Header Ads

Header ADS

10/250  রমজানের পঞ্চম জুমা দান সদকা 

*  আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রিয় বস্তু দান করার নির্দেশ,ইমরান: ৯২

لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّوْنَ ﱟ وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَیْءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیْمٌ

*  মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁর সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে “বাইরুহা” নামক বাগানটি ছিল তাঁর (আবূ তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল-বুখারী ১৪৬১

*  হযরত ফাতেমা রা এর জামা দান করেন।ওয়াজে বেনজীর-১১২

* হযরত আবু বকর রা এর খেলাফত কালে হযরত উসমান রা: এর ব্যবসার সমস্ত মাল দান করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা সপ্নে দেখেন

*  দান করলে সম্পদ বাড়ে এটাই বাস্তব 

*  হযরত উসমান গনীর (রা.) দানশীলতা-একবার মহানবী সা: এর কাছে তাঁর জামাতা উসমান গনী (রা.) এসে আরজ করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার সম্পদ কমে যাবার জন্য কোনো তদবির দান করুন

*  সুলায়মান আঃ কাছে পাখী বিচার প্রার্থী হলো

* প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন। সহিহ বুখারী-১৪৪২ সহিহ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا

____________________________________


*  হযরত ফাতেমা রা এর জামা দান করেন।ওয়াজে বেনজীর-১১২

রাসূল নন্দিনী হযরত ফাতিমা ( রা . ) - এর জামা দান : রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদুরে কন্যা হযরত ফাতিমা ( রা . ) - এর শাদী মুবারক উপলক্ষ্যে একটি নতুন কামিজ বানানো হল । এ ছাড়াও তাঁর আরেকটি পুরাতন জামা ছিল , যা তিনি আগে থেকেই পরে আসছিলেন । একদিন এক ভিখারী এসে একটি পুরাতন জামা চাইল । তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন , ভিখারীকে কোন জামাটি দেয়া উচিত ? পুরাতনটি , না নতুনটি ? এমনি সময় তাঁর কুরআনের একখানা আয়াত মনে পড়ল , আল্লাহ বলেন : * J “ তোমরা প্রিয় বস্তু দান করা ছাড়া কল্যাণ লাভে সক্ষম হবে না । ” সাথে সাথে তিনি ভিথারীকে নতুন জামাটিই দিয়ে দিলেন । এসময় তাঁর ঘরে কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন । তারা তাঁকে বললেন , “ ভিখারী তো পুরাতন জামা চেয়েছে , তা দিলেই তো হত ; নতুনটি কেন দিলেন ? " তিনি বললেন “ হ্যাঁ , সে পুরাতনটিই চেয়েছিল বটে , কিন্তু তাকে পুরাতনটি দিয়ে নতুনটি রেখে দেয়া আমার জন্য শোভনীয় নয় । কারণ জামা দু'টোর মধ্যে নতুনটিই আমার প্রিয় । আর আল্লাহর পথে প্রিয় বস্তু দান না করলে সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায় না ; তাই আমি নতুনটিই দান করেছি


*  মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁর সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে “বাইরুহা” নামক বাগানটি ছিল তাঁর (আবূ তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল-বুখারী ১৪৬১, 

عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ

 أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ الأَنْصَارِ بِالْمَدِينَةِ مَالاً مِنْ نَخْلٍ، وَكَانَ أَحَبَّ أَمْوَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرُحَاءَ وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّبٍ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏}‏ قَامَ أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ ‏{‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏}‏ وَإِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِي إِلَىَّ بَيْرُحَاءَ، وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللَّهِ، فَضَعْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ حَيْثُ أَرَاكَ اللَّهُ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَخْ، ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ، ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ، وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِينَ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَبَنِي عَمِّهِ‏.‏ تَابَعَهُ رَوْحٌ‏.‏ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى وَإِسْمَاعِيلُ عَنْ مَالِكٍ رَايِحٌ‏.‏


আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, মদীনার আনসারীগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) সবচাইতে বেশী খেজুর বাগানের মালিক ছিলেন। মসজিদে নাববীর নিকটবর্তী বায়রুহা নামক বাগানটি তাঁর কাছে অধিক প্রিয় ছিল। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাগানে প্রবেশ করে এর সুপেয় পানি পান করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না”- (আল-ইমরানঃ ৯২)। তখন আবূ তালহা (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না”- (আল-ইমরানঃ ৯২)। আর বায়রুহা বাগানটি আমার কাছে অধিক প্রিয়। এটি আল্লাহর নামে সদকা করা হলো, আমি এর কল্যাণ কামনা করি এবং তা আল্লাহর নিকট আমার জন্য সঞ্চয়রূপে থাকবে। কাজেই আপনি যাকে দান করা ভাল মনে করেন, তাকে দান করুন। তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাকে ধন্যবাদ, এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ, এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। তুমি যা বলেছ তা শুনলাম। আমি মনে করি, তোমার আপন জনদের মধ্যে তা বন্টন করে দাও। আবূ তালহা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাই করব। অতঃপর তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজন, আপন চাচার বংশধরের মধ্যে তা বন্টন করে দিলেন। রাবী রাওহ (রহঃ) -- শব্দে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ইউসুফ (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। আর রাবী ইয়াহইয়া ইব্‌নু ইয়াহইয়া (রহঃ) ও ইসমা’ঈল (রহঃ) মালিক (রহঃ) হতে -- শব্দ বলেছেন।

  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৪৬১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


*  একটি পাখি তার বাসা থেকে ডিম নিয়ে যাওয়া এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো সোলায়মান আ: কাছে 


*  হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা। জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ। সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা।সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন ঐই পাখির ডিম সে না খায়। হযরত সোলায়মান( আ.)এর নিষেধ অমান্য করে লোকটি আবারো পাখির ডিম খেয়ে ফেলল।নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি এবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেয়, যাতে লোকটি আর কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে। এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছে থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।


এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুজন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। সোলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।( তাযকেরাতুল আম্বিয়া)


*  পরকালের বাণিজ্য  ঃ হযরত উসমান ( রা . ) - এর বদান্যতা হযরত আবূ বকর ( রা . ) - এর খিলাফত কাল , মদীনায় ভীষণ অভাব চলছে । খাদ্যদ্রব্যের দুষ্প্রপ্যতাহেতু সবাই বিব্রত ও অস্থির হয়ে ' খলিফাতুল মুসলিমীনের দরবারে হাযির । আবেদন জানালেন , “ জনাব ! আমাদের অবস্থা দুঃসহ , দিন দিন তা বেড়েই চলেছে । মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের এ বিপদ মুক্তির জন্য দুআ করুন । নয়তো বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় সম্পর্কে পথনির্দেশ দিন । ” তিনি বললেন , “ বেশ সুন্দর কথা , আগামী দিন সকালে আপনারা সবাই এখানে হাযির হলে আমরা সবাই মিলে বিপদমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দুআ করব । " ঘটনাক্রমে ঐ দিন রাতেই হযরত উসমান ( রা . ) বাইরে থেকে ব্যবসার জন্য প্রচুর খাদ্যদ্রব্য নিয়ে মদীনায় পৌঁছলেন । এ সংবাদ দ্রুত শহরময় ছড়িয়ে পড়ায় অসংখ্য লোক খাদ্য কেনার জন্য তাঁর কাছে এসে জড়ো হল । তিনি তাদের কাছে । জানতে চাইলেন “ তোমরা কি দামে খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারবে ? " তারা জানাল , “ প্রতি পাল্লা এক দিরহাম দরে । " তিনি বললেন , “ আরো কিছু বাড়িয়ে দাও । ” তারা বললো , “ এর বেশী আমাদের সামর্থ্য নেই । " তিনি বললেন , “ যে আমাকে পাল্লা প্রতি সাতশ ' দিরহাম দিতে পারবে , আমি তাকেই দিব । ” এ কথা শুনে সবাই নিরাশ মনে ফিরে গেল । কিছু সময় পর তিনি তাদের ডেকে এনে সমুদয় খাদ্যদ্রব্য আল্লাহর ওয়াস্তে বিনামূল্যে বিতরণ করে দিলেন । লোকেরা অবাক হয়ে বললেন , “ জনাব ! কিছু আগে জানালেন , পাল্লা প্রতি সাতশ ' দিরহাম দিতে পারলেই খাদ্যদ্রব্য দিবেন । আর এখন বিনামূল্যেই তা দিয়ে দিলেন ! এর রহস্য কী ? " তিনি বললেন , “ যিনি আমাকে প্রতি পাল্লার বিনিময়ে সাতশ ' দিরহাম দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন , তাকেই তো দিয়েছি । আমার বিশ্বাস , প্রতি পাল্লার মূল্য আমি সাতশ ' দিরহামই পাব । " ইনফাক ফিসাবিলিল্লাহ 1/48


