Header Ads

Header ADS

8/248 রমজানের তৃতীয় জুমা যাকাত ও ইতেকা

8/248  রমজানের তৃতীয় জুমা যাকাত ও ইতেকাফ

* নামায ও যাকাত আদায়কারীর কোন ভয় নেই, বাকারা-২৭৭

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

* যাকাত দিলে সম্পদ নষ্ট হবে না,তাবরানী শরীফ

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ص) مَا هَلَكَ مَالٌ فِي بَرٍّ وَ لَا بَحْرٍ إِلَّا بِمَنْعِ الزَّكَاةِ

* খৃস্টান বনিক যাকাত দেওয়ার ফলে সমস্ত ব্যবসায়ীক মাল ফিরে পান (মজমুয়ায়ে ওয়াযেফ পৃ:-229

* হযরত আবু বকর রাঃ যাকাত অনাদায়ীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন, হযরত উমার (রাঃ) বললেন,আপনি কিরূপে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন?

* ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরীবদের অধিকার রয়েছে,আয-যারিয়াত-১৯

وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ

*  যাকাত ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় অভাব থাকে না

* ওমর বিন আ: আজিজের সময় যাকাত নিবার মত লোক পাওয়া যেতনা

* যাকাত অনাদায়ীর শাস্তি,আত তাওবাহ্-৩৪-৩৫

 وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَـٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ

* হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে, বায়হাকী

أنّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "من اعتكف عشرًا في رمضان كان كحجتين وعمرتين

হজরত আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ পালন করতেন। তাঁর ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি ইতেকাফ পালন করে গেছেন। তারপর তাঁর পত্নীরাও তা পালন করেছেন

* অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ইতেকাফ করে আল্লাহপাক তাঁর এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন। এক খন্দক দূরত্বের পরিমাণ হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক।


____________________________________

* নামায ও যাকাত আদায়কারীর কোন ভয় নেই, বাকারা-২৭৭

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

* যাকাত দিলে সম্পদ নষ্ট হবে না,তাবরানী শরীফ

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ص) مَا هَلَكَ مَالٌ فِي بَرٍّ وَ لَا بَحْرٍ إِلَّا بِمَنْعِ الزَّكَاةِ

* খৃস্টান বনিক যাকাত দেওয়ার ফলে সমস্ত ব্যবসায়ীক মাল ফিরে পান (মজমুয়ায়ে ওয়াযেফ পৃ:-229

* হযরত আবু বকর রাঃ যাকাত অনাদায়ীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন, হযরত উমার (রাঃ) বললেন,আপনি কিরূপে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন?

* ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরীবদের অধিকার রয়েছে,আয-যারিয়াত-১৯

وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ

* এতিমের মুখের মিষ্টি হাসি সম্রাট শাহজাহান বাদশাহ এর নির্মিত তাজ মহলের চাইতে দামী ৷ যেই বাজারে এক টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যেতো,সব থেকে বেশি দুধ দেয় আধামন এক মন তিন টাকার বেশি ছিলনা,সে বাজারে বিশ বছর ধরে 22 হাজার লোককে কাজে লাগিয়ে,বিশ কোটি টাকা খরচে করে 20 বছর ধরে নির্মান করেন তাজ মহল

* যাকাত অনাদায়ী কারুনের সাথে হাসর হবে ৷ সে যাকাত না দেওয়ার কৌশল অবলম্বনে যেনার তোহমত দেয়, মুসা আ: এর প্রতি ৷

(মজমুয়ায়ে ওয়ায- 144

* যাকাত অনাদায়ীর শাস্তি,আত তাওবাহ্-৩৪-৩৫

 وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَـٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ

* যাকাত কোথায় দিবে কাকে দিবে,তওবা ৬০

ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕُ ﻟِﻠْﻔُﻘَﺮَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴْﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆَﻟَّﻔَﺔِ ﻗُﻠُﻮْﺑُﻬُﻢْ ﻭَﻓِﻲْ ﺍﻟﺮِّﻗَﺎﺏِ ﻭَﺍﻟْﻐَﺎﺭِﻣِﻴْﻦَ ﻭَﻓِﻲْ ﺳَﺒِﻴْﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺍﺑْﻦِ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴْﻞِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠِﻴْﻢٌ ﺣَﻜِﻴْﻢٌ

