9/251 শবে কদর
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ -- وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَا لَیْلَةُ الْقَدْرِؕ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ -- تَنَزَّلُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَ الرُّوْحُ فِیْهَا بِاِذْنِ رَبِّهِمْۚ-مِنْ كُلِّ اَمْرٍۙۛ --سَلٰمٌ ﱡ هِیَ حَتّٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ۠
* চার স্থানে হযরত জিবরাঈল আ: পতাকা ঘাড়েন- কাবা ঘরের পাশে,মসজিদে নববী,আকসা,তুরে সিনাই-( নুরুল কোর-30/ সূরা কদর
* এই রাত হাজার মাস থেকে উত্তম,বনি ইসরাইলের এক মুজাহিদ এক হাজার মাস আল্লাহর সাধনায় লিপ্ত ছিলেন
* যে দুনিয়ার পেছনে পরে নেক আমলের কথা ভুলে যাই ইমাম গাজ্জালী র: দুনিয়ার উদাহরণ দিচ্ছেন এভাবে। ইমাম গাজ্জালী (র:) একটা গল্প বলেছিলেন-এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে
* নেক আমলেরতো প্রয়োজন সেজন্যই লোকেরা আসছে। তবে অনেকেই লুংগি খুলে পাগড়ি বাধার দলে আছে। এরা তারাই যারা নামায পড়েনা কদরের রাতের ফজিলত চায়
* বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। বেনামাজী যেনাখোরের চেয়ে নিকৃষ্ট
* নেক আমলের জন্য একদিন আফসোস করতে হবে। আইস একা যাইবা একা সংগে যাবে কি
#দুই চক্ষু বন্ধ হলেই নেকের মূল্যায়ন হবে
* পরিবার নিয়ে মার্সিডিজ গারিতে- নিয়ে যাও আমি টাকা,রিয়াল,ডলার,ইউরো,পাউন্ড,দুনিয়া,নেক আমল,আজ্রাইল কয় নেক আছে কি?মাওয়ায়েযে সিরাজী পৃ:৫/৫১
* চার শ্রেণির মানুষ ক্ষমা পাবে না, মদপানকারী, মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী ও সম্পর্কছিন্নকারী। (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খণ্ড, ৩৩৬ পৃষ্ঠা
* পিতা মাতার হক: সমুদ্র তলদেশে মানুষের ইবাদত,
____________________________________
* হযরত শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী (র:) তাঁর গুনিয়াতুত তালেবীন গ্রন্থে হযরত ইবনে আব্বাস রা,এর একটি সুদীর্ঘ বর্ননার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে,শবে কদরে আল্লাহ পাক জিবরাঈল আ: কে সিদরাতুল মুনতাহার সত্তর হাজার ফেরেশতা সহ দুনিয়াতে অবতীর্ণ হওয়ার আদেশ প্রদান করেন। তখন তারা নূরের পতাকা নিয়ে দুনিয়াতে অবতরণ করেন। এবং দুনিয়ার চারটি যায়গায় সেই পতাকা উত্তোলন করেন। বায়তুল্লাহ শরীফ, বায়তুল মোকাদ্দাস, রওজায়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তুরে সাইনা মসজিদে। এরপর সেই ফেরেশতাগণ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েন। এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মোমেনের গৃহে প্রবেশ করেন এবং উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অবশ্য যে সকল গৃহে কুকুর শুকুর প্রানীর ছবি মদ্যপায়ী জেনাকার অপবিত্র ব্যক্তি থাকে সে সকল গৃহে ঐ ফেরেস্তাগন প্রবেশ করেন না। (নূরুল কোরআন- ৩০/৩৩৬)
* একদিন নবী করিম (সা.) বনী ইসরাইলের শামউন নামক একজন আবিদ-জাহিদের দীর্ঘকালের কঠোর সাধনা সম্পর্কে বলছিলেন। সেই মহৎ ব্যক্তি এক হাজার মাস লাগাতার দিবাভাগে সিয়াম ও জিহাদে রত থাকতেন এবং সারা রাত জেগে থেকে আল্লাহর ইবাদতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতেন। উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম আল্লাহর এ নেক বান্দার কঠোর সাধনার কথা শুনে বলতে লাগলেন, ‘হায়! আমরাও যদি ওই লোকটির মতো দীর্ঘায়ু পেতাম, তাহলে আমরাও ওই রকম ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে দিবস-রজনী অতিবাহিত করতে পারতাম।’ এমন সময় সূরা ‘আল-কদর’ নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ
* ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন।এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে
শিক্ষনীয় ঘটনা
ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন।এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে, তিনি প্রাণের ভয়ে দৌড়াতে লাগলেন কিছুদূর গিয়ে দেখলেন পানিহীন একটা কোয়া। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখতে পেলেন এবং সেটা ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।
উপরে চেয়ে দেখলেন সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নামার অপেক্ষায় রয়েছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা এবং একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমত অবস্থায় তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখন হঠাৎ কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল দিলেন এবং তা চেটে খেলেন, সেই মধুর এতটায় মিষ্টি ছিল যে তিনি মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত বাঘ, নিচে হাঁ করে থাকা সাপ দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
## ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন।
** এই সিংহ হচ্ছে আমাদের মৃত্যু যা সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,।
** সেই সাপটি হচ্ছে কবর যা আমাদের অপেক্ষায় আছে সর্বক্ষণ।
** আর সাদা ইঁদুর হল দিন আর কালো ইঁদুর হল রাত যারা প্রতিনিয়ত আমাদের আয়ু কমিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
** আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের চতুর্মুখী ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যায়।
* বর্ণিত আছে যে, বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। পরে তওবাও করেছি। আপনি দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ তুমি কী গুনাহ করেছো? সে বললোঃ আমি ব্যভিচার করেছিলাম।অতঃপর একটি অবৈধ সন্তান প্রসব করি এবং তাকে হত্যা করে ফেলি।মূসা (আঃ) বললেনঃ “হে মহাপতাকিনী। এক্ষুনি বেরিয়ে যাও। আমার আশংকা, আকাশ থেকে এক্ষুনি আগুন নামবে এবং তাতে আমরা সবাই ভস্মীভূত হবো।” মহিলাটি ভগ্ন হৃদয়ে বেরিয়ে গেল। অল্পক্ষণ পরেই জিবরীল (আঃ) এলেন। তিনি বললেনঃ “হে মূসা! আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞাসা করাছেন কী কারণে এই তওবাকারিণীকে তাড়িয়ে দিলেন? তার চেয়েও কি কোন অধম মানুষকে আপনি দেখেন নি?” মূসা বললেনঃ “হে জিবরীল! এর চেয়ে পাপিষ্ঠ কে আছে?” জিবরীল (আঃ) বললেনঃ “ইচ্ছাকৃতভাবে নামায তর্ককারী।”
* নেক আমলের জন্য একদিন আফসোস করতে হবে
* আইসো একা যাইবা একা সংগে যাবে কি,,, সংগে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী
* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে
দুনিয়াদারের লোভ ও তার সাথে আযরাঈলের সাক্ষাৎ :- ভায়েরা আমার ! যারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ - বিলাসে লিপ্ত তারাই মৃত্যু থেকে গাফেল থাকে , মৃত্যুর পরের অবস্থা সম্পর্কে কোন ভ্রুক্ষেপই করে না । ফ্রান্সের এক তাবলীগী ভায়ের মুখে এর একটি দৃষ্টান্ত শুনেছিলাম তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি । এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে , সাথে ভোজের খাদ্যদ্রব্য , ভোগ সামগ্রী সবই বিদ্যমান । গাড়ী চলছে , হঠাৎ গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বলতে লাগল গাড়ী থামাও , আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও । দুনিয়াদার বলছে না গাড়িতে জায়গা নেই , তোমাকে নেয়া যাবে না । তখন পথিক বলল , আমাকে নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । দুনিয়াদার জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ?