২  আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২৬১


مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ١ؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُ١ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ


যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের ব্যয়ের দৃষ্টান্ত হচ্ছেঃ যেমন একটি শস্যবীজ বপন করা হয় এবং তা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়, যার প্রত্যেকটি শীষে থাকে একশতটি করে শস্যকণা। এভাবে আল্লাহ‌ যাকে চান, তার কাজে প্রাচুর্য দান করেন। তিনি মুক্তহস্ত ও সর্বজ্ঞ।


 এর দু'দিন পর হযরত দুল্লাহ ইবন আব্বাস ( রা . ) স্বপ্নে দেখেন , রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই দ্রুত কোথাও গমন করছেন । এতে ইবন আব্বাস ( রা ) অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং কিছুটা দূর থেকে সবিনয়ে বললেন ; “ হুযুর ! খানিকটা সময় মঞ্জুর করুন । অনেক দিনের বাসনা , আপনার সাথে মুলাকাতের । এছাড়া আপনার সমীপে আমার কিছু জানারও ছিল । ” রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : “ আমার বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে , মহান আল্লাহ আমাকে জানালেন , ওহে প্রিয় বন্ধু ! উসমান আমার সন্তুষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য দান করার বিনিময়ে জান্নাতে তার জন্য কী পরিমাণ নিআমত রেখে দিয়েছি তা একটু দেখে আসুন । আমি সেদিকে রওয়ানা হয়েছি এখন তোমার সাথে আলাপ করলে বড্ড দেরি হয়ে যাবে ওয়াজে বেনজীর পৃষ্ঠা ১১১ থেকে ১২


*  হযরত উসমান রা: এর দান ব্যবসার সমস্ত মাল দান করেন 

*   হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত ঘটনা। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর শাসনকালে একবার মদীনা মুনাওয়ারায় অনাবৃষ্টির কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। উচিৎ মূল্য দিয়েও খাদ্য সংগ্রহ দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেলো। মানুষের মধ্যে হতাশা হাহাকার। লোকজন এসে আমীরুল মু’মিনীনকে কিছু একটা করবার জন্য আরজ পেশ করলো। খলীফাতুল মুসলিমীন সবাইকে ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু‘আ করতে বললেন।


তৎকালীন সময়ে হযরত উসমান ছিলেন মদীনার সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। একদিন সিরিয়া থেকে তাঁর বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্যের বহর মদীনায় এসে পৌঁছল। আমদানিকারকদের নিয়ম হলো, মাল আমদানি করে প্রথমে গুদামজাত করে পরে তা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা। কিন্তু মদীনায় খাদ্যশস্যের এতো চাহিদা যে, উসমান (রা.) এর মালের বহর গুদামে যাবার পূর্বেই মদীনার ব্যবসায়ীগণ সমবেত হয়ে প্রস্তাব দিলেন বহরের সমস্ত মাল তারা একসাথেই ক্রয় করবেন।


কী পরিমাণ লাভে তারা পণ্য কিনবেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীগণ প্রতি দশ টাকার মালে দু’টাকা লাভ দিতে চাইলেন। উসমান বললেন, না এতো কম লাভে আমি মাল বিক্রি করব না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে বাড়াতে প্রতি দশ টাকার মাল ১৫ টাকা লাভে কিনতে চাইলেন। হযরত উসমান এবারও অবস্থার পরিবর্তন করলেন না। বললেন, তোমরা যদি প্রতি দশ টাকার মালে একশো টাকা লাভ দাও তাহলে আমি বিক্রি করতে রাজি আছি।


ব্যবসায়ীরা বললেন, এমন অযৌক্তিক লাভে কেউ আপনার মাল কিনবে না। উসমান বললেন, এই পরিমাণ লাভে মাল ক্রয় করবার কোনো ক্রেতা আছে কি না তোমরা এখনই দেখতে পাবে। একথা বলে হযরত উসমান (রা:) আমীরুল মু’মিনীনের কাছে এই বলে খবর পাঠালেন যে, সিরিয়া থেকে আজ আমদানি করা সমস্ত খাদ্যশস্য আমি মদীনার অভাবগ্রস্থ লোকদের মাঝে দান করে দিলাম। আপনি সুষ্ঠুভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করুন। ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে বললেন, দেখলেতো আমার এ সমস্ত পণ্য ১০ গুণ লাভে আল্লাহর কাছে বিক্রি করলাম। লাভের এই অঙ্ক অবশ্যই পরিশোধ করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে আল্লাহর পক্ষ হতে।