* যাকাত দাতা বান্দাদের জন্য রয়েছে,আজরুন আযীম-এর প্রতিশ্রুতি,সূরা নিসা ১৬২

وَ الْمُقِیْمِیْنَ الصَّلٰوةَ وَ الْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ اُولٰٓىِٕكَ سَنُؤْتِیْهِمْ اَجْرًا عَظِیْمًا۠

* উঠ,গরু, ছাগলের যারা যাকাত না দিবে,হাসরের ময়দানে 50 হাজার বছর শাস্তি চলবে,অতপর জান্নাত বা জাহান্নাম

* বকরির যাকাত: বকরির নিসাব নর বা মাদী ৪০টি বকরি, একটি বকরীর যাকাত দিবে,

গরুর যাকাত: গরুর যাকাতের নিসাব ৩০টি গরু,এক বছরের নর বা মাদী গরু যাকাত দিবে,৪০টি গরু থেকে দুই বছরের একটি গরু যাকাত দিবে

* বৃষ্টির পানি ১০ ভাগের এক ভাগ,সেচের পানি ২০ ভাগের এক ভাগ

* এই যাকাত আদায় করবে সরকার ৷

* ওমর বিন আ: আজিজের সময় যাকাত নিবার মত লোক পাওয়া যেতনা

* অন্য দিকে দান সদকা বিপদ আপদ থেকে বাচাবেন,একবার কিছু লোক হযরত ঈসা (আঃ) এর কাছে এক ধোপার বিরুদ্ধে অভিযোগ

করলঃ

غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ و طهر قلبك

غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ

حفظك الله تعالى عن بليات السماء و بنى الله لك قصرا فى الجنة

* হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা।জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ। সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা।সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত

* এতেকাফের ফজিলত:ইতেকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অবস্থান করা, নিজেকে কোনো স্থানে আবদ্ধ করে রাখা।

আর শরিয়তের পরিভাষায় কতগুলো বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে

* হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে, বায়হাকী

أنّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "من اعتكف عشرًا في رمضان كان كحجتين وعمرتين

হজরত আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ পালন করতেন। তাঁর ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি ইতেকাফ পালন করে গেছেন। তারপর তাঁর পত্নীরাও তা পালন করেছেন

* অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ইতেকাফ করে আল্লাহপাক তাঁর এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন। এক খন্দক দূরত্বের পরিমাণ হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক।


____________________________________

মজমুয়ায়ে ওয়াজ শরীফ হেদায়াতের সরল পথ-229-232  জাকাত দানের ফলে জনৈক খৃষ্টানের হৃত ধন পুনঃ প্রাপ্তির বিবরণ একদা হজরত নবী করিম ( দ :) ছাহাবাগণকে জাকাতের ফজীলত সম্বন্ধে এই হাদীছটী শুনাইলেন হাদীছ


 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ص) مَا هَلَكَ مَالٌ فِي بَرٍّ وَ لَا بَحْرٍ إِلَّا بِمَنْعِ الزَّكَاةِ

 