বলল , আমি টাকা বলল , আরে হা আমার টাকার প্রয়োজন । স্ত্রীকে বলল , তুমি পেছনে যাও আর টাকাকে বলল , তুমি আমার পাশে বস , তোমাকে আমার দরকার আছে । গাড়ী , চলল আবার কিছুক্ষণ যেতেই আরেক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ , বলছে ভাই আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও । বলল , না জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি রিয়াল দুনিয়াদার বলল , আরে আমার তো রিয়ালের প্রয়োজন আছে । টাকাকে পিছনে দিয়ে রিয়ালকে পাশে বসাল । অত : পর আবারো গাড়ী চলল কিছু যেতেই আবারো এক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ বলল , ভাই আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও , বলল না নেয়া যাবে না জায়গা নেই গাড়ী ভরপুর । বলল , নিয়ে যাওনা এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি ইউ এস ডলার । তখন দুনিয়াদার বলল আরে আমার তো ডলারের বড্ড প্রয়োজন আছে । এই তোরা পিছে যা , তাদেরকে আরো পিছনে দিয়ে ডলারকে পাশে বসালো । এবার গাড়ী আরো দ্রুত চলছে , একটু এগুতেই আরেক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ । বলল , ভাই তোমাদের সাথে আমাকে নিয়ে যাও । একই কথা , জায়গা নেই প্রয়োজন নেই । বলল , নিয়ে যাও তাহলে লাভবান হবে , লোভীর চোখ ও মনের লোভ শেষ হয় না । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি ইউরো , দুনিয়াদার চমকে বলল , আরে আমার তো তোমাকে যথেষ্ট প্রয়োজন । এই তোরা সব পিছে যা প্রয়োজনে বক্সে ঢুকে পড় তবুও আমাকে ইউরো নিতে হবে । পাশেই বসালো । বলল , তুমি তো আমার বন্ধু । এবার গাড়ী খুব স্পীডে চলল , দুনিয়ার সম্পদ মোটামোটি সবই আছে । কোন জিনিসের আর অভাব নেই , সাথে আর কিছুরই প্রয়োজন নেই , মনের আনন্দে গাড়ী চলল । একটু যেতে না যেতেই আওয়াজ আসল দাম, আমাকে সাথে নিয়ে যাও মালিক বলল, না ডিষ্টার্ব করো না । সময় নেই , জায়গাও নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও না , এতে তুমি ভাল লাভবান হবে । জিজ্ঞাসা করলো তুমি কে ? বলল , আমি পাউন্ড । পাউন্ডের নাম শুনতেই ব্রেক করে বলল , আরে পাউন্ডের তো আমার সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন , তোমাকে তো আমি মনে মনে খুঁজছি , এই তোরা সব পিছে যা । যেভাবে হোক পাউন্ড আমাকে নিতে হবেই । এতক্ষণে স্ত্রী , ছেলে - মেয়ের সম্পর্কও কিছুটা লোপ পেয়েছে । কেননা , অতি সম্পদ মানুষকে অন্ধ আর বধির করে দেয় এবং স্ত্রী - সন্তানের মায়া কমিয়ে দেয় । পাউন্ডকে পাশে বসালো এবার গাড়ী চলল দিব্যি আরামে , মনের সুখে , কোন জিনিষের আর অভাব নেই , সবই যে আছে , বিধায় আর কারো জন্য গাড়ী থামবে না । একটু যেতেই আরেক পথিকের সাক্ষাৎ , আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে যাওনা না কোন অবস্থাতেই নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে দেখনা লাভই হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি দুনিয়া , গাড়ী থেমে গেল বলল , আমার দুনিয়ারও বড্ড প্রয়োজন আছে । তুমি না হলেই নয় , উঠ ! সব পিছনে ঠেলে দিয়ে তাকে পাশেই বসাল । এবার জীবনে আর কোন অভাব নেই , দু : খ নেই , চিন্তা নেই যা মানুষের জীবনে দরকার সবই বিদ্যমান আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই । এবার সুখ সাগরে পাড়ি জমাল ফুল স্পীডে গাড়ী চলল । আর গাড়ী থামবে না কাউকে উঠাবে না , মনের সুখে গাড়ী চলবে । কিছুক্ষণ অগ্রসর হতেই এক পথিক বলছে ভাই অনেক কিছুই নিলা আমাকেও নিয়ে যাও । গাড়ী থেকে আওয়াজ আসলো না না না জায়গা নেই , সময় নেই , আর কারো অবকাশ নেই । কিন্তু কে তুমি কি তোমার পরিচয় ? বলল , আমি নেক আমল , আমি তোমার আখেরাত তথা পরকালে কাজে আসব । দুনিয়াদার জবাব দিল , আরে রাখ আখেরাত , তা পরে দেখা যাবে আগে দুনিয়া ভোগ শেষ হউক । নেক আমলকে তুচ্ছ - তাচ্ছিল্য করে পথেই রেখে গেল , সাথে আর নেয়া হল না । গন্তব্য স্থলে পৌঁছেই দুনিয়ার ভোগ আর উপভোগে মত্ত হয়ে উঠবে এই নেশা ও আশায় দুর্বার গতিতে গাড়ী চলল । একটু এগুতেই বিশাল আকৃতির এক পথিক চিৎকার করে বলল , আরে থাম ! আমাকে নিয়ে যাও ! গাড়ী থেকে জবাব আসছে না ? দেখ গাড়ীতে একেবারেই জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । পথ ছেড়ে দাও আমাদেরকে সুখ সাগরে পাড়ি দিতে দাও । অনেক দূরে যেতে হবে , সেখানে পৌঁছে বহু আশা ভরসা পুরা হবে । পথিক বলল , এক কদম এগুতে দেয়া হবে না । দুনিয়াদার বলল , আরে তোমার এত দাপট , আমার আর কোন জিনিষের প্রয়োজন নেই । সরে যাও আমার সবই আছে পথ ছাড় । পথিক নাছোড় বান্দা ! আমাকে নিয়ে যেতে হবে । না হয় তোমাকে আমি নিয়ে যাব । দুনিয়াদার , আরে আশ্চর্য সাহস দেখছি , কে তুমি ? তোমার এত বড় স্পর্ধা ? আমার সাথে দুনিয়ার সব সম্পদ আছে , এরপরও তুমি আমার সাথে এতবড় শক্তি দেখাচ্ছ । আচ্ছা বলতো দেখি , কে তুমি ? কি - ই বা তোমার পরিচয় ? পথিক এবার জোর গলায় বলল , আমি তোমার যমদূত আযরাঈল । এক্ষুনি তোমার জান কবজ করে নিয়ে যাবো । দুনিয়াদার , আরে তুমি আমাকে নিও না , এই দেখ টাকা থেকে শুরু করে দুনিয়া পর্যন্ত সব আমার সাথে আছে । তুমি যা চাও তাই তোমাকে দিয়ে দিব । প্রয়োজনে ছেলে , মেয়ে , স্ত্রীও নিয়ে যাও তবুও তুমি আমাকে নিও না । যমদূত বললো এগুলো আমার কোন প্রয়োজন নেই । তোমার জান এক্ষুনি আমি কবজ করছি , তবে জানতে চাই তোমার সাথে নেক আমল এনেছ কি ? তখন দুনিয়াদার বললো , আরে নেক আমল তো পিছনে রেখে এসেছি , একটু সুযোগ দাও এই তো তা নিয়ে আসছি । আযরাঈল ( আ :) বললো , আর এক মুহুর্তও সুযোগ দেয়া যাবে না । দুনিয়ার মোহে পরে পরকাল ও নেক আমলের কথা ভুলে গিয়েছিলে , এবার মজা বুঝবে । দুনিয়াতে তো ভোগ করা হলো না শুধু জমা - ই করলে । আর পরকালের কঠিন শাস্তি ও তিরস্কার তোমার জন্য অপেক্ষা করছে । এই বলে আযরাঈল গাড়ীতে সব রেখে তার জান কবজ করে নিয়ে যায় । সবই আপন আপন জায়গায় পড়ে রইল । কিন্তু তাকে সব ছেড়ে খালি হাতে চলে যেতে হল । ধোকা সবই ধোকা , দুনিয়াটা চোখের ভেলকির মত। (মাওয়ায়েজে সিরাজী-
