেব্যতিব্যস্ত করবে,


অনুবাদ:    তাদের প্রত্যেকে সেদিন এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে যে, নিজের ছাড়া আর কারোর কথা তার মনে থাকবে না।


*  দুনিয়া একটি মৃত ছাগলের বাচ্চার মতো:


عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِالسُّوقِ، دَاخِلًا مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ، وَالنَّاسُ كَنَفَتَهُ، فَمَرَّ بِجَدْيٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ، فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ، ثُمَّ قَالَ, ্রأَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ بِدِرْهَمٍ؟ فَقَالُوا, مَا نُحِبُّ أَنَّهُ لَنَا بِشَيْءٍ، وَمَا نَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ, ্রأَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ؟ قَالُوا, وَاللهِ لَوْ كَانَ حَيًّا، كَانَ عَيْبًا فِيهِ، لِأَنَّهُ أَسَكُّ، فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ؟ فَقَالَ, ্রفَوَاللهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللهِ، مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ


হজরত জাবের (রাদি.) বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি বাজারের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাঁর দু’পাশ দিয়েই লোকজন আসা যাওয়া করছিল। হঠাৎ তিনি রাস্তার ধারে একটি মৃত ছাগলের বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখলেন। মৃত ছাগলের বাচ্চাটি ত্রুটিযুক্তও ছিল; কানগুলো ছিল ছোট ছোট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম কানে ধরে ছাগলের বাচ্চাটিকে উপরে তুললেন। এরপর বললেন, তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কি এক দেরহামের বিনিময়ে এ মৃত বাচ্চাটিকে কিনতে প্রস্তুত আছ? সাহাবায়ে কেরাম বলেন, এক দেরহাম তো দূরের কথা, সামান্য জিনিসের বিনিময়েও কেউ এটি কিনতে প্রস্তুত হবে না। এটা নিয়ে কি করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বাদ দাও এক দেরহাম, তোমদের মধ্যে কেউ কি এটাকে ফ্রি নিতে প্রস্তুত আছ? সাহাবায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর কসম, বাচ্চাটি যদি জীবিত হত তা হলেও এটি কেউ নিতে প্রস্তুত হত না। কারণ এটি ত্রুটিযুক্ত, এর কানগুলো ছোট ছোট। জীবিত থাকতেই যখন কেউ নিত না, মৃত অবস্থায় কে নেবে?


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে মৃত এ ছাগলের বাচ্চাটি যতটা মূল্যহীন ও তুচ্ছ জিনিস, দুনিয়া এর চেয়েও বেশি মূল্যহীন ও তুচ্ছ। তোমাদের মধ্যে কেউ মৃত এ বাচ্চাটিকে ফ্রি নিতেও প্রস্তুত নয় অথচ যে দুনিয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে এর চেয়েও বেশি মূল্যহীন ও তুচ্ছ, তোমরা তার পেছনেই দিনরাত লেগে আছ।


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সাহাবায়ে কেরামের সামনে দুনিয়ার তুচ্ছতা ও মূল্যহীনতা বিভিন্ন উদাহরণের মধ্যেম তুলে ধরেছেন।


উহুদ পাহাড়ের সমান স্বর্ণ ব্যয় কর:


হজরত আবু যর গিফারি (রাদি.) একজন দরবেশ সাহাবি ছিলেন। তিনি বলেন, আমি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে মদিনার হাররা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হাররা কালো পাথুরে ভূমিকে বলা হয়। যারা মদিনা শরিফ গিয়েছেন, তারা হয়ত দেখেছেন যে, মদিনা শরিফের চারদিকে পাথুরেভূমি। একেই হাররা বলা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে চলতে চলতে আমরা উহুদ পাহাড়ের কাছে চলে আসি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আবু যর! আমি বললাম, ইয়া রাসূলুলাহ! বলুন, আমি হাজির। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেন, আবু যর, তোমরা সামনে এই যে উহুদ পাহাড় দেখছ, যদি এ পুরা পাহাড়টিকে স্বর্ণ বানিয়ে আমাকে দেয়া হয়, আমার কাছে লাগাতার তিনদিন তা থেকে একটি দিনার থাকবে, এটা আমি পছন্দ করব না। হ্যাঁ, যদি আমার কাছে কেউ ঋণ পায়, ঋণ পরিশোধের জন্য যত দিনার প্রয়োজন হয় তা আমি কাছে রাখব। এ ছাড়া একটি দিনারও আমি আমার কাছে রাখার জন্য প্রস্তুত নই। আমি সেই সম্পদগুলো মুঠি ভরে ভরে দু’হাতে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেব।


তাদের অংশ হবে কম:


এরপর তিনি বলেন,


إِنَّ الأَكْثَرِينَ هُمُ الأَقَلُّونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، إِلَّا مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا - عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَمِنْ خَلْفِهِ - وَقَلِيلٌ مَا هُمْ


মনে রেখ, দুনিয়াতে যাদের কাছে ধন-সম্পদ অনেক বেশি, যারা অনেক সম্পদশালী, অনেক বাড়ি-গাড়ির মালিক, তারা কেয়ামতের দিন তত কম অংশ পাবে।


অর্থাৎ দুনিয়াতে ধন-দৌলত যত বেশি হবে, আখেরাতের হিসেবে সেই তুলনায় তার অংশ অন্যদের থেকে তত কম হবে। অবশ্য যারা দুনিয়াতে স্বীয় ধন-সম্পদ মুঠি ভরে ভরে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তাদের কথা ভিন্ন। এরপর বলেন, তাই যাদের কাছে ধন-সম্পদ অনেক বেশি, তারা দান-সদকার মাধ্যমে পরকালের অংশ বাড়িয়ে নাও। আল্লাহর কাছে এরূপ লোকের সংখ্যা অনেক কম।


No comments

Powered by Blogger.