অর্থাৎ - জল - পথে ও স্থল পথে মাল কথনই নষ্ট হয় না , যদি ঐ মালের জাকাত দেওয়া হয় । হজরত হাছান ( রা : ) বর্ণনা করিয়াছেন , হজরত রাসূলে করিম ( দ :) জাকাতের ফজীলতের বয়ান শুনাইলে ছাহাবাগণের সকলেই উহা মানিয়া লইলেন । ছাহাবাদিগের সঙ্গে সেইখানে এক খৃষ্টান সওদাগরও রাসূলে খোদার ওয়াজ শুনিতেছিলেন । সেই খৃষ্টান বনিক হাতের কথায় বিশ্বাস করিতে না পারিয়া উহা পরীক্ষার জন্য গৃহে প্রত্যাগমন করিল । তৎপর তাহার সমুদয় ধনের জাকাত হিসাব করিয়া কড়ায় গণ্ডায় তাহ ! মুছলমান দরিদ্রদিগকে দান করিল । জাকাত দিবার পর নেই খৃষ্টান মুছলমানদিগকে হল , হে মুহুলমানগণ ! আমি মোহাম্মদকে পরীক্ষা করিবার জন্য তোমাদিগকে জাকাত দান করিলাম । যদি তিনি সত্যই আল্লাহর প্রেরিত রাছুল হন , তবে ( তাঁহার কথামত ) আমার জাহাত ধন - সম্পত্তি ও ব্যবসা - বাণিজ্য কখনই নষ্ট হইবে না । যদি আমার অর্থের ও ব্যবসায়ের ক্ষতি না হয় তাহা হইলে আমিও ইছলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়া মুলমান হইব । আর যদি ভবিষ্যতে আমার অর্থ অথবা ব্যবসায় নষ্ট হয় , তবে প্রতিজ্ঞা করিলাম - তোমাদের রাছুলকে মিথ্যাবাদী জানিয়া তাঁহার সহিত আমি তরবারির যুদ্ধ করিব । এরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করিয়া খৃষ্টান নিজের অংশীদারকে বাণিজ্যার্থে বিদেশে পাঠাইয়া দিলেন । তাহার সেই অংশীদার নানাদেশে বাণিজ্য ব্যবসা করিয়া বহু অর্থ উপার্জন করিতে লাগিল । একদিন রাত্রিকালে একদল দত্যু তাহার কাফেলায় হানা দিয়া যাহাকে যেখানে পাইল মারধর করিয়া সমুদয় মালপত্র লুটিয়া লইয়া গেল । অংশীদার সওদাগর মাথায় হাত দিয়া কাঁদিতে লাগ অবশেষে সওদাগর তাহার অংশীদার খৃষ্টানকে পত্র দ্বারা জানাইল যে , " আমরা ব্যবসা - বাণিজ্যে বহু অর্থ উপার্জন করিয়াছিলাম , কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ ডাকাতের হাতে পড়িয়া আমাদের সমুদয় মাল লুঠ হইয়া গিয়াছে , তদন্ত বড়ই চিন্তিত আছি । খৃষ্টান বণিক পত্র পাইয়া ( অর্থ নষ্ট হওয়ায় যতটা ভাবনা চিন্তা করুক না করুক ) হজরতের কথার প্রতি এই মনে করিয়া অধীর হইয়া উঠিল যে , আমি মোহাম্মদের কথায় বিশ্বাস করতঃ জাকাত দানে অনেক অর্থ ব্যয় করিলাম । আবার আমার ব্যবসার লাভ সহ ডাকাতে লুণ্ঠন করিয়া লইয়া গেল । মোহাম্মদ বলিয়াছিল , জাকাত দিলে কখনই ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হইবে না । তবে এমন ক্ষতি হইল কেন ? মোহাম্মদ ত কখনও মিথ্যা কথা বলে না । অথচ আমি প্রতিজ্ঞা করিয়াছি , মোহাম্মদের কথা সত্য হইলে ইছলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়া আমি মুছলমান হইব । খৃষ্টান বণিক এইরূপ ভাবনা চিন্তা করিতে ছিল এমন সময় আবার একখানি পত্র তাহার অংশীদারের তরফ হইতে আসিয়া পৌছিল । দ্বিতীয় 