৫ম পৃ:-৫১)
* পিতা মাতার হক সমুদ্র তলদেশে মানুষের ইবাদত,হযরত সুলাইমান (আ) প্রায় সময় আকাশ ওভুমিরমাঝে বাতাসের উপর উড়তেন।একদা তিনি গভীর সমুদ্রের উপরদিয়ে অতিক্রম করছিলেন।তিনি সমুদ্রে বাতাসের কারণে বিশাল ঢেউ উঠতে দেখলেন।তিনি বাতাসকে নির্দেশ দিলেন,বাতাস থেমে গেল। অতপর তিনি (তারসংগী) জ্বিনদের (সমুদ্রের তলদেশের অবস্থা)দেখার জন্য পানিতে ডুব দিতে আদেশ করলেন।তারা একের পর এক ডু্ব দিতে লাগল।তারা সমুদ্রের তলদেশে একটি শুভ্রমুক্তার ক্ষুদে ঘর পেল, যার কোন দরজা নেই।তারা এ সম্পর্কে সুলাইমান(আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে অবহিত করলো। হযরত সুলাইমান (আ)তা উত্তোলন করার আদেশ দিলেন। হযরত সুলাইমান (আ)এটা দেখে আশ্চার্যান্বিত হলেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার নিকট দুআ করলেন। ফলে তা ফেটে গেল এবং তার একটি দরজা উন্মুক্ত হল। তিনি আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, তাতে একজন সুদর্শন যুবক আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেজদারত অবস্থায় আছে। হযরত সুলাইমান (আ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি মানুষ নাকি জ্বিন? যুবকটি বলল, না আমি মানুষ। হযরত সুলাইমান (আ) বললেন, কিসের বদৌলতে তুমিএ মর্যাদা লাভ করেছ?যুবকটি বললঃ পিতা মাতার সাথে সদাচারণ করে। আমার একটি বৃদ্ধ মাতা ছিলেন। তিনি চলতে ফিরতে পারতেন না।আমি উনাকে আমার পিঠে করে বহন করতাম। তিনি আমার জন্য দোয়া করতেন,"হে আল্লাহ তাকে সৌভাগ্য দান করো। তার উপরতুমি রাজি ও খুশি হয়ে যাও। আমার মৃত্যুর পর তার আবাস এমন স্থানে বানাও যা ভূপৃষ্ঠেও নয় এবং আকাশেও নয়। যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন আমি তখন সর্বহারা হয়ে গেলাম। সমুদ্রের উপকূলে ঘুড়ে বেড়াতাম। একদা আমি সেখানে একটি সুন্দর শুভ্রমুক্তার ঘর দেখতে পেলাম। যখন আমি তার কাছে গেলাম,তখন তা খুলে গেল। আমি তাতে প্রবেশ করলাম, আল্লাহর কুদরতে সেটি বন্ধ হয়ে গেল। তাই আমি জানি না আমি ভূপৃষ্ঠে না শূন্যে! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তার অভ্যন্তরেও আমাকে রিজিক দান করেন। হযরত সুলাইমান (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, তার অভ্যন্তরে কিভাবে তোমার নিকট রিজি্ক আসে? সে বলল, যখন আমি ক্ষুধার্ত হই, তখন পাথর থেকে একটা গাছ বের হয়। সেই গাছে ফল ধরে এবং তা থেকে দুধের চেয়ে শুভ্র,মধুর চেয়ে মিষ্টি এবং বরফের চেয়ে ঠান্ডা(সহনীয়) পানি বের হয়ে আসে আর আমি তা খাই ও পান করি। যখন আমি পরিতৃপ্তহই এবং পিপাসা মিটে যায়, তখনতা অদৃশ্য হয়ে যায়। হজরত সুলাইমান(আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন তুমি এখানে দিন রাত্রির পার্থক্য কিভাবে বুঝ? সে বললঃ যখন সুবহে সাদিক হয় তখন ঘরটি শুভ্রআলোয় আলোকিত হয়ে যায়। আর যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন তা আঁধার হয়ে যায়।