হযরত ইবনে আব্বাস বলেন, সে রাতেই আমি নবীজীকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে দেখলাম। তিনি অপূর্ব সুন্দর একটি ঘোড়ায় চড়ে বহু মূল্যবান পোশাকে সজ্জিত হয়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন। তাঁকে একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে লক্ষ্য করে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ এতো তাড়াহুড়া করে কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন, আজ উসমান বিপুল পরিমাণ ব্যবসার পণ্য মদীনার অভাবীদের দান করেছে। আল্লাহপাক এতো খুশি হয়েছেন যে, জান্নাতে বিরাট উৎসবের আয়োজন করেছেন। আমি সে উৎসবে শরীক হতে যাচ্ছি।


( মাসিক হেফাজতে ইসলাম, মার্চ-২০১১ )


*  দান করলে সম্পদ বাড়ে এটাই বাস্তব 

*  হযরত উসমান গনীর (রা.) দানশীলতা-একবার মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর জামাতা উসমান গনী (রা.) এসে আরজ করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার সম্পদ কমে যাবার জন্য কোনো তদবির দান করুন।” আল্লাহর রাসূল একথা শুনে চমকিত হলেন। বললেন, কী ব্যাপার উসমান? লোকজন ধন-সম্পদ বাড়ানোর জন্য তদবির চায়। আর তুমি সম্পদ কমে যাবার জন্য দু‘আ চাইছো, কেন? জবাবে উসমান বললেন, আমার অন্যান্য সাহাবী ভাইয়েরা বহু নফল ইবাদত করেন। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করেন। কিন্তু আমি অধিক সম্পদের হিসাব কিতাব নিতে গিয়ে সে পরিমাণ ইবাদত করতে পারি না।


(প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হযরত উসমান গনীর কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি প্রচণ্ড ঝোক ছিলো।) দু’জনের মধ্যে যখন এমন কথা চলছিলো, তখনি জিবরাঈল (আ.) এসে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিছু বললেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমানকে বললেন, “হে উসমান তোমার সম্পদ কমানোর তদবির আল্লাহ তা‘আলা পাঠিয়ে দিয়েছেন।” উপস্থিত সকলেই গভীর রজনীর মতো নীরব হয়ে গেলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমার আরজ শুনে আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈলকে পাঠিয়েছেন একথা বলতে যে, তুমি যেন আল্লাহর পথে দান কমিয়ে দাও।” উসমান বললেন, এটা কিভাবে সম্ভব যে, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে সম্পদ দান করবেন, আর আমি তাঁর পথে খরচ করব না? জিবরাঈল তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, এটাও কি সম্ভব যে, উসমান আল্লাহর পথে দান করবেন অথচ আল্লাহ তা‘আলা তার সম্পদ বাড়িয়ে দেবেন না।


* প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।সহিহ বুখারী-১৪৪২ সহিহ


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا


__________________


* কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ করা হবে


*  সম্পদ আল্লাহ পাকের নিয়ামত, কোন পথে ব্যয় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে,সূরা তাকাসুর


*  জানের চেয়ে আমাদের মালের মুহাব্বত বেশি,কুমিল্লা বাড়ী মন চায় ঢাকা করি,পানি ছারা নৌকা চলেনা ঠিক, কিন্তু নৌকার ভিতরে পানি ঢুকলে নৌকার মরণ, মানুষ কবর পর্যন্ত সম্পদ সম্পদ করবে, এই সম্পদ আল্লাহর পথে দানের ক্ষেত্রে কৃপন হওয়া যাবেনা


___________________


250  রমজানের পঞ্চম জুমা দান সদকা


*  সম্পদ আল্লাহ পাকের নিয়ামত, কোন পথে ব্যয় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে,সূরা তাকাসুর


*  আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রিয় বস্তু দান করার নির্দেশ,ইমরান:৯২,


لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوْا مِمَّا تُحِبُّوْنَ ﱟ وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ شَیْءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیْمٌ


*  জানের চেয়ে আমাদের মালের মুহাব্বত বেশি,কুমিল্লা বাড়ী মন চায় ঢাকা করি,পানি ছারা নৌকা চলেনা ঠিক, কিন্তু নৌকার ভিতরে পানি ঢুকলে নৌকার মরণ, মানুষ কবর পর্যন্ত সম্পদ সম্পদ করবে, এই সম্পদ আল্লাহর পথে দানের ক্ষেত্রে কৃপন হওয়া যাবেনা