পত্রে লেখা ছিল হে বণিক মহাজন । আপনি নিশ্চিন্ত থাকিবেন , কোনও চিন্তা করিবেন না , অপহৃত সমুদয় মাল প্রাপ্ত হইয়াছি । দস্যুগণ মাল আছবাব লুঠতরাজ করিয়া লইয়া যাওয়ার পর পথে টাকার তোড়ায় ও মালের বস্তায় আপনার নামের অঙ্কিত মোহর দেখিয়া সেইখানে সমস্ত মাল পত্র ও টাকা কড়ি রাখিয়া অন্য সওদাগরের কাফেলা লুঠ করিয়া চলিয়া যায় । আমাদের মাল - পত্রের এক কপর্দকও লোকসান হয় নাই , সমস্তই মৌজু আছে । কোনও দৈব হেফাজত ব্যতীত চোর ডাকাতের হাত হইতে এরূপ ভাবে কখনই মাল ফেরৎ পাওয়া যায় না । নজম বেশক হেফাজত কিয়া মাল মেরে খোদানে । যব ইয়ে মাল্‌ছে জাকাত দিয়া হায় হানে । খৃষ্টান বণিক দ্বিতীয় পত্র পাঠে আনন্দিত হইয়া বলিয়া উঠিল হে আল্লাহ্ মোহাম্মদ ( দ :) আপনার সত্য নবী , আপনি সকল ধর্মকে বাবেল করিয়া ইছলাম ধর্মকে বরহক করিয়াছেন ইহাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । ইছলাম ধর্মের একটা মাত্র নিয়ম পালন করার ফলে যখন আমি এত বড় ক্ষতি হইতে রক্ষা পাইয়াছি , তখন ইছলামের অন্যান্ত সকল আদেশ পালন করিলে ইহকালে ও পরকালে আমার কোন ক্ষতিরই আশঙ্কা থাকিবে না । খৃষ্টান বণিক এই বলিয়া তখনই হজরতের নিকট গিয়া বলিলেন , ইয়া রাছুলাল্লাহ্ ! আপনি সত্য নবী , আপনার প্রবর্তিত ইছলাম সত্য , ইছলামের বিধান সত্য , আপনার বাক্যাবলী সত্য । আপনি বলিয়া ছিলেন , মালের জাকাত দিলে


মালের ক্ষতি হয় না একথাও সত্য । আপনি এক্ষণে আমাকে ইছলাম ধর্মে দীক্ষা দিয়া মুছলমান করুন । হজবুত তখনই সকলের সাক্ষাতে সেই খৃষ্টান বণিককে মুছলমান করিয়া ইছলামের নিয়মগুলি একে একে শিখাইয়া দিলেন । বণিক খৃষ্টান মুছলমান হইয় । সেই দিন হইতে ইছলামের নিয়মগুলি যথাযথ পালন করিতে থাকেন । হে ভ্রাতঃ মুছলমানগণ । ধনের জাকাতের কি শুভ পরিণতি তাহা আপনারা একবার চিন্তা করিয়া দেখুন । ভ্রাতৃগণ । মালের জাকাত দিতে আপনারা কখনই অবহেলা করিবেন না । যদি মালের উন্নতির এবং সর্ব প্রকার অনিষ্ট হইতে রক্ষা পাইবার ইচ্ছা থাকে , তবে জাকাত আদায় করিতে আপনার ৷ কখনই শৈথিল্য বা কৃপণতা করিবেন না ।


*  দারিদ্র্যতা মানুষকে কুফুরের দিকে নিয়ে যায়। চির সুখী জন


كَادَ الْفَقْرُ أَنْ يَّكُوْنَ كُفْرًا


*  দারিদ্র্য বিমোচনে নবীজি বাইতুল মাল ব্যাংক চালু করেন। কাজের উৎসাহ প্রদানে কুঠার হাতে তুলে দেন


*  নবীর পেটে খাবার নেই কিন্তু দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিছেন। আবু বকর ওমর রা কে নিয়ে আবু আইয়ুব আনসারী রা এর বাড়ীতে যান


#যাকাতের সুফল


*  যাকাত দিলে সম্পদ নষ্ট হবে না,তাবরানী শরীফ


قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ص) مَا هَلَكَ مَالٌ فِي بَرٍّ وَ لَا بَحْرٍ إِلَّا بِمَنْعِ الزَّكَاةِ


*  খৃস্টান বনিক যাকাত দেওয়ার ফলে সমস্ত ব্যবসায়ীক মাল ফিরে পান (মজমুয়ায়ে ওয়াযেফ পৃ:-229


#যাকাতের গুরুত্ব সাহাবীদের কাছে ছিল


*  হযরত আবু বকর রাঃ যাকাত অনাদায়ীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন, হযরত উমার (রাঃ) বললেন,আপনি কিরূপে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন?