অতপর হযরত সুলাইমান (আ) আল্লাহর কাছে দু'আ করলেন। ফলে ঘরটি জোড়া লেগে গেল।অতপর সমুদ্রের গভীরে আপন স্থানে ফিরে গেল।( হেকায়াতুল আম্বিয়া ).সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ্ আমাদের পিতামাতার সঠিকভাবে খেদমত করার তৌফিক দিন.আমিন।
____________________________________
* শবে কদর কথাটি ফার্সি, শবে অর্থ রাত রা ভাগ্য রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুনাগুন, ভাগ্য ইত্যাদি।শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী।শবে কদরের আরবী হলো, লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত
* বহু লোক আছে এই রাতে ইবাদত করার তৌফিক জুটবে না, দুনিয়া পাগল করেছে তাদেরকে,দুনিয়ার উদাহরণ হলো,
ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন-এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে ৬৩: আল-মুনাফিকুন:৯,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِۚ وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ
* চার স্থানে হযরত জিবরাঈল আ: পতাকা ঘাড়েন- কাবা ঘরের পাশে,মসজিদে নববী,আকসা,তুরে সিনাই-( নুরুল কোর-30/ সূরা কদর
* কদরের রাতের সাতটি বিশেষত্ব،১/ কোরআন শরীফ নাযিল । এই রাতে আল্লাহ পাকের অমীয় বানী পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে, পথভ্রষ্ট মানুষকে সোনার মানুষ বানানোর জন্য,হযরত ওমর রা: জিরু ছিলেন আল্লাহ পাক তাকে হিরু বানালেন, হযরত আলী রা: এর স্বপ্নের খবর রাখেন
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ -- وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَا لَیْلَةُ الْقَدْرِؕ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ -- تَنَزَّلُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَ الرُّوْحُ فِیْهَا بِاِذْنِ رَبِّهِمْۚ-مِنْ كُلِّ اَمْرٍۙۛ --سَلٰمٌ ﱡ هِیَ حَتّٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ۠
২/ হাজার মাস থেকে উত্তম,বনি ইসরাইলের এক মুজাহিদ এক হাজার মাস আল্লাহর সাধনায় লিপ্ত ছিলেন।
বনি ইসরাইলের জনৈক ব্যক্তি এক হাজার মাস সমস্ত রাত ইবাদতে ও সারাদিন জেহাদে লিপ্ত থাকতো
৩/ বিপুল সংখ্যক ফেরেস্তা অবতরণ
৪/ শুরু থেকে শেষ তথা ফজর পর্যন্ত শান্তিময়,
৫/ বরকতময় রাত ،৪৪: আদ-দুখান-৩
اِنَّاۤ اَنْزَلْنٰهُ فِیْ لَیْلَةٍ مُّبٰرَكَةٍ اِنَّا كُنَّا مُنْذِرِیْنَ
৬/ ভাগ্য রজনীর রাত,৪৪: আদ-দুখান: ৪
فِیْهَا یُفْرَقُ كُلُّ اَمْرٍ حَكِیْمٍۙ
৭/ এটি ক্ষমার রাত,সহিহ বুখারী-৩৫ সহিহ
مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