*  মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁর সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে “বাইরুহা” নামক বাগানটি ছিল তাঁর (আবূ তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল-বুখারী ১৪৬১, মুসলিম-৯৯৮ মুয়াত্তা ইমাম মালিক+১৮১৬ সহিহ


*  নবী (সা) এর দুলালী ফাতেমা (রা) এর প্রিয় কামিজটি দান করেন


*  আমরাতো দুনিয়ার পেছনে পরে কৃপন হয়ে গেছি,দুনিয়ার উদাহরণ হলো,


ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন ÷


এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে


৬৩: আল-মুনাফিকুন:৯,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِۚ وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ


*  হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত ঘটনা। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর শাসনকালে একবার মদীনা মুনাওয়ারায় অনাবৃষ্টির কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। উচিৎ মূল্য দিয়েও খাদ্য সংগ্রহ দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেলো। মানুষের মধ্যে হতাশা হাহাকার। লোকজন এসে আমীরুল মু’মিনীনকে কিছু একটা করবার জন্য আরজ পেশ করলো। খলীফাতুল মুসলিমীন সবাইকে ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু‘আ করতে বললেন, তৎকালীন সময়ে হযরত উসমান ছিলেন মদীনার সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। একদিন সিরিয়া থেকে তাঁর বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্যের বহর মদীনায় এসে পৌঁছল


*  হযরত উসমান গনীর (রা.) দানশীলতা-একবার মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর জামাতা উসমান গনী (রা.) এসে আরজ করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার সম্পদ কমে যাবার জন্য কোনো তদবির দান করুন।” আল্লাহর রাসূল একথা শুনে চমকিত হলেন


*  দান করলে একদিকে সোয়াবের কথা বলা হয়েছে


সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের ব্যয়ের দৃষ্টান্ত হচ্ছেঃ যেমন একটি শস্যবীজ বপন করা হয়-বাক্বারাহ:২৬১


مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ


*  যারা দান করবে কেউ জানে না তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে তাদের চোখের শীতলতার কি সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছে,৩২: আস-সাজদাহ:১৬-১৭


تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّ طَمَعًا٘ وَّ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ


فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ اُخْفِیَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْیُنٍۚ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ


*  অন্য দিকে বিপদ আপদ থেকে বাচাবেন,একবার কিছু লোক হযরত ঈসা (আঃ)


এর কাছে


এক ধোপার বিরুদ্ধে অভিযোগ


করলঃ


غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ و طهر قلبك


غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ


حفظك الله تعالى عن بليات السماء و بنى الله لك قصرا فى الجنة


*  সাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত-সুনানে আবু দাউদ,২৪৩৩ সহিহ


 عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْرَ


_______________


*  ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন ÷


এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে-


শিক্ষনীয় ঘটনা


ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন ÷


এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে, তিনি প্রাণের ভয়ে দৌড়াতে লাগলেন কিছুদূর গিয়ে দেখলেন পানিহীন একটা কোয়া। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখতে পেলেন এবং সেটা ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।


উপরে চেয়ে দেখলেন সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নামার অপেক্ষায় রয়েছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা এবং একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমত অবস্থায় তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখন হঠাৎ কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল দিলেন এবং তা চেটে খেলেন, সেই মধুর এতটায় মিষ্টি ছিল যে তিনি মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত বাঘ, নিচে হাঁ করে থাকা সাপ দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।


 ##  ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন।


** এই সিংহ হচ্ছে আমাদের মৃত্যু যা সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,।


 ** সেই সাপটি হচ্ছে কবর যা আমাদের অপেক্ষায় আছে সর্বক্ষণ।


** আর সাদা ইঁদুর হল দিন আর কালো ইঁদুর হল রাত যারা প্রতিনিয়ত আমাদের আয়ু কমিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


** আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের চতুর্মুখী ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যায়।


*  একবার কিছু লোক হযরত ঈসা (আঃ) এর কাছে


এক ধোপার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলঃ হযরত! এই


ধোপার স্বভাব অতি খারাপ। মানুষের


কাপড় বদলে ফেলে,ধোকা দেয়। আপনি তার জন্য


বদ দোয়া করে দিন যেন তার মৃত্যু হয় আর


আমরাও মুক্তি পাই।


হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা'আলার দরবারে বদ


দোয়া


করলেনঃ 'হে আল্লাহ! তুমি তার থেকে তোমার দায়িত্ব


তুলে নাও।' অর্থাৎ তাকে তোমার রহমত ও


অভিভাবকত্ব থেকে আলাদা করে দাও!