*  সুতরাং এই যাকাত আদায় করবে সরকার৷


*  সঠিক ভাবে যাকাত আদায় হলে সমাজের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী


* ওমর বিন আ: আজিজের সময় যাকাত নিবার মত লোক পাওয়া যেতনা


#যাকাত অনাদায়ীর ফল


*  যাকাত অনাদায়ী কারুনের সাথে হাসর হবে ৷ সে যাকাত না দেওয়ার কৌশল অবলম্বনে যেনার তোহমত দেয়, মুসা আ: এর প্রতি ৷


(মজমুয়ায়ে ওয়ায- 144


* এই যাকাত ফরয হিসেবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। আয-যারিয়াত-১৯


وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ


সূরা হাশর-7


كَیْ لَا یَكُوْنَ دُوْلَةًۢ بَیْنَ الْاَغْنِیَآءِ مِنْكُمْ١ؕ


*  এতিমের মুখের মিষ্টি হাসি সম্রাট শাহজাহান বাদশাহ এর নির্মিত তাজ মহলের চাইতে দামী ৷ যেই বাজারে এক টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যেতো,সব থেকে বেশি দুধ দেয় আধামন এক মন তিন টাকার বেশি ছিলনা,সে বাজারে বিশ বছর ধরে 22 হাজার লোককে কাজে লাগিয়ে,বিশ কোটি টাকা খরচে করে 20 বছর ধরে নির্মান করেন তাজ মহল


#যাকাত অনাদায়ীর শাস্তি,আত তাওবাহ্-৩৪-৩৫


 وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ


يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَـٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ


*  ইতিকাফের ফজিলত ইতিকাফ তিন প্রকার


"من اعتكف عشرًا في رمضان كان كحجتين وعمرتين


*  অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ইতেকাফ করে আল্লাহপাক তাঁর এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন। এক খন্দক দূরত্বের পরিমাণ হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক।


#ফিতরা প্রসংঙ্গে


*  বকরির যাকাত: বকরির নিসাব নর বা মাদী ৪০টি বকরি, একটি বকরীর যাকাত দিবে,


গরুর যাকাত: গরুর যাকাতের নিসাব ৩০টি গরু,এক বছরের নর বা মাদী গরু যাকাত দিবে,৪০টি গরু থেকে দুই বছরের একটি গরু যাকাত দিবে


*  বৃষ্টির পানি ১০ ভাগের এক ভাগ,সেচের পানি ২০ ভাগের এক ভাগ


____________________________________


8/248  রমজানের তৃতীয় জুমা যাকাত ও ইতেকাফ✓


সুখী দুঃখীর দুঃখ বুঝে না


 Joyshiddhi village  October 17, 2019  কবিতা, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার


চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন,


ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?


কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে


কভু আশী বিষে দংশেনি যারে?


যতদিন ভবে, না হবে না হবে,


তোমার অবস্থা আমার সম,


ঈষৎ হাসিবে শুনে না শুনিবে,


বুঝে না বুঝিবে যাতনা মম।


লেখক:  কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার


*  খৃস্টান বনিক যাকাত দেওয়ার ফলে সমস্ত ব্যবসায়ীক মাল ফিরে পান (মজমুয়ায়ে ওয়াযেফ পৃ:-229


*  যাকাতের গুরুত্ব


*  হযরত আবু বকর রাঃ যাকাত অনাদায়ীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন, হযরত উমার (রাঃ) বললেন,আপনি কিরূপে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন?


عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّىَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُوْ بَكْرٍ بَعْدَهُ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لأَبِيْ بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُوْلُوْا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّيْ مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ وَاللهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُوْنِيْ عِقَالاً كَانُوْا يُؤَدُّوْنَهُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِيْ بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ-


আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে যখন আবু বকর (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন আরবদের কিছু লোক (যাকাত আদায়ে) অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। (আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন)। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, আপনি কিভাবে লোকদের সাথে যুদ্ধ করবেন? কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমাকে লোকদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-কে স্বীকার করে। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করবে সে তার সম্পদ ও প্রাণ আমার হাত থেকে সংরক্ষিত করে নিবে। তবে ইসলামের অধিকার ব্যতীত। আর অন্য সবকিছুর হিসাব আল্লাহর কাছে রয়েছে। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি ছালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করবে আমি তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হব। কারণ যাকাত হচ্ছে আল্লাহর সম্পদের হক। আল্লাহর শপথ! তারা যদি উটের গলার একটি রশিও দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় দিত, তাহলে এ অস্বীকৃতির কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। ওমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম আল্লাহ আবু বকর (রাঃ)-এর হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কাজেই আমি বুঝতে পারলাম, আবু বকর (রাঃ)-এর সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।[3]


[1]. বুখারী হা/২৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ১/২১ পৃঃ; মুসলিম হা/২২; মিশকাত হা/১২।


[2]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।


[3]. বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।


*  যাকাত অনাদায়ীর ফল


*  যাকাত অনাদায়ী কারুনের সাথে হাসর হবে ৷ সে যাকাত না দেওয়ার কৌশল অবলম্বনে যেনার তোহমত দেয়, মুসা আ: এর প্রতি ৷


(মজমুয়ায়ে ওয়ায- 144


_________________


*  নামায ও যাকাত আদায়কারীর কোন ভয় নেই, বাকারা-২৭৭


إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ


*  যাকাত দিলে সম্পদ নষ্ট হবে না,তাবরানী শরীফ


قَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ص) مَا هَلَكَ مَالٌ فِي بَرٍّ وَ لَا بَحْرٍ إِلَّا بِمَنْعِ الزَّكَاةِ


*  ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরীবদের অধিকার রয়েছে,আয-যারিয়াত-১৯


وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ


*  এতিমের মুখের মিষ্টি হাসি সম্রাট শাহজাহান বাদশাহ এর নির্মিত তাজ মহলের চাইতে দামী ৷ যেই বাজারে এক টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যেতো,সব থেকে বেশি দুধ দেয় আধামন এক মন তিন টাকার বেশি ছিলনা,সে বাজারে বিশ বছর ধরে 22 হাজার লোককে কাজে লাগিয়ে,বিশ কোটি টাকা খরচে করে 20 বছর ধরে নির্মান করেন তাজ মহল


*  যাকাত অনাদায়ীর শাস্তি,আত তাওবাহ্-৩৪-৩৫


 وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ


يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَـٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ


*  যাকাত কোথায় দিবে কাকে দিবে,তওবা ৬০


ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕُ ﻟِﻠْﻔُﻘَﺮَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴْﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆَﻟَّﻔَﺔِ ﻗُﻠُﻮْﺑُﻬُﻢْ ﻭَﻓِﻲْ ﺍﻟﺮِّﻗَﺎﺏِ ﻭَﺍﻟْﻐَﺎﺭِﻣِﻴْﻦَ ﻭَﻓِﻲْ ﺳَﺒِﻴْﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺍﺑْﻦِ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴْﻞِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠِﻴْﻢٌ ﺣَﻜِﻴْﻢٌ


*   যাকাত দাতা বান্দাদের জন্য রয়েছে,আজরুন আযীম-এর প্রতিশ্রুতি,সূরা নিসা ১৬২


وَ الْمُقِیْمِیْنَ الصَّلٰوةَ وَ الْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ اُولٰٓىِٕكَ سَنُؤْتِیْهِمْ اَجْرًا عَظِیْمًا۠


*  উঠ,গরু, ছাগলের যারা যাকাত না দিবে,হাসরের ময়দানে 50 হাজার বছর শাস্তি চলবে,অতপর জান্নাত  বা জাহান্নাম


*  বকরির যাকাত: বকরির নিসাব নর বা মাদী ৪০টি বকরি, একটি বকরীর যাকাত দিবে,


গরুর যাকাত: গরুর যাকাতের নিসাব ৩০টি গরু,এক বছরের নর বা মাদী গরু যাকাত দিবে,৪০টি গরু থেকে দুই বছরের একটি গরু যাকাত দিবে