* রোজাদারদের জন্য রয়েছে পাঁচটি পুরস্কার-মসনদে আহমদ ও বায়হাক্বী শরীফ,ওয়াজ ও খুতবা 1/342
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُعْطِيَتْ أُمَّتِي خَمْسَ خِصَالٍ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: لَمْ تُعْطَهُنَّ أُمَّةٌ قَبْلَهُمْ: خُلُوفُ فَمِ الصَّائمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ، وَتَسْتَغْفِرُ لَهُمُ الْمَلائِكَةُ حَتَّى يُفْطِرُوا، وَيُزَيِّنُ اللَّهُ كُلَّ يَوْمٍ جَنَّتَهُ ثُمَّ يَقُولُ: يُوشِكُ عِبَادِي الصَّالِحُونَ أَنْ يُلْقُوا عَنْهُمُ الْمَئُونَةَ وَالأَذَى، وَيَصِيرُوا إِلَيْكِ، وَتُصَفَّدُ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ فَلا يَخْلُصُونَ فِيهِ إِلَى مَا كَانُوا يَخْلُصُونَ إِلَيْهِ مِنْ غَيْرِهِ، وَيُغْفَرُ لَهُمْ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ
* চার শ্রেণির মানুষ ক্ষমা পাবে না,এক- মদপান
দুই- মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, তিন- আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী,
চার- হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী ও সম্পর্কছিন্নকারী। (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খণ্ড, ৩৩৬ পৃষ্ঠা
* পিতা মাতার হক: সমুদ্র তলদেশে মানুষের ইবাদত,হযরত সুলাইমান (আ) প্রায় সময় আকাশ ও ভুমির মাঝে বাতাসের উপর উড়তেন।একদা তিনি গভীর সমুদ্রের উপর দিয়ে অতিক্রম করছিলেন।তিনি সমুদ্রে বাতাসের কারণে বিশাল ঢেউ উঠতে দেখলেন।তিনি বাতাসকে নির্দেশ দিলেন,বাতাস থেমে গেল। অতপর তিনি (তারসংগী) জ্বিনদের (সমুদ্রের তলদেশের অবস্থা)দেখার জন্য পানিতে ডুব দিতে আদেশ করলেন।তারা একের পর এক ডু্ব দিতে লাগল।তারা সমুদ্রের তলদেশে একটি শুভ্রমুক্তারক্ষুদে ঘর পেল
* আজ ক্ষমার রাত,একটু অপরাধের জন্য কত পেরেশান ছিল,হযরত সালাবাতুল আনসারীর সাথে সাহাবী হযরত আবদুর রহমান (রাঃ) বন্ধুত্ব ছিলো
* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।
* বেনামাযী জেনাকারী পাপিষ্ঠ থেকে নিকৃষ্ঠ মুসা আ:
* আল্লাহর সাহায্য লাভের এক মাত্র মাধ্যম নামায,সিজদা দাও,(আল আলাক - ১৯)
وَاسْجُدْ وَاقْتَرِب
* বোস্তান শহরে ভ্রষ্টা রমণীর দরবারে বায়জিদ বোস্তমী 200,টাকা দর ৷ ওয়াজে বেনজীর পৃ:—180,
* তায়েফের পথে যায়েদ বিন হারেসা ( মাওয়ায়েযে সিরাজীয়া ১/১০৫
يا ارحم الرحمين
-----------------------
* আমাদের কাছে দুনিয়ার মূল্য বেশি
* ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (র) এর পরে উমাইয়া বংশের খলিফা ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল মালেক কয় আজকে আনন্দ করবো ৷ বাদীর নাম হাব্বাবা আংগুর শাসনালিতে আটকে গেল-(মাওয়ায়েযে সিরাজী পৃ:৫/৫৯,
* পরিবার নিয়ে মার্সিডিজ গারিতে- নিয়ে যাও আমি টাকা,রিয়াল,ডলার,ইউরো,পাউন্ড,দুনিয়া,নেক আমল,আজ্রাইল কয় নেক আছে কি?