এই দোয়া করার পর তিনি সকলকেই জানিয়ে দিলেন


এর বয়স শুধু আজকের দিন বাকি। লোকেরা দোয়ার


উপর আশ্বস্ত হল এবং ধরেই


নিয়েছে ধোপা এবার শেষ।


এদিকে দোপা তার দৈনন্দিন কর্মসূচী মুতাবিক


দিবসের খাবার তিনটি রুটি নিয়ে ঘাটের দিকে


যাচ্ছিল। পথে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল। বললঃ


আমি খুবই ক্ষুধার্ত। আমাকে একটি রুটি দান


করুন। ধোপা একটি রুটি তাকে দান করল।


বিক্ষুক একটি রুটি হাতে পেয়ে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীত দিনের সকল পাপ


মাফ করে


দিন এবং তোমার অন্তরকে পবিত্র করে দিন।'


ধোপার কাছে বিক্ষুকের দু'আ খুবই ভাল লাগল।


সে দ্বিতীয় রুটিটিও তাকে দান করে দিল। এবার


ভিক্ষুক


এই বলে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমার পুর্বের-পরের সকল গোনাহ


মাফ


করে দিন।'


এ কথা শুনে ধোপা তাকে তৃতীয় রুটিটিও দান


করে দিল। তখন বিক্ষুক এই বলে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সকল প্রকার


আসমানী বিপদ


থেকে রক্ষা করুন এবং তোমার জন্যে বেহেশতে


একটি মহল তৈরী করে দিন।'


এদিকে সকলেই অপেক্ষমান ধোপার অবস্থা


দেখার জন্য। বিকালে সবাই বিস্ময়ের সাথে


লক্ষ্য করল ধোপা তার বস্ত্রসামগ্রীসহ


ঘাট থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসছে।


এ অবস্থা দেখে সকলেই ছুটে এলো হযরত ঈসা (আঃ)


এর খেদমতে। এসে আরয করলঃ হে আল্লাহর নবী!


ধোপার তো কিছুই হলো না। আপনার অংগীকার পূর্ণ


হলো না।


হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ তাকে আমার


কাছে ডেকে আন।


তার অবস্থা আমি দেখি।


ডেকে আনা হলো আদেশ মত। হযরত ঈসা (আঃ) তাকে


জিজ্ঞেস করলেনঃ আজ তুমি কি কাজ করেছো?


কী নেক


আমল করেছো শুনি!


ধোপা বলল হে আল্লাহর নবী! পথে একজন ক্ষুদার্ত


ভিক্ষুক পেয়েছিলাম। আমার কাছে তিনটি রুটি ছিল


যা তাকে দিয়ে


দিয়েছি। সে আমার প্রতিটি রুটির বিনিময়ে একটি


করে দু'আ করেছে।


হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ ধোপা! তোমার কাপড়ের


গাঁটরি খোল! খোলার পর দেখে তার মধ্যে একটি


কৃসণবর্ণ বিষাক্ত সাপ। তার মুখে লোহার লাগাম


আঁটা।


হযরত ঈসা (আঃ) সাপকে ডাকলেনঃ আসওয়াদ!


সাপ বললঃ লাব্বাইক ইয়া রুহুল্লাহ! আমি উপস্থিত হে


আল্লাহর প্রিয়নবী!


বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা কি তোকে এই ধোপাকে


ধ্বংস করার জন্যে পাঠাননি?