*  বৃষ্টির পানি ১০ ভাগের এক ভাগ,সেচের পানি ২০ ভাগের এক ভাগ


*  এই যাকাত আদায় করবে সরকার ৷


* ওমর বিন আ: আজিজের সময় যাকাত নিবার মত লোক পাওয়া যেতনা


*  অন্য দিকে দান সদকা বিপদ আপদ থেকে বাচাবেন,একবার কিছু লোক হযরত ঈসা (আঃ) এর কাছে এক ধোপার বিরুদ্ধে অভিযোগ


করলঃ


غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ و طهر قلبك


غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ


حفظك الله تعالى عن بليات السماء و بنى الله لك قصرا فى الجنة


*  হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা।জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ। সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা।সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত


*  এতেকাফের ফজিলত:ইতেকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অবস্থান করা, নিজেকে কোনো স্থানে আবদ্ধ করে রাখা।


আর শরিয়তের পরিভাষায় কতগুলো বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে


*  হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে, বায়হাকী


أنّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "من اعتكف عشرًا في رمضان كان كحجتين وعمرتين


হজরত আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ পালন করতেন। তাঁর ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি ইতেকাফ পালন করে গেছেন। তারপর তাঁর পত্নীরাও তা পালন করেছেন


*  অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ইতেকাফ করে আল্লাহপাক তাঁর এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন। এক খন্দক দূরত্বের পরিমাণ হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক।


______________


*  একবার কিছু লোক হযরত ঈসা (আঃ) এর কাছে


এক ধোপার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলঃ হযরত! এই


ধোপার স্বভাব অতি খারাপ। মানুষের


কাপড় বদলে ফেলে,ধোকা দেয়। আপনি তার জন্য


বদ দোয়া করে দিন যেন তার মৃত্যু হয় আর


আমরাও মুক্তি পাই।


হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা'আলার দরবারে বদ


দোয়া


করলেনঃ 'হে আল্লাহ! তুমি তার থেকে তোমার দায়িত্ব


তুলে নাও।' অর্থাৎ তাকে তোমার রহমত ও


অভিভাবকত্ব থেকে আলাদা করে দাও!


এই দোয়া করার পর তিনি সকলকেই জানিয়ে দিলেন


এর বয়স শুধু আজকের দিন বাকি। লোকেরা দোয়ার


উপর আশ্বস্ত হল এবং ধরেই


নিয়েছে ধোপা এবার শেষ।


এদিকে দোপা তার দৈনন্দিন কর্মসূচী মুতাবিক


দিবসের খাবার তিনটি রুটি নিয়ে ঘাটের দিকে


যাচ্ছিল। পথে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল। বললঃ


আমি খুবই ক্ষুধার্ত। আমাকে একটি রুটি দান


করুন। ধোপা একটি রুটি তাকে দান করল।


বিক্ষুক একটি রুটি হাতে পেয়ে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীত দিনের সকল পাপ


মাফ করে


দিন এবং তোমার অন্তরকে পবিত্র করে দিন।'


ধোপার কাছে বিক্ষুকের দু'আ খুবই ভাল লাগল।


সে দ্বিতীয় রুটিটিও তাকে দান করে দিল। এবার


ভিক্ষুক


এই বলে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমার পুর্বের-পরের সকল গোনাহ


মাফ


করে দিন।'


এ কথা শুনে ধোপা তাকে তৃতীয় রুটিটিও দান


করে দিল। তখন বিক্ষুক এই বলে দু'আ করলঃ


'আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সকল প্রকার


আসমানী বিপদ


থেকে রক্ষা করুন এবং তোমার জন্যে বেহেশতে


একটি মহল তৈরী করে দিন।'


এদিকে সকলেই অপেক্ষমান ধোপার অবস্থা


দেখার জন্য। বিকালে সবাই বিস্ময়ের সাথে


লক্ষ্য করল ধোপা তার বস্ত্রসামগ্রীসহ


ঘাট থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসছে।


এ অবস্থা দেখে সকলেই ছুটে এলো হযরত ঈসা (আঃ)


এর খেদমতে। এসে আরয করলঃ হে আল্লাহর নবী!