মাওয়ায়েযে সিরাজী পৃ:৫/৫১,
দীনদার সেজদায় মরতে চাইবে
* কোরআন শ্রেষ্ট মোজেযা,
নির্ভুল,পরতে মন চায়,সফ 8
يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
* অলিদ নবীজির কাছে প্রথমত বাদশাহীর প্রস্তাব দেন নবী,হা,মিম সেজদাহ পরে শুনান,
আবু তালেবের জবাবে নবী বলেন, ডান হাতে সূর্য
পরবর্তীতে রাসুল (সা:)কে হত্যার সিদ্ধান্ত ওমর এগিয়ে চললেন
* কোরআন নাযিল হলো,জিরো মানুষ হিরো হলো,ওমর রা:
* রাসুলুল্লাহ (সা.) চাচার ঘাতকের নাম ওয়াহশি ইবনে হারব।
اِلَّا مَنۡ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓٮِٕكَ يَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُوۡنَ شَيۡـًٔاۙ
(সূরা মরিয়ম : ৬০)।
اِنَّ اللّٰهَ لَا يَغۡفِرُ اَنۡ يُّشۡرَكَ بِهٖ وَيَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِكَ لِمَنۡ يَّشَآءُۚ وَمَنۡ يُّشۡرِكۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤى اِثۡمًا عَظِيۡمًا
(সূরা নিসা : ৪৮)।
قُلۡ يٰعِبَادِىَ الَّذِيۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰٓى اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَةِ اللّٰهِؕ اِنَّ اللّٰهَ يَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِيۡعًاؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِيۡمُ
_______________
* শহর থেকে বিতারিত যুবক মৃত্যুর সময় তওবা,হে মুসা পয়গাম্বর যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়।
বনী ইসরাইলে এক যুবক ছিল বড্ড বদমাশ, শারাবী ও জুয়াড়ী। শহরের লোকেরা তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দিল।
উক্ত ব্যক্তিকে লোকেরা শহর থেকে বের করে দেবার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের বাইরে গিয়ে নিজের আস্তানা গেড়ে বসল। সেখানে কোন সাথী সঙ্গী ছিলনা, খাদ্য-পানীয় ছিলনা। আস্তে আস্তে সব শেষ হয়ে গেল। তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দিতে লাগল। সে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করল, ডানে দেখল, বামে দেখল, কিন্তু কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর সে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলতে লাগলঃ হে আল্লাহ্! আমি যদি জানতাম যে, আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি ঘটবে আর ক্ষমা করে দিলে তোমার রাজত্ব হ্রাস পাবে তাহলে, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাইতাম না। যদি আমাকে আযাব দেয়ার দ্বারা তোমার রাজত্বে প্রবৃদ্ধি না ঘটে, তাহলে আমাকে আযাব না দিয়ে মাফ করে দাও। হে আল্লাহ্! কেউ আমার সাথি হয়নি, সকলেই আমাকে পরিত্যাগ করেছে। হে আল্লাহ্! মৃত্যুর মুখে আমি তওবা করছি, গোনাহ করতে করতে সারাটা জীবন কেটে গেছে। হে আল্লাহ্! সকলে তো আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, তুমি আমাকে পরিত্যাগ কর না, একথা বলতেই তার প্রাণপাখি উড়ে গেল।
আল্লাহ্ তাআলা হযরত মুসা (আঃ) কে বললেনঃ অমুক জঙ্গলে আমার এক বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছে। তুমি গিয়ে তাকে গোসল করাও, কাফন পড়াও ও জানাযা পড়াও।আর সারা শহরে ঘোষনা করে দাও যে, যারা নিজেদের মাগফিরাত চায়, তারা যেন উক্ত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়। মুসা (আঃ) ঘোষনা করে দিলেন।
ঘোষনা শুনে শহরের লোকজন সব ছুটল জঙ্গলের দিকে। সেখানে গিয়ে তো সকলে বিস্ময়ে হতবাক। সেই শরাবী, জুয়াড়ী, ডাকাত, বদমাশ মরে পড়ে আছে।
লোকেরা মুসা (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলঃ হে মূসা (আঃ), ঘটনা কী? এই লোককে তো আমরা শহর থেকে বের করে দিয়েছিলাম অথচ আল্লাহ্ তাআ’লা তাকে বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন!
হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট আরয করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! তোমার বান্দারা তো বলছে, এই ব্যক্তি তোমার দুশমন আর তুমি তাকে নিজের বন্ধু বলছ!!
আল্লাহ্ তাআ’লা বললেনঃ তাদের কথাও ঠিক, আমার কথাও ঠিক। সে আমার দুশমনই ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সময় সে দেখল যে, সে একা, তার ডানে বামে কেউ নেই, সবাই পরিত্যাগ করেছে। আর সেই অবস্থায় যখন সে আমাকে স্মরণ করল, আমাকে ডাকল, তখন আমি তাকে তার গোনাহের কারনে নিঃস্ব, একাকী অবস্থায় তাকে পাকড়াও করতে লজ্জ্বাবোধ করলাম। সে সময় যদি সে আমার নিকট সারা দুনিয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করত, তাও আমি গ্রহণ করতাম।
No comments