বললঃ হ্যাঁ, আল্লাহ তা'আলা তো এই আদেশই


দিয়েছেন।


আমাকে বলা হয়েছিল, অমুক নামের এক ধোপা


অমুক ঝর্ণায় কাপড় ধোয়ার জন্যে গিয়েছে।


তাকে গিয়ে দংশন কর। আমি এই উদ্দেশ্যেই তার


গাঁটুরিতে আশ্রয় নিয়েছি সুযোগের অপেক্ষায়।


কিন্তু সে যখন সদকা করেছে ক্ষুধার্ত


ভিক্ষুককে হালাল খাবার দান করেছে তখন


ভিক্ষুক তার জন্য দু'আ করেছে। আল্লাহ


তা'আলা তার


দু'আ কবুল করেছেন। একজন ফিরিশতা আসমান


থেকে নেমে এসেছেন। ফলে আমি আমার দায়িত্ব আর


পালন করতে পারি নি।


তখন হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ হে ধোপা! তুমি


এখন থেকে নতুন করে আমল করা শুরু কর।


আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীতের সব গোনাহ মাফ


করে


দিয়েছেন, তোমার দানের বরকতে। তোমার হায়াতেও


বরকত দান করেছেন।


বিঃদ্রঃ রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমল


বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ আমাদের


সবাইকে বেশি বেশি দান করার তৌফীক দান করুন।


*  হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা।জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ। সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা।সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন ঐই পাখির ডিম সে না খায়। হযরত সোলায়মান( আ.)এর নিষেধ অমান্য করে লোকটি আবারো পাখির ডিম খেয়ে ফেলল।নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি এবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেয়, যাতে লোকটি আর কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে। এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছে থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।


এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুজন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। সোলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।( তাযকেরাতুল আম্বিয়া)


*  হযরত আলী (রাঃ)-এর


দানের বিস্ময়কর ঘটনা


""""""""""""""""""""""""""""""""


হযরত আলী (রাঃ)-এর পরিবারে ৫ জন সদস্য ছিলেন। তিনি নিজেসহ হযরত ফাতিমা (রাঃ), হযরত হাসান (রাঃ), হযরত হুসাইন (রাঃ) এবং হযরত হারিস (রাঃ)। একবার তাঁরা তিনদিন অনাহারে থাকেন। কিছুই আহার জোটেনি । হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর একটি চাদর ছিল। তিনি তা বিক্রির জন্যে হযরত আলী (রাঃ)কে দিলেন। হযরত আলী (রাঃ) তা ছয় দিরহামে বিক্রি করে দেন। আর তখনই একজন ফকির এসে তাঁর কাছে ছাওয়াল করল, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে দান করুন। হযরত আলী (রাঃ) সে ছয় দিরহাম ফকিরদের মাঝে সদকা করে দিলেন।


এই বিস্ময়কর ঘটনার পর হযরত জিব্রাঈল (আঃ) মানবরূপে হযরত আলী (রাঃ)-এর সাথে পথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলো একটি জান্নাতি উট। তিনি বললেন, হে আবুল হাসান; আমার থেকে তুমি এই উটটি ক্রয় কর । আলী (রাঃ) উটটি নিয়ে বললেন; আমার নিকট এটা ক্রয় করার মতো কোনো মূল্য নেই। তিনি বললেন; আপনি ইহা বাকিতে নিন। আলী (রাঃ) বললেন ; কততে আপনি বিক্রি করবেন। তিনি বললেন, একশ' দিরহাম। অতঃপর হযরত আলী (রাঃ) একশ' দিরহামের বিনিময়ে তা ক্রয় করলেন এবং তার লাগাম ধরলেন। আলী (রাঃ) পথ চলতে লাগলেন। এর কিছুক্ষণ পর বেদুঈনরূপে হযরত মিকাঈল (আঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন এবং বললেন, হে আবুল হাসান; এ উটটি কি বিক্র করবেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, মিকাঈল (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কত মূল্যে তা ক্রয় করলেন ? আলী (রাঃ) বললেন, একশ' দিরহামে। বেদুঈন বললো , আমি ষাট দিরহাম লাভে তা ক্রয় করব। এরপর উটনীটি তিনি তাঁর নিকট একশ' ষাট দিরহামে বিক্রি করলেন।