ধোপার তো কিছুই হলো না। আপনার অংগীকার পূর্ণ


হলো না।


হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ তাকে আমার


কাছে ডেকে আন।


তার অবস্থা আমি দেখি।


ডেকে আনা হলো আদেশ মত। হযরত ঈসা (আঃ) তাকে


জিজ্ঞেস করলেনঃ আজ তুমি কি কাজ করেছো?


কী নেক


আমল করেছো শুনি!


ধোপা বলল হে আল্লাহর নবী! পথে একজন ক্ষুদার্ত


ভিক্ষুক পেয়েছিলাম। আমার কাছে তিনটি রুটি ছিল


যা তাকে দিয়ে


দিয়েছি। সে আমার প্রতিটি রুটির বিনিময়ে একটি


করে দু'আ করেছে।


হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ ধোপা! তোমার কাপড়ের


গাঁটরি খোল! খোলার পর দেখে তার মধ্যে একটি


কৃসণবর্ণ বিষাক্ত সাপ। তার মুখে লোহার লাগাম


আঁটা।


হযরত ঈসা (আঃ) সাপকে ডাকলেনঃ আসওয়াদ!


সাপ বললঃ লাব্বাইক ইয়া রুহুল্লাহ! আমি উপস্থিত হে


আল্লাহর প্রিয়নবী!


বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা কি তোকে এই ধোপাকে


ধ্বংস করার জন্যে পাঠাননি?


বললঃ হ্যাঁ, আল্লাহ তা'আলা তো এই আদেশই


দিয়েছেন।


আমাকে বলা হয়েছিল, অমুক নামের এক ধোপা


অমুক ঝর্ণায় কাপড় ধোয়ার জন্যে গিয়েছে।


তাকে গিয়ে দংশন কর। আমি এই উদ্দেশ্যেই তার


গাঁটুরিতে আশ্রয় নিয়েছি সুযোগের অপেক্ষায়।


কিন্তু সে যখন সদকা করেছে ক্ষুধার্ত


ভিক্ষুককে হালাল খাবার দান করেছে তখন


ভিক্ষুক তার জন্য দু'আ করেছে। আল্লাহ


তা'আলা তার


দু'আ কবুল করেছেন। একজন ফিরিশতা আসমান


থেকে নেমে এসেছেন। ফলে আমি আমার দায়িত্ব আর


পালন করতে পারি নি।


তখন হযরত ঈসা (আঃ) বললেনঃ হে ধোপা! তুমি


এখন থেকে নতুন করে আমল করা শুরু কর।


আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীতের সব গোনাহ মাফ


করে


দিয়েছেন, তোমার দানের বরকতে। তোমার হায়াতেও


বরকত দান করেছেন।


বিঃদ্রঃ রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমল


বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ আমাদের


সবাইকে বেশি বেশি দান করার তৌফীক দান করুন।


*  হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা।জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ। সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা।সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন ঐই পাখির ডিম সে না খায়। হযরত সোলায়মান( আ.)এর নিষেধ অমান্য করে লোকটি আবারো পাখির ডিম খেয়ে ফেলল।নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি এবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেয়, যাতে লোকটি আর কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে। এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছে থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল। সোলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।


এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুজন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। সোলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।( তাযকেরাতুল আম্বিয়া)


যাকাত ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ,সহিহ বুখারী, ৮ সহিহ


حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‏


ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। 


১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। 


২. সলাত কায়িম করা। 


৩. যাকাত আদায় করা। 


৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং 


৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।


(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)


ফুটনোটঃ


[১] কোন কোন ফকীহদের নিকট ঈমান বাড়েও না কমেও না। বরং সমান থাকে। তাদের নিকট একজন নবীর ঈমান ও ইবলিসের ঈমান এক সমান। তাদের এই ‘আকীদাহ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। এটা মুরজি’আহ সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ‘আকীদাহর অন্তর্ভুক্ত। 


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

No comments

Powered by Blogger.