৩। নিয়ামতের শুকর আদায় করো
* নেয়ামতের না শুকরিয়ার পরিনীতি,১৪: ইবরাহীম: ৭
وَ اِذْ تَاَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَاَزِیْدَنَّكُمْ وَ لَئِنْ كَفَرْتُمْ اِنَّ عَذَابِیْ لَشَدِیْدٌ
اَفَرَءَیْتُمُ الْمَآءَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَؕ (৬৮) ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ (৬৯) لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنٰهُ اُجَاجًا فَلَوْ لَا تَشْكُرُوْنَ (৭০)
* রহমান হচ্ছে আম দয়া রহিম হচ্ছে খাস দয়া
* হাত পা চোখ চারদিকে যা দেখি সব নিয়ামত যা গুনে শেষ করা যাবে না
* #নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে আল্লাহ নেয়ামত ছিনিয়ে নেন। ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। সহিহ বুখারী, ৩৪৬৪ সহিহ
________________________________________________________
আহসান সুন্দর অবয়বে তৈরি সম্মানিত মেহমান মানুষ কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে। সূরা আর রাহমান বিভিন্ন ধরনের ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আম জাম কাঁঠাল কলা পেঁপে
فِیْهَا فَاكِهَةٌ١۪ۙ وَّ النَّخْلُ ذَاتُ الْاَكْمَامِۖ
এখানে সব ধরনের সুস্বাদু ফল প্রচুর পরিমাণে আছে। খেজুর গাছ আছে যার ফল পাতলা আবরণে ঢাকা।
وَ الْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَ الرَّیْحَانُۚ
নানা রকমের শস্য আছে যার মধ্যে আছে দানা ও ভূষি উভয়ই।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ
অতএব, হে জ্বীন ও মানব জাতি, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
গুনে শেষ করা যাবে না
* অক্সিজেন নেয়ামত
* সম্পদ আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। মুনাফিকুন (63:10)
وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ
* আল্লাহ অনেক সময় সম্পদ দিয়ে পরিক্ষা করেন।৬৪: তাগাবুন: ১৫
اِنَّمَاۤ اَمْوَالُكُمْ وَ اَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ١ؕ
* আ: কাদের জিলানী র: কে দাওয়াত দিল,বেচারার একটা ছেলে, একটা ঘর, তিন হাজার টাকা আছে,
____________________________________
6/3/183 নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় প্রসংগে
আহসান সুন্দর অবয়বে তৈরি সম্মানিত মেহমান মানুষ কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে। সূরা আর রাহমান বিভিন্ন ধরনের ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আম জাম কাঁঠাল কলা পেঁপে
৫৫: আর-রহমান,:আয়াত: ১১,
فِیْهَا فَاكِهَةٌ١۪ۙ وَّ النَّخْلُ ذَاتُ الْاَكْمَامِۖ
এখানে সব ধরনের সুস্বাদু ফল প্রচুর পরিমাণে আছে। খেজুর গাছ আছে যার ফল পাতলা আবরণে ঢাকা।
৫৫: আর-রহমান,:আয়াত: ১২,
وَ الْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَ الرَّیْحَانُۚ
নানা রকমের শস্য আছে যার মধ্যে আছে দানা ও ভূষি উভয়ই।
৫৫: আর-রহমান,:আয়াত: ১৩,
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ
অতএব, হে জ্বীন ও মানব জাতি, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
গনে শেষ করা যাবে না
* হাত পা চোখ চারদিকে যা দেখি সব নিয়ামত যা গুনে শেষ করা যাবে না
* অক্সিজেন নেয়ামত
ছবির বৃদ্ধ লোকটি কেন কাঁদছে জানেন❓
অচিন্তনীয় বিষয়‼
-------------------------------😢
লোকটির বয়স 78 হয়েছে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে রিয়াদের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে নাকে 24 ঘন্টা অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রেখেছিল।
এতে বৃদ্ধ সুস্থতা অনুভব করলে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করতে চাইলেন । আর ওই দিকে ডাক্তার রোবটের মত এক চিলতে বিলের স্লিপ তার হাতে ধরিয়ে দিলেন।
বিলের কাগজের একবারে নিচের লাইনে চোখ বুলিয়ে বৃদ্ধ হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।
ডাক্তার তাকে কাঁদতে বারন করে বললেন --- বিলের টাকা নিয়ে চিন্তা করবেন না।
বৃদ্ধ বলল ------
আমি বিলের টাকা নিয়ে চিন্তা করে কাঁদছিনা।
এই টাকা পরিশোধ করার মত আর্থিক সচ্ছলতা আমার আছে ।
আমি কাঁদছি এটা চিন্তা করে যে ---
24 ঘন্টার এই অক্সিজেনের বিল 600 রিয়াল -- আর আমি এই নির্মল অক্সিজেন বিগত 78 বছর হতে আল্লাহর কাছ থেকে সম্পুর্ণ বিনা পয়সায় ভোগ করে আসছি। এর জন্য আমাকে একটি রিয়ালও আল্লাহকে দিতে হয়নি।
ডাক্তার সাহেব আপনি কি জানেন, এই হিসাবে আমি আল্লাহর কাছে কত রিয়াল ঋণী ❓😢
বৃদ্ধের কথা শুনে ডাক্তার মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন !!