বেদুঈন তাঁকে একশত ষাট দিরহাম দিলো। আলী (রাঃ) টাকা নিয়ে পথ চলতে লাগলেন। পথিমধ্যে পূর্বের সেই বিক্রেতার সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হলো। তিনি ছিলেন হযরত জিব্রাঈল (আঃ)। আলী (রাঃ) কে বললেন, হে আবুল হাসান; নিশ্চয়ই উটনি বিক্রি করেছেন ? তিনি জবাব দিলেন হ্যাঁ , জিব্রাঈল (আঃ) বললেন , আমার প্রাপ্য পরিশোধ করুন। আলী (রাঃ) তাঁকে কথামত একশত দিরহাম দিয়ে দিলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলো ষাট দিরহাম । এ নিয়ে ফাতেমার গৃহে ফিরলেন এবং তাঁর সম্মুখে দিরহামগুলো রেখে দিলেন । ফাতেমা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এত দিরহাম কোথায় পেয়েছেন ? আলী (রাঃ) বললেন, আল্লাহর সঙ্গে ছয় দিরহাম দিয়ে ব্যবসা করেছি, তিনি আমায় ষাট দিরহাম দান করেন। অতঃপর তিনি মহানবী সাল্ল্াল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট গেলেন এবং ঘটনা খুলে বললেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে আলী ! বিক্রেতা জিব্রাঈল (আঃ), আর ক্রেতা ছিলেন মিকাঈল (আঃ)। অতঃপর তিনি বললেন, শুন হে আলী ; আল্লাহপাক তোমাকে এমন তিন রত্ন দান করেছেন যা অন্য কাউকে দান করেননি। (১) তোমার স্ত্রী জান্নাতী রমণীদের সর্দার, (২) তোমার পুত্রদ্বয় জান্নাতী যুবক কূলের নেতা, আর (৩) তোমার শ্বশুর নবীকুলের সর্দার। সুতরাং আল্লাহর এ দানের জন্যে তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর এবং সে সব নেয়ামতের ব্যাপারে তাঁর প্রশংসা কর, যা তোমাকে তিনি দান করেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।


*  নবী নন্দিনী হযরত


ফাতেমা (রাঃ)


এর ঘটনা। বিয়ের


সময় তাঁর জন্য


একটি নতুন জামা


তৈরি করা হয়েছিল।


নতুন জামাটা তিনি


যত্ন করে রেখে


দিলেন আর পুরাতন


জামা প্রায় সময়


পরতেন। একদিনের


ঘটনা। একজন ফকির


এসে তাঁর কাছে


একটি পুরাতন জামা


চাইলেন। তখন হযরত


ফাতেমা (রাঃ)


চিন্তায় পড়ে


গেলেন- কী নতুন


জামাটা দিবেন, নাকি


পুরাতনটা


দিবেন? তিনি


ভাবলেনঃ সে তো


একটি


পুরাতন জামা


চেয়েছে। পুরাতন


জামা


দিলেই তো চলে।


তারপর আবার


ভাবলেনঃ মহান


আল্লাহ তায়ালা


পবিত্র কুরআনে


বলেছেন,


ﻟﻦ ﺗﻨﺎﻟﻮﺍ ﺍﻟﺒﺮ


ﺣﺘﻰ ﺗﻨﻔﻘﻮﺍ ﻣﻤﺎ ﺗﺤﺒﻮﻥ


অর্থাৎ


''তোমরা কিছুতেই


প্রকৃত কল্যাণ


(নেকী) লাভ করতে


পারবে না যে


পর্যন্ত না তোমাদের


প্রিয় বস্তু


মহান আল্লাহর পথে


ব্যয়


করবে।'' (সূরা আলে


ইমরান, আয়াতঃ


৯২) এ কথা মনে হতেই


ফকিরকে তিনি


নতুন জামাটা দিয়ে


দিলেন। উপস্থিত


মহিলারা বিস্মিত


হয়ে বললেনঃ


ফকির তো একটি


পুরাতন জামা


চেয়েছে। আপনি


একটা পুরাতন জামা


দিলেও পারতেন। নতুন


শখের


(পছন্দের) জামাটা


দিলেন কেন?


জবাবে হযরত ফাতেমা


(রাঃ) বললেন,


ফকির তো পুরাতন


জামাই চেয়েছে।


কিন্তু আমার কাছে


এটা পছন্দ হয়নি


যে, আমি নতুন জামা


পরবো আর ফকিরকে


দিব পুরাতন জামাটি।


কারণ নতুন


জামাটিই আমার কাছে


বেশি প্রিয়।


আর মহান আল্লাহর


কাছে প্রিয় বস্তু


দান না করলে যথার্থ


প্রতিদান


পাওয়া যায় না। তাই


আমি ফকিরকে


নতুন জামাটি


দিয়েছি।


সুবহানাল্লাহ! এই


হলো জান্নাতের


নারীদের নেত্রী


হযরত ফাতেমা


(রাঃ) এর উদারতা ও


দানশীলতা।


মহান আল্লাহ


তায়ালা আমাদের


সবাইকে তাঁদের মতো


উদার দানশীল


চরিত্রের অধিকারী


হওয়ার তাওফীক


দান করুন।


আমীন।

No comments

Powered by Blogger.