এটা কতো বড়ো সত্য কথা যে, আমরা সারাজীবন সম্পুর্ণ বিনে পয়সায় স্বাস্থ্যকর অক্সিজেন উপভোগ করে আসছি এর জন্য আমাদেরকে একটি টাকাও আল্লাহকে পরিশোধ করতে হয় নি।
* নেয়ামতের না শুকরিয়ার পরিনীতি,১৪: ইবরাহীম,আয়াত: ৭
وَ اِذْ تَاَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَاَزِیْدَنَّكُمْ وَ لَئِنْ كَفَرْتُمْ اِنَّ عَذَابِیْ لَشَدِیْدٌ
* সম্পদ আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। মুনাফিকুন (63:10)
وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ
শব্দার্থ: وَأَنْفِقُوا = এবং তোমরা খরচকরো, مِنْ = থেকে, مَا = তা (যা) , رَزَقْنَاكُمْ = তোমাদের আমরা রিজিকদিয়েছি, مِنْ = থেকে, قَبْلِ = পূর্বে, أَنْ = যে, يَأْتِيَ = আসে, أَحَدَكُمُ = তোমাদের কারও, الْمَوْتُ = মৃত্যু, فَيَقُولَ = অতঃপর সেবলবে, رَبِّ = হে আমার রব, لَوْلَا = কেননা, أَخَّرْتَنِي = তুমি আমাকেঅবকাশদিলে, إِلَىٰ = পর্যন্ত, أَجَلٍ = কাল, قَرِيبٍ = কিছু, فَأَصَّدَّقَ = আমি তাহলেসদকাকরতাম, وَأَكُنْ = এবং হতাম আমি , مِنَ = অন্তর্ভুক্ত, الصَّالِحِينَ = সৎকর্মশীলদের,
অনুবাদ: আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।
* আল্লাহ অনেক সময় সম্পদ দিয়ে পরিক্ষা করেন।৬৪: তাগাবুন: ১৫
اِنَّمَاۤ اَمْوَالُكُمْ وَ اَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ١ؕ
* আ: কাদের জিলানী র: কে দাওয়াত দিল,বেচারার একটা ছেলে, একটা ঘর, তিন হাজার টাকা আছে,
একজন কল্যাণকামী সৎ সাধকের চিন্তা - চেতনার নমুনা একদিন এক ব্যক্তি বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী ( রহ : ) কে দাওয়াত দিল যে , অমুক তারিখে আমার বাড়িতে আপনার খাবার দাওয়াত । হযরত তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে , তােমার সন্তান কয় জন ? সে বলল , শুধু এক ছেলে । আবার জিজ্ঞাসা করলেন , ঘর কয়টা ? সে বলল , একটা । আবারাে জিজ্ঞাসা করলেন , টাকা কত আছে ? বলল , মাত্র তিন হাজার টাকা আছে । তখন হযরত বললেন , যাও ! আমি সময় মত চলে আসব । হযরত সময় মত রওয়ানা হলেন , পথে এক ব্যক্তি বলল , হুজুর সে একজন মিথুক লােক , তার ঘরে দাওয়াত খাওয়া আপনার মত ব্যক্তির জন্য শােভা পায় না । তখন , হয়রত বললেন , ঠিক আছে ওয়াদা যেহেতু করেছি তাই যেতে হবে । কেননা , ওয়াদা রক্ষা করা ওয়াজিব । হ্যা , সেখানে যাওয়ার পর সে যদি মিথুক বলে প্রমাণিত হয় তাহলে না খেয়ে চলে আসব । একথা বলে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন । একটু এগুতেই একটি সুন্দর ফুটফুটে ছেলে দৌড়ে আসল এবং অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হযরতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগল । হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কে ? ছেলেটি বলল , যিনি আপনাকে দাওয়াত করেছেন আমি তারই ছেলে । অত : পর হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তােমরা কয় ভাই এবং তােমাদের কয়টি ঘর আছে ও টাকা - পয়সা কেমন আছে ? উত্তরে ছেলেটি বলল , আমরা আট ভাই আর এই পাড়ায় যত ঘর দেখছেন সবই আমাদের , আর টাকা পয়সার কোন হিসাব নাই , আমরা বহু টাকা পয়সার মালিক । হযরত ছেলেটির কথা শুনে মনে মনে অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন । অতঃপর ঘরে প্রবেশ করতেই লােকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি আমার সাথে প্রতারনা করলে কেন এবং মিথ্যা বললে কেন ? তােমার আট ছেলে অথচ তুমি বলেছিলে এক ছেলে । তােমার অনেক ঘর - বাড়ী , অথচ তুমি বলে ছিলে একটি ঘর আছে । তােমার টাকা পয়সার হিসাব নাই , তুমি বহু টাকা - পয়সার মালিক , অথচ তুমি বলেছিলে মাত্র তিন হাজার টাকা আছে। হযরতের মুখে এসব কথা শুনতেই লােকটি অনুনয় করে বলল , হুজুর আমি আপনার সাথে মােটেই প্রবঞ্চনা করিনি যা বলেছি সব ঠিক ঠিক বলেছি । কেননা , আপনাদের মুখেই শুনেছি যে , নেক সন্তানই একমাত্র সন্তান এই হিসাব অনুযায়ী আট জনের মধ্যে এই একটিই আমার ছেলে । আর বাকী সাত জন তারা ছেলে নয় ‘ টেলে । এই একটি ছেলেই সর্বদা আমার পাশে থাকে এবং আমার যাবতীয় খেদমতের আঞ্জাম দেয় । নামাজের সময় হলে ওজুর পানি এনে দেয় , গোসলের সময় হলে নিজ হাতে আমাকে গােসল করিয়ে দেয় , খাওয়ার সময় হলে যথাযথ সময়ে খাবার ব্যবস্থা করে , ঘুমের সময় হলে বিছানা পরিস্কার করে দেয় এবং মাথায় তেল দিয়ে হাত পা টিপে দিয়ে আমার ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং সেও সাথে গুমিয়ে যায় । আবাৱ শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সময় হলে আমার হাত পা নারিয়ে দেয় এবং বলে যে , আব্বু উঠেন , তাহাজ্জদের নামায পড়েন , যে আল্লাহ সবকিছু দিয়েছেন ও এত আরামের ঘুমের সুযােগ করে দিয়েছেন , তাকে স্মরণ করেন । এভাবে সে । নিজেও তাহাজ্জুদ পড়ে এবং আমাকেও তাহাজ্জুদ পড়ায় এবং আমার যাবতীয় খেদমত করে । আর বাকী সাত ছেলে নামায পড়ে না , কখনাে আমার খোঁজ খবৱ নেয় না , বরং আরাে জ্বালা - যন্ত্রনা দেয় । ওদের জন্য টাকা - পয়সা রাখা যায়। বাজার থেকে কিছু আনলে হাতাহাতি করে খেয়ে সব শেষ করে দেয়। আমার জন্য কিছুই রাখে না। এছাড়াও ওদের গড়ার কারণে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে চাইতে আমার ইজ্জত - সমান সৰ শেষ। এ জন্যই আমি বলেছি , আমার সন্তান একজন। অতঃপর হযরত বললেন , তুমি যথাযথ ঠিক বলেছ। তারপর লােকটি বলল , হুজুর আমি ওলামায়ে কেরামদের মুখে শুনেছি যে, এই দুনিয়ার ঘরবাড়ী আসল ঘরবাড়ী নয়
সব ছেড়ে একদিন সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে কবরে যেতে হবে । অতএব কে সুন্দর কর ও বাড়ী বানাও হুজুর । সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইরশাদ করেন ,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِبَعْضِ جَسَدِي فَقَالَ " يَا عَبْدَ اللَّهِ كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ كَأَنَّكَ عَابِرُ سَبِيلٍ و
َعُدَّ نَفْسَكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُورِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দেহ স্পর্শ করে বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করো। [৩৪৪৬]
তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) বাক্যটি ব্যতীত সহীহ। রাওদুন নাদীর ৫৭৪।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪১১৪
হাদিসের মান: অন্যান্য
অর্থাৎ তুমি তােমাকে কবরের অধিবাসী হিসেবে জান । কেননা , এটাই তােমার আসল বাড়ী । আর একটি মানুষের জন্য । একটিই কবর হয়ে থাকে । এই জন্য আমি বলেছি আমার ঘর বা বাড়ী একটি । হযরত বললেন , তুমি যথাযথ সত্য বলেছ । অতঃপর টাকা পয়সা সম্পর্কে লােকটি বলল , হুজুর ওলামায়ে কেরামের শুনেছি , হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন ,
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقْرَأُ { أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ} قَالَ "
يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ
মুতার্রিফ (রাযিঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি …… (সূরাহ্ আত্ তাকা-সুর) পাঠ করছিলেন। তিনি বললেন, আদাম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। বস্তুতঃ হে আদাম সন্তান! তোমার সম্পদ সেটা যা তুমি খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছ, পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ এবং দান করে খরচ করেছো। (ই.ফা. ৭১৫২, ই.সে. ৭২০৪)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
অর্থঃ বনী আদম বলে থাকে যে , আমার মাল , আমার মাল , অথচ দুনিয়ায় রেখে যাওয়া কোন মালই তার মাল নয় । হ্যা , যা সে খেয়ে নষ্ট করে দিয়েই । আর যা সে পরিধান করে পুরানাে করে দিয়েছে । আর যা সে সদকা করে আগ্লাহর রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রেখেছে । এ ছাড়া সব তার হাত ছাড়া হয়ে যাবে । এবং পরিত্যাগ হয়ে থাকবে ।এ হাদীসের মর্মার্থ অনুযায়ী আমি হিসাব করে দেখেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মত সদকা করেছি তাই আমি আপনাকে বলেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মালিক । এবার বলুন , আমি ঠিক বলেছি কি না ? অত : পর হযরত বললেন , ঠিকই বলেছ এবং সত্য কথা বলেছ । পরিশেষে হযরত তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করলেন । কল্যাণকামী , সত্যের সাধক , খােদাভীরু একজন সত্যিকার ঈমানদারের চিন্তা - চেতনা , ধ্যান - ধারণা এমনি হওয়া উচিত
—(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৯ )
* নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে আল্লাহ নেয়ামত ছিনিয়ে নেন। ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। সহিহ বুখারী, ৩৪৬৪ সহিহ
* নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে আল্লাহ নেয়ামত ছিনিয়ে নেন। ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। সহিহ বুখারী, ৩৪৬৪ সহিহ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ ثَلاَثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى بَدَا لِلَّهِ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا، فَأَتَى الأَبْرَصَ. فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ، قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ. قَالَ فَمَسَحَهُ، فَذَهَبَ عَنْهُ، فَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا. فَقَالَ أَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الإِبِلُ ـ أَوْ قَالَ الْبَقَرُ هُوَ شَكَّ فِي ذَلِكَ، إِنَّ الأَبْرَصَ وَالأَقْرَعَ، قَالَ أَحَدُهُمَا الإِبِلُ، وَقَالَ الآخَرُ الْبَقَرُ ـ فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ. فَقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا. وَأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ، وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا، قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ. قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ، وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا. قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْبَقَرُ. قَالَ فَأَعْطَاهُ بَقَرَةً حَامِلاً، وَقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا. وَأَتَى الأَعْمَى فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ يَرُدُّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِي، فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ. قَالَ فَمَسَحَهُ، فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ. قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْغَنَمُ. فَأَعْطَاهُ شَاةً وَالِدًا، فَأُنْتِجَ هَذَانِ، وَوَلَّدَ هَذَا، فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنْ إِبِلٍ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ بَقَرٍ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ. ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ، تَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي، فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي. فَقَالَ لَهُ إِنَّ الْحُقُوقَ كَثِيرَةٌ. فَقَالَ لَهُ كَأَنِّي أَعْرِفُكَ، أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ فَقَالَ لَقَدْ وَرِثْتُ لِكَابِرٍ عَنْ كَابِرٍ. فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ، وَأَتَى الأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا، فَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هَذَا فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ. وَأَتَى الأَعْمَى فِي صُورَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ وَتَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي، فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ، ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي. فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ بَصَرِي، وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِي، فَخُذْ مَا شِئْتَ، فَوَاللَّهِ لاَ أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ بِشَىْءٍ أَخَذْتَهُ لِلَّهِ. فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ، فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ، فَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْكَ وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। কাজেই, তিনি তাদের নিকট একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে শ্বেত রোগীটির নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কোন জিনিস অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া। কেননা, মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার শরীরের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে তার রোগ সেরে গেল। তাকে সুন্দর রং ও চামড়া দান করা হল। অতঃপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন ধরণের সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, ‘উট’ অথবা সে বলল, ‘গরু’। এ ব্যাপারে বর্ণনাকারীর সন্দেহ রয়েছে যে শ্বেতরোগী না টাকওয়ালা দু’জনের একজন বলছিল ‘উট’ আর অপরজন বলেছিল ‘গরু’। অতএব তাকে একটি দশমাসের গর্ভবতী উটনী দেয়া হল। তখন ফেরেশতা বললেন, “এতে তোমার জন্য বরকত হোক।” বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা টাকওয়ালার নিকট গেলেন এবং বললেন, তোমার নিকট কী জিনিস পছন্দনীয়? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার হতে যেন এ রোগ চলে যায়। মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তৎক্ষণাৎ মাথার টাক চলে গেল। তাকে সুন্দর চুল দেয়া হল। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, কোন সম্পদ তোমার নিকট অধিকপ্রিয়? সে জবাব দিল, ‘গরু’। অতঃপর তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করলেন। এবং ফেরেশতা দু’আ করলেন, এতে তোমাকে বরকত দান করা হোক। অতঃপর ফেরেশতা অন্ধের নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ জিনিস তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, আল্লাহ্ যেন আমার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি মানুষকে দেখতে পারি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তখন ফেরেশতা তার চোখের উপর হাত ফিরিয়ে দিলেন, তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল ‘ছাগল’। তখন তিনি তাকে একটি গর্ভবতী ছাগী দিলেন। উপরে উল্লেখিত লোকদের পশুগুলো বাচ্চা দিল। ফলে একজনের উটে ময়দান ভরে গেল, অপরজনের গরুতে মাঠ পূর্ণ হয়ে গেল এবং আর একজনের ছাগলে উপত্যকা ভরে গেল। অতঃপর ওই ফেরেশতা তাঁর পূর্ববর্তী আকৃতি ধারণ করে শ্বেতরোগীর নিকটে এসে বললন, আমি একজন নিঃস্ব ব্যক্তি। আমার সফরের সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ আমার গন্তব্য স্থানে পৌঁছার আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপায় নেই। আমি তোমার নিকট ঐ সত্তার নামে একটি উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, কোমল চামড়া এবং সম্পদ দান করেছেন। আমি এর উপর সওয়ার হয়ে আমার গন্তব্যে পৌঁছাব। তখন লোকটি তাকে বলল, আমার উপর বহু দায়িত্ব রয়েছে। তখন ফেরেশতা তাকে বললেন, সম্ভবত আমি তোমাকে চিনি। তুমি কি একসময় শ্বেতরোগী ছিলেনা? মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত। তুমি কি ফকীর ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে দান করেছেন। তখন সে বলল, আমি তো এ সম্পদ আমার পূর্ব পুরুষ হতে ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। ফেরেশতা বললেন, তুমি যদি মিথ্যাচারী হও, তবে আল্লাহ্ তোমাকে সেরূপ করে দিন, যেমন তুমি ছিলে। অতঃপর ফেরেশতা মাথায় টাকওয়ালার নিকট তাঁর সেই বেশভূষা ও আকৃতিতে গেলেন এবং তাকে ঠিক তেমনই বললেন, যেরূপ তিনি শ্বেতরোগীকে বলেছিলেন। এও তাকে ঠিক অনুরূপ জবাব দিল যেমন জবাব দিয়েছিল শ্বেতরোগী। তখন ফেরেশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাচারী হও, তবে আল্লাহ্ তোমাকে তেমন অবস্থায় করে দিন, যেমন তুমি ছিলে। শেষে ফেরেশতা অন্ধ লোকটির নিকট তাঁর আকৃতিতে আসলেন এবং বললেন, আমি একজন নিঃস্ব লোক, মুসাফির মানুষ; আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ বাড়ি পৌঁছার ব্যাপারে আল্লাহ্ ব্যতীত কোন গতি নেই। তাই আমি তোমার নিকট সেই সত্তার নামে একটি ছাগী প্রার্থনা করছি যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন আর আমি এ ছাগীটি নিয়ে আমার এ সফরে বাড়ি পৌঁছাতে পারব। সে বলল, প্রকৃতপক্ষেই আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ্ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ফকীর ছিলাম। আল্লাহ্ আমাকে সম্পদশালী করেছেন। এখন তুমি যা চাও নিয়ে যাও। আল্লাহ্র কসম। আল্লাহ্র জন্য তুমি যা কিছু নিবে, তার জন্য আজ আমি তোমার নিকট কোন প্রশংসাই দাবী করব না। তখন ফেরেশতা বললেন, তোমার সম্পদ তুমি রেখে দাও। তোমাদের তিনজনের পরীক্ষা নেয়া হল মাত্র। আল্লাহ্ তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তোমার সাথী দ্বয়ের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪৬৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
No comments